নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর কাহিনী

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭


একজন পীরের মুরিদ আর একজন সাধারন মানুষের কথোপকথন :
"ভাই, আপনি এই পীরের মুরীদ হলেন কেন? আপনি তো নামাজ পড়েন না, আল্লাকেও ডাকেন না!"
"আমার এসব করার দরকার নেই। আমার জানের জান হুজুর আমার জন্য সব কিছু করছেন।হুজুর আমাকে সব কিছু শেখান।"
"ভাই, কোরান শরীফে তো বলা আছে মানুষের জন্য আল্লাহের পছন্দনুযায়ী জীবনব্যবস্থা কেমন হবে, সেটা পড়লেই তো আপনি সব শিখতে পারেন, আপনি তো একজন শিক্ষিত মানুষ!"

"কোরআন তো একখানা কিতাব মাত্র, দুনিয়াতে এমন হাজার হাজার কিতাব আছে। তাছাড়া এই একখানা কোরআন কোটি কোটি মানুষ যদি পড়ে তাহলে আল্লাহ কার দিকে নজর দিবেন, সেটা ভেবেছেন? আমার কোরআন পড়া লাগে না, পীরহুজুর আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম আমার জন্য।"
"ভাই, এত ভক্তি করে কপালে বিরিয়ানী ছোঁয়ালেন, কি আছে এই বিরিয়ানীতে ?"
"এই বিরিয়ানী কোন সাধারণ বিরিয়ানী না, হুজুরের গোছল করা পানি দিয়ে এই বিরিয়ানী বানানো হয়েছে। এই বিরিয়ানী খেলে আমাদের শরীর সব আপদ বিপদ, অসুখবিসুখ থেকে মুক্ত থাকে।"

আমার পরিচিত এক ব্যক্তি ঢাকায় ছোটখাটো ব্যবসা করতেন ধীরেধীরে ব্যবসা বেড়েছে, গাড়ী বাড়ী হয়েছে। তারপর একসময় দেখা গেল তিনি উপচে পড়া অর্থ উপার্জন করছেন, বিদেশে একাধিক বাড়ী কিনেছেন কিন্তু ঢাকা ছেড়ে তিনি থাকছেন ঢাকার কাছেই এক শহরে।ভাবলাম হয়ত তিনি কোন কলকারখানা দিয়েছেন। কিন্তু না, তিনি কারখানা নয়, খানকা শরীফ স্থাপন করেছেন। তিনি এখন পীর হয়েছেন। উনি নামাজ পড়েন না তাতে কোন অসুবিধা নেই, আল্লাহ স্বয়ং তাকে পীর নির্বাচিত করেছেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: এই বিরিয়ানী কোন সাধারণ বিরিয়ানী না, হুজুরের গোছল করা পানি দিয়ে এই বিরিয়ানী বানানো হয়েছে। - ওয়াক! ওয়াক! X(( X(( X((

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আপনার পেনবী মুহাম্মদ (স) এর জামানা, সাহাবী, তাবেইন, তাবে-তাবেইনদের যুগে পীর প্রথা ছিল না। নতুন উদ্ভাবিত পীর প্রথা ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। যতই হক্কানী পীর নাম ধারন করুক না কেন। এটা রাজতন্ত্রের মিনি ভার্সন বলে মনে হয় আমার কাছে। বংশগত ভাবে পীরের আসনে আসীন হওয়াটা স্পষ্টতই ব্যবসায়ীক ফিকিরের নাম। যদি মানুষের পরহেজগারী, দ্বীনদারী ও আল্লাহ ভীতির কারনে মানুষ তার কাছে ইলম শিক্ষার জন্য আসে তবে তার উপাধি তো শিক্ষকই যথেষ্ট নয় কি? একজন ব্যক্তি জ্ঞান ও দ্বীনদারীর কারনে অর্জিত সম্মান তার সন্তান সন্ততি (উত্তারাধীকারীগন) কতটা অক্ষুন্ন রাখতে পারে তা কিন্তু প্রশ্ন সাপেক্ষ। তাহলে পীরের ছেলে পীর হওয়ার প্রথা কোনক্রমেই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য। এতক্ষন যেটা বললাম তা হল স্বদাবীকৃত হক্কানী পীর ব্যবসার কথা। আর ভন্ড পীরবাবাদের কথা নাই বা বললাম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

করুণাধারা বলেছেন: আমার অবাক লাগে, শিক্ষিত মানুষ কিভাবে পীরভক্ত হয় এটা ভেবে। আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অালোকপাত করেছেন।
সমাজে যত শিরক সংঘঠিত হয়, বলা যায় তার সবটাই এই পীরতন্ত্রকে কেন্দ্র করে।
অামি যেখানে বসবাস করি সেখানেই কয়েকটা নামধারী পীর অাছে-যারা বংশানুক্রমে পীর।
এদের কোন নামাজ নাই, রোজা নাই এবং এদের মুরিদরা নামাজের অাশপাশ দিয়েও চলেন না।
এরা এমন স্টাইলে কথা বলে এবং চলফেরা করে-তাতে মনে হয় বেহেস্ত/দোযখের টিকিট তাদের পীরবাবার হাতে( নাউযুবিল্লাহ)।অামি এক পীরভক্তের কথা শুনে অাতকে উঠেছিলাম।
তিনি বলেছিলেন, যারা গুনাহ/পাপ করে তারাই নামাজ পড়ে। এরা গুনাহ করে অার মসজিদে যেয়ে পাপের জন্য মাফ চায়। অামরা পাপ/গুনাহ করিনা তাই নামাজের দরকার নাই( নাউযুবিল্লাহ)।
সমাজের মানুষ যখন কোরঅান-হাদিস বাদ দিয়ে এই সমস্ত তথাকথিত ধর্মব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দিয়ে জাহান্নামের পথকে অনুসরণ করে তখন অামার খুব কষ্ট হয়, অাবার মাঝে মাঝে এতটা রাগ হয়-তখন মনে হয়, ক্ষমতা থাকলে এসমস্ত ভন্ড পীরদের অাস্তনা গুড়িয়ে দিতাম।


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । লক্ষ করেছেন হয়ত, আমি নিজের মতামত এখানে দেই নি কিন্তু সম্প্রতি দেশের একজন বিখ্যাত পীরের নাতির বিয়েতে গিয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে যে অতি ধূর্ত, সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরাই কেবল পীর হতে পারে। এদের সাথে ইসলামের কোন যোগ নেই, বরং এদের অনেকেই নাকি কালো যাদুতে পারদর্শী । আমি বুঝতে পারিনা কিভাবে শিক্ষিত, বিচক্ষণ মানুষেরা পীরের ভক্ত হয়। আল্লাহ এদের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করু

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পীর ব্যবসা একধরণের ভণ্ডামি। ইসলামে পীরদের কোন স্থান আছে বলে আমার মনে পড়ে না। মানুষের সরলতার প্রতারণা করে নিজেরা ভোগ বিলাস শুরু করেছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

করুণাধারা বলেছেন: সবাই এদের ব্যাপারে সতর্ক হোক এটাই কাম্য।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অতি ধূর্ত, সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরাই কেবল পীর হতে পারে। এদের সাথে ইসলামের কোন যোগ নেই, বরং এদের অনেকেই নাকি কালো যাদুতে পারদর্শী । আমি বুঝতে পারিনা কিভাবে শিক্ষিত, বিচক্ষণ মানুষেরা পীরের ভক্ত হয়। আল্লাহ এদের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করুন! -- ৩ নং প্রতিমন্তব্যে আপনার এ কথাগুলো আমারও মনের কথা। ধন্যবাদ।
মন্তব্যগুলো থেকে বোঝাই যায় যে পীরদের ভন্ডামি সম্বন্ধে আমরা সবাই কমবেশী অবগত আছি, কিন্তু সবাই এর বিরুদ্ধে কথা বলিনা বলে এসবের প্রসার বাড়ছে দিন দিন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

করুণাধারা বলেছেন:

ধন্যবাদ, আপনি ঠিকই বলেছেন, পীরদের ভণ্ডামি সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত আছি। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা কারণ তারা আমাদের চাইতে অনেক বেশি শক্তিধর।

আল্লাহকে ডাকতে কেন পীরের মাধ্যমে ডাকতে হবে যেখানে আল্লাহ বলছেন 'আমি তোমাদের গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও নিকটতর'(৫০:১৬). আমাদের সকল প্রার্থনা যে মুহূর্তের ভগ্নাংশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শ্রবণকারী আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়- এই সত্যিটা পীরেরা সাধারন মানুষের কাছ থেকে গোপন করে থাকেন।

আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে হেদায়েত করেন যাতে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহই আমাদের একমাত্র আশ্রয়।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: অগ্নি সারথি বলেছেন: এই বিরিয়ানী কোন সাধারণ বিরিয়ানী না, হুজুরের গোছল করা পানি দিয়ে এই বিরিয়ানী বানানো হয়েছে। - ওয়াক! ওয়াক! X(( X(( X(
হালার পুত ভন্ড পীররে সব মুরীদরে গোসল করাইয়া সেই পানি দিয়া বিরিয়ানি খাওয়ানো দরকার। ইসলামে পীর নাই ইহা ভুল কথা। পীর হইলো আধ্যাত্বিক চিকিৎসক। বাংলাদেশে যার মেহনতে ইসলাম প্রবেশ করেছে সেই শাহজালাল রঃ হক্কানী পীর ছিলেন , তার লক্ষ লক্ষ মুরিদ ছিল। বর্তমানেও হাক্কানি পীর আছেন। তাহাদের চেনার উপায় হইলো শুধু পোশাকে ও চেহারায় নয় , বরং ২৪ ঘন্টার জীবনে সুন্নতের উপর পুরোপুরি আছেন কিনা , বেদাতি কোনো কাজ করে কিনা , দুনিয়াবী কিছু চায় কিনা , শরীয়তে নাই এমন কোনো কথা বলে কিনা।
ভন্ড পীরদের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার বড় কারণ হলো সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা না পাওয়া। একারণেই যে হালার পো নিজে জাহান্নামের যাত্রী সে জান্নাতের টিকিট বেইচা বেড়ায়, সারা বছর আকাম কুকাম কইরা হারাম খাইয়া শর্ট কাটে জান্নাতে যাইতে যাহারা উদগ্রীব থাকেন উহারাই এহেন বিরিয়ানি খাইয়া পেট ভর্তি করেন ! ওয়াক থু !

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

করুণাধারা বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন, ভন্ড পীরের ভিড়ে আসল পীর পাওয়া মুশকিল। কারণ প্রথমেই মানুষ বিশ্বাস স্থাপন করে নেয় পীরের উপর- পীর সকল জ্ঞানের আধার, আল্লাহর সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম ইত্যাদি বলে। পীর নিজে শরিয়ত মেনে চলেন কিনা, বেদাত করছেন কিনা সেটা কেউ ভেবে দেখে না। ওই যা বলেছেন, পীরকে জান্নাতের টিকেট বিক্রেতা ভেবে নিয়ে অনেকেই অবৈধ অর্থ পীরকে দান করেন, বিনিময়ে পীর তাদের জান্নাত পাইয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।

ভাল থাকুন। শুভকামনা।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা কারণ তারা আমাদের চাইতে অনেক বেশি শক্তিধর (৫ নং প্রতিমন্তব্য) -- সেই সাথে আমাদের ঈমানেরও কিছু দুর্বলতা আছে।
পবিত্র ক্বুরআন মাজিদ এর সুরা ক্বাফ থেকে প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতিটুকুর জন্য ধন্যবাদ। আর তার পরের কথাগুলোও সঠিক এবং তা সুন্দর করে বলেছেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

করুণাধারা বলেছেন:

ধন্যবাদ, আবারো আলোচনায় ফিরে আসার জন্য।
আমার মনে হয় আমাদের একজন পীরকে অনুসরণ করাই যথেষ্ট - তিনি মুহাম্মদ (স)। আমরা যদি সততায়, সহিষ্ণুতায়, বিনয়ে, আল্লাহ ভীরুতায় তার মতন হতে পারতাম তবে আমাদের সমাজটা কত সুন্দর হত! আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৮| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বিরিয়ানি :-P :-P :-P

০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

করুণাধারা বলেছেন: ওয়াক ওয়াক!!

কাহিনী কিন্তু সত্যি! সত্যি মানুষ এভাবে বিশ্বাস করে এই যুগেও।

পুরনো পোস্ট খুঁজে খুঁজে আশায় অসংখ্য ধন্যবাদ, আর্কিওপটেরিক্স।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.