নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরের বাড়ির পিঠা খাইতে বড়ই মিঠা ।

কিরকুট

আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।

কিরকুট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু/ মৃত বলতে আসলে কী বোঝায়?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে মৃত্যু/ মৃত বলতে বোঝায় - মানুষের শরীর থেকে যখন তার আত্মা বা অমর সত্ত্বা বের হয়ে যায়। এটি একটি ধারণা মাত্র এর পক্ষে কোন ভিত্তি বা প্রমান নেই।

একজন মানুষ বা প্রাণী মৃত কি না সেটার ঘোষণা দেওয়া এবং মৃত্যু আসলে হয়েছে কিনা সেটা যাচাইয়ের এখতিয়ার মেডিকেল ফিল্ডের উপর বর্তায়। মেডিকেল অনুসিদ্ধান্তে যদি সে মৃত হয় তবে তাকে মৃত বলা যাবে।

১৯৬৮ সালের আগ পর্যন্ত মৃত বলতে বোঝানো হত - শরীরের " ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড " এর কার্যক্রম এবং গতি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
১৯৮১ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের উদ্ভাবিত মানদণ্ড মতে - ব্যক্তির " মস্তিষ্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা মস্তিষ্কের স্টেম নার্ভের অকার্যকরীতা" কে মৃত ঘোষণা করা হবে।

২০১৬ সালের President’s Commission for the Study of Ethical Problems in Medicine and Biomedical and Behavioral Research এর উদ্ভাবিত Uniform Declaration of Death Act (UDDA) মতে, দুটো মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি কে মৃত ঘোষণা করতে হবে

(১) ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন এবং শ্বাস প্রশ্বাস কার্যক্রমের আদান-প্রদানের গতি বন্ধ হয়ে যাবে।

(২) ব্যক্তির মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ কার্যক্রমের বিষয়াদি বন্ধ হয়ে যাবে।

১৯৬৮ এবং ১৯৮১ সালের মানদণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী মত পার্থক্য থাকলেও ২০১৬ সালের UDDA (Uniform Determination of Death Act) নিয়ে বিশ্বের কোন স্টেট এবং রাষ্ট্রের মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই। UDDA (Uniform Determination of Death Act) কে সার্বজনীন মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করছে মৃত ঘোষণা করার ক্ষেত্রে।

২০১৬ সালের পর থেকে মৃত ঘোষণা করার এখতিয়ার টি শুধু মাত্র মেডিকেলে ক্ষেত্রের উপর না ছেড়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ইথিক্যাল গ্রাউন্ডে বিচার করে মৃত ঘোষণা করার কার্যক্রমের জন্য উক্ত ক্ষেত্রে মৃত ঘোষণা করার মানদণ্ড উদ্ভাবনের রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মানুষ মানুষের মৃত্যু বুঝতে চেয়ে ডেফিনিশন পরিবর্তিত করছে,ভবিষ্যৎ'এ হয়তো বলবে যে মানুষ আসলে মরে না,এই দেখেন মানদন্ড।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কিরকুট বলেছেন: মানুষ যতো আধুনিক হবে জীবন মৃত্যুর সংগা ততো পরিবর্তন হতে থাকবে।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কিরকুট,




কোনও ব্যক্তির রক্ত সঞ্চালন, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ এবং তাতে মস্তিষ্ক অকার্য্যকর হয়ে গেলে তাকে মৃত বলা হয়। এটাই এতোদিন বিবেচিত হয়ে আসছে এবং তার ইথিক্যাল নির্ণয়ক হিসেবে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে ধরা যেতেই পারে। কিন্তু মৃত্যুর সাথে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কি সম্পর্ক আছে যে রাজনৈতিক -অর্থনৈতিক মানদন্ডে মৃত্যু ঘোষনা করতে হবে?
তাহলে কি, রাজনীতি করে বা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এমন ব্যক্তির মৃত্যুর পরেই তাকে মৃত ঘোষনা করা হবে নইলে সে মৃত হলেও তার মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষনা দেয়া যাবেনা ? অর্থাৎ অরাজনৈতিক ব্যক্তি মরলেও তাকে "মৃত নয়" বলে গন্য করা হবে? :((
আবার অর্থনৈতিক মানদন্ড বিবেচনায় মৃত হতে হলে, মানে মরতে গেলে কি গরীব হতে হবে না কি ধনী হতে হবে? ব্যাপারটি এরকম কি যে, ব্যাটা তুমি গরীব তাই তুমি মরলেও তুমি "মরো নাই" এমন ঘোষনা দেয়া হবে? নাকি কেবল ধনীরাই মরতে পারবে? :( :|
এই মানদন্ডের ব্যাপারটি বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে !

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কিরকুট বলেছেন: ধরুন এক ব্যক্তি মারা গেলেন। মেডিকেল গ্রাউন্ডে তিনি মৃত ঘোষনা হলেন। কিন্তু তার নাম ভোটার লিস্টে জীবিত আছে। মৃত থাকা সত্বেও তিনি ভোট দিয়ে বেড়াচ্ছেন ( এমন ঘটনা বাংলাদেশে অহরহ ঘটছে)। আবার মৃত ব্যক্তি ট্যাক্স দিচ্ছেন খাজনা দিচ্ছেন কারন রাস্ট্র তাকে মৃত ঘোষনা করে নাই। ইহাই হলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে মৃত ঘোষনার প্রয়োজনীয়তা।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মৃত্যুর যে এমন সংজ্ঞা আছে, এবং তা যুগে যুগে চেঞ্জ হয়েছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। সবচাইতে বেশি অবাক লাগলো এ কারণে যে, মৃত ঘোষণার অথোরিটি শুধু মেডিকেল ফিল্ডই না, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও এথিক্যাল ফিল্ডও সম্পৃক্ত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মৃত ঘোষণার ব্যাপারটি সায়েন্টিফিক গ্রাউন্ডের উপর ভিত্তি করে দেয়া হবে, আই মিন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে, ততদিন ঠিক আছে, এরপর অন্যান্য গ্রাউন্ড, বিশেষ করে পলিটিক্যাল গ্রাউন্ড যুক্ত হলে তা বিবিধ অসৎ উদ্দেশ্যেও কাজে লাগানো হবে বলে মনে হচ্ছে।

ভালো একটা বিষয় আলোচনা করেছেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কিরকুট বলেছেন: ধন্যবাদ। মূল বিষয়টা আপনি ধরতে পেরেছেন।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি কাউকে মারা যেতে দেখেন?
- আমি প্রথম মারা যেতে দেখেছি আমার উকিল নানাকে। তারপর আমার আব্বাকে। শেষে আমার মাকে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কিরকুট বলেছেন: জ্বী দেখেছি।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যু অতি সহজ বিষয়। আপনি কেন সহজ বিষয়টিকে জটিল করছেন?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

কিরকুট বলেছেন: মৃত্যুকে আমি জটিল করছি না। মৃত্যু পরবর্তি সমস্যা গুলো কে চিহ্নত করতে চেষ্টা করছি।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

শায়মা বলেছেন: তারমানে একজন ব্যক্তি মরিয়াও প্রমান করিতে পারিবেনা সে মৃত!!! #:-S

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

কিরকুট বলেছেন: আধুনিক রাষ্ট্রে মৃতদের রেজিস্টার থাকা জরুরী।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

জ্যাকেল বলেছেন: চোখ বন হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। মানে চোখের মণি স্থির/ব্লক হইয়া গেলে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

কিরকুট বলেছেন: কিন্তু আপনি যদি ভোটার লিস্টে মৃত না হন তাহলে বছরের পর বছর ভোট দিয়ে যাবেন বা কেউ দেবে এটা জাতির জন্য ভয়ংকর।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: একটা মানুষ যখন কোমায় থাকে তখন তাকে বছরের পর বছর এই অবস্থায় রাখা যায়।শেষ প্রশ্নটির উদয় হয়েছে এখান থেকে।কথন তাকে মৃত ঘেষণা করা যাবে।যাতে আইনগত সমস্যার প্রশ্ন না উঠে।তাই এই নতুন সংগা খোজা।এমন কিছু সমস্যা ইতিমধ্যে দেখা গেছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

কিরকুট বলেছেন: হ্যা ইহাও একটা সমস্যা।

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যা মরে গিয়েছে তাহাই মৃত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

কিরকুট বলেছেন: সত্য।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কিরকুট,




ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জন্যে। তবে এখানে দেয়া যুক্তি মেনে নেয়া গেলোনা। কারন ভোটারের যে উদাহরণটি দিয়েছেন তা হয়তো বাংলাদেশেই সম্ভব, অন্য দেশে নয়। এই একটি কারণের জন্যে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মৃত্যুর সংজ্ঞা পাল্টানোর দরকার পড়েনা। আর বলেছেন , মৃত ব্যক্তি ট্যাক্স দিচ্ছেন যেহেতু রাস্ট্র তাকে মৃত ঘোষনা করে নাই। যদিও এই উদাহরণটি খুবই রেয়ার। তবুও বলি, রাস্ট্র তাকে মৃত ঘোষনা করবে কিসের উপর ভিত্তি করে ? মৃত্যুর রেজিষ্টার দেখে, এইতো ? রেজিষ্টারে কিন্তু মৃতের নাম উঠবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের উপর ভিত্তি করেই। ট্যাক্সলেনেওয়ালাদের লিষ্টে ট্যাক্স জমা পড়া, না পড়ার উপর ভিত্তি করে নয়।
আমার মনে হয়, আপনি যা বলতে চেয়েছেন অর্থাৎ মৃত্যুর সংজ্ঞা পাল্টানো, তার প্রয়োজনীয়তা কামাল১৮ এর মন্তব্যে হয়তো কিছুটা বোঝা যাচ্ছে।
আর মৃত্যুর সংজ্ঞাটি কেবল মাত্র মেডিক্যাল সাইন্সের উপর ছেড়ে না দিয়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ভাবে সংজ্ঞায়িত করার উদ্দেশ্য অন্য কিছু, যে সন্দেহ
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই তার মন্তব্যে করেছেন।

আপনার পোস্টের শেষ দু'টি লাইন বাদে সবটাই ঠিক ও যথার্থ বলেছেন এবং তা বিশ্বজনীন। শেষ দু'টি লাইনেই যতো বিপত্তি আর বিভ্রান্তি। আমার বিভ্রান্তি এখনও কিন্তু যায়নি। আপনার শেষ দু'লাইনের লেখায় কিছু তথ্য বাদ পড়েছে কি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.