নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দিন

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১



আমার দিনের শুরুটা হয় যুদ্ধ দিয়ে। শরীরের প্রতি কোষে যন্ত্রণা, চোখ মেলতে কষ্ট, হাত পা নাড়াতেও কষ্ট। তবুও, সমস্ত ইচ্ছাশক্তি একসাথে করে একসময় আমি বিছানায় উঠে বসি। এরপর পা মেঝেতে রাখতে হবে, বাথরুমে যেতে হবে, নাস্তা করতে হবে, তারপর ক্লাসে যেতে হবে, এর প্রতিটা কাজই আমার কাছে মনে হয় একের পর এক যুদ্ধ করার মত। ভাবতেই আমার প্রচন্ড ক্লান্তি আসে। ওহ, যদি আজই জীবনের শেয দিন হত! শুয়ে থেকে একটা পছন্দের কবিতা মনে করি:
In every terror I at morn awake
Upon the verge of bitter weeping
To see the day of disappointment break
To no one hope of mine -not one - it's promise keeping:-
--------------
Then, too, when night descends, how anxiously
Upon the couch of sleep I lay me
There also comes no rest to me,
But some wild dream is sent to fray me
--------------------
So by the burden of my days oppressed
Death is desired, life a thing unblest.
মনে হয় কবিতাটা যেন আমাকে মনে করেই লেখা!

কয়েকমাস আগেও সবকিছু অন্যরকম ছিল। আমি ছিলাম হাসিখুশি, প্রাণবন্ত, উচ্ছল। কবে থেকে যে এই অসীম ক্লান্তি আমাকে দিনরাত ঘিরে রাখতে লাগল তা আর মনে করতে পারিনা। অবশ্য আমি আজকাল অনেক কিছুই মনে রাখতে পারিনা। ক্লাসে স্যারের কথা শুনে মনে হয় অপরিচিত ভাষা শুনছি, তারপর কোন পড়াই আর মনে করতে পারিনা। আমি দেশের এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, আগে খুব ভাল ছাত্রী ছিলাম কিন্তু এখন টেনেটুনে পাশ করি। আগে খুব খেতে পছন্দ করতাম কিন্তু এখন কোন খাবারেই স্বাদ পাই না। ফলে খেতে ভাল লাগেনা, ক্রমেই ওজন কমছে। সবসময় খুব ঘুম পায়। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে আর ভাল লাগে না। ভাল লাগে না, কোন কিছুই ভাল লাগে না।

আমাদের বাড়ীতে খুব পড়ার চল আছে। বাবা, মা, ভাই আমি -আমরা সবাই খুব বই পড়ি, মানে আমার এই ভাল লাগেনার দিন শুরুর আগে আমি পড়তাম আরকি। সেই পড়ার অভ্যাস এখনো কিছুটা আছে তাই একদিন ট্যাব হাতে নিয়ে ইংরাজিতে "কিছু ভাল লাগে না " লিখে গুগলে সার্চ দিলাম। আমাকে অবাক কোরে দিয়ে একটা পেইজ এল - symptoms of depression. জানলাম আমার এই লক্ষণগুলো বলে দিচ্ছে আমার ডিপ্রেশন হয়েছে। কিন্তু কেন হল? গুগল বলছে, পারিপার্শ্বিকতার পরিবর্তন, আকস্মিক শারীরিক বা মানসিক আঘাত অথবা জেনেটিক কারণে ডিপ্রেশন হয়। আমার বেলায় প্রথম তিনটি কারণ ঘটেনি - তারমানে ডিপ্রেশনের উত্তরাধিকার আমার রক্তে খেলে বেড়াচেছ, আমার ডিপ্রেশন জেনেটিক কারণে হয়েছে। এই ধরণের ডিপ্রেশনকে বলে ক্লিনিকাল ডিপ্রেশন বা তীব্র ডিপ্রেশন । গুগল বলছে, ডিপ্রেশন হাল্কা বা তীব্র দুরকমই হতে পারে। হাল্কা ডিপ্রেশন কখনো শুধুমাত্র সাইকোথেরাপি দিয়েই সারিয়ে তোলা যায় কিন্ত তীব্র (severe/clinical) ডিপ্রেশন সারাতে প্রয়োজন ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা, কখনো সাথে সাথে সাইকোথেরাপিও দরকার হয়। কারণ ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ব্রেনের প্রয়োজনীয় কিছু কেমিকেলের পরিবর্তন হয়ে যায়, তাকে স্বাভাবিক মাত্রায় আনতে ঔষধ খেতেই হবে। আমার কাছের মানুষেরা মাঝে মাঝে আমাকে বলে এই ডিপ্রেশন নাকি আমার দুঃখবিলাস, আমি নাকি সত্যিকার দুঃখী মানুষ যেমন তীব্র শীত বা বরষায় ফুটপাতে থাকা মানুষ বা কোন অংগহীন মানুষের দুঃখের কথা ভাবলেই বুঝতে পারব আমি কতটা সৌভাগ্যবান - আর তখনি আমি ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পারব! এদের আমি কিছুতেই বোঝাতে পারি না যে এটা একটা রোগ - নিজে নিজে এর থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব না। আমার যদি একটা টিউমার হত তাহলে যাদের আরো বড় টিউমার আছে তাদের কথা ভাবলেই কি আমার টিউমার সারিয়ে ফেলতে পারতাম!

আসলে আমার অবস্থা কোনভাবেই আমি কাউকে বুঝিয়ে উঠতে পারবনা। আমার বুকজুড়ে আছে অসীম শুন্যতা আর শরীরে প্রচন্ড ক্লান্তি। আমার মনে আশা, ভালবাসা, সুখ-দুখ, উদ্বেগ কিছুই নেই। আমি প্রতিদিন সকালে ভাবি আজকের দিনটা পার হবে তো? সব মানুষ স্বাভাবিক ভাবে দিন কাটায় অথচ আমাকে তাদের মত দেখাবার জন্য প্রচন্ড চেষ্টা করতে হয়। বন্ধুদের সাথে যখন হাসিমুখে আড্ডা দেই কেউ জানতে পারেনা আমার বুকে আছে কি অপরিসীম যন্ত্রণা ! প্রাণপণ চেষ্টা করি স্বাভাবিক থাকতে তবুও মাঝে মাঝে অন্যদের কথায় আমার তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়, সেটা কেউ বুঝতে পারেনা। একজন সারা শরীর এসিড দগ্ধ মানুষের গায়ে সামান্য খোঁচা লাগলেই যেমন খুব কষ্ট শুরু হয় কথার খোঁচায় আমার তার থেকে বেশী কষ্ট হয়। একটা উদাহরণ দেই, মায়ের যে সব কথা আমি সারাজীবন শুনে আসছি, কোন ভাবান্তর হয়নি এখন সেসব কথা শোনার চাইতে মরে যাওয়াও ভাল মনে হয়। যেমন হয়ত বললেন "খেতে পার না যখন এত খাবার নাও কেন" অথবা, "যেমন পড়াশোনা করেছ তেমনি রেজাল্ট হয়েছে" এসব শুনলে মনে হয় আমি যেন এক বোবা,অন্ধ প্রাণী যাকে খাঁচায় বন্দী করে খাঁচায় আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। মনের যন্ত্রণায় আমি অস্থির হয়ে মুক্তির পথ খুঁজি, মনে হয় জীবন শেষ করে দিলেই বুঝি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব। যেন আর যন্ত্রণা না পেতে হয় তাই কারো কথায় কষ্ট পেলেই আমি তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই। আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবি, আজকাল আমার শরীরের যন্ত্রণাবোধ একেবারে কমে গেছে!

খুব ইচ্ছে করে কাউকে আমার অবস্থা বুঝিয়ে বলি কিন্তু ভয় হয় সে হয়ত না বুঝে এমন কিছু বলে বসবে যাতে আরো বেশি কষ্ট পাব। তার চাইতে দেখি কতদিন এভাবে থাকা যায়!

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভাল লাগল। ভাল লিখেন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৩

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার কথায় অনুপ্রেরণা পেলাম। আশা করি আমার মত আপনিও মানুষের ডিপ্রেশন এর কষ্ট বুঝতে পারবেন আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করতে হলে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট/সাইকোলজিস্টের কাছে যান। তিনি আপনার অবস্থা বুঝে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট কিংবা সাইকোথেরাপি কিংবা কোগনিটিভ বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপি কিংবা র‍্যাশোনাল ইমোটিভ বিহ্যাভেরিয়াল থেরাপি কিংবা মাইন্ডফুলনেস বেসড কোগনিটিভ থেরাপি কিংবা ট্রান্সক্র্যানিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন থেরাপি কিংবা ব্রেইন লাইট থেরাপি দেবেন।

একটি পোস্টে আপনি লিখেছেন -

"সাইক্রিয়াটিস্টরাও বলেন ডিপ্রেশন কাটাতে faithএর আশ্রয় নিতে, যা তুমি করছ"

- একজন ডাক্তার হিসেবে জানাচ্ছি, ডাক্তার না হলে ভুল পরামর্শ মানুষকে দেবেন না। বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তারদের পৃথিবী গোনায় ধরে না। তাদের কেউ কেউ এমন পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডাক্তার নন। তারা যেই বইগুলো পড়ে ভাসা ভাসা মুখস্ত করে এমবিবিএস পাস করেন, সেই বইগুলোর অনেক কথাই তারা মানেন না। ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন:
Thanks.

এটা একটা গল্প। নায়িকা আমি নই।

ডিপ্রেশন আক্রান্তরা কোন কাজই করতে পারে না, এভাবে গুছিয়ে গল্প লেখা বহু দূরের কথা।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কাছের মানুষেরা মাঝে মাঝে আমাকে বলে এই ডিপ্রেশন নাকি আমার দুঃখবিলাস -- ডিপ্রেশন আক্রান্ত রোগীদেরকে প্রায়ই এমন মর্মান্তিক অপবাদ সহ্য করে যেতে হয়।
আমি প্রতিদিন সকালে ভাবি আজকের দিনটা পার হবে তো? -- কি ভয়াবহ অবস্থা!!
তার চাইতে দেখি কতদিন এভাবে থাকা যায়! -- করুণ এবং বেদনাদায়ক অভিব্যক্তি!
ডিপ্রেশন আক্রান্ত কোন একজনকে নিয়ে লেখা আপনার এই পোস্টটি গভীর মমতা দিয়ে লেখা। আশাকরি এটা পড়ে পাঠকগণ কিছুটা হলেও ডিপ্রেশন আক্রান্তদের মর্মপীড়া অনুধাবন করতে পারবেন।
আশা করি আমার মত আপনিও মানুষের ডিপ্রেশন এর কষ্ট বুঝতে পারবেন আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন -- ১ নং প্রতিমন্তব্যে আপনার এ কথা থেকে অন্ততঃ আমি উদ্বুদ্ধ হ'লাম। চেষ্টা করবো।
Faust, by Johann Wolfgang von Goethe থেকে উদ্ধৃত ইংরেজী কবিতার চরণগুলো খুব চমৎকার এবং মূল পোস্টের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ হয়েছে।
পোস্টে ভাল লাগা + +

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

করুণাধারা বলেছেন:
সুচিন্তিত সুলিখিত দীর্ঘ মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণা। পোস্টটা লিখেছিলাম গভীর দুঃখবোধ থেকে। একটি উচ্ছল প্রাণবন্ত মেয়েকে ডিপ্রেশন আক্রান্ত হতে দেখে। ইদানীং এটা খুব বেড়ে গেছে, আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা একে মনখারাপ বলে ন্যুনতম গুরুত্বও দেই না। আমার মনে হয় এই যে তিন বছর বয়স হতেই বাচ্চার পিঠে বইএর বোঝা চাপিয়ে তাকে ইঁদুর দৌড় দিতে নামাই, তাতে তার যে স্বপ্নহীন আনন্দহীন জীবন গড়ে ওঠে তারই ফলশ্রুতিতে সে হয়ত ডিপ্রেশন আক্রান্ত হয়। জীবনের এই অপচয় আমাকে খুব হতাশ করে।

আপনিও ডিপ্রেশনে ভোগা অসহায় মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন, একথা শুনে আমি কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত।

কটা লাইন পড়েই ধরে ফেললেন এটা ফাউস্ট! খুবই অবাক হয়েছি।

আপনার ভাললাগা আমার মস্ত অনুপ্রেরণা। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের এই অপচয় আমাকে খুব হতাশ করে -- আমাকেও। :(

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

করুণাধারা বলেছেন:
এই ব্লগ থেকে আপনাকে যতটুকু চিনেছি তাতে আপনাকে একজন মানবিকগুন সম্পন্ন মানুষ বলে মনে হয়। আল্লাহ আপনাকে যে জ্ঞান, অর্থ আর মমতা (রহমত) দিয়েছেন আপনি তা যাদের নেই তাদের দান করেন- এমনটাই আমার মনে হয়।

ভাল থাকুন সতত।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষজন কথায় কথায় ডিপ্রেশন শব্দটা ব্যবহার করে। ডিপ্রেশন যে কী ভয়াবহ এক অসুখ তা যদি কেউ জানতো! দুঃখবিলাসীদের কারণে সত্যিকারের আক্রান্তরা মনোযোগ পাচ্ছে না।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

করুণাধারা বলেছেন: মন খারাপ আর ডিপ্রেশন যে এক জিনিষ না এটা আমরা অনেকেই বুঝি না। ফলে একজন ডিপ্রেশন আক্রান্তর দিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে পারি না, তাকে সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারি না!

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ডিপ্রেশন

কারো না হোক এটাই কাম্য ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

করুণাধারা বলেছেন: ডিপ্রেশন

কারো না হোক এটাই কাম্য ।


এটা আমারও কাম্য রানার ব্লগ। ভাল থাকুক সবাই।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬

কবি ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন: আমি পেশাতে একজন চিকিৎসক, আশঙ্কাজনক হলেও সত্য যে যে সকল রোগি পাই তার দশ শতাংশই বিষন্নতা বা ডিপ্রেশান এর রোগি ।আমার পোস্টে আমি খুব সংক্ষেপে লিখেছি
সাইকোথেরাপি আর মেডিসিন এ ডিপ্রেশান বেশ ইমপ্রুভ করে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনি চিকিৎসক, জানতে পেরে ভালো লাগলো। আশা করি মাঝে মাঝে মনের রোগ নিয়ে লিখবেন, অথবা কোন কেস হিস্ট্রি আর রোগীকে কিভাবে সুস্থ করলেন সেটা নিয়েও লিখবেন। আমার ধারণা সব জায়গার মত ব্লগেও অনেকে বিষণ্ণতায় ভুগছেন, হয়তো আপনার পোস্ট পেয়ে তারা উপকৃত হবেন। আমি কোন চিকিৎসক নই, তাই এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান খুব কম।

আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করায় অজস্র ধন্যবাদ, কবি ইমতিয়াজ হোসেন।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

মহসিন ৩১ বলেছেন: ডিপ্রেশন খুব ভাল ভাবে মানেজ না করতে পারলে এর থেকে সহজে মুক্তি হয় না। আমার নিজেরও এই সমস্যা ছিল। তবে আমার ক্ষেত্রে ডিপ্রেশানটা ছিল ভয় মেশান। আপনি মিলিয়ে দেখতে পারেন। আমি খুব লোড চাপায়ে দিতাম--- কাজের লোড; আর আমার ব্রেন ওয়ার্ক বাড়ায়ে দিলে তখন এই ডিপ্রেশান সাময়িক বাধাগ্রস্ত থাকতো-- বিধায় ভয় থেকেও সাময়িক রেহাই পেতাম। কিন্তু এটা থেকে পুরপুরি মুক্তি পেতাম না। আমি খুব একটা ওউষধ খেতাম না ; কারন আমার ধারনা ছিল আমার ডিপ্রেশান ভয়ের কারনে। এজন্য আমি সুধুই বাস্ত থাকতে বা বাস্ততার ভান করতাম। আর এতে করে আমার সময় গুলো কিছু সত্যিকারের কাজে লেগেছে। আমি আমার লেখালেখিকে সুন্দর ভাবে সাজাতে শিখে গেছি। নিজের ইচ্ছাগুলকে আমি এখন অক্ষরের মাত্রায় ভালভাবে সাজাতে পারি।
আর সবচাইতে বড় বাপার যেটা ঘটেছে আমার জীবনে, সেটা হল যে, আমি এখন আমার ইচ্ছে গুলোকে মাপতে পারি ভাষায়, বাদও দিতে পারি ভাবের অতিরঞ্জন থেকে । এখন আমি আগের চেয়ে কিছুটা আত্ম বিশ্বাসী।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য।

আসলে আমি চাচ্ছিলাম কেউ যদি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন, তাহলে ডিপ্রেশন নিয়ে আমাদের জানার পরিধি বাড়তো এবং এর থেকে পরিত্রাণের নানা উপায় পাওয়া যেত। এটা সত্যি কথা যে ডিপ্রেশন আক্রান্তরা কখনোই স্বীকার করতে চান না যে তিনি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত, তাই বলা হয়, কেউ যদি নিজের ডিপ্রেশন চিনতে পারে তাহলে সে আরোগ্যের পথে অর্ধেক এগিয়ে যায়। আশা করি আপনার অভিজ্ঞতা অনেকেরই কাজে লাগবে।

আমি এখানে যার কথা লিখেছি, সে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, সম্ভাবনাময় অথচ ডিপ্রেশনের কবলে পড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। খুবই দুঃখজনক এটা।

ভালো থাকুন,মহসিন ৩১। শুভকামনা রইল।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

পাজী-পোলা বলেছেন: আপনার অবস্থা আমরা মতই, আমিও কাউকে বলতে পারিনা। বলতে গেলে্ শব্দ খুঁজে পাই না। তাই সারাদিন রুমেই থাকি। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

করুণাধারা বলেছেন: এটা অবশ্য আমার গল্প না, আমার কন্যাসম এক মেয়ের গল্প।

আমি জানি না সত্যিই আপনার ডিপ্রেশন কিনা। আশাকরি সত্যি না। আর যদি সত্যি হয়, এই লেখার মন্তব্য গুলো পড়ুন, অনেক নির্দেশনা পাবেন। view this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.