![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#####
যখনি আমরা তাদেরকেও ক্ষমা করে দিতে চাই ..
=============================
তুমি যে না-চেয়েও কিম্বা চেয়ে চেয়ে গণক্ষমাপ্রাপ্ত, এখানে অপরাধী তুমি তা’ নিজেই জানো, -তারপরও, ক্যানো হে, ওদেরকেও আমরা ক্ষমা করছি বুঝতে পারলেই, তুমি নোংরাভাবে উন্মাদের মতো ক্ষেপে ওঠো?
যে-কেউ যেকোনোভাবে মানুষে পরিণত হওয়ার ধকল সহ্য করতে পারলে, তার বিশাল সহ্যশীলতা গুণে সে সহজেই যে-কোনো ধরণের অপরাধীকে মুক্তমনে ক্ষমা করার যোগ্যতাও পেয়ে যায়। তবে কি আজও তুমি মানুষ হয়ে উঠতে পারোনি!..
আমরা ক্ষমা করেছি আর বার বার ছেড়ে দিয়েছি জন্যেই তো তুমি তোমার সাঙ্গপাঙ্গ সহ আজও টিকে আছো। তোমরা ভয়ে ভয়ে চোখ নামিয়ে ভদ্রভাবে চলাফেরা করবে, আর, আমরা অন্যদিকে তাকিয়ে তোমাদেরকে না-দেখার ভান করবো, কোনোভাবেই যেন তোমরা লজ্জা না-পাও; নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে রেখে ভাবনায় আচরণে সাধারণের সাক্ষ্য প্রমাণে মানুষ রূপে গণ্য হবে তোমরা; আচরণের হিংস্রতাকে দমিয়ে নিজেরাও তোমরা প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করতে পারবে, -এমনটাই ছিল সমাজের সভ্যদের কাম্য।
তাদের দোষের চেয়ে তোমাদের অপরাধ যদিও ভিন্ন ধরণের, গুণে মানে পরিমাণে তা’ সাধারণ বিবেচনায় কোনো অংশেই গুরুত্বে কম নয়।
ক্ষমা করতে গিয়ে পক্ষপাতিত্ব করলে পরে, -আমরা আগেও দেখেছি, -ক্ষমাপ্রাপ্ত তোমরাই আগামীতে ক্ষমাকারীর শত্রুপক্ষে চলে যবে। তোমাদের মধ্যে বোধনে-চেতনে-জ্ঞানে-অভিজ্ঞতায় যারা কিছুটা উন্নত, তারা কিন্তু ভালোভাবেই জানে যে, কোনো দলোগণের সাংঘাতিক দাবিগুলো মেনে নিতে ক্ষমাশীল জনসাধারণ কখনোই বাধ্য নয়। আর এখানে তুমি ওহে! কী সর্বনেশে চাওয়া তোমার! তুমি চাচ্ছো কেবল তোমাদেরকেই ক্ষমা করে যাবো আমরা! আর চাচ্ছো যে, ওরা যেন কখনোই ক্ষমা না-পায়!
তবে কি আমরা ভাববো যে, কোনো অপরাধীকে শাস্তি না-দিয়ে মুক্তি পেতে দিলে পরে, সে আর সহজে মানুষ হয়ে উঠতে পারে না!? না-কি আমাদেরকে তোমরা ভিন্ন কিছু ভাবাতে চাচ্ছো?--
না-কি আজও এখানে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়নি জন্যেই, -তোমরা নিজেদেরকে বন্য জন্তু কিম্বা গৃহপালিত জানোয়ারের মতো নিষ্পাপ ভেবে নিয়ে, তেমনিভাবেই টিকে থাকতে চাও?
অবশ্য, সকলেই জানে, আগুনে পুড়ে আত্মহত্যা করলেও কোনো পাখাগজানো পিপীলিকা কখনোই অপরাধী হিসেবে গণ্য হ’তে পারে না; মাটির মতোই সেটা নিষ্পাপ থেকে যায় চূড়ান্ত বিচারে।
গণকরণিক : আখতার২৩৯
রঙ্গপুর : ২১/০৬/২০১৩খ্রি:
****************************
তা’ হবে না, তা’ হবে না --
===================
কখন যে ক্ষেপে ওঠে জনগণ!
তখন তো লুটতরাজের সুযোগ পাবো না।
সুযোগ পেয়েছো জন্যে তোমরাই শুধু লুটেপুটে খাবে
আর আমরা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখবো আর আঙ্গুল চুষবো!
কোনোভাবেই তা’ মেনে নেওয়া যায় না।
জনগণ যেন জাগতে না-পারে, --একটাই তো আমাদের যৌথ কামনা।
যেখানে তোমাদের চে’ আমরা, কোনো অংশে কম না,--
পুরো কলাটাই খাচ্ছো তোমরা, আমাদের জন্যে ছালটাও ছাড়ো না,
দয়া নেই মায়া নেই, নেই বিবেচনা,
সাধু সন্ন্যাসীরাও যা’ মেনে নিতে পারে না, আমরা নীরবে মেনে নেবো!!--
--এমন অসম্ভব আশা কোনো আহাম্মক ছাড়া কেউ যেন না-করে।
তন্দ্রাচ্ছন্ন জনগণ আবারও সুযোগ দেবে, না-কি দেবে না,
কখন যে ক্ষেপে ওঠে জনগণ! --গণপিটুনিদাতারা দল-গোত্র চেনে না!!
যতক্ষণ জাগেনি তারা, যেখানে যা’ পাই লুটেপুটে খাই,
পালাবদলেও থাকা চাই বঞ্চিতের জন্যে ন্যূনতম ন্যায্য বিবেচনা,
এখনকার মতো লুটপাটের সুযোগ তো কেউ আর পাবো না পরে,--
আমরা যখন লুটেপুটে খাচ্ছিলাম, জামাই আদরে খেতে দাওনি,
--তখন তো তোমরাই শান্তিতে থাকতে দাওনি, নিশ্চয়ই ভুলে যাওনি,
সমগোত্রীয় আমরা, কেউ কারো চে’ কম নই, কম ছিলামও না,--
কেউ খাবে, কেউ খাবে না!!
তা’ হবে না, তা’ হবে না ---
করণিক : আখতার ২৩৯
©somewhere in net ltd.