নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলাচোখ ...

কাইজেন

আমি বাংলার আট দশজনের মত একজন সাধারন মানুষ যাকে বলে আমজনতা,পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার । মনেপ্রানে বাঙ্গালি, ভালবাসি বাংলাকে,মাকে,বাংলার মানুষদের,চিন্তা করি মুক্তভাবে.

কাইজেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চালে কি ভুল করলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী............

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

বিরোধীদলীয় নেত্রী শুক্রবারের জনসভায় বললেন শনিবারের মাঝে আলোচনা না হলে টানা ৩ দিন হরতাল । আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সাথে টেলিফোনে আলাপ করলেন , গনভবনে দাওয়াত দিলেন তারপরেও তিনি হরতাল প্রত্যাহার করলেন না কিন্তু কেন ? একটা যুক্তি উনারা দেখিয়েছেন যে এটা ১৮ দলীয় কর্মসূচি ছিল । সেটা যাই হউক সাধারন মানুষ মনে হয়না ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছে । সাধারন মানুষ কখনও হরতাল,জালাও পোড়াও জিনিসটা পছন্দ করে না । গতকাল রাতে আসার সময় রিক্সা ড্রাইভার জিগ্যেস করল “স্যার, পধানমন্ত্রী কি খালেদা জিয়ার সাথে ফোনে কথা কইছে?হের নাকি ফোন দিবার কথা তারে?” আমি জিগ্যেস করলাম “আপনি জানলেন কিভাবে?” “বিকালে টিভিতে দেখছি” আমি তাকে বললাম যে উনি ফোন করেছেন তৎক্ষণাৎ তার জিজ্ঞাসা “তাইলে ত স্যার হরতাল হইব না তাই না” আমি তাকে বললাম যে হরতাল প্রত্যাহার করে নাই বিরোধী দল । তখন সে খুব জোরেই বলে উঠল “ সবাই মিথ্যুক স্যার,হেয় কইছিল হরতাল দিবনা,কিন্তু দিল ক্যান, আমাগ পেট এ লাথি মাইরা ওনারা কি মজা পায়?আগেরবার হরতালে আমার ভাইয়ের সি এন জি টা জ্বালাইয়া দিছিল । ডর লাগে কিন্তু বাইর ত হইতে হইবই নাইলে পরিবার চলব কেমনে” আমি চুপ করে তার কথা শুনছিলাম আর ভাবতেছিলাম আমদের রাজনীতিবিদরা জনগনের ভিতরের কথাটা কি টের পান?? যদি টের পেতেন তাহলে হয়ত এই হরতাল হয়ত হতনা । কেন জানি মনে হচ্ছিল হরতাল টা প্রত্যাহার না করে বিরোধীদলীয় নেত্রী রাজনীতির চালে হয়ত একটা ভুল করে বসলেন.........আমার ধারনা ভুল ও হতে পারে কারন রাজনীতির মারপ্যাচটা খুব একটা বুঝি না.........।।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: দু'দলের নেতাদেরই চিন্তা, কেবল ক্ষমতা। গরীবের পেটে লাথি মারা নিয়ে তাদের কোন টেনশন নাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কাইজেন বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত, কারন সাধারন মানুষের কথা যদি তারা চিন্তা করত তাহলে দেশের এই অবস্থা আজকে হত না......

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

দুরদেশী বালক বলেছেন: কি যে বলেন। চালে ওনারা ভুল করেন নাই। ওনারা জানে পাবলিক তাদের সমর্থন করে ভোট দেয় না- ভয়ে বা ঝামেলা এড়াতে দেয়। বিএনপি যদি প্রমাণ করতে পারে তারা বেশি ঝামেলা করবো তাহলে পাবলিক তাদের ভোট দেবে- যাতে ভবিষ্যতে ঝামেলা কম হয়। আফটার অল পাবলিক তো সব ভোদাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

কাইজেন বলেছেন: আসলে পাবলিক কে ভোদাই বলে লাভ নেই, কারন নির্বাচনের আগে পাবলিকএর সেন্টিমেন্ট টাকে পুজি করে তারা তাদের মানসিক ভাবে ব্ল্যাক মেইল করে,হতে পারে সেটা খারাপ জিনিস নিয়ে অথবা ভাল জিনিস নিয়ে । কারন আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা খুব কম কিন্তু আবেগ টা অনেক বেশী, তাছাড়া তাদের অধিকার নিয়ে যাদের কাজ করার কথা তারা ত ক্ষমতার চেয়ার দখলের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যাস্ত.........।।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: কেউ আবার বলে সরকারকে চাপে রাখার জন্য হরতাল । হ ঠিক তাই । মন্ত্রনালয় কিংবা বঙ্গভবনে বিক্ষোভ করলে সরকার চাপে থাকে না, সংসদে গিয়া গঠনমূলক সমালোচনায় সরকারের কিছুই হয় না । বা অন্য কোনো ভাবে চাপে রাখা যায় না । এর জন্য চাই গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর আর অগ্নিসংযোগ করা, চাই মানুষ খুন, চাই রক্ত, চাই অফিসগামী মানুষের দূর্ভোগ, আরো চাই হকার এবং দিনমুজুরের পেটে লাথি মারা । কষ্ট লাগে কারণ জানি শেষমেশ এই এদেরকেই লোকে এবার ভোট দিচ্ছে ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

কাইজেন বলেছেন: আমাদের দেশে গনতন্ত্র বলতে যেটা বোঝায় সেটার প্র্যাকটিস যদি থাকত তাহলে এইসব হরতাল না করে আপনি যেগুলার কথা বলেছেন সেই গুলাই করত, সাধারন জনগন এত ভোগান্তির শিকার হত না, আর ভোেট র কথা বলছেন সেই জায়গায়ও জনগন ধরা খাওয়া কারন দেশে গনতন্ত্র বজায় রাখতে গেলে তাদের ভোট দিতে হবে,আর কাকে দিবে ঐ ধরনের ভাল অপশন ত নাই তাদের কাছে......সুতরাং ঘুরে ফিরে তারাই ফিরে আসে ক্ষমতায় ।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: যদি বিরোধীদলীয় নেতার ভাষন সাধারণ বাংলা ভাষায় দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে আমি বুঝেছিলাম যে শনিবার ভোর রাতের আগে বিএনপি নেত্রীর সাথে আলোচনা করার প্রস্তাব দিলে রবিবার থেকে হরতাল হবে না।

বিভিন্ন সংবাদেও এই কথাটি উল্লেখ করা হয়েছিল এই ভাবে, "দুইদিন সময় দিলাম। এর ভেতরে সংলাপ আয়োজনের ব্যবস্থা করুন, না হলে রবিবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা হরতাল হবে"।

বিরোধীদলের নেতার শর্ত মেনেই তো ফোন করা হয়েছিল। তাহলে কেন হরতাল প্রত্যাহার হল না? কেন বলা হল যে এটা ১৮ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত এবং তাদের সাথে কথা না বলে হরতাল প্রত্যাহার করা যাবে না? কেন বলা হল যে ১৮-দলীয় জোটের নেতারা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? ২৫ তারিখের সমাবেশে কি ১৮-দলীয় জোটের নেতারা যোগ দেন নাই, তাদের সাথে কি টেলিফোনে এর আগে কল-কনফারেনস করা হয় নাই? তা হলে কেন হরতাল প্রত্যাহার করা হল না?

আমরা এতো গাধা না যে বুঝি না। বুঝি যে নৈরাজ্য আর নাশকতা চালাবার জন্য জামায়াত নামক জঙ্গি দলটির বিএনপি এবং ১৮-দলীয় জোটের ছায়া প্রয়োজন। সে জন্যই হরতাল থাকল। যাতে জামায়াত তাদের ২০০৬ সালের প্রতিশোধ নিতে পারে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে চিহ্নিত কতগুলো কসাইয়ের ফাঁসির আদেশ।

মাঝ থেকে বিএনপিই মার খাচ্ছে তার জামায়াত নির্ভরতার কারণে। রাজনীতি এখন আর দুইদলের ব্যাপার না। এখন রাজনীতিতে আমাদেরও চিন্তা-ভাবনা মিশাতে হবে, আমাদের চিন্তাগুলোর স্থান এবং বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

কাইজেন বলেছেন:
আমরা হয়ত ব্যাপারটা বুঝি , কিন্তু উনারা ভাবেন আমরা কিছুই বুঝি না......

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: কারেকশনঃ শনিবার ভোর রাতের ==> রবিবার ভোর রাত

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

রাহুল বলেছেন: দুরদেশী বালক বলেছেন: কি যে বলেন। চালে ওনারা ভুল করেন নাই। ওনারা জানে পাবলিক তাদের সমর্থন করে ভোট দেয় না- ভয়ে বা ঝামেলা এড়াতে দেয়। বিএনপি যদি প্রমাণ করতে পারে তারা বেশি ঝামেলা করবো তাহলে পাবলিক তাদের ভোট দেবে- যাতে ভবিষ্যতে ঝামেলা কম হয়। আফটার অল পাবলিক তো সব ভোদাই।

সহমত।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: সংলাপে কি বসছে নাকি??
ফোন করল কথা হইলা এইটা কি সমাধান নাকি...

আবার ফোনেও আলাপ হয় নাই ...

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

আখিলিস বলেছেন: বিএনপি'র রাজনীতি সবসময়ই মিথ্যার উপর চলে - এটা নতুন কিছু না। যারা প্রতিনিয়ত ধর্ম বিক্রি করে, যারা এমন কি পবিত্র ক্বাবা শরীফের ছবি নিয়েও মিথ্যা বলতে পিছপা হয় না, তাদের কাছে এই আচরণ মোটেও অস্বাভাবিক না ।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

তারিন রহমান বলেছেন: বি এন পি কোমড় ভাঙ্গা দল ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.