| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিরকুট
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এখন পুরো দক্ষিণ এশিয়ার আলোচনার বড় বিষয়। অনেকেই জানতে চাইছেন, ভারত কি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে? পরিস্থিতি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তাতে মনে হয় দিল্লি তাড়াহুড়ো করে এই সিদ্ধান্ত নেবে না। কারণগুলো খুবই বাস্তব এবং কূটনৈতিক।
১. দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক ছিল অনেক বেশি সমন্বিত। সীমান্ত থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, ট্রানজিট সব জায়গায় ভারত অনেক সুবিধা পেয়েছে। ভারতের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন পরিচিত ও পূর্বানুমানযোগ্য একজন সহযোগী। এমন কাউকে সংকটের সময় ফিরিয়ে দেওয়া তাদের দীর্ঘদিনের নীতি ও লাভজনক অবস্থানকে অস্থির করতে পারে।
২. নিরাপত্তার হিসাব
উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দিল্লিকে বহু বছর স্বস্তি দিয়েছে। তাকে ফেরত পাঠালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বা প্রতিশোধের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তার নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে সেটার প্রভাব ভারতের উপরও আসতে পারে। তাই দিল্লি খুব সাবধানে চলছে।
৩. চীনকে ঘিরে কৌশলগত ভাবনা
বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর। চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বাড়ছে। হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে ভারত তুলনামূলক স্বস্তিতে ছিল। এখন দেশটির নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা কোন দিকে যাবে, সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তাই ভারতের কাছে তাকে ধরে রাখা একটি সময়ক্ষেপণও বটে।
৪. বাংলাদেশের অনিশ্চিত পরিস্থিতি
ক্ষমতা পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবেশ এখনো বেশ নড়বড়ে। অভিযোগ, মামলা, রাস্তায় টানাপোড়েন সব মিলিয়ে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। এমন সময় হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নতুন সমস্যা ডেকে আনতে পারে, যা ভারত এড়াতে চাইছে।
৫. আন্তর্জাতিক নজরদারি
মানবাধিকার ও আশ্রয় নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ ভারতকে সব সময় সতর্ক রাখে। হাসিনা দেশে ফিরে নিরাপত্তাহীনতায় পড়লে সেটা ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। দিল্লি এ ঝুঁকি নিতে চাইবে না।
৬. পুরোনো দৃষ্টান্ত
ভারত আগে থেকেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। দালাই লামাসহ বহু উদাহরণ আছে। এই নীতির ধারাবাহিকতায় হাসিনার অবস্থান ভারতের কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয়।
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের জন্য কেবল দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নয়। এর সঙ্গে জড়িত আঞ্চলিক রাজনীতি, নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আর চীন ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দিল্লি বড় কোনো পদক্ষেপ নেবে এমন সম্ভাবনা কম। সব মিলিয়ে তাকে দ্রুত ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০০
কিরকুট বলেছেন: আমি তো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কথাই বললাম ।
২|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০২
রাসেল বলেছেন: আপনার মতো আমিও বলি কারণগুলো খুবই কূটনৈতিক এবং বাস্তবিক। এখানে মানবিকতা, দায়িত্ববোধ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনো স্থান নাই; যদি বলা হয়, এটা অবশ্যই মিথ্যা গল্প।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
খুবই হাস্যকর বিষয়বস্তুর অবতারণা করলেন। যাদের মিনিমাম পররাষ্ট্রনীতি, আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে ধারনা আছে তারা ও জানে ভারত হাসিনাকে জীবনে ও ফিরত দিবে না; দুই দেশ যতই চুক্তি-মুক্তির মধ্যে আবদ্ধ থাকুক।
১। ভারতের সাথে নেগোসিয়েশনে করার মত কূটনীতিক দক্ষতা, মেধা, শক্তি-সামর্থ্য, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গনতন্ত্রের উপস্থিতি কোনটাই বাংলাদেশের নাই। (ভারত যতই সাম্প্রদায়িক দেশ হোক, কিছুটা হলেও ও গনতন্ত্রের উপস্থিতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আর সংকট কালীন মুহূর্তে সব দল আলোচনার টেবিলে বসা তাদের প্রধান শক্তি)
২। নিকট ভবিষ্যতে হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যদি তাকে হস্তান্তর করা হয়; উপমহাদেশে দিল্লি সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে যে কয়টি রাজনৈতিক দল বা দেশের সরকার আছে, তারা কেউ ই আর ভারতের উপর আস্থা রাখবে না। হাসিনাকে হস্তান্তর করা বর্তমান সরকার নিজে ও চায় না বলে আমার মনে হয়। দিল্লি কে চিঠি দেওয়া কিছুটা "সখি সখি" খেলা হিসেবে মনে হয়।