![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।
আমাদের প্রাণপ্রিয় মাননীয় প্রধানমুন্ত্রী ও মানবসভ্যতার জননী মাদক ব্যবস্যায়ীদেরকে ধরার জন্য সাঁড়াশি অভিযানের আদেশ দিয়েছে। এই অভিযানে র্যাব ও পুলিশের যৌথ পরিবেশনায় ক্রসফায়ার করে মাদক ব্যবসায়ী নিধন চলতেছে। গত তিন সপ্তাহ যাবৎ অন্তত ৪০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ার করে স্বর্গে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে- মাদকের গোষ্ঠী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। (মারহাবা)
.
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনার যেসব বিবরণ দিচ্ছে, সেগুলো মোটামুটি একই রকমের। তারা বলছে, 'অভিযানের সময় মাদকচক্রের সদস্যরা গুলি চালালে পাল্টা গুলিবর্ষণ করা হয় এবং তাতেই এদের মৃত্যু হয়েছে।'
আমার কথা হচ্ছে- বাংলাদেশে কি এতই বন্দুক যে প্রত্যেক মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে হাতে বন্দুক থাকে। তারা সর্বদা বন্দুক নিয়ে প্রস্তুত থাকে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে ধরতে আসলেই তারা মোকাবিলা করে। ব্যাপারটা হাস্যকর ছাড়া বৈকি! বিবিসি সাক্ষাৎকারে ক্রসফায়ারে নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রীর বলছে, 'আমার স্বামী অতি সাধারণ মানুষ। সে বন্দুক কি বুঝতই না। এটা ঠিক সে মদ্যপান করে। তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলেছে। এটা এদেশের কেমন আইনে!'
.
মাদক ব্যবসা ও মদ্যপান দুটোই সমাজের জন্য ভয়াবহ। এর ফলে যুবক সমাজ ধ্বংসের মুখে নিপতিত হচ্ছে। আমিও মাদক ব্যবসার ঘোর বিরুধী। কিন্তু তাই বলে অবিচারভাবে এদেরকে হত্যা করাকেই কি মানব সভ্যতা বলে? তাদেরকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিলেন কই? অপরাধ করেছে জন্যি ধরবেন আর কীট-পতঙ্গের মতো মেরে ফেলবেন! এটাকে কেমনে মানবতা বলি? মানবসভ্যতার জননী কেমনে বলি? এটা নির্বাচনের আগে নরহত্যা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ছাড়া কিছুই না। রাজনৈতিক স্বার্থ হাছিলের জন্য সবই সম্ভব। রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য এসব ক্রসফায়ারকে বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
.
আমি স্বচোক্ষে দেখেছি- সাম্প্রতিক অনেক রাজনীতিবীদরাই মাদক ব্যবসার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নেতারাই রাতভর মদ্যপানে ডুবে থাকে। কিন্তু এখন অবধি কোনো নেতাকে মরতে দেখলাম না। ক্রসফায়ারে যারা মরে তারা কেবল কদু-মদু-যদু ও অবিদিত লোকেরা। মাদক ব্যবসায়ীর মূল হোতারা এখনও মামুবাড়িতে দুধ-কলা ভাত খাচ্ছে। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাহ্, তাদের শরীরের পশম পর্যন্ত তারা ছিড়বে না। এমনকি 'বাল'ও ছিড়তে পারবে না।
.
'বিচারবহির্ভুত নরহত্যা'/কাওছার আজাদ।
২| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩২
কাওছার আজাদ বলেছেন: মাদক ব্যবসা যদি না থাকে, তাহলে পদ্যপানকারী তৈরি হবে কোত্থেকে! দুটোই একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত।
ইয়াবা ম্যান আদৌ ধরা খাবে কিনা সন্দেহ আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মদ খাওয়া ও মাদক ব্যবসা এক নয়; একজন লোক মদ খাওয়ার অধিকার রাখে; মদ খাওয়ার কারণে কাউকে মারলে, কারো না কারো ফাঁসি হওয়া উচিত।
ইয়াবা-সিম্বলকে জাতি জানে, মাদক অভিযান পুরোটাই ধরা খাবে যদি ইয়বা-ম্যান ধরা না খায়।