![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ন্যায়ে সন্ধানে, আকাশে উড়িয়ে শান্তির নিশান। মুক্তমনে উদার কণ্ঠে, গেয়ে যাবো সত্যের জয়গান।
সভ্যতার যুগে রক্ত ভেজা কান্নার আর্তনাদে জেগে উঠেছে জানোয়ার। ভাদ্রের কুকুরের মতো পশুবত দুর্বৃত্তরা উন্মাদ হয়েছে। কুকুরীগুলোও কম নয়। সমাজের বিবেক আজ বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে। মানবতা এখন পশুবতায় পরিণত হয়েছে। মনুষ্যত্ব বিবর্তিত হয়ে পশুত্বের থেকেও নিকৃষ্টতে রূপান্তিত হয়েছে। দেখতেই থাকুন এই সভ্যতার কলঙ্ক।
.
আচ্ছা, বলতে পারেন,- একজন মানুষকে কখন পশুর সাথে তুলনা করা হয়? আপনি হয়তো সহজেই উত্তর দিবেন,- 'যখন মানুষের মধ্যে পশুবত আচরণগুলো দেখা যায়।' কিন্তু সভ্যতার যুগের মানুষগুলোর চরিত্রের সাথে পশুর চরিত্রকে মিলিয়ে দেখুন, আপনার উত্তরটি পুরো-পুরিভাবে সঠিক হচ্ছে না। কেননা, আদৌ কি পশুদের চরিত্র এমন? একটু চিন্তা করে দেখুন, এদের থেকেও পশুদের চরিত্র শতগুণ ভালো আছে। আমি তো মনে করি, পশুদের সাথে ঐ সমস্ত মানুষগুলোকে তুলনা করাটাও পশুদের প্রতি পশ্বাচার ও অন্যায়।
.
আচ্ছা, আদিম যুগে তো কাপড়-চোপড় ছিল না। তখনকার মানুষ গাছের ছাল-বাকল ও লতা-পাতা দিয়ে শরীর ঢাকত। তবুও তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত থাকত। কিন্তু বর্তমান সভ্যতার যুগ। বস্ত্র তথা গার্মেন্টস শীল্প অহরহ! কাপড়-চোপড়ের অভাব নেই। এর পরও এরা বস্ত্রহীন কেন? নগ্না ও বেপর্দা কেন?
এই সভ্যতার যুগের মানুষগুলোকে আদিম যুগের জঙ্গি-জানোয়ারের সাথে তুলনা করতেও কুণ্ঠিত ও লজ্জাবোধ করতেছি। কারণ, তারা অসভ্যতার যুগের মানুষ হয়েও নিজেদের চরিত্রের হেফাজত করেছে। কিন্তু এই সভ্যতার যুগের মানুষেরা? এদেরকে কি উপাধি দিব, তা আমার জানা নেই। তবে আল্লাহ্ তায়ালা যেহেতু এদেরকে 'উলা-ইকা কাল আনাম বাল হুম আদাল' বলেছে, সেহেতু আল্লাহর কথার সাথে আমরা বলাতেও দোষ নাই,- এরা চতুষ্পদ জানোয়ারের থেকেও নিকৃষ্ট।
.
এই মেয়ে? তোমার লজ্জা করা উচিত? তুমি একজন মুসলিম ঘরের কন্যা। তোমার জন্য এভাবে রূপ-যৌবন প্রদর্শন করে বেড়ানো উচিত নয়।
কিছুদিন আগে 'আরিফ আজাদ' ভাই একটা কথা বলেছিল,- 'নারী চাঁদ নয় যার জোছনার প্রশংসা সবাই করে, নারী হলো সূর্যের মতো, যার দিকে চোখ পড়লেই চোখ নামিয়ে ফেলতে হয়।' ঠিক ইসলামও তো তাই বলে। তুমি বুঝো না কেন মেয়ে? নারীরা ঝিনুকের ভিতর লুকিয়ে থাকা সংরক্ষিত মহামূল্যবান মুক্তোর মতো। এর পরও তুমি বুঝবে না? তুমি কি মরবা না? তোমার অন্তরে কি মৃত্যুর ভয় নাই? এই যৌবনের রূপ-সৌন্দর্য কি সারা জীবন থাকবে? তুমি কি বৃদ্ধা হবে না? তখন তোমার রূপের অহমিকা কোথায় থাকবে? ফেসবুকে বেপর্দা হয়ে ছবি আপলোড করো! মুহূর্তের মধ্যে শতশত লাইক-কমেন্ট পাও! যুবকেরা তোমার ছবিকে দেখে দারুণ উপভোগ করে। কমেন্টে এসে যুবকেরা ওয়াও, সো নাইছ, সেক্সি ও বিউটিফুল বলে। এতে তুমি দারুণ আনন্দ পাও, তাই না? মনে করো, ঠিক ঐ মুহূর্তে আজরাঈল তোমার সামনে এসে হাজির। ছবি ও ছবির কমেন্টগুলো থেকেই রইল। তুমি তো মরেই গেলা। কেউ আর ডিলিট করতেও পারবে না। তখন কবরে তোমার কি হবে, একবার ভেবে দেখেছো?
.
হে যুবক! তুমি অশ্লীল কাজে লিপ্ত? গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ইনজয়ে মত্ত? গভীর রজনিতে ফোনের মধ্যে ভিডিও সেক্স প্রাকটিসিং এ ব্যস্ত? আচ্ছা, তোমার ভিতরে কি আল্লাহর ভয় নেই? তুমিও কি মরবা না? তোমার অন্তরে লজ্জা বলতে কি কিছু নেই? পারবা কবরের মধ্যে আল্লাহর আজাব ও ফিরেস্তাদের দাণ্ডাবেরী সহ্য করতে? যদি তোমার সহ্য করার ক্ষমতা থাকে, তবে তুমি যা-ইচ্ছে তাই করো।
.
'ভাদ্রের কুকুর-কুকুরী ও সভ্যতার যুগের জঙ্গলি-জানোয়ার'/কাওছার আজাদ (কচু)
©somewhere in net ltd.