![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।
বহুল আলোচিত ঢাকাই ছবির নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে ইতিপূর্বের অনেক ইস্যুই বহমান। তার মাধ্যেই আবার তাকে নিয়ে নতুন ট্রল সৃষ্টি। গত ২৪ মার্চে রিলিজ হওয়া তার 'পটাকা' গান নিয়ে প্রচুর সমালোচনা শোনা যাচ্ছে শ্রোতামহলে। এত অল্প সময়ে ইউটিউবে এখন অবধি গানটিতে ১ লক্ষ ৮ হাজারের অধিক ডিজলাইক পড়েছে। এরকম থার্ট কোয়ালিটির গান কেবল নুসরাত আপা দ্বারাই সম্ভব। আবার কেউ কেউ বলতেছে, 'আমি গান গাইতে পারি না, গান লিখতে পারি না, কিন্তু গান শুনতে তো পারি। তাই বলে এরকম ফালতু গান!'
.
শ্রোতাদের ট্রলবাজির বিরুদ্ধে এবং নুসরাত ফারিয়া আপার পক্ষে কয়েকটা ম্যাগাজিন পতিত্রাকেও কিছু লেখা চোখে পড়ার মতো। তারা এসব ইস্যু ও ট্রলবাজিকে কদর্য বলে প্রমোট করতেছে।
তা যাই হোক, ওসব বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি কেবলমাত্র তার এই পটাকা গানটাকে ডিসকাস্ করার চেষ্টা করব। তার (ফারিয়ার) বক্তব্য, 'অনেক আগে থেকেই নিজের মতো করে একটি গান করার ইচ্ছা ছিল আমার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এ গান। এটি মূলত নারীদের নিয়ে। জীবনে চলার পথে যে বাঁধাগুলোর মুখোমুখি হয়েছি এবং যে সমস্যাগুলো পেরিয়ে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে, এ গানের মাধ্যমে সেটিই বলার চেষ্টা করেছি। গানটি নিপীড়িত ও পিছিয়ে পড়া নারীদের সাহসী করে তুলবে। পটাকার মানে হচ্ছে, এর মাঝে আগুন আছে।'
.
আমি আপনাদের সামনে গানটা তুলে ধরছি। সুষ্ঠু মস্তিষ্কে একটু ভেবে দেখবেন- এই গানটা কীভাবে নিপীড়িত ও পিছিয়ে পড়া নারীদের সাহসী করে তুলবে। এবং তা কতটুকু নৈতিক!! সে স্বামীর থেকে যা পেলো না, তা কি অশ্লীতা দিয়ে আদায় করে নিবে! নিচে গানটির দিকে লক্ষ করুণ...
.
"তোমার প্রেমের পুরনো খেলা;
আর জমে না।
তোমার প্রেমের নেশা আমায়;
আর ভাবে না।
এসেছ ভালো তাই বলে কী!
মেনে নিব তোমার সব কিছু!
চলা-কলা লুকোচুরি আমার সাজে না।
কথা ছিল- দুজনে হবো দুজনের পুরোটাই।
আমি তাই হয়েছি...
রে-পটাটা রে-পটাটা রেপটাটা হো!!
মাতাল রোমিও হলে হবে কী?
প্রমাণ করতে না পারো যদি!
মুখের কথায় গলবে না এ মন!
দূরে দূরে থাকি তাই।
ডাকতে তুমি কত নামে,
কি দেখালে পরিণামে!
হয়েছি তাই,
রেপটাটা রে-পটাটা রে-পটাটা হো!!"
.
কি দেখতে পেলেন? আপাজান স্বামী দ্বারা সন্তুষ্ট থাকবে না। তাই তার মাঝে এখন পটাটা তথা দপ্ত আগুন আছে। যখন-তখন যে কোনো পুরুষকে জ্বালিয়ে ভর্স করিয়ে দিতে পারে বা আন্দোলনের আহ্বান করছে। তসলিমা আপার থেকে কম কই?
.
আপা, এর আগেও 'বস-২' ছবিতে ‘আল্লাহ্ মেহেরবান’ গানের সাথে অশ্লীলতার নৃত্যযুক্ততেও অনেক ফাজল্যামি করেছেন। তার পর জনতা ক্ষেপে গেল- 'নাচ-গান করবেন ভালো কথা, কিন্তু আল্লাহ্ তায়ালা নামে গান রচনা করে অশ্লীল অর্ধালঙ্গ নৃত্য দিয়ে গান কইতে আপনাকে কে বলছে?' ইস্যু কিছুদিন ভালোই চলল। তার পর তারা বাধ্য হয়ে গানের ভিডিও কিছু কার্টসার্ট করল। এখন আবার সাম্প্রতিক সময়ে রিলিজ হওয়া তার নিজের কন্ঠে গাওয়া ‘পাটাকা’ নামক গানে নারীদেরকে জাগিয়ে তুলতে চায়। আজ্ঞে হ্যাঁ, নুসরাত ফারিয়াপুর পোশাক নিয়ে কিছু কমু না। কারণ, তারা অশ্লীলতা দিয়েই নারীদেরকে নিপীড়ন, নির্যাতন ও ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। তারা আবার আমাদেরকে বুঝ দেয়, "আর হ্যাঁ, সবশেষে জানিয়ে রাখি, ‘পাটাকা’ গানের মাধ্যমে উপার্যিত সমস্ত অর্থ যাচ্ছে পথশিশুদের শিক্ষার কাজে। এবার কি এটা নিয়েও ট্রল শুরু করবেন?"
আমি বলব- "না অবশ্যই ট্রল সৃষ্টি করব না। আপনারা দেহ প্রকাশ্যে ব্যবসা করে পেট চালান, অশ্লীলতা দিয়ে নারীদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চান! অশ্লীলতা দিয়ে যুবক-যুবতিদের ক্যারেক্টার লুজ করে অর্থ উপার্যন করেন এবং তা থেকে উপার্যিত অর্থ-কড়ি পথশিশুদের কাজে লাগান। কিন্তু খেয়াল করেছেন? আপনাদের থেকে তৈরি ক্যারেক্টার লুজার যুবকরাই ধর্ষক নামে খ্যাত হচ্ছে! কিন্তু তবুও আপনারা সেলিব্রেটি ফ্যামাস হিরোইন তারকা। আর যারা বেশ্যালয়ে নিজের কিংবা পরিবারের অভাবের দায়ে কিংবা এক মুঠো ভাতের জন্য দেহ বিসর্জন দিচ্ছে, তারা বেশ্যা। আপনারা তাদেরকে বেশ্যা বলে গালি দিতে পারেন। কিন্তু নিজেরা প্রকাশ্য দিবালকে বেশ্যাগীরী করে হাজার হাজার যুবকদের চরিত্র ধ্বংস করেন। এবং তার প্রভাবে ধর্ষণে স্বীকার হচ্ছে সহস্র শিশু ও মেয়েরা। তবুও আপনারা সুশীল, তারকা, ভদ্র ও নারী অধিকারের অগ্রদূত। আপনারা না; পারেনও বটে!!"
.
"কাওছার আজাদ"
©somewhere in net ltd.