নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনের অসুখ

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

আমাদের যখন কোন শরীরের রোগ ধরা পড়ে যেমন ডায়বেটিস, ব্লাড প্রেসার বা হ্রদরোগ, আমরা চিন্তিত হই, লজ্জিত হই না। চিকিৎসা শুরুর আগে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশি সবার কাছে অসুস্থতার খবর জানাই, দোয়া চাই। কিন্তু যখন মনে হয় নিজের বা কোন কাছের মানুষের মনের অসুখ হয়েছে তখন আমাদের প্রথম প্রতিক্রিয়া হয় অসুখের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করা, তারপর চেষ্টা করতে থাকি যেন কেউ না টের পায় এই মনের অসুখের কথা। অথচ মনের লুকিয়ে রাখা অসুখ বাড়তে থাকে, যেমন কালবোশেখির ঝড়ের সময় যেমন ছোট্ট একখন্ড মেঘ ঈশান কোন থেকে পুরো আকাশে ছড়িয়ে যায়, তারপর সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয় তেমনি লুকিয়ে রাখা মনের রোগ ধীরে ধীরে বেড়ে গিয়ে জীবনকে লণ্ডভণ্ড দেয়, কখনো জীবনটাই শেষ হয়ে যায়। তাই মনের রোগ হলে আমাদের তা মেনে নিতে হবে, শরীরের রোগ হলে যেমন চিকিৎসা করাই তেমনি চিকিৎসা করাতে হবে।

মনের অসুখ এর মধ্যে সবচাইতে বেশি দেখা যায় ডিপ্রেশন - যাকে বাংলায় বলা হয় বিষন্নতা। অথচ বিষণ্ণতা না বলে একে মনের শুন্যতা বলাটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ ডিপ্রেশন হলে মনে আনন্দ, ভাললাগা, প্রেরণা, অহংকার, ক্রোধ এধরনের অনুভূতি থাকে না বলেই যে বিষন্নতা এদের জায়গা দখল করে, তা ঠিক নয়। বরং ডিপ্রেশন হলে মন হয় অনুভূতি শুন্য, বিনা চিকিৎসায় শুন্যতার অনুভুতি বাড়তে থাকে। তখন তা থেকে বেরোনো খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তাই বলা হয় যে একজন ডিপ্রেশন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন বুঝতে পারে যে সে ডিপ্রেশনে ভুগছে তখন সে রোগমুক্তির দিকে অনেকখানি এগিয়ে যায়। আবার যখন আমরা অন্য কাউকে ডিপ্রেসড হতে দেখি তখন মনে হয় সে ইচ্ছা করে ডিপ্রেশন পুষছে।

২৯ তারিখে সামুতে একজন তার কষ্ট এবং আত্মহত্যার প্রবনতা নিয়ে লিখেছিলেন। তার কথা ভেবে আমি ডিপ্রেশন নিয়ে দীর্ঘ ব্লগ লিখি, জীবনের প্রথম ব্লগ। আগে লগ ইন করেছিলাম, তাই লেখা শেষ করে বামপাশের টিকমারক দেয়া শেষ করে লেখা পোস্ট করতেই লেখা উধাও হয়ে গেল। আবার লগ ইন করে অটো ড্রাফট করে লেখা শেষ করে পোস্ট করতে গেলাম- বলল লগ ইন করা নেই। সামুর প্রথম পাতায় গিয়ে লগ ইন করে আর আমার লেখা খুঁজে পেলাম না। কিভাবে ব্লগ লিখব? সাহায্য করুন প্লিজ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫১

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

শুভকামনা রইল, শুভব্লগিং।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনার শুভ কামনা সাথে নিয়ে ব্লগে এতদূর এলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ, বিজন রয়।

যখন মন্তব্য করেছিলেন তখন প্রতি মন্তব্য করতে জানতাম না। যখন জানলাম, তখন ভাবলাম প্রথম মন্তব্যটা এভাবেই থাক, আমার না জানার স্মৃতি হিসেবে।

আপনার জন্যও শুভকামনা, বিজন রয়।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে অনুসরণে নিলাম। লিখুন আপনি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৬

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব। আমি অনুপ্রাণিত হলাম।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমার কাছে যে বিষয়টি অনেক কষ্টের সেই একই বিষয়টি অন্যর কাছে হয়তো হাস্যকর।
তাই মনের কষ্ট বা মানসিক সব কষ্টের কথা অন্যকে বলা যায় না।
বিষন্নতা বর্তমানে কার ভেতরে নেই।সবাই কম বেশি মানসিক রোগে আক্রান্ত।অথচ কাছের মানুষের সাথে এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সে হয়তো মোটেও গুরুত্ব দেয় না।তাই মনের রোগ সবাই চেপে রাখতেই চায়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২১

করুণাধারা বলেছেন: মোস্তফা সোহেল, জানি না আপনার ভেতর এই উপলব্ধি কি করে এল কিন্তু আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। আসলে মনের কষ্টের কথা কাউকে জানালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপহাসের স্বীকার হতে হয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো দরকার, সেটা আমরা বুঝি না।
ভাল থাকুন।

৪| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্টটা দেখে গেলাম B-))

০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

করুণাধারা বলেছেন: থ্যাংকু! থ্যাংকু! এত কষ্ট করে আসার জন্য অসংখ্য থ্যাংকু!

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনুসরণ করতে গিয়ে এখনে এলাম । প্রথম পোষ্টেইতো দেখা যায় নীজের স্বকীয়তা প্রকাশ করে ফেলেছেন :) । ভাল একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন । মানুষের মন আছে, সুতরাং মনের অসুখ থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। সাইকোসিসের মতো একেবারে সহজ কিছু বিষয় ছাড়া অন্য কিছুকে মনের অসুখ ভাবতে আমরা নারাজ। অথচ মানুষের মনে যেকোনো ধরনের অস্বস্তি, ভয়, টেনশন, উদ্বিগ্নতা, অস্থিরতা, খারাপ লাগা বা কষ্ট লাগার বিষয়গুলোই নিউরোসিসের অন্তর্গত মনের অসুখ । আমরা জানি টেনশন, অ্যাংকজাইটি, ভয় কিংবা অস্থিরতা এসব মানুষের মনেই হয়ে থাকে। তবু কেন যেন এসবকে মনের অসুখ ভাবতে অভ্যস্ত নই আমরা । মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা পেশাগত জীবনে বিভিন্ন চাপের ভেতর দিয়ে সময় পার করতে হয়। সেসব চাপের কারণ কখনো জানা, কখনো অজানাও থাকতে পারে। জানা বা অজানা এসব চাপই মূলত নিউরোসিসের কারণ। এসব চাপের উৎস মানসিক, সামাজিক, শারীরিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিকসহ যে কোন মানসিক ধরনের হতে পারে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই , তবে মানসিক চাপ মুক্ত থাকার কলাকৌশল জানাটাও জরুরী ।

আপনার সমসাময়িক কালেই আমিউ সামুতে প্রথম নাম লেখাই । আপনার মত আমারো একই সমস্যা হয়েছিল । মন্তব্যের উত্তরে নতুন মন্তব্য লিখে দিতাম । পাঠক আমার প্রতি উত্তরের নাগাল পেতোনা । পরে শিখে নেই কি করে কোন চিহ্নে
চাপ দিয়ে উত্তর লিখতে হয় ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকল ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে এত দেরি হবার জন্য দুঃখিত, ডঃ এম এ আলী। আপনার এই মন্তব্য আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

মানসিক রোগ একটা বাস্তব বিষয়, কিন্তু শারীরিক রোগের মত এটা নিয়ে আলোচনা হয় না। খুব ভালো কথা বলেছেন মানসিক চাপ মুক্ত থাকার কলাকৌশল জানাটাও জরুরী ।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
শুভকামনা রইল । :)
প্রথম পোস্ট দেখতে এসে চমৎকার কিছু পেলাম। ++

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ, উত্তর দিতে দেরী করে ফেললাম দেখে দুঃখিত। আমার কাছে কোনো নোটিফিকেশন আসেনি। পুরনো পোস্ট এসে আপনার মন্তব্য দেখলাম।

এত পুরোনো পোস্টে আসার এবং লাইক করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সূচনাটা খুব সুন্দর লিখেছেন।
ডিপ্রেশনকে মনের বিষণ্ণতা না বলে মনের শূন্যতা বলাই ভাল - সঠিক, সহমত।
আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ পোস্ট থেকে বঞ্চিত হ'লাম বলে দুঃখিত বোধ করছি।
আমার ধারণা ছিল, আমি আপনার সব লেখাই পড়েছি এবং তাতে মন্তব্য করেছি। এ লেখাটা যেন কিভাবে আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।
ছোট্ট হলেও, সুলিখিত এ পোস্টে প্লাস + +।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ধারনা শতকরা ১০০ ভাগ সঠিক! আমার প্রতিটি পোস্টেই মন্তব্য করেছেন একমাত্র আপনি, এবং আপনার এই রেকর্ড আর কেউ ভাঙতে পারবেন না বলে আমি মনে করি।

যখন ব্লগে নতুন এসেছিলাম, পোস্ট দিয়ে পাঠক ও মন্তব্যকারী কাউকে পেতাম না। তখনো আপনিই ছিলেন আমার পোস্টে মন্তব্য করে অনুপ্রেরণাদানকারী। আপনার থেকেই শিখেছি, নতুন ব্লগারদের উৎসাহ দেয়া। সেজন্য কৃতজ্ঞতা আর অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

 এই পোস্টেও আসলে আপনি মন্তব্য করেছেন, কিন্তু পোস্ট নিয়ে আমিই গোলমালটা বাঁধিয়েছি...  প্রথম পোস্ট দিয়ে দেখি পাঠ সংখ্যা মাত্র ৩, তার মধ্যে হয়তো দুবারই আমার নিজের পাঠ!! মনখারাপ করে পরদিন আবার পোস্ট দেই, একই শিরোনামে। নতুন করে লিখলেও মোটামুটি একই লেখা। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় সেটাতে বোধহয় দু একটা মন্তব্য পেয়েছিলাম, তবে বেশ কিছুদিন পর কয়েকজন মন্তব্য করেছিলেন; আপনি করেছেন পরপর দুবার! আরেকবার ধন্যবাদ সেজন্য!

এইযে সেই পোস্টের লিঙ্ক। view this link

 

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রথম পোষ্টেই মনের অসুখ বাঁধিয়ে ফেলেছেন দেখছি!

০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম পোষ্টেই মনের অসুখ বাঁধিয়ে ফেলেছেন দেখছি! সেটা ঠিক নয়। আমি প্রথম পোস্ট থেকেই মনের অসুখ সারানোর চেষ্টা করছি... আমাদের চারপাশে মনের অসুখ বয়ে বেড়ানো অনেক মানুষ আছেন।

উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত ফয়সাল রকি।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.