নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হারূন সাহেব, সাদ সাহেব, আর আফসার সাহেবের বন্ধুত্ব সেই মফস্বলের স্কুল জীবন থেকে। প্রথম দুজন চাকরি উপলক্ষে নানা জায়গা ঘুরে অবশেষে অবসর নিয়ে থিতু হয়েছেন তাদের সেই মফস্বল শহরেই; আফসার সাহেব বরাবরই এই মফস্বল শহরের বাসিন্দা ছিলেন। বি এ পাশ করেই পৈত্রিক ব্যবসায় লেগে গিয়ে পরিশ্রম আর বুদ্ধি দুটোই পুরোপুরি ব্যবসায় ঢেলে দেবার ফলে আজ তিনি শহরের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী, অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনজনেরই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন, সবাই দেশে-বিদেশের নানা শহরে নিজেদের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত। হারুন সাহেবের স্ত্রী গত হয়েছেন এক বছর আগে।
হারূন সাহেব আর সাদ সাহেবের মত আফসার সাহেবের অখন্ড অবসর নেই, তবুও বিকেলের পর থেকে তিনি আর কোন কাজ রাখেন না। তিন বন্ধু মিলে প্রতিদিন সন্ধ্যা হতেই আফসার সাহেবের বাড়িতে আড্ডা বসান, মনে হয় কৈশোরের দিনগুলো আবার তাদের জীবনে ফিরে এসেছে। আলোচনার বিষয়বস্তুর কোন ঠিক থাকে না, যেকোনো বিষয়েই তারা কথার পর কথা বলেই চলেন। একদিন এমনি কথা বলতে বলতে সাদ সাহেব বললেন, "একজন সুস্থ মানুষ একটাও কথা না বলে বড়জোর এক সপ্তাহ কাটাতে পারে।" দ্বিমত পোষণ করলেন আফসার সাহেব। বললেন, "একটা সুস্থ মানুষকে নানা প্রয়োজনে কথা বলতেই হয়, বড়জোর তিন দিন কথা না বলে একজন মানুষ কাটাতে পারে!"
হারুন সাহেব এতক্ষণ চুপচাপ বসে কথা শুনছিলেন। এবার তিনি কথা বললেন, "আমি কথা না বলে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিতে পারব"। "কি বললি! বছরের পর বছর!!" হো হো করে হেসে উঠলেন আফসার সাহেব। "তিন মাস কথা না বলে দেখ্, একেবারে পাগল হয়ে যাবি। আরে গল্পগাছা না করলি, কিন্তু দরকারি কথা না বলে থাকবি কি করে!!" সাদ সাহেবও আফসার সাহেবকে সমর্থন দিলেন, কিন্তু দেখা গেল হারুন সাহেব তার মতে অনড় রইলেন। তর্কাতর্কি করতে করতে একসময় হারুন সাহেব বললেন, তিনি ১২ বছর কথা না বলে কাটাতে পারবেন; যদি এই দীর্ঘ সময় তিনি পড়ার জন্য পছন্দমত বইয়ের যোগান পান, খাবার- পোষাক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস তিনি কাগজে লিখে দিলে কেউ যদি সেসব তাকে সরবরাহ করে, তবেই। এবার আফসার সাহেব রেগে গেলেন। বললেন, "আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি বাজি রাখছি, তোর যা দরকার তুই কাগজে লিখে জানালেই আমি তোকে পৌঁছে দেব, তবু তুই ১২ বছর কথা না বলে থাকতে পারবি না। যদি পারিস, তবে আমার সমস্ত সম্পত্তি তোর; আর যদি না পারিস, তাহলে বাকি জীবন তুই আমার সব কথা মেনে চলবি।"
উপরে লেখা গল্পটা আমি পড়িনি, লেখক কে তাও জানি না। এর নাট্যরূপ দেখেছিলাম অনেক দিন আগে, যখন বিটিভিতে প্রতি সপ্তাহে একদিন বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্পের নাট্যরূপ দেখানো হতো। এই নাটকে যতদূর মনে পড়ে হারুন সাহেব চরিত্রে আব্দুল্লাহ আল মামুন, আর সাদ সাহেব আর আফসার সাহেবের চরিত্রে সৈয়দ আহসান আলী সিডনী আর গোলাম মোস্তফা ছিলেন।
নাটকের গল্পটা শেষ করি... হারুন সাহেব শর্ত মেনে নিলেন। ঠিক হলো, আফসার সাহেবের বাগানের কোনে যে একটি ঘর আছে, সেই ঘরে হারুন সাহেব থাকবেন। ঘরে দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকবে। একটি মাত্র জানালা বন্ধ থাকবে, জানালার নিচের অংশ দিয়ে তিন বেলা হারুন সাহেব কে খাবার দেয়া হবে, যে খাবার নিয়ে যাবে তাকে কাগজে লিখে হারুন সাহেব তার প্রয়োজন জানাবেন। আফসার সাহেব এতই সিরিয়াস হয়ে গেলেন যে, তিনি তার উকিলকে ডেকে একেবারে কাগজপত্র তৈরি করে নিলেন এইসব শর্ত উল্লেখ করে, সাদ সাহেবকে হলেন সাক্ষী। ঘর বই দিয়ে বোঝাই করতে দুদিন সময় নেয়া হলো। ৬ই মে রাত বারোটায় হারুন সাহেব ঘরে ঢুকলেন, দরজায় তালা দেওয়া হলো, ১২ বছর পরে ৬ মে রাত ১২ টায় দেখা যাবে হারুন সাহেব তার শর্ত পূরণ করতে পারলেন কিনা।
এক বছর কেটে গেল, দু'বছর, তারপর তিন বছর। এবার আফসার সাহেব একটু চিন্তিত হলেন, বদ্ধ ঘরের ভেতর হারুন সাহেব পাগল টাগল হয়ে যাননি তো! যে লোকটি খাবার দেয়, সে জানিয়েছে হারুন সাহেব নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন, শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তিন বছর পরে হারুন সাহেব প্রথমবার চিরকুট দিলেন লোকটির হাতে, অনেকগুলি বইয়ের লিস্ট। আফসার সাহেব বই গুলো আনিয়ে দিলেন। কিছুদিন বাদেই আবার লিস্ট, আফসার সাহেব সেগুলো আনিয়ে দিলেন। তারপর ক্রমাগত বই আনানো, এত সমস্ত বইয়ের কথা হারুন সাহেব কিভাবে জানেন কে জানে!! কোনো কোনো বই বিদেশ থেকে আনিয়ে দেয়া লাগল, তাতে আফসার সাহেবের কোন অসুবিধা নেই, তার এত অঢেল সম্পদ আছে যে, বই কিনে দেউলিয়া হবার কোন চান্সই নেই! সান্ধ্যকালীন আড্ডা এখন আর তেমন জমে না, তিনি আর সাদ সাহেব বসে বসে হারুন সাহেবের কথা আলোচনা করেন। প্রথম কয়েক বছর আফসার সাহেব হারুন সাহেবের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হতেন, কিন্তু ৭-৮ বছর কেটে যাবার তিনি নিজের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হতে লাগলেন- হারুন সাহেব যদি সত্যিই এভাবে কথা না বলে কাটিয়ে দেন তাহলে শর্ত অনুযায়ী তার সমস্ত সম্পদ হারুন সাহেব কে দিয়ে দিতে হবে! তিনি দিনরাত ভাবতে লাগলেন হারুন সাহেব কে কিভাবে কথা বলানো যায়। একদিন হারুন সাহেবের ঘরে গেলেন; বললেন, "একটা বন্ধ ঘরে বসে জীবনটা শেষ করে দিস্ না, বাইরে বের
দেখ পৃথিবীটা কত সুন্দর! আবার আমরা আগের মত আড্ডা দেই!" হারুন সাহেব মৃদু হাসেন। আবার কয়দিন যায়, আরো অস্থির হয়ে আফসার সাহেব হারুন সাহেবকে বোঝাতে যান; বলেন, "এত বছর কথা না বলতে বলতে হয়তো তোর স্বরতন্ত্রী নষ্ট হয়ে গেছে, আমার সাথে সাথে কথা বলার চেষ্টা করে স্বরতন্ত্রী ঠিক করে নে।" হারুন সাহেব মৃদু হাসেন। এভাবে ১১ বছর কেটে যাবার পর আফসার সাহেব উদ্বেগে যেন পাগল হয়ে গেলেন, প্রতিদিন তিনি একবার করে হারুন সাহেবের জানালায় গিয়ে কখনো কাকুতি মিনতি, কখনো গালাগালি করেন, কিন্তু হারুন সাহেব একটি শব্দও উচ্চারণ করেন না!
অবশেষে আবার এলো ৬ মে, শর্ত অনুযায়ী রাত ১২ টায় আফসার সাহেবের সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবেন হারুন সাহেব। উকিল, সাদ সাহেব, এবং কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ আফসার সাহেব জানলার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। জানালা বরাবর দেয়াল ঘড়িতে দেখা যাচ্ছে, বারোটা বাজতে পনের মিনিট বাকি। আফসার সাহেব শেষ চেষ্টা করলেন, "হারুন একবার কথা বল্! কথা দিচ্ছি আমার সব সম্পত্তি দিয়ে দেব, শুধু আমাকে থাকবার জন্য বাড়িটা দিস।"
হারুন সাহেব নির্বিকার বসে রইলেন। দেয়াল ঘড়িতে সময় এগোচ্ছিল, আর টিভির সামনে বসা আমাদের উদ্বেগ বাড়ছিল। বারোটা বাজতে যখন এক মিনিট বাকি, তখন হাসিমুখে কথা বলে উঠলেন হারুন সাহেব, "ভয় পাস নে আফসার, তোর সম্পত্তি তোরই থাকছে..." তিন জন হতভম্ব মানুষের সামনে হাসিমুখে হারুন সাহেব কথা বলে চললেন,
"১২ বছরে আমি কয়েক হাজার বই পড়েছি, নানা ধরনের বই! এই বইয়ের মধ্যে দিয়ে আমি দেখেছি মানব সভ্যতার সূচনা, মনুষ্যত্বের অবমাননা, মানুষের আনন্দ- দুঃখ- যন্ত্রণা; আমি পাড়ি দিয়েছি কত সাগর মহাসাগর, বন্ধুর গিরিপথ, শষ্যভরা প্রান্তর। আমি হেঁটেছি কত পথে... সক্রেটিসের শিষ্য হয়ে, মার্কো পোলোর সঙ্গী হয়ে, কুবলাই খানের বাহিনীর সাথে। আমি কেবল খুঁজে বেড়িয়েছি জীবনের সার-সত্যকে। সবশেষে পেয়েছি সেই সত্য- 'ফাবি আইয়্যি আলাই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান, অতএব তোমরা উভয়ে তোমার প্রভুর কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে'... কোন সম্পদের আমার আর প্রয়োজন নেই!"
এখানেই নাটক শেষ, চার জন অভিনেতার মুখের চার রকম অভিব্যক্তি দেখিয়ে!
অনেকদিন আগে নাটকটি দেখেছিলাম, তাই সংলাপগুলো হুবহু মনে নেই কিন্তু সুরা আর রাহমান এর আয়াতের উল্লেখ মনে আছে। বই আমার সব সময়ের প্রিয় সঙ্গী, কিন্তু এই নাটকটা দেখার পর থেকে বই পড়া আমার আরো বেশি প্রিয় হয়ে উঠল। খিদে মুখে যেমন খাবারের বাছবিচার থাকে না, তেমনি বই পড়ার ব্যাপারেও আমার কোন বাছবিচার ছিল না; দেশি-বিদেশি সাহিত্য পড়তেই থাকতাম, বিদেশি মানে অবশ্য অনুবাদ। বয়স যখন ১০/১২ বছর তখন হাতে এল কিরোর ভাগ্য গণনার বই; কিরোর বইয়ে হাতের রেখার ছবি দেখে নিজের ভাগ্য গণনা শুরু করলাম। আমার জীবন রেখায় একটা ফাটল ছিল, গণনা অনুযায়ী এর অর্থ ২০ বছরের আগেই আমি মারা যাব! খুবই দুঃখ নিয়ে স্থির করলাম, স্কুলের পড়াশোনা ছেড়ে দেব। তা অবশ্য শেষ পর্যন্ত আর করিনি!
বই পড়ে কখনো বোকাও বনেছি। স্কুলের এক বন্ধু একটা বই দিয়েছিল, "চালাক হবার পয়লা কেতাব", এক দিনের মধ্যে পড়ে ফেরত দিতে হবে। অনেকেই নাকি বইটার জন্য লাইন দিয়ে রেখেছে। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করে দেখি হাবিজাবি, অর্থহীন লেখা। বইয়ের শেষ বাক্য ছিল, "বই পড়ে চালাক হওয়া যায় না রে বোকা!!"
আরেকবার বোকা বনে ছিলাম; বেলী রোডের একটা নামকরা বইয়ের দোকানের বেশ উঁচু তাকে একটা বই দেখলাম, "God created the integers", স্টিফেন হকিং এর লেখা। বইটার শিরোনাম দেখে খুব অবাক হলাম, স্টিফেন হকিং শেষ পর্যন্ত তাহলে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেন! পাতলা সেলোফেন মোড়া বইটাতে কি লেখা আছে দেখতে পারছিলাম না, দামটাও বেশ বেশি। একটু দোনামোনা করে বইটা কিনেই ফেললাম। বাসায় এসে সেলোফেন খুলে দেখি বইতে ঈশ্বর নিয়ে কোন কথা নেই, আছে শুধু গণিতবিদদের জীবনী আর তাদের দুর্বোধ্য গণিত! প্রায় বারোশো পৃষ্ঠার বইয়ের বিশ পৃষ্ঠাও পড়ে বুঝতে পারিনি!! স্টিফেন হকিং এত হাবিজাবি বই লিখতে পারেন- অবিশ্বাস্য!
হাবিজাবি বই অবশ্য অনেক পড়েছি। যখনই কোন বই ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হতো, তখনই সেটা যেভাবেই হোক জোগাড় করে পড়তাম। এইভাবে হুমায়ুন আজাদের নারী আর তসলিমা নাসরিনের কি কি সব বই পড়েছিলাম; পরে বুঝেছি এগুলো সাহিত্য হিসেবে লেখা হয়নি, ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করে দেখানোর জন্য হাবিজাবি লেখা হয়েছে। অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সালমান রুশদীর নিষিদ্ধ বই স্যাটানিক ভার্সেস পড়ে শেষ করতে পারিনি! গল্পের তাল মাথা নেই, সংলাপগুলো হিন্দি ইংরেজি মেশানো, মিথ্যায় ভরা- এটা ডাস্টবিনে ফেলে দেবার মত বই!
আজকাল আর তেমন একটা বই পড়া হয়না। সামু ব্লগের পোস্ট পড়ালেখা করতে করতেই সময় কেটে যায়। বই পড়া নাকি ব্লগ পড়া- কোনটা ভালো! পরের পড়াটাই যে বেশি ভালো লাগে!!!
ছবি: অন্তর্জাল থেকে নেয়া।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম সিট রিজার্ভ রাখলাম, না আসলে ফাইন হবে।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠক হিসাবে আমিও ছিলাম সর্বভুক।
এখনো সামুর ফাকে ফাঁকে বই পড়ি।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আমার অভ্যাস ছিল একটা বই একবারে পড়ে শেষ করা। আজকাল সে ভাবে পড়ার সময়-সুযোগ পাই না, সেজন্যই হয়তো বই পড়া কমে গেছে। ব্লগে ছোট ছোট পোস্ট পড়ে ফেলতে পারি অল্প সময়ে, তাই হয়তো ব্লগেই পড়ে থাকি...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, গিয়াস উদ্দিন লিটন।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
পথ হতে পথে বলেছেন: বই পড়ার আনন্দই আলাদা।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৯
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে যেমন খাবারের রুচি বদলায়, তেমনি ভাবে বইয়ের রুচিও বদলে যায়।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গত ৪/৫ বছর আসলে ব্লগ ছাড়া অন্যকিছু তেমনভাবে পড়া হয়নি। তবে নতুন বইয়ের ঘ্রান আর পড়ার তুলনা অন্য কিছুতে নাই। বই পড়া আমার সবচেয়ে প্রথম নেশা। জীবনে রেজাল্ট খারাপ করার জন্য কোনসময় মার খেতে হয়নি। তবে, পাঠ্যবই এর ফাকে গল্পের বই রেখে পড়ার কারনে আব্বা, আম্মা, বড়বোন, স্কুলের আর বাসার শিক্ষক; সবাই কোন না কোন সময় সুযোগ পেয়েছিলেন আমাকে উত্তম-মধ্যম দেয়ার। তারপরও এই নেশা কেউ কাটাতে পারে নাই। কতো বই যে জীবনে পড়েছি.....হিসাব নাই। আমার দেশ-বিদেশ বেড়ানোর যে নেশা, এটাও হয়েছে বই পড়া থেকে।
তখন ক্লাশ টেনে পড়ি। আমার এক আতেল বন্ধু বললো, বই চুরি না করা পর্যন্ত নাকি প্রকৃত বই এর পোকা হওয়া যায় না। এমনিতেই আমি শয়তান প্রকৃতির ছিলাম। তার উপর ঢোলের বাড়ি পরাতে ওকে নিয়েই নিউমার্কেট থেকে একটা বই চুরি করেছিলাম। বই এর নাম, ''আমি রাসেল বলছি''।
বছর পাচেক আগে সেই দোকানে গিয়েছিলাম। দোকানের মালিককে সব খুলে বলে বইএর দাম দিতে চাইলাম। মালিক বললো, তখন তো আমি ছিলাম না। আব্বা দোকানে বসতেন। কিছুতেই টাকা নিলেন না। উল্টা আমাকে চা-সিঙ্গারা খাইয়ে ছিলেন। এখন আমরা বেশ ভালো বন্ধু। দেশে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা দোকানে বসে আড্ডা দেই। আমার বই যা দরকার, ওখান থেকেই কিনি। প্রচুর ডিসকাউন্টও পাই।
এতো লম্বা মন্তব্য আমি সামুতে কোনদিন করি নাই, মনে হয়। আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু মনে পরে যাচ্ছে এখন। কিছু আনন্দের, কিছু বেদনার আর কিছু হতাশার!!!
১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: এতো লম্বা মন্তব্য আমি সামুতে কোনদিন করি নাই, মনে হয়।
যাক! আপনার থেকে সবচেয়ে বড় মন্তব্য পাওয়ার রেকর্ডখানি আমার হল। ক্রিকেটীয় রেকর্ড এর চাইতে এর দাম মোটেও কম না। অসংখ্য ধন্যবাদ, সাথে লাইকানোর জন্য আরেকখানি ধন্যবাদ!!
আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু মনে পরে যাচ্ছে এখন। কিছু আনন্দের, কিছু বেদনার আর কিছু হতাশার!!!
বই চুরির ঘটনাতো শেয়ার করলেন, বাকিগুলো একে একে করে শেয়ার করেন- দেখেন না, এখন পোস্টের কি অবস্থা!! তিন চার ঘণ্টায় কোন পোস্ট আসে না! সেই জন্যই তো আমার যা মনে হল, লিখে এই পোস্ট দিয়ে দিলাম। এখন আপনার চোরাই বইয়ের কাহিনী পড়ে মনে হলো, আমারও একখানা চোরাই বই আছে। বইটা পড়ে এতই ভালো লেগেছিল যে, ছোট ভাই ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চুরি করে এনে দিয়েছিল... বই চুরি করলে কোন গুনাহ হয় না, কথাটা যেন সত্যি হয়।
"আমার বই" নামে অনলাইনে বই পড়া যায়, কিন্তু কাগজের বই পড়ার আনন্দ সে সব বই পড়ে পাওয়া যায় না।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: অনেক বই পড়তে চাই কিন্তু সময় কই ? আমার সাথে যদি কেউ ১২ বছরের জন্য বাজি লাগতো ? চোখ বন্ধ করে রাজি হয়ে যেতাম।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২১
করুণাধারা বলেছেন: অনেক বই পড়তে চাই কিন্তু সময় কই? যদি আপনি এখনো ছাত্র হয়ে থাকেন, তবে জানবেন যা বই পড়ার তা এখনই পড়ে নিতে হবে! জীবনের কর্মব্যস্ততা মানে যুদ্ধ, তখন আর বই পড়ার তেমন অবকাশ পাওয়া যায় না।
হ্যাঁ, এমন বাজি চোখ বুজে রাখা যায়। ১২ বছর না, ২/১ বছর নিশ্চিন্তে বসে যা বই পড়ার পরে নিয়ে তারপর কথা বলে ফের বের হয়ে আসলেই চলে; নাই হল সম্পত্তি পাওয়া, বই পড়া তো হল!!
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বই বা ব্লগ যাই ই হোক পড়া অব্যহাত রাখুন।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২২
করুণাধারা বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন রাজীব নুর, পড়ার অভ্যাস থাকলে মনে কুচিন্তা আসতে পারে না। সেটা নিজের জন্যও ভালো, পরের জন্যও ভালো। ভালো থাকুন।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
লেখাটির বিষয়বস্তু খুব চমৎকার ।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে । একটা সময় ছিলো কিছু গল্প এবং উপন্যাস না পড়লে মনে হতো পেটের ভাত হজম হতো না । কলেজের বইয়ের ভেতরে নিয়ে চুরি করে গল্পের বইপড়া , বই কিনে পড়া অথবা বান্ধবীদের কাছ থেকে নিয়ে এসে পড়া সেই দিন গুলোর জন্য এখন খুব আফসোস লাগে ।
এবারের বইমেলা থেকে সামু ব্লগারদের কিছু বই কিনেছিলাম।
যা পড়ে অন্যরকম ভাললাগা কাজ করেছে নিজের কাছেই ।
আপা ,আমার জানা মতে আপনার বই পড়ার ভান্ডার অফুরন্ত। অনেকদিন আগে ছোটদের গল্পের বই নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন সেখানে অনেক কিছু জেনেছি আপনার কাছ থেকে। আর আজ আপনার কথাও ঠিক , সামু ব্লগের পড়ালেখা করতে করতে সময় কেটে যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালো লাগা রইলো পোস্টে ।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২১
করুণাধারা বলেছেন: সত্যি প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। এমন বৃষ্টিমুখর দুপুরে সাধারণ ডাল ভাত খেয়ে বিছানায় শুয়ে পছন্দমত বই পড়ার যে আনন্দ ছিল, সেই আনন্দ কি আজকাল ফেসবুকে দামি রেস্টুরেন্টে চেক ইন, নতুন নতুন পোশাক, নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমণের ছবি দেয়াতে পাওয়া যায়? আমাদের জীবনে অনেক কিছু যোগ হয়েছে, হারিয়ে গেছে বই পড়ার আনন্দ!! মাঝে মাঝে আমার তাই পুরনো কোন বইয়ের গল্প মনে পড়ে।
সত্যি মুক্তা নীল, আমি অনেক বই পড়েছি, কিন্তু আজকাল আর তেমন পড়া হয়না। ইদানিং ইচ্ছা হচ্ছে, আমার প্রিয় একটা বইর গল্প অনুবাদ করে ব্লগে শেয়ার করতে; পৃথিবীতে কখনো আণবিক যুদ্ধ হলে তারপর বেঁচে থাকা মানুষদের জীবন কেমন হবে তাই নিয়ে সেই গল্প।
মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল। শুভকামনা রইল।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য এবং প্লাস পেয়ে অত্যন্ত প্রীত হলাম সেলিম আনোয়ার। ভালো থাকুন সালমানকে নিয়ে।
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: কি যে সুন্দর দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। সুন্দর একটা বই পড়া ও সুন্দর একটা নাটক দেখা , দিনটাকেই অন্যরকম করে দিত। এখনকার লেখকদের বই আর পড়া হয় না, নাটকও দেখা হয় না। কিন্ত সেই সময়ের বিশ্ব সাহিত্যের অন্যবদ্য সব সাহিত্য আর বাংলা নাটকগুলোর কথা মনে হলে নস্টালজিক হয়ে যাই। বিশেষ করে আশি নব্বই দশকের বাংলা নাটক ছিল বিনোদনের অন্যতম একটা সঙ্গী। পাওয়ারফুল সব অভিনেতা, অভিনেত্রীদের অভিনয়ের কথা মনে হলে মনটা অদ্ভুত ভাল লাগায় ছেয়ে যায়।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ঢাবিয়ান, সে সময় নাটকের গল্প, অভিনয় দুইই চমৎকার হতো! আমার অনেক নাটকের অভিনেতাদের এক্সপ্রেশন এখনো মনে পড়ে! সে সময়ের সাহিত্য কত সমৃদ্ধ ছিল- আজকাল সব কিছু কেমন যেন হালকা মনে হয়!!
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
আপনার 'বই থেকে ব্লগ' লেখাটি পড়লাম। একেবারে শুরুতে একটু মনোসংযোগের ঘাটতি ঘটেছিল। ভেবেছিলাম আপনার নিজের লেখা ।পরে গিয়ে দেখলাম বিটিভির নাটক। আপনার বর্ণনায় চমৎকারভাবে গল্পটি ফুটে উঠেছে। যে কারণে একটানে পড়ে ফেললাম। হারুন সাহেবের ঘটনাটি পড়ছিলাম ভাবছিলাম ঘটনাটি কোন দিকে মোড় নেয়। নাহ! ঘটনা অন্য কোন দিকে মোড় নেয় নি। যথারীতি হারুন সাহেব দীর্ঘ বারো বছরে নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও তা থেকে বৃহত্তর জগতের সন্ধান- নিঃসন্দেহে নাটকটির একটি বাড়তি পাওনা। অন্যভাবে বলতে গেলে গল্পে উঠে এসেছে চমৎকার একটি দিক। বই থেকে উনি যে মহাসমুদ্রে প্রবেশ করলেন সেখানে পার্থিব জগতের চাওয়া পাওয়া গুলো নিতান্তই তুচ্ছ বা গৌণ হয়ে দেখা দিলো। যে কারণে হারুন সাহেব শুরুতে যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে চ্যালেঞ্জে নেমেছিলেন চ্যালেঞ্জ শেষে বন্ধুর বিষয়-সম্পত্তি ওনার কাছে একেবারে তুচ্ছ হয়ে গেল।
হাবিজাবি বই প্রসঙ্গে,
আমি তসলিমা নাসরিনের 'লজ্জা', 'আমার মেয়েবেলা', সহ বেশ কিছু লেখালেখি পড়েছিলাম। সে সময় কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স ওনার একটার পর একটা লেখা ছাপিয়ে ও প্রচার করে উপমহাদেশ তো বটেই বিশ্বসাহিত্যের সম্মানীয় আসনে উন্নীত করেছিলেন। পরবর্তীকালে ফানুস থেকে উনি আবার মর্তে ফিরে এসেছেন। বিতর্কিত লেখিকার শিরোপা নিয়ে উনি তৈরি করতে পেরেছিলেন পাঠক হৃদয়ের স্পেশাল আনুগত্যও। সত্যি কথা বলতে কি ওনার লেখায় আমি কোন সাহিত্য গুণ খুঁজে পাইনি।
মন্তব্য আর বাড়াবো না।
পোস্টে লাইক।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, প্রথম ধন্যবাদ পোস্টে বলা গল্পের সারকথা চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য!!
আসলেই, শত বছর ধরে হাজার হাজার মনীষীদের ভাবনা বেঁচে থাকে তাদের লেখা বইয়ের পাতায় পাতায়। তাদের ভাবনার সাথে পরিচিত হতে পারলে জাগতিক অনেক কামনা বাসনা তুচ্ছ মনে হয়। যে গল্পের নাট্যরূপ দেখেছিলাম, তার নাম কিংবা লেখক কে জানি না, তবে মূল বইটা পড়ার ইচ্ছা সবসময়ই ছিল। আরেকটা বই আমার মনে গভীর রেখাপাত করেছিল; সফোক্লিসের ইডিপাস (অনুবাদ)। এই অদ্ভুত টানাপোড়েনের বইটির সবগুলো চরিত্রর যন্ত্রণা মূর্ত হয়ে করে তুলেছেন প্রাচীন লেখক। বইটি পড়েছেন আশা করি।
মানব মনের গভীরে গিয়ে শব্দের নিপুণ ব্যবহারে জীবনের নানা রহস্য উন্মোচন করা এইসব সাহিত্য, আর কেবল আলোচনায় আসার জন্য লেখা সাহিত্যের কোন তুলনাই হয় না। তসলিমা নাসরিন তোলপাড় করতে চেয়েছিলেন, পেরেছিলেনও কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী সাহিত্য হলো না। আমার মনে হয় চটজলদি জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভ না করে তিনি যদি সত্যিকার ভাবে সাহিত্য চর্চা করতেন, তাহলে তিনি দীর্ঘস্থায়ী খ্যাতির অধিকারী হতেন।
চমৎকার মন্তব্য, এবং প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় আরেকবার ধন্যবাদ, পদাতিক চৌধুরী। শুভকামনায়...
১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আমি মনে করি,দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বই থেকে আমরা জ্ঞান আহরণ করি এবং ব্লগের সেটার বিশ্লেষন ঘটাই।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৮
করুণাধারা বলেছেন: কি জানি!! আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেছে।
১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জ্ঞান চর্চার প্রথম শর্তই তো বই।
বই নাই তো জ্ঞান চর্চা কঠিন।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: এটা ঠিক কথা, কিন্তু সাধারণভাবে আজকাল বই পড়ার চর্চা কমে গেছে। এদেশে ছোটদের উপর স্কুলের পড়ার চাপ এত বেশি থাকে যে, পড়া ব্যাপারটা এদের কাছে এক ভীতিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বই পড়ার চেয়ে তারা কম্পিউটারে গেম খেলতে পছন্দ করে। কিন্তু আমি সব সময় মনে করি, জ্ঞান চর্চার জন্য বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়র জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনার দ্বিতীয় বার আগমনের অত্যন্ত আনন্দিত হলাম রাজিব নূর।
আপনিও ভালো থাকুন।
১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্টে আমি আবার ফিরে আসব।
ধন্যবাদ আপু।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম।
ব্যস্ততার মধ্যেও এসে উপস্থিত হওয়ায়, এবং প্লাস দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ নীল আকাশ। ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার নাটকটির স্মৃতিচারণ সাহিত্য প্রেমের এক নিদর্শণ।
প্রথমতো একটি বই কতো সময়ে শেষ করতে পারছি এই প্রতিযোগিতায় মেথে ছিলাম। পরে পড়তে পড়তে শুরু করলাম কয়েকটা বই একসাথে। এমন করে বেশ পড়ুয়া হয়ে উঠেছিলাম। অনলাইনে ভার্চু্য়্যাল জগতে এসে বই পড়া কমে গিয়েছি কিন্তু বই পড়তে এখনো অনেক ভালো লাগে। পড়ার শুরুতে যদিও রোমান্স প্রাধান্য পেয়েছিল এখন সর্বভূক।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫১
করুণাধারা বলেছেন: মনের মতো একটি বই পেলে আনন্দময় কিছু সময় কাটানো যায়, কোন কিছু জানার আনন্দ!! একটা জিনিস লক্ষ্য ঔ, বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেমন খাবারের পরিমাণ কমে যায় আর রুচি বদলে যায়, বইয়ের বেলায়ও একই জিনিস হয়।
কম বয়সে সকলেরই রোমান্টিক কাহিনী পড়তে ভালো লাগে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বই পাঠের রুচিও বদলে যায়...
আব জন্য শুভকামনা
১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
অন্যদের পোষ্টে আপনার করা মন্তব্য থেকে আপনার জ্ঞান মাপা কিছুটা সম্ভব হয়েছিলো; এ পোষ্ট থেকে আবারো সিওর হলাম। আপনার উচিত, বাড়ীতে বসে, ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে শুরু করে ১০ম শ্রেনী অবধির পাঠ্য পুস্তকগুলো ২/৩ বছরে শেষ করা; তখন হয়তো, আপনি সঠিকভাবে চারিপাশকে বুঝার শুরু করতে পারবেন।
১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৫
করুণাধারা বলেছেন: অনেক চেষ্টা করেছিলাম নিজের জ্ঞানের স্বল্পতাকে লুকিয়ে রাখার, কিন্তু আপনি ঠিকই ধরে ফেললেন। জ্ঞানী মানুষ বলে কথা!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আমার জ্ঞান বাড়ানোর তরিকা বাতলে দিয়েছেন বলে। সমস্যা একটা আছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম এই পাঁচ বছরের পড়া। আপনি বলছেন ২/৩ বছরের মধ্যে এই পাঁচ বছরের পড়া শেষ করতে!! আমার মত অল্প বুদ্ধির মানুষের জন্য এটা একটা অসম্ভব কাজ!! দশ বছর পড়েও দশম শ্রেণী পাশ করব কিনা সন্দেহ। দোয়া রাখবেন, ভালো থাকবেন।
১৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
সোহানী বলেছেন: নাটকটি মনে হয় দেখিনাই কিন্তু মায়ের কাছে গল্প শুনেছি। আসলে আপনার মতো আমার ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সামু দৈনন্দিন কাজের একটি অংশ এবং এটি অনেক তথ্যের জোগানদার। তাই অনেক পড়া কমেগেছে।...
অনেক ভালো লাগলো আপু।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৮
করুণাধারা বলেছেন: আজকাল খুব পুরনো নাটকের কথা মনে পড়ে, টিভি খুললেই যখন ভারতীয় সিরিয়ালের অনুকরণে বানানো নাটক দেখতে হয়, তখন। সেই নাটকগুলো ভাবাতো, ঠিক যেমন একটা ভালো বই ভাবতে বাধ্য করে। সময়ের সাথে সাথে জীবনের জটিলতাও বেড়ে গেছে, এখন আর নিশ্চিন্তে বসে বই পড়তে পারি না। অতএব ব্লগই ভরসা, মন খুলে বসার জায়গা।
অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগলো সোহানী; এত ব্যস্ততার মধ্যে সময় করে এসে পোস্ট পড়ে, মন্তব্য করে আর প্লাস দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করলেন।
অনেক ধন্যবাদ, আর শুভকামনা।
১৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৩
ল বলেছেন: বই থেকে ব্লগ'
চমৎকার!চমৎকার!!চমৎকার
আগে কি সুন্দর দিন কাটাতাম------
এমন ল্যাখাজোখায় ও পড়াশোনায় হিংসা -হিংসা- হিংসা-হিংসা।
পোস্টে লাইকসহ শ্রদ্ধা রইলো-
১২ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এমন মন্তব্য ব্লগে লেখার উৎসাহ অনেকটা বাড়িয়ে দিল ল। মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনায়-
২০| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ষ্টিফেন হকিং'এর বই হাবিজাবি মনে হয়েছে আপানার কাছে; তাই ৬ষ্ট শ্রেণীর বই দিয়ে শুরু করেন, সব ঠিক হয়ে যাবে; ঘোড়ারোগ কমে আসবে।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: A brief history of time পড়ার পর থেকে স্টিফেন হকিং এর যত বই বের হয়েছে, প্রায় সবই পড়েছি এবং অনেক কিছু জেনেছি। কিন্তু এই বইটিতে জানার মত তেমন কিছু পাইনি। তাই উল্লেখ করেছি যে এই বইটি স্টিফেন হকিং এর অন্য বইয়ের মতন না। বইটির রিভিউ করতে গিয়ে অনেকেই আমার মত বলেছেন। একটা রিভিউ এর লিঙ্ক দিলাম, view this link পড়ে দেখুন।
যদি পুরোটা পড়তে অসুবিধা লাগে, রিভিউয়ের শেষ প্যারা নীচে দিলাম,পড়ে দেখলে বাধিত হই।
All in all, this book wasn't worth the effort of writing, and probably isn't worth the effort of reading, unless you just read the bios (which would bring this book down from 1160 pages to 120 or so; altogether more reasonable). The breakthroughs described are (mostly) important and (mostly) interesting, but there are better places to learn about them.
২১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন: বই পড়ে কখনো বোকাও বনেছি। স্কুলের এক বন্ধু একটা বই দিয়েছিল, "চালাক হবার পয়লা কেতাব", এক দিনের মধ্যে পড়ে ফেরত দিতে হবে। অনেকেই নাকি বইটার জন্য লাইন দিয়ে রেখেছে। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করে দেখি হাবিজাবি, অর্থহীন লেখা। বইয়ের শেষ বাক্য ছিল, "বই পড়ে চালাক হওয়া যায় না রে বোকা!! -- হা হা হা।
আমি নিজেও গোগ্রাসে বই গিলেছি। কোনোটা হাবিজাবি, কোনোটা অসাধারণ। কত শত বই। ডিসেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলে আর ধরে কে? একগাদা বই বগলে চেপে ধরে অস্থায়ীভাবে তৈরি শীতকালীন পাহারার ঘরে ধান শুকানোর মাঠে ছুটতাম। কী সেসব দিন!
শরৎ বাবুর 'দত্তা থেকে রবি বাবুর 'যোগাযোগ'; ফাল্গুনীর 'শাপমোচন' থেকে আকবর হোসেনের 'কি পাইনি'; গোর্কির 'মা' থেকে জন রীডের 'দুনিয়া কাঁপানো দশদিন'; 'বিচিত্রা' থেকে 'দেশ কিংবা আনন্দলোক';
এরপর হুমায়ুন-আনিসুল-মিলন...; সেবা'র অফুরন্ত ভান্ডার। এরপর হ্যাগার্ড, শেলডন, ড্যান ব্রাউন, কোয়েলহো, কাফকা আরো কত শত... এরপর এল নন-ফিকশনের ভান্ডার...........
নস্টালজিক করে দিলেন করুণাধারাপা......।
এখন তৃতীয়বারের মতো পড়ছি রবিন শর্মার 'The Monk Who Sold His Ferrari'...
১২ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর আপনার আবির্ভাবে খুব খুশি হলাম; নিশ্চিন্তে হওয়া গেল, আমাদের সাথেই আছেন তাহলে...
যে বই আর নাটকের কথা বলেছি, সেগুলো অনেক দিন আগে পড়া বা দেখা; তাই অনেক কিছু ভুলে গেছি। নিজের কল্পনা দিয়ে সেই ফাঁক গুলো পূরণ করে দিয়েছি। এর সবটুকু লেখক এর লেখা নয়...
বইয়ের নাম দেখে আমিও নস্টালজিক হয়ে গেলাম। আহা, বইয়ের ভান্ডার কি অফুরন্ত ছিল! আমাদের যুগে আরও কিছু বাড়তি ছিল ভারতীয় প্রসাদ, উল্টোরথের পূজাবার্ষিকী। সেই বই গুলো পড়ার আনন্দ আজকের সিরিয়াল দর্শকেরা চিন্তাও করতে পারবে না। হ্যাগার্ডের শী আর রিটার্ন অফ শী খুব পছন্দ ছিল, আমার এক বন্ধু বলতো এর মত হাবিজাবি বই হয় না... মনে পড়ে গেল। জেনারেশন গ্যাপ জিনিসটা সবচাইতে বেশি বুঝতে পারি বই পড়ার ক্ষেত্রে। কাগজে লেখা বই না পড়লে আমার সেটাকে বই বলে মনে হয় না অথচ আজ কাল সকালে দেখি দিব্বি অনলাইনে বই পড়ছে!!
উইকিপিডিয়ায় খবর নিলাম The Monk Who Sold His Ferrari'... বইয়ের। মনে হচ্ছে ভালো বই; পড়তে হবে। ধন্যবাদ খবর দেয়ার জন্য।
আবির্ভূত হবার জন্য, মন্তব্য করার জন্য আর প্লাস দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আখেনাটেন। আশাকরি নিত্য বিরাজমান থাকবেন এখন থেকে।
২২| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১১
মা.হাসান বলেছেন: এটা আন্তন চেখভের বিখ্যাত ছোট গল্প пари র বাংলা সংস্করন ছিল। রাশান пари এর ইংরেজি অর্থ bet অর্থাৎ বাজি বা শর্ত। মূল গল্পে দু বন্ধু, সম্পত্তি রক্ষার জন্য সম্পত্তির মালিক বাজির শেষ দিনে অপর জনকে খুন করতে যায়, কিন্তু বন্ধুর কাছে শোনে জীবনে শ্রষ্টার নিয়ামতের চেয়ে বড় কিছু নেই। আরো কিছু নাটকিয়তা ছিল, মনে নেই। আব্দুল্লাহ আল মামুন নাট্যরূপ দেয়ার সময় শ্রষ্টার নিয়ামত না লিখে নিয়ামত সমূহ করেছেন।
থিওরি অফ এভরিথিং মুভিটা দেখতে পারেন, মোটামুটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে। গড আর রিলিজিয়ন সম্পর্কে হকিঙের ধারনা অন্য রকম ছিল। সময় কম থাকলে এই লিংকের ১মিনিট ২০ সেকেন্ডের পরে থেকে দেখতে পারেন, সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো না আগে বলে রাখলাম।https://www.youtube.com/watch?v=aRcHhjpZrDU
গড ক্রিয়েটেড দি ইনটিজার্স বইটা যতদূর মনে পড়ে বিভিন্ন গনিতবিদদের হাত ধরে আজকে কিভাবে গনিত এই অবস্থানে আসলো তার বিবরন। আপনার যেহেতু গনিত ভালো লাগে, এই বইটা কেন ভালো লাগলোনা বুঝলাম না। বইয়ের নামটা কিন্তু ক্রোনেকারের ডায়ালগ থেকে নেয়া।
একটা সময় ছিল যখন টাকা কম ছিল, পড়ার ইচ্ছা বেশি ছিল। এখন আল্লাহর অনুগ্রহে টাকার সমস্যা না থাকলেও দায়িত্ব বাড়ার কারনে পড়ার সুযোগ আগের চেয়ে কমেছে। ব্লগের নেশায় আটকা পড়লে বই পড়া আরো কমে যায়। ব্যান খাবার আশায় আছি, ব্যান খেলে ব্লগ ছাড়বো, পড়া বাড়াতে পারবো।
তসলিমা নাসরিন খুব ভালো কিছু কবিতা লিখেছিলেন, ভক্ত ছিলাম। কার প্রেরনায় ওসব লিখলেন জানি না, তবে এজগতেই অনেক পাওনা পেয়ে গেছেন। চোখের সামনে আরেক পাঁঠা ব্রিডারের পরিবারকে দেখি। উনিও পাওনা পেতে শুরু করেছেন। ইউটিউব ভিডিওতে চেহারা দেখে টের পাওয়া যায় কত শান্তিতে আছেন। সবাই হিসাব বুঝে পাবেন, আল্লাহর হিসাবে বিন্দু মাত্র কম বেশি হবে না।
এরকম লেখা ব্লগে এই প্রথম দেখলাম। অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: মা. হাসান, মন্তব্য পড়ে কি লিখবো ভেবে পাচ্ছিলাম না! লজ্জিত বোধ করছি, একজন বিখ্যাত লেখক এর গল্পটাকে নিজের মতো করে বানানোয়; গল্পটার যে একটুখানি আমার মনে ছিল, সেটুকু দিয়ে বাকিটা বানিয়েছিলাম! নাটকের শেষ অংশটুকু মোটামুটি ভালোভাবে মনে ছিল, কিন্তু বন্ধু যে দু'জন ছিলেন, খুনের চেষ্টা করার কথা এই সমস্ত কিছু মনে ছিল না! এই গল্পের একটা মেসেজ আছে, "ফাবি আইয়্যী আলা ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান"; আমার নিজের খুব পছন্দর আয়াত, সেটাই ব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে এই গল্প রচন...
থিওরি অফ এভরিথিং মুভি দেখার ইচ্ছা জাগল আপনার দেয়া লিঙ্ক টা দেখে। অনেক ধন্যবাদ লিঙ্ক দেবার জন্য।
স্টিফেন হকিং আমার কাছে এক বিস্ময়, মুখের অল্প একটু খানি মাসল নাড়িয়ে কিভাবে তাকে শব্দে পরিনত করে একের পর এক বই লিখে গেছেন সেটা আমাকে খুব অবাক করে। তার প্রায় প্রতিটা বই পড়েছি, তাকে নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে, সময় পেলে করে দেখবার অনুরোধ রইলো।Click This Link target='_blank' >view this link God created the integers আমি বুঝতে পারিনি, কারণ গণিতে আমার আগ্রহ থাকলেও গণিতের অনেক এলাকাই আমার নাগালের বাইরে। এই কারণেই Frank J. Tipler এর লেখা পুনরুত্থানের সত্যতার গাণিতিক প্রমাণ অনেক চেষ্টা করেও বুঝতে পারিনি।
দয়া করে ব্যান খাবেন না!! তাহলে আপনার চমৎকার লেখা আর মন্তব্যগুলো থেকে বঞ্চিত হব। শুভকামনা রইল।
https://www.somewhereinblog.net/blog/Korunadhara/30238000
২৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২২
মা.হাসান বলেছেন:
আপনি কি এই বইটির কথা বলেছেন? এখানে ওরকম ডায়ালগের কথা মনে পড়ে না। তবে সৈয়দ মুজতবা আলী মুখবন্ধে যা লিখে দিয়েছেন শুধু তা পড়লেই পয়সা উশুল হয়ে যায়।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
করুণাধারা বলেছেন: সম্ভবত এই বইটিই! নামটা মনে আছে শুধু, এবং পড়ে নিজেকে বড় বোকা বলে আবিষ্কার করেছিলাম বলে মনে আছে। সেটা সত্তরের দশকে, আমার বয়স ছিল বছর দশেক। এই বইটা এখনো আছে জানতাম না। জেনে ভালো লাগলো। ভাবছি অনলাইনে অর্ডার করে আরেকবার পড়ে দেখব কি ছিল!!
বোঝা গেল আপনি প্রচুর, প্রচুর বই পড়েছেন। কিছু শেয়ার করুন।
দুইখানা চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাস দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করার অনেক ধন্যবাদ মা. হাসান।
২৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
কোন কারনে এই নাটক আমার দেখা হয় নি। হয়ত দেখেছি মনে নেই। তবে পোস্টের সারর্মম নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
আমি খুব ছোট বেলা থেকেই বইএর পোকা। স্কুলের টফিনের টাকা বাচিয়ে কিনতাম সেবার অনুবাদের বইগুলি। তখন অবসর নামের আরেকটা প্রকাশনী ছিল যারা বিদেশি ভাল ভাল বইয়ের অনুবাদ বের করত। বাসায় ছিল ইসলামিক বইয়ের বিশাল এক ভান্ডার। আমি যেই পরিমান বই পড়েছি সেটা কল্পনাও করার যায় না। এখনও পড়ি তবে পড়ার ধরন এবং প্রসেস পালটে গেছে। আগে পড়তাম হার্ডবুক এখন সফটবুক। লেখালিখি করার জন্য পড়ার কোনই বিকল্প নেই। আর আমি সাধারণত একই বিষয়ের উপর ২টা গল্প লিখিনা। তবে এখন বই এর চাইতেই ইন্টারনেটে ওয়েবপেজ পড়া হয় বেশি। আপনার সাথে আমি একমত। ব্লগে সময় দিলে ব্যক্তিগত পড়ার পরিমান কমে যায়।
আমার মোবাইল এখন আমার ডিজিটাল লাইব্রেরি। বিষয় ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের লেখা, বই ফোল্ডার ফোল্ডার করে রেখে দিয়েছি। রেফারেন্স চাইলেই যেন বের করতে পারি। নাবিলার পরের পর্ব যেটা লিখছি এটার জন্য কি পরিমান স্ট্যাডি করেছি সেটা আমিই জানি আর পাঠকরা পড়ার পর বুঝবে।
তবে ভাল বইয়ের কোন বিকল্প নেই। হকিংয়ের বই অনেকাংশেই ইসলামের সাথে সাংঘর্শিক। সুক্ষ ভাবে নাস্তিকতা ছড়িয়ে দেয়াই এই সব বইয়ের লক্ষ্য।
পোস্টের বিষয়বস্তু খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইল।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসে বিস্তারিত মন্তব্য করার অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ।
আমাদের ধর্ম প্রথম যে শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে, তা হচ্ছে ইকরা- পড়। জ্ঞান অর্জনের কোন বিকল্প নেই এবং সেজন্য আমাদের ক্রমাগত পড়ে যেতে হবে। আপনার বই পড়ার অভিজ্ঞতা জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার গল্পগুলো সবসময়ই কোন না কোন বিষয়ে পাঠকের জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে কেননা সেই বিষয়ে অনেক গদ জ্ঞান অর্জন করে তারপর আপনি গল্প টা লেখেন। অনেক ধন্যবাদ সেজন্য।
আমি অবশ্য একেবারেই ডিজিটাল হতে পারিনি , সফট কপি কিছুই পড়তে পারি না, আর এই সমস্ত ফোল্ডার তৈরি করতে পারি না, বড়জোর ব্লগে কিছু লিখতে পারি।
এই পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। হকিং নাস্তিক জানি, তাকে নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
২৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: হ্যাগার্ডের শী, রিটার্ন অব শী ফ্যানটাস্টিক। আমারও অনেক প্রিয় ছিল।
তবে আমি সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছিলাম 'মর্নিং স্টার' পড়ে। এই বই পড়ে মিশরীয় সভ্যতার প্রতি বিশাল আকর্ষন সৃষ্টি হয়। যদিও বইয়ের চরিত্রগুলো ফিকশনাল, কিন্তু সেই প্রাচীন ফ্লেভার হাজার হাজার বছর আগের সেই সভ্যতার মুখোমুখি পাঠককেও দাঁড় করিয়ে দেয়।
আমার সবচেয়ে বেশিবার পঠিত বই হচ্ছে পাওলো কোয়েলহোর 'দ্যা আলকেমিস্ট'। এখানেও কিছুটা মিশরীয় ছোঁয়া থাকায় এবং গূঢ় অর্থবহ হওয়ায় ভালোলাগা দ্বিগুণ হয়েছে। সান্টিয়াগোর পরশপাথর খোঁজার জার্নিকে কি সহজে ভোলা যায়?
আর ঠিকই বলেছেন, এখন আর আগের মতো হার্ডকপি পড়ার আগ্রহ পাওয়া যায় না। একটি বই শুরু করে শেষ করা মুশকিল হয়ে যায়। যেমন বহুদিন থেকে রেহমান সোবহানের 'আনট্রাংকুইল রিকালেকশনস' বইটি পড়ছি একটু একটু করে, কিন্তু শেষ করতে পারি নি। এর মধ্যে অন্য অনেক বই পড়ে ফেলেছি।
এবারের বইমেলা থেকে অনেকগুলো বই কিনেছি। সেগুলো পড়া হচ্ছে না। দেশের বাইরে থেকেও কিছু কালেকশন করেছি সেগুলোও বন্দি হয়ে আছে।
তবে এবার ঈদে দেশের বাড়ি যাওয়ার ১০ ঘন্টার যাত্রা পথে ওরহান পামুকের 'মাই নেম ইজ রেড' বইটি পড়লাম। আসার পথে ম্যান্ডেলার 'লং ওয়াক টু ফ্রিডম'র অনেকটা। এভাবে কিছু নতুন বই পড়া হচ্ছে।
চাঁদগাজীর মতো রাখালদের সাথে গরু-বাছুর চরানোর সময়ও হাতে বড়দের ভাষায় আউট বই নিয়ে গেছি ছুডুকালে। হা হা হা। অনেক কথা বললাম এখানে এসে। বইপড়া মানুষ দেখলে ভালো লাগে। আমিও ছোটবেলার বইপড়া নিয়ে একটি লেখা লিখছি। দেখি কোনো এক সময় পোস্ট করব।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার সব বইয়ের নাম বললেন। পড়ার লোভ হচ্ছে, দেখি কতখানি পড়া যায়...
দ্যা আলকেমিস্ট খুব ভাল লেগেছিল, কিন্তু একবারের বেশি পড়া হয়নি। আমার বারবার পড়া বই "থর্ন বার্ডস", কারণ আগে এটা বিটিভিতে সিরিজ দেখেছি। আমার ভালো লেগেছিলো বারাক ওবামার বই, ভাষা খুবই ঝরঝরে। শুনেছি মিশেল ওবামাও খুব ভালো লিখেছেন। আমাদের রাজনীতিকরা কথাই বলতে পারেন না, লেখা তো দূরের কথা। মনে হয় ছোটবেলায় রচনা মুখস্ত করতে করতে আমরা ভালো লেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি।
এভাবেই থাকেন ব্লগে। হুট করে আবার উধাও হয়ে যাবেন না...
২৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঝকঝকে একগাদা বই হোক আমাদের নিত্য সঙ্গী।
১৪ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: ঝকঝকে একগাদা বই হোক আমাদের নিত্য সঙ্গী। ঠিক বলেছেন। কিন্তু আজকাল অনেকেই বই পছন্দ করে না যে...
২৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হকিংয়ের বইয়ের পুরো নামটা পড়লেই বুঝা যেত উহা কি
The Mathematical Breakthroughs That Changed History
ছোট্ট করে বললে বই আমার প্রাণ। আমিও প্রচুর বই পড়েছি। যেখানে যা পেয়েছি তাই। ইন্টারনেট আসার পরেও এটা একটুও কমেনি। আমার কাছে বই হলো প্রেয়সীর মতো। বই বিনে বাঁচিব কিভাবে !!
এখনও দিনে একপাতা হলেও পড়ি। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ যেমন আমার ভালো লাগে, তেমনি ভালো লাগে পুরনো বইয়ের ছেঁড়াফাটা মলাট।
একটা বই একটা জীবন তোলপাড় করে দিতে পারে, পারে বদলাতে।
দি অ্যালকেমিস্টের সান্তিয়াগোর কাহিনি আমাকে চিন্তার রাজ্যে নিয়ে যায়। লা মিজারেবল এর মানব জীবনের আখ্যান আমার হৃদয়স্পর্শ করে যায়। দ্যা ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি এর বৃদ্ধের সাথে আমিও চলে যাই গহীন সমুদ্রে। জয় করার চেষ্টা করি অজেয়কে। ন হন্যতে এর জীবনধারা আমাকে নাড়া দেয়। অনেক সময় ছোট অনেক কিছু বড় হয়ে যায়। হয়ে যায় ধূসর থেকে কালো স্মৃতির বান্ডিল।
ক্যাপ্টেন চ্যালেন্জার এর কার্যকলাপ আমাকে তৎকালীন বিজ্ঞান নিয়ে কৌতুহলী হতে বাধ্য করে। রবিনসন ক্রুসোর মতো আমিও কোনো দ্বীপে হারিয়ে গেলে কি করবো তা আমাকে দ্বিধাবিভক্ত করে। মোটরসাইকেল ডায়েরী পড়ে আমিও ঘুরে আসি চে এর সাথে।
ব্লগ আর বই নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র। বইয়ের বিকল্প যেমন বই তেমনি সামু ইজ সামু। শত কালের প্রবাহ বইয়ের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না৷ তেমনি ব্লগও এগিয়ে যাবে, শোনা যাবে বাঁধ ভাঙার আওয়াজ !
পোস্টটা দারুণ লেগেছে
১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
করুণাধারা বলেছেন: বুঝলাম। কিন্তু হকিং এর বই গুলো খুব সহজবোধ্য করে লেখা হয়। ভেবেছিলাম এটাও তেমন হবে...
একটা বই একটা জীবন তোলপাড় করে দিতে পারে, পারে বদলাতে। ১০০% একমত। যারা বই পড়তে ভালোবাসে, তারা কিছুতেই পড়ার অভ্যাসটা ছাড়তে পারে না। আমি একটা মেয়ের কথা জানি, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিল দেখে শশুর বাড়ি তাকে পছন্দ করে বউ করে নেয়। কিন্তু দেখা গেল মেয়েটা দিনরাত শুধু পড়ে (পাঠ্য বই নয়)! এটা দেখে শ্বশুরবাড়ি বিরক্ত হয়ে ডিভোর্সের কথা ভেবেছিল। পরে অবশ্য মেয়েটা বই পড়া কমিয়ে দেয়, মিটমাট হয়ে যায়। এটা নিয়ে আমি একটা গল্প লিখেছিলাম সামুতে। দেখছি কিভাবে জানি আমার বেশিরভাগ পোস্ট শুধু বই পড়া সংক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে...
আপনার উল্লিখিত সবগুলো বই পড়েছি, শুধু মোটরসাইকেল ডায়েরী বাদে। পড়ার ইচ্ছা হচ্ছে, দেখি কিভাবে জোগাড় করা যায়!
আজকাল কম কম দেখা পাওয়া যাচ্ছে, ব্যাপারটা কি?
শুভেচ্ছা রইল সবসময়।
২৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বই থেকে ব্লগ সুন্দর লিখেছেন । এর সাথে নাট্যাশ্যটুকুও বেশ উপভোগ্য হয়েছে। বই এর ইতিবৃত্য আমরা সকলেই কমবেশী জানি , ব্লগ নিয়েও আমাদের অনেকেরই জানার পরিধি কম নয় । তার পরেও প্রসঙ্গক্রমে ব্লগের ইতিবৃত্য নিয়ে দুচারটি কথাতো এখানে বলাই যায়। ইংরেজি Blog শব্দটির বাংলা প্রতি শব্দ সন্ভবত অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। Blog শব্দটি Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বেশিরভাগ ব্লগই কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়সম্পর্কিত ধারাবিবরণী বা খবর জানায়। বাকীগুলো ব্যক্তিগত অনলাইন দিনলীপি। পাঠকদের মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া ব্লগের অন্যতম একটি দিক। তাই বই পাঠ হতে ব্লগে বিচরণ অনেকটা সুবিধা জনক । যদিউ প্রায় ব্লগই মূলত টেক্সট-বেসড বা লেখাভিত্তিক সেখানে অআমাদের এই সামু শিল্প (আর্ট ব্লগ), ছবি (ফটোব্লগ), ভিডিও (ভিডিও ব্লগিং), সঙ্গীত (এমপিথ্রি ব্লগ) আর অডিও (পোডকাস্টিং) ইত্যাদির সিমিত সুযোগো দিয়ে থাকে । জুন, ২০১৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় বাইশ মিলিওনেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে | ১৯৯৭ এর ১৭ ডিসেম্বর, "জর্ন বার্গার" নামক ব্যক্তিটিই সর্বপ্রথম 'weblog' শব্দটির উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে, 'পিটার মেরহোলজ' তার নিজস্ব ব্লগ পিটার্ম ডট কমে কৌতুক করে 'weblog' শব্দটিকে ভাগ করে 'blog' বলে সম্বোধন করেন ১৯৯৯ এর এপ্রিল বা মার্চের দিকে। তারপর থেকে 'blog' শব্দটির ব্যাবহার বাড়তে থাকে। যাহোক আধুনিক ব্লগিং এর সুবাদে মানুষ এখন খুব সহজেই সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। ১৯৯৯ থেকে ব্লগিং- এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা এখনও রয়েছে। ব্রুস এবলসন নামক ব্যক্তি ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে 'ওপেন ডায়েরি' নামক একটি ব্লগ খোলেন এবং রাতারাতি তার ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। হাজার হাজার ব্লগার তার ব্লগের সাথে যুক্ত হন এবং এটিই সর্বপ্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে, অন্যান্য ব্লগারদের লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া হয়। ২০০৫ সালের প্রথম মাস থেকে শুরু হয় বাংলা ব্লগিং এর ইতিহাস। বাংলা ভাষার প্রথম ব্লগ সামহোয়্যার ইন ব্লগ এর প্রতিও রইল শুএচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা । সামুর কল্যানে এখানে এসে ব্লগের লেখাগুলি পাঠ করে সেখান অনেক সুল্যবান পোষ্ট হতে লিংক অআকারে দেয়া বই গুলি নিমেলেই পাঠ করে আআসা যায় , বইগুলি সংগ্রহে রাখা যায় ।
যে সমস্ত ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং এপ্লিকেশনের মাধ্যমে একটি ব্লগ তৈরি করা সেগুলি ব্লগিং প্লাটফর্ম নামেই পরিচিত, তাই আপনার এই পোষ্টের সুবাদে বর্তমানে যেকটি জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্ম রয়েছে যথা গুগলের ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস প্রভৃতির প্রতিও রইল কৃতজ্ঞতা, এদের সহায়তা না হলেতো বই হতে ব্লগে আসাই যেতোনা।
কামনা করি এত গুণের আধার আমাদের প্রিয় সামু ব্লগটি এমনি করেই তার রঙিন আলোক বিচ্ছোরন ছড়াক দিকে দিকে ।
আপনার প্রতিউ শুভেচ্ছা রইল ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫
করুণাধারা বলেছেন: আমার পোস্ট ছিল বই থেকে ব্লগ- লেখার পর বুঝতে পারছিলাম পরিপূর্ণ হয়নি! ব্লগ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানাতে পারিনি, নিজেই কি জানতাম এতকিছু!! আপনার এই চমৎকার মন্তব্য, মন্তব্যর সাথে দেয়া ছবিটার মত আমার পোস্টকে বর্ণিল এবং পরিপূর্ণ করে তুলেছে।
তার পরেও প্রসঙ্গক্রমে ব্লগের ইতিবৃত্য নিয়ে দুচারটি কথাতো এখানে বলাই যায়। আপনার এই "দু-চারটি কথায়" ব্লগ কি, ব্লগের ধরন, ব্লগের ইতিহাস সমস্ত কিছু জানা হয়ে গেল!!! এর কিছুই আগে জানতাম না! অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনাকে, এমন চমৎকার, তথ্যবহুল একটি মন্তব্য করায় এবং প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায়।। আমার মনে হয় এই মন্তব্য পড়ে অনেকেরই ব্লগ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হবে।
কামনা করি এত গুণের আধার আমাদের প্রিয় সামু ব্লগটি এমনি করেই তার রঙিন আলোক বিচ্ছোরন ছড়াক দিকে দিকে
আমাদের সকলের এখন এটাই প্রার্থনা।
সুস্থ থাকুন, দোয়া রইল।
২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
মুজতবা আলি তো বলেই গেছেন - " রুটি-মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয়! "
ব্লগ নিয়ে এরকম কিছু কেউ লিখেছেন কিনা জানা নেই তবে আহমেদ জী এস বলেছেন----" দাবা খেলাতেও এক সময় কিস্তি মাৎ হবে, খেলার মাঠের মারামারিও এক সময় শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ব্লগখানা কালহীন উথাল পাতাল যৌবনা যদি তেমন সব ব্লগার হয়........."!
চালাক হতে কেতাব পড়েছেন। দেখি কতোটুকু চালাক হয়েছেন ---- " হরে কর কমবা জীওবা রূদেরকা রখানা, ডডনং...।"
নিষিদ্ধ বইয়ের প্রতিও খুব আকর্ষন দেখছি ! তাহলে এগুলো আপনার জন্যে----নিষিদ্ধ যতো বই .......
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: দাবা খেলাতেও এক সময় কিস্তি মাৎ হবে, খেলার মাঠের মারামারিও এক সময় শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ব্লগখানা কালহীন উথাল পাতাল যৌবনা যদি তেমন সব ব্লগার হয়........."! কেয়া বাত! কেয়া বাত! ব্লগ নিয়ে বাঁধিয়ে রাখার মতো বাণী! চমৎকার!
বুদ্ধি তেমন হয়নি এখনো, বাজি বারুদ দেখলে ভয় পাই
যে বইসব ধরিয়ে দিলেন, পড়তে পড়তেই রাত কাবার হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ।
আরো অনেক ধন্যবাদ এই চমৎকার মন্তব্য আর লাইকের জন্য।
৩০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
দুঃখিত , পুরো সিরিজটি এখানে ------নিষিদ্ধ যতো বই .......
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার ধন্যবাদ, লোলিতা বাদে সবগুলোই পড়া ছিল, কিন্তু এগুলো বারবার পড়ার মতো। তাই আবার পড়লাম। লোলিতা পড়া ছিল না। যখন বছর দশেক বয়স, তখন বাসায় রাখা ছিল দেখে পড়তে নিয়েছিলাম। কেউ আমার হাত থেকে নিয়ে বলছিল, "এটা তোমার পড়ার মতো না", তারপর আর কখনো পড়া হয়নি, এমনকি কি নিয়ে গল্প তাও জানতাম না। এখন আপনার পোস্ট থেকে জানা হলো।
৩১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:২৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একটু ব্যস্ততা পেয়ে বসেছে। সাময়িক। তবুও ব্লগের পাশে আছি, থাকবো।
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
করুণাধারা বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ! থ্যাংক ইউ! সাথে থাকার জন্য।
সেবা প্রকাশনীর একটা গল্প মনে পড়ল, পরে কখনো সারাংশ বলব।
৩২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন পোস্ট আপি। আগে বই পড়তাম,আর এখন সময়ই পাই না
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ছবি, ছাত্রজীবন সুখের জীবন... জীবনের সেই সময়ই অধিকাংশ বই পড়া হয়ে থাকে! এরপর বই পড়ার সময় আর পাওয়া যায় না তেমন, শুধু পুরনো দিনের পড়া বইয়ের জাবর কাটা...
মন্তব্য আর প্লাস এর জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
৩৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৪
নীলপরি বলেছেন: বিষয়ভাবনা ও আলোচনা ভালো লাগলো ।
++
শুভকামনা
১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি, এমন মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায়...
শুভকামনা রইল আপনার জন্যও।
৩৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
প্রতিমন্তব্যগুলোর জন্যে ধন্যবাদ।
ব্লগ যে কেবল তেমন সমৃদ্ধ ব্লগারদের পদচারণায় সুশ্রী হয়ে উঠতে পারে নববধুর মতো তেমন কথাই যে বলেছি আমার ঐ মন্তব্যে, তাতে যে আপনার সায়ও মিলেছে তাকে প্রশংসা করছি অকুন্ঠ চিত্তে।
"নিষিদ্ধ যতো বই ......." সিরিজটি পড়ার জন্যেও ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
করুণাধারা বলেছেন: আবারো ফিরে আসায় ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
আপনার জন্যেও অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৩৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২১
জুন বলেছেন: বই পড়া আমার সবচেয়ে প্রথম নেশা। পাঠ্যবই এর ফাকে গল্পের বই রেখে পড়ার কারনে স্কুলের শিক্ষকের হাতে ধরা পড়ি, সাথে সাথে বই বাজেয়াপ্ত আর সবচেয়ে ভয়ানক ছিল বইটি আরেকজনের। জীবনে কতো বই যে পড়েছি বলতে পারবো না । বই এর সাথে সাথে সেই জায়গাগুলোও মানস চোখে ভ্রমন করে চলি করুনাধারা। আমাদের বাবা মায়ের পরিবারে এমন কোন বাসা নেই যাদের বাসায় ছোট থেকে বড় এক একটি লাইব্রেরী না আছে । বই পড়া আমাদের সবার যেন রক্তে মিশে আছে । কি যে আনন্দ বইতে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না ।
এখনো আমার বিছানায় , খাটের মাথার কাছে বই থাকেই । তবে ব্লগেও আমি সুযোগ পেলেই অনেকের লেখা পড়ি।
ভালো লাগলো লেখাটি
+
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: জুন, এই সুন্দর মন্তব্যের উত্তরে অনেক কিছুই বলা যেত, কিন্তু আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছে না; কেন এমন হলো আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে জানাতে পারবো। আপাতত শুধু এই চমৎকার মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন।
৩৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকারর একটি পোস্ট, কিন্তু ০৭ জুলাই এর পর থেকে ব্লগে ঢুকতে পারি নাই দেখে আগে পড়তে পারিনি।
অনেকগুলো মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। সবচেয়ে বেশী ভাল লেগেছে মা. হাসান এর প্রথম মন্তব্যটি। তবে তিনি ব্যান খাবার আশায় বসে আছেন শুনে শংকিত বোধ করছি।
আমি জীবনে খুব বেশী বই পড়িনি। বিশ্বের নাম করা ক্লাসিকগুলো তো নয়ই। তবে সামুর ব্লগ পাঠে আমি বেশ আনন্দ পাই। আমি ছোটবেলা থেকেই একটু বোকা কিসিমের। কিন্তু সামুতে অনেক মেধাবী লেখক ও পাঠকের সাথে আমার লেখা ও পড়ার মাধ্যমে পরিচয় ঘটেছে। আমি মেধাবীদের সাহচর্য খুব পছন্দ করি। তাই ব্লগ পাঠেই আমার আনন্দ বেশী। আপনার অনেক লেখা পড়েও আমি আনন্দ পেয়েছি।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতি অনুভূত হচ্ছিল তবে শেষ পর্যন্ত আপনি আবার এসেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে।
আপনি অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করেছেন, প্লাসও দিয়েছেন। তাতে ভারাক্রান্ত মনে ভার অনেকটাই কমলো। তবে দুঃখিত, আপনার এই চমৎকার মন্তব্যের উত্তরে আমি কিছু লিখতে পারছি না। আশা করি ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না।
৩৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
কেমন আছেন ? অনেকদিন যাবত আপনাকে ব্লগে দেখছি না , কোন সমস্যা কি ? চতুর্দিকে সবাই নানান অসুখে আছে তো , তাই একটা খোঁজ করলাম । ভালো থাকুন আর আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায় রইলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: খবর নেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল, আসলেই আমি ভালো নেই। কিন্তু আমি কিছুটা ইন্ট্রোভার্ট; নিজের মনের ভার নিজে নিজে সামলানোর আগে কাউকে জানতে দিতে চাই না। তবে প্রথমে আপনাকেই জানাবো ইনশাল্লাহ, যেহেতু আপনিই প্রথম জানতে চেয়েছেন। শুভকামনা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, উত্তর নিয়ে ফিরে এলাম।
আজ থেকে ঠিক তিন সপ্তাহ আগে এমন বুধবারে ভোরে আমার মা ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, পরদিন ১৮ তারিখ জুলাই, বৃহস্পতিবার ফজরের সময় তিনি চলে যান আমাদের ছেড়ে। অতি শৈশবে বাবাকে হারানোর পর মা-ই ছিলেন আমাদের আশ্রয়, শেষ দিনটি পর্যন্ত তিনি আমাদের নানা বিপর্যয়ের সময় ছাতার মতো হয়ে ছিলেন। তার চলে যাওয়া নিয়ে দুঃখ করিনা, আল্লাহ তাকে যতদিন হায়াত দিয়েছিলেন তিনি ততদিনই ছিলেন ; কিন্তু আমি এই গভীর পরিতাপ থেকে বের হতে পারছি না- কেন তাকে আরেকটু সময় দিই নি একথা ভেবে! আমার বাসা থেকে মায়ের বাসা গাড়িতে গেলে ১৫ মিনিট, হেঁটেও যাওয়া যেত আবহাওয়া ভালো থাকলে। কেন যাইনি!!
এসব ভেবে এখন ভাবনাগুলোকে সুস্থির করে মন্তব্য বা পোস্ট কোন কিছুই দিতে পারছি না। একটি মাত্র পোস্ট দিয়েছিলাম, তাও সেই গভীর পরিতাপ থেকে।
আমার মায়ের জন্য আপনার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
৩৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: হয়তো আমি দ্বিতীয়, কিংবা তারও অনেক পরে, তবুও, আমিও জানতে চাই। আপত্তি বা অসুবিধা না থকলেই তবে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪০
করুণাধারা বলেছেন: আপনি দ্বিতীয়, কিন্তু আপনার মন্তব্য পেয়ে মনে হল কিছু জানানো দরকার, ঠিকমতো লিখতে না পারলেও।
আজ থেকে ঠিক তিন সপ্তাহ আগে এমন বুধবারে ভোরে আমার মা ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, পরদিন ১৮ তারিখ জুলাই, বৃহস্পতিবার ফজরের সময় তিনি চলে যান আমাদের ছেড়ে। অতি শৈশবে বাবাকে হারানোর পর মা-ই ছিলেন আমাদের আশ্রয়, শেষ দিনটি পর্যন্ত তিনি আমাদের নানা বিপর্যয়ের সময় ছাতার মতো হয়ে ছিলেন। তার চলে যাওয়া নিয়ে দুঃখ করিনা, আল্লাহ তাকে যতদিন হায়াত দিয়েছিলেন তিনি ততদিনই ছিলেন ; কিন্তু আমি এই গভীর পরিতাপ থেকে বের হতে পারছি না- কেন তাকে আরেকটু সময় দিই নি একথা ভেবে! আমার বাসা থেকে মায়ের বাসা গাড়িতে গেলে ১৫ মিনিট, হেঁটেও যাওয়া যেত আবহাওয়া ভালো থাকলে। কেন যাইনি!!
জীবন হয়তো এরকমই, কোন কিছু হারিয়ে গেলে তার মূল্য বুঝতে পারি। এখন বেশিরভাগ সময় কোরআন শরীফ পড়ি, ভাবনাগুলোকে সুস্থির করে মন্তব্য বা পোস্ট কোন কিছুই দিতে পারছি না। একটি মাত্র পোস্ট দিয়েছিলাম, তাও সেই গভীর পরিতাপ থেকে।
আমার মায়ের জন্য আপনার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
৩৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত খবর শুনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না । অবশ্যই মুনাজাতে খালাম্মার জন্য দোয়া করবো। মহান আল্লাহ খালাম্মাকে বেহেস্ত নসিব করুন এবং আপনাদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন। কি সান্তনা দেবো, ভাষা নাই ।আজ ঠিক ২২
দিন হলো । খতম,কোরআন তেলোয়াত করা ছাড়া জানি এখন আপনার আর কিছুই ভালো লাগবে না । আপনার জন্য দোয়া করি শোক কাটিয়ে উঠুন।
আমার এই মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার দরকার নেই ,আপনিও ভালো থাকুন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
করুণাধারা বলেছেন: এমন সহানুভূতিপূর্ণ মন্তব্যর জবাব না দিয়ে কি পারা যায়!! দেরি করে হলেও তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি মুক্তা নীল। হ্যাঁ প্রথম কিছুদিন কোরআন খতম আর দোয়া, সদকা করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এখনো সব সময় দোয়া করছি।
শুভকামনা রইল
৪০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কেমন আছেন ?
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
করুণাধারা বলেছেন: ভালো।
আমার ব্লগে এসে কুশল জানতে চাওয়ায় অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন আপনিও।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বুকিং দিলাম। পরে আসছি।