নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ আলম

খালিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার দলীয় সাংসদের গুলিতে রক্তাক্ত শিশু!! অতঃপর...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

গতকাল শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাংসদ মন্জুরুল ইসলাম ওরফে লিটনের গুলিতে আহত হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সও আটকে দিয়েছিল সাংসদের সমর্থকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সাংসদ মন্জুরুল ওই সড়ক দিয়ে পাজেরো চালিয়ে বামনডাঙ্গা থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরে যাচ্ছিলেন। সাংসদ ব্র্যাক মোড় এলাকায় গিয়ে গাড়ি থামান এবং গাড়িতে বসে জানালা দিয়ে শাহাদাতের চাচা শাহজাহানকে ডাকেন। কিন্তু শাহজাহান ভয়ে দৌড় দিলে সাংসদ ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র বের করে শাহজাহানকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। দুটি গুলি শিশুটির ডান পায়ে ও একটি বাঁ পায়ে লাগে।

শিশু শাহাদাত হাসপাতালে কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলে, ‘এমপি সাহেব গাড়ি থামায়া আমার চাচাকে ইশারায় ডাকে। চাচা যায় না, চাচাকে ভয় দেখায়। তারপরে চাচাকে কী যেন দেখাইছে, চাচা ভয় পাইছে, দৌড় দিছে। তারপর ওমরা (উনি) গ্লাস নামায়া গুলি করে। তখন আমি দুই পায়ে ব্যথা পাই, মাটিতে পড়ে যাই। দেখি, আমার দুই পা দিয়া রক্ত ঝরছে। খুব ব্যথা। দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। পারি না।’

চাচা শাহজাহান বলেন, ‘এমপির ডাকে না যাওয়ায় তিনি আমাকে গালাগালি করতে থাকেন। আমি ভয়ে দৌড় দেই। উনি তখন গুলি করতে থাকেন। কিছুদূর গিয়ে পেছনে ফিরে দেখি, আমার ভাতিজা রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে কাঁদছে।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহাদাতের মা সেলিনা বেগম বলেন, ‘হামার ছোলটের এতো অক্ত (রক্ত) ঝরালো। এমপি হোক আর যাই হোক, আমি ছোলটেরে গুলি করার বিচার চাই।’

সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদের এই কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। একজন সুস্থ মানুষ এভাবে গুলি করতে পারেন না।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন সাংসদ।

তবে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এটা ঠিক। তবে কে গুলি করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। ঘটনায় কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তবে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাংসদের সমর্থকেরা সাংসদের ব্যবহৃত পিস্তল ও শটগান সুন্দরগঞ্জ থানায় জমা দেন। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শনিবার রাত নয়টায় সুন্দরগঞ্জ থানায় তিনি এই মামলা করেন গুলিবিদ্ধ শিশু শাহাদাতের বাবা সাজু মিয়া। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিন্নাত আলী মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ৩২৬ / ৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি একজন সাংসদ। তাই বিধিবিধান অনুসরণ করে তাঁকে গ্রেপ্তারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



প্রথম আলো


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:

সাংসদের জন্য ক্রস ফায়ার বরাদ্দ হোক।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরি কি যে বলেন! কিং কেন ডু নো রং! এরা রাজার জাত কোন অপরাধ করতে পারেন না, ফুলের মতই এদের চরিত্র!

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

জবরুল আলম সুমন বলেছেন: রবী বাবু বেঁচে থাকলে হয়তো তার একটা গানের লাইন সময়োপযোগী করে লিখতেন "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে গুলি করো রে......."

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.