নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকিত্বের কথন

কাওছার০

নীরব কথক

কাওছার০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সূচনা"-"উপসংহার" (গল্প)

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

মেয়েটা দেখতে একেবারে মায়বতীর মতো।টানা টানা চোখে বেশ লাগে তাকে।তার সবচেয়ে সুন্দর জিনিসটা হলো তার মুচকি হাসি।মুচকি হাসিতে যখন তার গালে টোল পরে তখন তাকে অপরূপ লাগে।মেয়েটা দেখতে কোন ডানাকাটা পরীর মতো না,দেখতে একেবারে কুত্সিিতও না।সে দেখতে শ্যামল অপ্সরীর মতো।অপ্সরীরা শ্যামলা হয় কিনা তা জানা নেই।আমার চোখে সে শ্যামল অপ্সরী।শ্যামল মায়াবতী।



এতক্ষণ ধরে মেয়েটা মেয়েটা করছি।বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন মনে হয়।তার একটা নাম তো অবশ্যই আছে।নামটা হয়তো খুবই সাধারণ।তবে আমার কাছে অসাধারণ।তার নাম সূচনা।ছোটবেলায় রচনা লেখার সময় সূচনা শব্দটা দিয়েই শুরু করতাম।সূচনা আমার জীবনে আসার পর থেকে মনে হয়েছিলো জীবনটা নতুন করে শুরু হয়েছিলো।তবে রচনার মতো একসময় যে আমাকে উপসংহার শব্দটা লিখতে হবে তা কেই বা জানত?



সূচনাকে আমি আদর করে জানফি ডাকতাম।নামটা তার বেশ পছন্দ হয়েছিলো।তার যখন মন খারাপ হতো তখন তাকে জানফি বলে ডাকলে তার মন ভালো হয়ে যেত।সে বেশ খুশি হতো।



-আচ্ছা,তাম্মিন তোমাকে আমি যদি বলি আমি তোমাকে ভালোবাসি?

-ভেবে দেখতে হবে।

-ও আচ্ছা।



সূচনা আমাকে এইটুকু দিয়ে বুঝিয়েছিলো সে আমাকে পছন্দ করে,তার মনের ভালোবাসার দেয়ালে সে আমার নামটা অংকন করেছে আবছাভাবে।আমার সাড়া পেলে সে নামটাকে ভালোভাবে খোদাই করে রাখত।দেয়ালও একসময় ভেঙ্গে যায়।সূচনার মনের ভালোবাসার দেয়াল থেকে যে আমার নামটা ভেঙ্গে যাবে তা কি জানতাম?



-কেমন আছো জানফি?

-ভালো না।মন খারাপ?

-কেনো কি হয়েছে?

-তুমি আমাকে গল্প শোনাবা এখন।তোমার কাছ থেকে গল্প শুনব তাই ইচ্ছা করে মন খারাপ করেছি।এখন গল্প বলে আমার মনটা ভালো কর।

-এটা কোন কথা!

-দেখো,তোমার কাছ থেকে গল্প শুনবো বলে অনেক কষ্ট করে মন খারাপ করেছি।এখন গল্প বলে আমার মন ভালো করো।আমি আর কোন কথা শুনবো না।



সে জিদ করে বসে থাকত।তার জিদের কাছে হার মেনে তাকে গল্প বলেছিলাম।গল্পটা তার অনেক ভালো লেগেছিলো।এভাবে তাকে দুই তিনটার মতো গল্প বলেছিলাম।একদিন তাকে বললাম দুজনে মিলে একটা গল্প বলবো।সে রাজি হয় না।অনেক কষ্টে তাকে রাজি করালাম।সেদিন দুজনে মিলে গল্প বলেছিলাম।সে গল্পে একটা তার একটা কমন ডায়ালগ বলেছিলো।"থাপ্পড় দিয়ে তোমার সব দাঁত ফেলে দেবো।"আমি হাসতাম তার এই কথা শুনলে।গল্প শুরু করলে তা শেষ করতে হয়।গল্পের মতো আমার ভালোবাসাটা যে একসময় শেষ হয়ে যাবে তা কি জানতাম?



-এই তোমার না সমস্যা আছে?তো এতো লবণ খাও কেনো?

-আরে লবণ খেলে কিছু হয় না।

-থাপ্পড় দিয়ে তোমার দাঁত ফেলে দেবো।বেশি বুঝো না তুমি?এখন থেকে লবণ কম খাবা,পারলে খাবাই না।

-আমি লবণ খাই বা না খাই তা জানবা কিভাবে?

-আমার বিশ্বাস আছ তোমার প্রতি।



কথাটা বেশ ভালো লেগেছিলো।ভালোবাসায় বিশ্বাসটা বেশ দরকার।একজনের প্রতি আরেকজনের বিশ্বাস না থাকলে ভালোবাসাটা টিকে না।তবে আমার মিষ্টি ভালোবাসাটা যে একসময় লবণের মতো নোনতায় পরিণত হবে তা কি জানতাম?



-এই কি করো?

-তোমার কথা ভাবি।

-আমার কথা কি ভাবো?

-তুমি আর আমি লেকের ধারের ছাউনিতে বসে আছি।তুমি আমার হাতটা জড়িয়ে কাঁধে মাথা রেখে বসে আছো।আমি মাঝে মাঝে কথা বলছি আর তুমি কথা শুনে হেঁসে উঠছো।হটাত্‍ করে বৃষ্টি শুরু হলো।তুমি বসা থেকে উঠে বৃষ্টির পানি ছুঁতে লাগলে।আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তোমাকে দেখছি।হটাত্‍ তুমি হাতে পানি নিয়ে আমার মুখে ছিটিয়ে দিলে।তুমি পানি ছিটিয়ে হাসতে লাগলে প্রাণ খুলে।তখন তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছিলো।আমি উঠে বৃষ্টির পানি হাতি নিয়ে তোমার মুখেও ছিটিয়ে দিলাম।তুমি আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলে।বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আবার আমরা বসলাম।তুমি আমার হাতটা জড়িয়ে কাঁধে মাথা রেখে বসলে।আমি কথা বলছি আর তুমি হাসছো।

-তোমার ভাবনাগুলো অনেক সুন্দর।



এরকম অসংখ্য ভাবনার গল্প তাকে শুনিয়েছিলাম।এগুলো ছিলো স্বপ্নের মতো।সব স্বপ্ন সত্যি হয় না।আমার স্বপ্নটা যে স্বপ্নেই থেকে যাবে তা কি জানতাম?



-আমার একটা স্বপ্ন আছে?

-কি?

-আমার দুইটা মা হবে,দুইটা বাবা হবে,অনেকগুলা ভাই-বোন হবে আর ১১১ টা বাচ্চা হবে।

-এতো বাচ্চা দিয়ে কি করবা?

-সেটা তোমাকে বলবো না।আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই।

-ওকে।

-আমি নামও ঠিক করে রেখেছি।

-আচ্ছা ঠিকাছে।তুমি যে নাম রাখবা সেটাই হবে।



তোমার এই স্বপ্নটা হয়তো আর সত্যি হবে না।স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেছে কাঁচের টুকরোর মতন।ভাঙ্গার কারণটা অজানাই থাকুক সবার কাছে।স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্টনা আমি আর তুমিই না হয় বয়ে বেড়াবো।



নীল রংটা সূচনার অনেক প্রিয়।তার প্রিয় ফুল অরাজিতা।সবাই গোলাপ দিয়েই প্রপোজ করে।আমার ইচ্ছে ছিলো তার সাথে কোন এক বিশেষ দিনে দেখা করে অপরাজিতা ফুল দিয়ে ভালোবাসার কথাটা সামনা সামনি বলবো।তাকে এ কথা বলার পর সে খুশি হয়েছিলো অনেক।



নীল রংটা নাকি বেদনার প্রতীক।আমার রঙিন ভালোবাসার ক্যানভাসটা যে বেদনার রংয়ে ছেয়ে যাবে তা কি জানতাম?



আমার সাথে যখন সে দেখা করত তখন সে আমার পছন্দের ড্রেস পড়ে আসতো।আমি আবার তার ড্রেস দেখে রাগ করে বসি কিনা!সে আমার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই পরিবর্তন করতে চেয়েছিলো।তার এই আশাটা আর বাস্তবে রূপ নেয় নি।



সূচনার সাথে আমি লাস্ট দেখা করি মিরপুরে।সেদিন হাঁটতে হাঁটতে কিছুক্ষণ কথা বলেছিলাম।তার হাতের আঙ্গুলের সাথে আমার হাতে দুবার ছোঁয়া লেগেছিলো।সে বুঝেছিলো কিনা জানি না।সারাজীবন তার হাতটা ধরে রাখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু হাতটা যে আমাকে ছেড়ে দিতে হবে তা কি জানতাম?

-আমি পড়ালেখা করবো না।

-কেনো?

-আমি পড়ালেখা করলে যদি আব্বু তোমার চেয়ে হাই কোয়ালিটির কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়!

-বোকা মেয়ে!আমিও তো পড়ালেখা করছি।আল্লাহর রহমতে ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো অবস্থানে যেতে পারবো।তখন নিশ্চয়ই তোমার ফ্যামিলি মানা করতে পারবে না।তুমি তোমার পড়ালেখা চালিয়ে যাও।তোমার ইচ্ছা ডাক্তার হওয়া সেভাবেই পড়ালেখা করো।আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে মিলে লিখে রাখলে অবশ্যই আমরা এক হবো।

-আচ্ছা ঠিকাছে।



ভালোবাসার সম্পর্কে যারা জড়ায় তারা তাদের মনের মানুষকে নিয়ে ভবিষ্যতের নানারকম পরিকল্পনা ঠিক করে।স্বপ্ন আঁকতে থাকে ভবিষ্যতের রঙিন পেন্সিল দিয়ে।কিন্তু ভবিষ্যতের স্বপ্নটাও যে ভেঙ্গে যাবে তা কি আমরা জানতাম?



সূচনার সাথে আমার প্রথম ব্রেক আপ হয় জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে।সকাল বেলায় ও মেসেজ দিয়ে বলে "আমার সাথে সে আর রিলেশন রাখবে না।তার পক্ষে আর রিলেশন রাখা সম্ভব না।আমাকে কষ্ট দিয়ে সে নিজেও অনেক কষ্ট পাচ্ছে।আমি যাতে তাকে ভুলে যাই।...

মেসেজটা পড়ে তখন অনেক খারাপ লেগেছিলো।চোখের পানি প্রায় এসে পড়েছিলো।মোবাইল থেকে তার ঐ মেসেজটা ডিলেট করে হেডফোন নিয়ে "কতদিন দেখিনা তোমায়" এই একটা গানই সেদিন আশিবারের উপর শুনেছিলাম।মনকে মানাতে পারছিলাম না।সত্যিকার ভালোবাসায় কষ্ট আসবে এটাই স্বাভাবিক।



পরে অবশ্য জেনেছিলাম তার ব্রেকআপের কারণ।তার ফ্যামিলিতে জানাজানি হয়ে গিয়েছিলো।এই কথা জানার পর একটু রাগ হয়েছিলো সূচনার প্রতি।কথাটাতো সে আমাকেও বলতে পারতো।আমিই না হয় সরে আসতাম।আমার একটা খারাপ গুণ আছে।অন্যের ভালোর জন্য নিজের যত কষ্টই হোক না কেনো আমি আমার সাধ্যমতো সব করতে রাজি আছি।



পরের মাসে সূচনা আমাকে মেসেজ করে।মন মেজাজ খারাপ ছিলো তাই ইচ্ছে করেই ভালোভাবে রিপ্লাই দিই নি।



-কেমন আছো তাম্মিন?

-আমি কেমন আছি তা তোমার জানার দরকার কি?

-ওকে।বলতে হবে না।ভালো থেকো ,বাই।



পরে অবশ্য বেশ খারাপ লেগেছিলো।এর কয়েকদিন পরই আবার সে মেসেজ করে।তখন ভালোভাবেই কথা বলি।রিলেশনটা আবার কন্টিনিউ হয়।যতই ক্ষোভ জমা থাকুক একটা সত্যিকার ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ালে মনের মানুষটার কথা শুনলে সেই ক্ষোভটা আর থাকে না।আমারও একি অবস্থা হয়েছিলো।ওর বাসায় সমস্যা থাকায় ফোনে কথা হতো কদাচিত্‍।মেসেজিংই হতো বেশি।সেও আমাকে অনেক ভালোবাসতো।কথা না বলে থাকতে যে তার কষ্ট হয় সেটাও বুঝতাম।



ইন্টার পরীক্ষার রেজাল্টের দিন সারাদিনে ওকে ইচ্ছা করে ফোন দিই নাই ওর সমস্যার কথা ভেবে।আমার সাথে কথা বলতে যেয়ে যদি ও সমস্যায় পড়ে!



রাত দুইটায় ফোন দেয়ার আগে জিঙ্গেস করে নিয়েছিলাম এখন কথা বলতে তার সমস্যা হবে কিনা!তার সম্মতি পেয়ে ফোন দিই।অনেক কথাই হয়েছিলো সেদিন।



ভালোবাসার মানুষরা একে অপরের মনের কথা নাকি একটু আগে থেকে পড়ে ফেলতে পারে।এই কথাটার সত্যতা সেদিন পেয়েছিলাম।মনে মনে চিন্তা করছিলাম কথার মাঝে আমি তাকে "আমি তোমাকে ভালোবাসি" এই কথাটা বলতে বলবো।যখনই জিঙ্গেস করতে যাবো ঠিক তখনই সে আমাকে "আমি তোমাকে ভালোবাসি" কথাটা বলে।ঐ মূহুর্তের কথা এক কথায় অসাধারণ।আমি এতো খুশি হয়েছিলাম যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।সেদিন প্রায় এক ঘন্টার মতো কথা বলেছিলাম।অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছিলো।সারাদিন বেশ খোশ-মেজাজেই ছিলাম।



সূচনার সাথে আমার আবারো ফোনে কথা হয় ঈদের আগের দিন রাতে।অনেকক্ষণই কথা হয়েছিলো।তার সেই বিখ্যাত ডায়ালগ "থাপ্পড় দিয়ে তোমার সব দাঁত ফেলে দিবো" শুনেছিলাম সেদিন।মজা করে বলেছিলাম "তুমি আমাকে থাপ্পড় দিতে পারবা তবে শর্ত আছে।তুমি আমাকে যতগুলা থাপ্পড় দিবা আমি তোমাকে ঠিক ততগুলা চুমু খাবো।যদি শর্তে রাজি থাকো তো আমি আমার গাল আগাইয়া দিতে রাজি আছি।"সে মানবেই না।পরে বলে "আমি তোমাকে যতগুলা থাপ্পড় দিবো তার অর্ধেক চুমু দিতে পারবা।"আমি হাসতে হাসতে বললাম "ঠিকাছে।"



এরপর আর কথা হয় নি।সূচনার ফ্যামিলি আবারো জেনে যায়।তার মোবাইল নিয়ে নেয়।১৯ তারিখ রাতে অনেক বলে কয়ে ফোন নিয়ে আমাকে সব জানায়।সূচনা একটু জেদি টাইপের মেয়ে।ফোন নেয়াতে সারাদিন কিছু খায় নাই।অনেক বলেছিলাম কিছু অন্তত যাতে খেয়ে নেয়।কথাই শুনলো না।ঐদিনই লাস্ট যোগাযোগ হয়েছিলো তার সাথে।এরপর আর কোন যোগাযোগ হয় নি।আমিই তাকে মানা করেছি যাতে যোগাযোগ না করে।আমার জন্য সে সমস্যায় পড়ুক তা আমি কখনোই চাই না।



"উপসংহার" এখানেই টানতে হবে।আমার আর সূচনার সম্পর্কের কোন ভবিষ্যত্‍ বলতে গেলে নেইই।তার সাথে আমার ভবিষ্যতে মিল হবে কিনা এটারও কোন নিশ্চয়তা নেই।তারপরও আমার ইচ্ছা আছে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো তার সাথে মিল হতে আর সেটা দুই পরিবারের সম্মতিতেই।আমি প্রতিষ্টিত হতে হতে যদি ওর বিয়ে না হয় ওর বাসায় প্রস্তাব পাঠাবো।আল্লাহ ভাগ্যে মিল রাখলে অবশ্যই মিল হবে।



রিলেশনটা এখন নেই।যদিও কেউই ব্রেকআপ করি নি।তারপরও সরে আসছি আমি।এখন এসব থেকেই দূরেই থাকি।তাকে আমি এখনও ভালোবাসি।



সর্বশেষে শুধু একটা কথাই বলবো "সূচনা,I Still Love u"



কিছু কথাঃ ভালোবাসার সম্পর্কটাকে পবিত্র রাখার মধ্যেই সব সার্থকতা।এমন অনেকেই আছে যাদের ভালোবাসার মানুষ তাদের পাশে এখন নেই।আমি তাদেরকে উদ্দ্যেশ্য করে একটা কথাই বলবো, "আপনাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় যে রাগটা পুষে আছেন,সেটা অন্য কারো উপর ঝাড়বেন না।আপনি রাগটা ঝাড়ছেন ঠিকই কিন্তু অপরজন তো আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে।তাকে কেনো শুধু কষ্ট দিবেন?হয়তো আপনার ভালোবাসার মানুষ ফিরে আসবে নয়তো এমন একজনকেই পাবেন যে আপনাকে আজীবন সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসবে।"



যাদের ভালোবাসার সম্পর্ক এখনও আছে তাদের জন্য শুভ কামনা।আপনাদের ভালোবাসা পবিত্রতার বন্ধনে জোড়া থাকুক আজীবন সেই কামনাই করি।



"সমাপ্ত"

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.