নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলাচোখ ...

কাইজেন

আমি বাংলার আট দশজনের মত একজন সাধারন মানুষ যাকে বলে আমজনতা,পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার । মনেপ্রানে বাঙ্গালি, ভালবাসি বাংলাকে,মাকে,বাংলার মানুষদের,চিন্তা করি মুক্তভাবে.

কাইজেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং শাহবাগ আন্দোলন...............

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

শাহবাগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারীতে যখন কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয় তার প্রতিবাদে । সারা দেশের মানুষ তখন ৭১ এর চেতনাকে বুকে ধারন করে রাস্তায় নেমে স্বতঃ স্ফূর্ত প্রতিবাদ জানিয়েছিল । ৭১ এর পরে দল মত নির্বিশেষে এভাবে বাংলার মানুষের স্বতঃ স্ফূর্ত অংশগ্রহন খুব একটা নেই বললেই চলে। আন্দোলনটা শুরুর প্রেক্ষাপট যদি দেখি সেটা শুরু করেছিল অনলাইন এক্টিভিস্টদের হাত ধরে । যাদের কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম ছিলনা, ছিল একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, যাতে আপামর জন সাধারনের পূর্ণ সমর্থন ছিল । তখন অনেকের মত আমিও আশাবাদী ছিলাম এবার হয়ত এই দেশে কিছু একটা হবে, কারন তারুন্যের শক্তি অপ্রতিরোধ্য বলে আমি বিশ্বাস করি। ভেবেছিলাম দেশ হয়ত এই তারুন্যের শক্তির উপর ভর করেই সমৃধির পথে হাটবে, দেশের রাজনিতীতে এর একটা বিরাট প্রভাব আসবে, আজ না হউক কিছু বছর পরে আমরা দেশপ্রেমে উদ্বেলিত কিছু তরুন সেনানী পাব। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম ঐ আন্দোলনকে কিভাবে কলুষিত করতে । বিভিন্ন অপপ্রচার, আর দলীয়করনের বিভ্রান্ত ব্যাখ্যায় তা আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে গেছে। কিন্তু মন থেকে চেতনা টা যায় নি । আমি বিভিন্ন সময়ে পত্রিকা বা খবরে দেখেছি যে যাদের হাত ধরে এর সুচনা হয়েছিল তাদের অনেকেই পরবর্তীতে সরে গেছেন, কেউবা ক্ষোভে কেউবা লোভে । কিন্তু ঐক্য টা ধরে রাখতে পারলে হয়ত অনেক কিছুই সম্ভব ছিল। রাজনৈতিক দল চালাতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয় সেটা আমরা জানি কিন্ত একটা চেতনায় বিশ্বাসী লোকদের জন্য সেছ্বাসেকদের অভাব হয়না বা হয়নি যেটা আমরা দেখেছি। আজকে শাহবাগ আন্দোলন এর অনেক কে দেখা যায় না, শুধু রায়ের আগে কয়েকজনের চেহারা আর বক্তব্য পাওয়া যায়। তাদের কুনো কর্মসূচী কালেভদ্রে চোখে পড়ে । আর যারা একটা অন্ধ ধারনায় বিশ্বাস করে তারা প্রকাশ্যে বলে কয়ে কাজ করছে...........এটা চিন্তা করে শাহবাগের অগ্রভাগে যারা ছিলেন তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত ,কারন আপনারা তরুন প্রজন্মের পক্ষে দাঁড়িয়ে জাতিকে একটা সপ্ন দেখিয়েছিলেন কিন্তু অর্ধেক পথে এনে এভাবে না ফেললেও হত । আজকের আমদের রাজনৈতিক অঙ্গনে ,জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে আপনাদের একটা বড় ভূমিকা থাকতে পারত, সাধারন জনগনের আবেগটা অনেক বেশী, সেটা কুনো দলের জন্য নয় সেটা দেশের জন্য। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দোলগুলো মানুষের আবেগকে ব্ল্যাক মেইল করে ক্ষমতা দখল করে পরে তাদের ভূলে যায় । কিন্তু আপনারা একটা ঝুঁকি নিতে পারতেন এইখানটায় .. কারণ আপনারা ত কুণো দলের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না, নাকি ছিলেন?? যদি থেকে থাকেন তাহলে আমার বলার কিছু নাই...........................

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

উযায়র বলেছেন: আপনারা তরুন প্রজন্মের পক্ষে দাঁড়িয়ে জাতিকে একটা সপ্ন দেখিয়েছিলেন কিন্তু অর্ধেক পথে এনে এভাবে না ফেললেও হত

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহাবাগ আন্দলনের প্রথম দুইহপ্তাই আন্দলনের মুল অর্জন টি হয়ে গেছে অবস্যই।

কি পেলাম?

১। বাঙ্গালির প্রানপ্রিয় স্লোগান 'জয় বাংলা' আওয়ামীলিগের হাত থেকে ছিনিয়ে এনে সার্বজনিন করা সম্ভব হয়েছে।

২। শাহাবাগের জনমত তাজা থাকতেই দ্রুততার সাথে ৪টি আইন সংশোধন ও সংযোজন করে ফেলে।
যেমন দল (জামাত) নিসিদ্ধের আইন, অতি জরুরি দ্বিমুখি আপিল অধিকার। যে কারনে কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার মত অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়েছে।

৩। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপুর্ন আইনটি হচ্ছে - রায় ঘোষনার ২ মাসের ভেতর আপিল আবেদন ও নিস্পত্তি সারতে হবে।

এসব জনমতের চাপে কারনে ট্রাইবুনাল নতুন ভাবে প্রান ফিরে পেয়েছে। রায়গুলো দ্রুত হয়েছে।

এরপর শাহাবাগের কাছে আর কি চাওয়া লাগে। দলবাজি করে মারামারিতে নামাতে চান?

এটা পড়ুন
Click This Link

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

কাইজেন বলেছেন:
মানলাম আপনি যেগুলু উল্লেখ করেছেন সেটা অর্জিত হয়ে গেছে, আসলে কি তাই, এই দেশের রাজনীতি দুদুল্যমান আজকে যারা সাজাপ্রাপ্ত কালকে তারা মুক্ত হতে কত খন ।কখনও চিন্তা করেছেন এত বড় একটা আন্দোলন এটা নিয়ে সারা দেশের মানুষ কি ভেবেছে, বা ভাবছে ? যারা খেটে খাওয়া মানুষ,যারা শাহবাগ আন্দোলনকে দেখেনি কিন্তু যাদের সমর্থন ছিল তারাও আজকে এইটা নিয়ে উলটা পাল্টা কথা বলে কেন জানেন? আসল সত্যের বদলে তাদের কাছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের অপপ্রচারটাই (এই আন্দোলন নিয়ে) বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে,কারন শাহবাগের চেতনা আর অর্জনটার কথা তারা জানে না ,আর এইটুকু আপনি বিশ্বাস করেন ত যে অর্জন করার চেয়ে তা ধরে রাখাটা অনেক কঠিন, কারন ধরে রাখার জন্য চেতনা টা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াটা জরুরী ছিল......যেটা মারামারি বা দলবাজি না করেও করা যায়......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.