নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ পাক অবশ্যই এ শ্রেণীর মানুষের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন। এদের হেদায়েতের জন্য দুয়া করি। নাহলে দুনিয়ার শাস্তি এদের জন্য যথেষ্ট না।

আলী কাজী রমজান

মোহাম্মদ ফাইজান জায়হান কাজী

আলী কাজী রমজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘হিরোশিমা পিস মিউজিয়াম’

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

হিবাকুশা। জাপানি ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ।জাপানিরা হিরোশিমা ও নাগাসাকি পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার হয়ে প্রাণে বেঁচে থাকা মানুষদের বোঝাতে ‘হিবাকুশা’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ-এর তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত জাপানী সরকার মোট ২৫১,৮৩৪ জন হিবাকুশা চিহ্নিত করেছে যাদের গড় বয়স ৭৪.৬ বছর। জাপানি ভাষায় হিবাকুশা শব্দের আক্ষরিক অর্থ "বিস্ফোরণের দ্বারা আক্রান্ত জনগণ"। হিবাকুশাদের প্রায় সবাই জাপানে বাস করে, বোমা হামলায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এমন কয়েক হাজার হিবাকুশা কোরিয়া এবং অন্যান্য স্থানে বাস করে।জাপানের হিরোশিমা নগরে ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান এনোলা গে থেকে ‘লিটল বয়’ নামের পারমাণবিক বোমাটি ফেলা হয়েছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ৬০০ মিটার উচ্চতা থেকে বোমাটি ফেলে মার্কিন বৈমানিকরা। এতে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়। আর আগস্টের ৯ তারিখে পাশের শহর নাগাসাকিতে ফেলা হয় ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের আরেকটি পারমাণবিক বোমা। এর ছয়দিন পরই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণ করে জাপানি বাহিনী।জাপানের হিরোশিমা নগরীর ঠিক কেন্দ্রস্থলেই রয়েছে একটি পার্ক। এখন যেখানে পিস পার্ক বা হিরোশিমা মেমোরিয়াল পার্কটি অবস্থিত, সেখানেই পৃথিবীর বুকে প্রথম আণবিক বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। এখানে সমবেত হয়ে বোমায় নিহতদের স্মরণ করেন জাপানিরা, প্রার্থনা করেন শান্তির। এই পার্কে ওই সময়ের একটি ভবনের কঙ্কাল সযত্নে সংরক্ষিত রয়েছে, যা থেকে আণবিক বোমার ভয়াবহতা কিছুটা হলেও আঁচ করা যায়। এই ভবনটির ১ দশমিক ২ মাইল পরিধির মধ্যে প্রায় সব ভবন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বোমার আঘাতে। মানব সভ্যতার সবচেয়ে ধংসাত্মক শক্তির প্রতীক হয়ে রয়েছে ওই ভবনের গোলাকার গম্বুজটি।এই মিউজিয়াম মুহূর্তের মধ্যে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর অন্ধকার গল্প মনে করিয়ে দেয়। দর্শকরা বোমার ইতিহাস, এর শারিরিক ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পান। যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের দেখে কিছুটা হলেও বুঝতে পারেন এর ভয়াবহতা। বিস্ফোরণের আগের ও পরের ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে ওই মিউজিয়ামে। সংরক্ষণ করে রাখা আছে পোড়া ভাঙা ছিন্নভিন্ন নানা জিনিস। এ থেকে কিছুটা হলেও ধারণা করা যায় কীভাবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটা গোটা নগরী পরিণত হয়েছিল সমতল একটি ধ্বংসস্তুপে।
মানুষ সাধারণভাবে মনে করে হিরোশিমায় আণবিক বোমা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। রাজনীতিবিদ, নেতা ও কূটনীতিকরা আমাদের এমনটাই বুঝিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অস্ত্রগুলো এখনও অস্তিত্বশীল। মানবতা এখনও ঝুঁকি ও হুমকির মধ্যেই রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.