| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিরকুট
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা সমাজে ভয় ও অস্থিরতা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই যাচাইহীন অভিযোগ, গুজব বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তথ্যের ভিত্তিতে উত্তেজিত জনতা সহিংস হয়ে উঠছে। এতে নিরপরাধ ব্যক্তি হামলার শিকার হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সম্পদ, এবং বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে এই ধরনের মব সন্ত্রাস শুধু আইনশৃঙ্খলার জন্যই হুমকি নয়, বরং ধর্মের মূল শিক্ষার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, তৌহিদের মূল শিক্ষা হলো ন্যায়, সংযম ও আল্লাহর কাছে দায়বদ্ধতা কিন্তু দলবদ্ধ সহিংসতা সেই শিক্ষার প্রতিফলন নয়।
আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, মব সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হলে তা দীর্ঘমেয়াদে সমাজকে আরও সহিংস করে তুলবে। অপরাধের অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, কোনো গোষ্ঠী বা জনতার নয় এ বিষয়ে আইনের শাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলে তারা মনে করছেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো এবং উসকানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য যাচাই ছাড়া কোনো কিছু বিশ্বাস বা প্রচার না করাই হতে পারে এই সমস্যার প্রথম প্রতিরোধ।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একদিকে যেমন কঠোর আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন, তেমনি ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা আসা দরকার ধর্মের নামে সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব, আর সচেতন থাকা নাগরিকের। অপরাধের অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার হবে এই নীতিতে অটল থাকতে হবে। একই সঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো স্পষ্টভাবে বলা: ধর্ম কখনোই মব সন্ত্রাস সমর্থন করে না।
করণীয় কী?
ক) গুজব যাচাই করুনঃ শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হন।
খ) আইনের প্রতি আস্থা রাখুনঃ নিজের হাতে বিচার নয়।
গ) ধর্মের সঠিক শিক্ষা প্রচার করুনঃ দয়া, ন্যায় ও সংযম।
ঘ) সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হনঃ নীরবতা অপরাধকে শক্তিশালী করে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সচেতন নাগরিক ভূমিকা এবং ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যার সমন্বয়েই কেবল তৌহিদি জনতার নামে সংঘটিত মব সন্ত্রাসের মতো ঘটনাগুলো রোধ করা সম্ভব।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
কিরকুট বলেছেন: আমরা বাংলাদেশি বলতে যাদের চিনতাম তারা আর নেই এখন তাদের জায়গায় এসেছে আফাগানিস্থান, পাকিস্থান থেকে অস্র প্রশিক্ষন পাওয়া জঙ্গি ।
২|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমরা বাংলাদেশি বলতে যাদের চিনতাম তারা আর নেই এখন তাদের জায়গায় এসেছে আফাগানিস্থান, পাকিস্থান থেকে অস্র প্রশিক্ষন পাওয়া জঙ্গি ।
-আপনার সেই চেনা লোকেরা এখন কোথায় আছেন? একটু যদি খোলাসা করে বলতেন!
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
কিরকুট বলেছেন: এইতো আমি , জ্যাক স্মিত এদের মতো । এরাই , যারা প্রতিদিন সকালে উঠে বাজারে গিয়ে তেল নুন মরিচের হিসাব নিয়ে হাউকাউ করে এসে গোসল করে নাস্তা খেয়ে বউয়ের রান্নার প্রশংসা করেন, দুপুরে ভাত ঘুম দিয়ে উঠে সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন , মুখে মুখে রাজা গজা মেরে দাবার কোটে ঝড় তোলেন ।
৩|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১১
মাথা পাগলা বলেছেন: আমার মনে হয় ইউনুসের হাতে কোন ক্ষমতা নেই। এসব কার্যকলাপে কাউকে কি জেল পাঠানো হয়েছে? অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পদক্ষেপ নিতো। মব উস্কানি দেয়াতে এনসিপি নেতাদের সবার আগে জেলে পাঠানো উচিত।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭
কিরকুট বলেছেন: রাস্ট্র এখন অনেকটাই শিপ উইথ আউট ক্যাপ্টেইন ।
৪|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটা তো মিডিয়ায় যারা হামলা করেছে তাদের ছবি দিলেন ; দিপু দাসের ছবি দেন কিংবা তার আগুনে পোড়া দেহ ছবি তুলেছে । সাথে ভিডিও এড করেন ।
যে ছবি দিয়েছেন এদের crime আলাদা ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭
কিরকুট বলেছেন: এটা প্রতিকি ছবি ।
৫|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০২
মেঘনা বলেছেন: প্রথম আলো পোড়ার চেয়ে দিপু দাসের পোড়া অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। বাংলাদেশের নিরীহ মুসলমান দের জন্যও ভয়ংকর।
৬|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
কোঁকড়ানো বাবড়ি চুল ওয়ালা তৌহিদী ভাইয়ের লুক ভালো লাগছে।
সে অডিশন দিলে হলিউড কিংবা বলিউডের কোন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিয়ে
বানানো সিনেমার রোল পাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ যতই জঙ্গি মানসিকাতার হয়ে থাকুক না কেন, একজন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার মত বর্বরতার চুরান্ত সীমা অতিক্রম করবে এটা আমি কখনোই কল্পনা করিনি, এ ধরণের ঘটনা সাধারণত পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানেই দেখা যায়।