![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“কামধেনু” পুরাণে বর্ণিত গাভী যেটি ইচ্ছা পুরণ করে।এর কাছে যা চাওয়া(প্রার্থনাকরা) হয় তাই পাওয়া যায়।প্রজাপতি কশ্যপের ঔরসে দক্ষকন্যা সুরভির গর্ভে রোহিণীর জন্ম হয়।শুরসেন হতে রোহিণীর ক্ষেত্রে কামধেনুর জন্ম।রেহিণী তাই কামধেনু প্রভৃতি গোজাতির মাতাে।ঋষি বশিষ্ঠের ‘সবলা’ কামধেনু ছিল।
একবার বিশ্বমিত্র সসৈন্যে মৃগয়ায় গিয়ে পিপাসার্ত হয়ে বশিষ্ঠের আশ্রমে উপস্থিত হন।বশিষ্ঠের নন্দিন নামে এক মামধেনু ছিল।বশিষ্ঠ এই কামধেনুর সাহায্যে বিশ্বমিত্রের অসংখ্য সৈন্যকে নানা প্রকার খাদ্যে পরিতোষের সংগে সতকার করেন।নন্দিনীর রূপে ও গুনে আকৃস্ট হয়ে বিশ্বমিত্র বশিষ্ঠকে নিজের রাজত্বের বিনিময়ে কামধেনু দান করতে প্রস্তাব দেন।বশিষ্ঠ তাতে অসম্মত হওয়ায় বিশ্বমিত্র সবলে নন্দিনীকে হরণ করতে চেস্টা করেন।বশিষ্ঠের আদেশে কামধেনু তার বিভিন্ন অঙ্গ থেকে অসংখ্য সৈন্য-সামন্ত সৃস্টি করে বিশ্বমিত্রের সৈন্যদের পরাজিত ও বিতাড়িত করে।শেষ পর্যন্ত বশিষ্ঠকে বিভিন্ন দিব্যাস্ত্র সহযোগে হত্যা করতেও ব্যর্থ হয়ে বিশ্বমিত্র গ্লানিভরে নিজ রাজ্য ত্যাগ করেন তপস্যার নিমিত্তে।(সূত্র:পৌরানিক অভিধান)
আজকাল কারো কারো আচরণে মনে হচ্ছে সাধারন মানুষকে তাঁরা কামধেনু জ্ঞান করেন।এদের কাছে যেন চাইলেই পাওয়া যায়।তবে কামধেনুর অন্যরূপটিও মাথায় রাখা বুদ্ধিমানের লক্ষন।সাথে বিশ্বমিত্রের বোধোদয়টিও।
©somewhere in net ltd.