নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে কয়েক লাইনের যে পোস্ট দিয়ে ঝড় বইয়ে দিলেন তানজিম হাসান সাকিব, আমি অন্তর্জাল খুঁজে বের করলাম সেই পোস্টে তানজিম কী লিখেছিলেন। কথাগুলো এই:
'স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।'
'ভার্সিটির ফ্রি মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না।'
সূত্র: ফেসবুকে নারীদের নিয়ে সাকিবের আপত্তিকর পোস্ট
তানজিমের এই কথাগুলো নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক, অবমাননাকর, নিঃসন্দেহে। কিন্তু এই কথাগুলো বলে সে বাংলাদেশের নারীদের সম্মান আকাশ থেকে নামিয়ে একেবারে পাতালে চাপা দিয়েছে, এমনটা নয়! প্রথমত এদেশে নারীর সম্মান তো কেবল পুরুষের মুখে মুখেই, ভিড়ের বাসে কিংবা ভিড়ের বাজারে যাওয়া প্রতিটি নারীই একথা খুব ভালোভাবে জানে!! মুক্ত চিন্তার ধারক ও বাহক বলে সমাজের উঁচু তলার যে পুরুষের পরিচয়, আদতে তিনি নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীকে কেবল ভোগের সামগ্রী হিসেবেই ব্যবহার করেন। উদাহরণ দিচ্ছি না, দিতে গেলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে।
সামুতে আসি! এখানে যেভাবে অনেকে তানজিমের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছেন, শাস্তি দাবী করছেন, তাতে মনে হচ্ছে যেন আমাদের সকল ব্লগারেরা নারীদের প্রতি খুব সম্মানের ভাব পোষন করেন, সংসারে তাদের সমানাধিকার দেন, নারীদের খুব তাজিম (সম্মান) করেন, ইত্যাদি! এটা বড় ভন্ডামি!! যারা এখন তানজিম ইস্যুতে সোচ্চার হয়ে হয়েছেন, তাদের কেউ কেউ মনে করেন নারী কেবলমাত্র সন্তান জন্ম দানের মেশিন, ঘর সাজানোর জিনিস (উচ্চ শিক্ষিত মেয়েকে বউ করে এনে তাকে চাকরি করতে না দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখতে চান), নারীদের কোন ইচ্ছা অনিচ্ছার মর্যাদা রক্ষার দরকার নেই!! এমন মনে করা মানুষদের অনেক ব্লগাররাই সমর্থন করেন দেখেছি!! এই দ্বিচারিতা একটু পরে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করছি।
তার আগে বলি, যখন নারীর বিরুদ্ধে সত্যিই খুব বড় অন্যায় করা হয় এরা তখন সেগুলো দেখেও না দেখার ভাব করছেন!! সৌদি দূতাবাসের ধর্ষকের ঘটনা ধরা যাক। উপরে আমি যে ছবি দিয়েছি, তা সৌদিআরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত এক ধর্ষক উপসচিবের। ছবি এবং খবরের সূত্র এখানে view this link
আমরা সকলেই জানি, এদেশের অসহায়, অশিক্ষিত, দরিদ্র মেয়েরা সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানো হয় বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করার জন্য। সেখানে গৃহের সকল কর্ম করার সাথে সাথে তারা নিয়মিত গৃহকর্তা দ্বারা ধর্ষিত হয়। তাদের কেউ আত্মহত্যা করে, কেউ অজানা কারণে মারা যায় এবং কিছু সংখ্যক পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নিতে সমর্থ হয়। তাদের আশ্রয় দেবার জন্য দূতাবাসে সেফ হোম আছে, তারা সেখানে থাকতে পারে যতদিন দেশে ফেরার ব্যবস্থা না হয়। এমন কিছু মেয়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল দূতাবাসের মেহেদী নামের এই উপসচিবের উপর। রক্ষক হয়ে গেল ভক্ষক!! মেহেদী আশ্রয় নেয়া এই নির্যাতিত মেয়েগুলোকে ধর্ষণ করে, এবং একসময় তার এই ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়। সে যে সত্যি মেয়েগুলোকে ধর্ষণ করেছে এটা প্রমাণিত হয় এবং এর শাস্তিস্বরূপ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ধর্ষকের শাস্তি এতটুকুই, শুধুমাত্র চাকুরীচ্যুতি। কোন জেল জরিমানা হয়নি, মৃত্যুদণ্ড তো দূরের কথা!! অথচ ২০২০ সালের নভেম্বরে আইন পাস করে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়। সূত্র এখানে: view this link
লোকটির এ হেন হীন কর্মের বিরুদ্ধে, কিংবা তার শাস্তি না হওয়ায় মুক্ত চিন্তার ধারক বাহকেরা বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি, নিন্দার ঝড় তোলা দূরে থাক!! মনে হয় নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ আর অবমাননা হয় কেবল ফেসবুকে পোস্ট দিলে, ধর্ষণ করলে করলে কোনো কিছু হয়না!!
এবার আসি সামুর যে পোস্টটিকে আমার নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর মনে হয়েছে, সেই পোস্টের কথায়। সেসময় আমি কেবল পোস্ট পড়তাম, লগইন করতাম না যেহেতু তাই পোস্ট পড়ে খুব রাগ লাগলেও মন্তব্য করা হয়নি। খুব আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম সেই পোস্টে প্রতিবাদী মন্তব্য করেছে একমাত্র মিরোরডডল, বাকিরা তেলতেলে মন্তব্য করে গেছেন পোস্টদাতার সম্মানে!! মিরোরডডলের মন্তব্য মুছে দিয়ে সেই পোস্ট রেখে দিয়েছিলেন পোস্টাদাতা এতদিন, কিন্তু সম্প্রতি পুরো পোস্টটাই মুছে দিয়েছেন তাই লিঙ্ক দিতে পারলাম না। কিন্তু পোস্ট থেকে দুটি স্ক্রিনশট দিলাম।
তানজিম নারীর অবমাননা করলো, আর এই ব্লগার খুব সম্মান করলেন নাকি!!
এই পোস্টের প্রসঙ্গ মিরোরডডল সম্প্রতি এক মন্তব্যে উল্লেখ করেছে। সেই স্ক্রিনশটও দিলাম।
একমাত্র মিরোরডডলই সেই পোস্টকে অবমাননাকর বলে মনে রেখেছে। আমার এই পোস্ট তাই মিরোরডডলের প্রতি admiration জানানোর জন্য, আর সকলের প্রতি অনুরোধ জানানোর জন্য যে, নারীকে সম্মান জানান, মন থেকে।
‘যারে তুমি নিচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নিচে
পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
অজ্ঞানের অন্ধকারে
আড়ালে ঢাকিছ যারে
তোমার মঙ্গল ঢাকি গড়িছে সে ঘোর ব্যবধান।"
(দুর্ভাগা দেশ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
প্রথম ছবির সূত্র: প্রথম লিঙ্কে দেয়া।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪১
করুণাধারা বলেছেন: এই দেশে কোন এর বিচার হয়েছে? নাহ্, এমন কোনো কিছু শোনা যায় নি!
অনেক অগ্রজকে দেখেছি পরে আবার জিজ্ঞেস করেছে পুত্রবধূ পেলেন ? কী আশ্চর্যকর অবস্থা ! আমি সেদিন হতভম্ব হয়ে পড়ছিলাম সব । নির্বহনের কী দারুণ স্মরণ শক্তি আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা! আমি ভেবেছিলাম শুধু আমিই ওই পোস্ট ফলো করেছি, আর দিন দিন শুধু ক্ষুব্ধ এবং দুঃখিত হয়েছি এটা দেখে, কিভাবে কয়েকজন ব্লগার উৎসাহ নিয়ে তারজন্য পাত্রীর সন্ধানে নেমে পড়েছিলেন! পরেও অনেকে খোঁজ করেছে পাত্রী পেয়েছেন কিনা! অথচ কেউ তাঁকে বলেনি, বুয়েটে অথবা ঢাকা মেডিকেলে পড়া (উনার চাহিদা অনুযায়ী) মেয়ে তার অর্জিত বিদ্যা কাজে লাগাতে চাইবে, তাকে সে সুযোগ না দিয়ে ঘরের কাজের জন্য রাখা একটা অন্যায় আবদার। তাছাড়া পুত্রবধূ জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, এমন শর্ত দেয়া অন্যায় এটাও কেউ বলল না! এই কথাগুলো কি নারীর পক্ষে অবমাননাকর না?
তানজিম সাকিবের বিরুদ্ধে এই বিষোদগার দেখে এইসব কথা মনে পড়লো!
প্রথম মন্তব্যে ও প্রথম প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নির্বহন!
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: সৌদিতে বাংলাদেশ দুতাবাসের কাহিনী আপনার পোস্টেই পড়লাম। তারমানে গনমাধ্যমে গুরুত্বই পায়নি !!!! কিছু বলার ভাষা আর নাই।
তানজিম সাকিব মাত্র ২০ বছরের এক তরুন। যে পারিপার্শিকতায় সে বড় হয়েছে , সেই মানসিকতাইতো সে ধারন করবে। অল্প বয়সীদের এ ধরনের কলুষিত মনমানসিকতা ধারনের দায় বর্তায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , পরিবার ও আমাদের ঘুনে ধরা সমাজের উপর। কেন আমাদের তরুনেরা সঠিক নীতি নৈ্তিকতার শিক্ষা পাচ্ছে না? প্রশ্ন ওঠা উচিত সেটা নিয়ে। তা না করে তার ফেসবুক স্ট্যটাস নিয়ে তাকে তুলোধোনা করা হয়েছে সম্পুর্ন রাজনৈ্তিক কারনে।
আর ব্লগার জগতারনের যে পোস্টের কথা আপনি উল্ল্যেখ করেছেন তার বিরুদ্ধে শুধু মিরর ডডল আপু নয় ব্লগের বেশিরভাগ ব্লগারই প্রতিবাদ করেছিলেন। এমন বাজে পোস্টের পক্ষে কাউকে কমেন্ট করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০২
করুণাধারা বলেছেন: এই খবর গণমাধ্যমে এসেছে খুব গুরুত্বহীন ভাবে, তাই আপনার চোখে পড়েনি। অবাক লেগেছে, নারীবাদী কিংবা সুশীল সমাজের কেউ এই লোকটির শাস্তির দাবি করেনি। অথচ আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা মাত্র যাচাই না করে গ্রেফতার করার বিধান আছে।
এমন অনেক অন্যায়ের খবর প্রতিদিন পত্রিকায় ছোট করে হলেও আসে। সেসব নিয়ে যদি এমন তোলপাড় হতো তাহলে হয়তো অন্যায়ের মাত্রা কিছুটা হলেও কমতো। তা না করে তানজিম সাকিবের লেখার বিরুদ্ধে তোলপাড় হল। তাতে লাভ হলো কার সেটা কে বলবে!
পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন দেখে আমি তার নাম উল্লেখ করিনি, কিন্তু আপনার দেখছি মনে আছে!! কিন্তু আমি মনে করতে পারছি না কে কে প্রতিবাদ করেছিলেন, বরং অনেকেই তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেবার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে। তবে এখন আর সেই নামগুলো না বলি! মোট কথা আমি বলতে চাচ্ছিলাম, একইরকম পোস্ট দিয়ে একজন হয় নিন্দিত আর আরেকজন হয় বন্দিত!
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: সামুতে এইরকম মাল ঘাপটি মেরে আরো আছে এবং তাদের তেল দেবার মত ব্লগারও আছে- আপনি ঠিক বলেছেন।
এই দেশের ৯৯ ভাগ পুরুষ মুখে যাই বলুক প্রকাশ যাই করুক অন্তরে কি আছে সেটা আমার ভাল করেই জানা আছে। আমি নিজেই ভন্ডের দলে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১২
করুণাধারা বলেছেন: আমি নিজেই ভন্ডের দলে। নাহ্, এটা ঠিক না শেরজা।
আমরা যদি একটু সহানুভূতি দিয়ে বিবেচনা করি, নারীর মনেও স্বপ্ন, আত্মসম্মানবোধ, ভালবাসা আর নিজের পায়ে দাঁড়াবার আকাঙ্ক্ষা থাকে, তার এই অনুভূতিগুলোকে করি তাহলে হয়তো অনেক কিছুই বদলে যেত। জানিনা কখনো এমন হবে কিনা!! শিক্ষার অভাব কি এমন কুপমন্ডুক করে তুলছে আমাদের!!
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০১
আমি সাজিদ বলেছেন: যাকে নিয়ে বলেছেন, ওই লোক তাহলে বিধর্মীর দেশ থেকে কি করে? উনার কথাবার্তা কিছুটা অসংগতি আছে।
আর সৌদি হারামজাদারা বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ান মেয়েদের ঘরের চাকর বানিয়ে কি করে তা নিয়ে তো কম পড়ি নাই।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: যাকে নিয়ে বলেছেন, ওই লোক তাহলে বিধর্মীর দেশ থেকে কি করে? উনার কথাবার্তা কিছুটা অসংগতি আছে
ঠিক কথা! এই প্রশ্ন তাকে কেন কেউ করলো না জানি না। তবে নারীকে অবদমনের তার এই মানসিকতার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। নারীকে অবদমনের এই মানসিকতার নিন্দা করা কাম্য ছিল।
সৌদিরা আমাদের দেশের মেয়েদের উপর নির্যাতন করে সেটা জেনেও কেন পাঠানো হয়? তাদের দেখাশোনার জন্য আছে বাংলাদেশ দূতাবাস। অথচ সেই দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা মেয়েগুলোকে ধর্ষণ করছেন। এক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তার আচরণের প্রতিবাদ না করে সৌদিদের আচরণের প্রতিবাদ করলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
সৌদীতে বাংলাদেশ দুতাবাসে ধর্ষণের ঘটনা আপনি জানার পর, আপনি কোন পোষ্ট দিয়েছিলেন? আপনার পোষ্ট থেকে আজ জানলাম এই ঘটনা সম্পর্কে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
করুণাধারা বলেছেন: না, দেইনি। এটা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সকলে জানে। আমি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর নিয়ে লিখিনা; পোস্টের
সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় এখানে ঘটনাটি উল্লেখ করেছি মাত্র।
Rape in Bangladesh embassy Saudi Arabia লিখে সার্চ দিলে এমন অনেক খবর আসবে।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৪
আরোগ্য বলেছেন: আপা, তানজিম সাকিবের কথাগুলো ইসলামী বক্তা আবু বকর জাকারিয়ার,, তার নিজের কথা না এগুলো, সে।শুধু শেয়ার করেছেন। view this link। অনেক সময় আমরা আবেগের বশে অনেক কথা বলে ফেলি, যা ইসলামকে অবমাননা করে । ইসলাম নারীদের পূর্ণ সম্মান ও নিরাপত্তামূলক স্বাধীনতা দিয়েছেন, পেশার ক্ষেত্রেও একই। তানজিম ইস্যুটা মূলত ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর পায়তারা। যখন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লীগ নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করে, টাকলা মুরাদ মাহিয়া মাহিকে অশালীন অশ্রাব্য ভাষায় কথা শুনায় তখন তো এতো হাউকাউ শোনা যায় না। সব দ্বিচারিতা।
ব্লগের সেই পোস্ট তো আমিও পড়েছিলাম। যতদূর মনে পড়ে উনি একজন প্রবীণ ব্লগার । তাই হয়তো কেউ তেমন প্রতিবাদ করে নি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১
করুণাধারা বলেছেন: আগে একবার প্রতিমন্তব্য লিখলাম, এখন দেখছি সেটা নেই!!
আমাদের দেশে যাদের ধর্মীয় জ্ঞান অল্প, কিংবা বয়স কম তারা অনেক সময় ভালো মতো না বুঝেই ধর্মীয় পোস্ট শেয়ার করে। তানজিমের বেলায় হয়তো সেটাই হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে নারী বিদ্বেষী, বৈষম্যবাদী। ঠিক আছে, সে তাই হলো। কিন্তু এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে যে ঘৃণার তুফান উঠেছে, এমন তুফান যদি ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে উঠতো তবে আমাদের দেশে ধর্ষণের এই মহামারী হতো না। নাকি ধর্ষণের অপরাধ তানজিমের পোস্ট দেয়ার তুলনায় তুচ্ছ!!
প্রবীন ব্লগারের দেয়া নারীর বিরুদ্ধে সেই অবমাননাকর পোস্টে অনেকেই তাকে সমর্থন করেছেন। এটা দেখে ব্লগারদের প্রতি আমার ধারণা পাল্টে গেছে।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
কথাগুলো "তানজিম সাকিবের"হোক বা না হোক ( ব্লগার আরোগ্য দ্রষ্টব্য) সত্যটা এই যে, সেই আদিম কাল থেকে পুরুষেরা নারীদের যে চোখে দেখে এসেছে বা নারীদের যে "ট্যাগ" দিয়ে রেখেছে, তা থেকে পুরুষেরা আজও বেরুতে পারেনি, যতো কথাই তারা এভাবে কিম্বা ওভাবে বলুক না কেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ধারনার চর্চ্চাই করে গেছে কারন এতে তার লাভ-ই বেশী। পুরুষের "ডি-এন-এ"তে এই লাভের অংকটিই প্রোথিত আছে। এ থেকে পুরুষ বেরুতে পারবেনা কখনও।
তবুও এইসব নিয়ে আমরা মাঝেমাঝে সরব হই বটে কিন্তু ঐ পর্য্যন্তই। পুরুষ সেই পুরুষই থেকে যায়.................
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
করুণাধারা বলেছেন: কথাগুলো "তানজিম সাকিবের"হোক বা না হোক ( ব্লগার আরোগ্য দ্রষ্টব্য) সত্যটা এই যে, সেই আদিম কাল থেকে পুরুষেরা নারীদের যে চোখে দেখে এসেছে বা নারীদের যে "ট্যাগ" দিয়ে রেখেছে, তা থেকে পুরুষেরা আজও বেরুতে পারেনি, যতো কথাই তারা এভাবে কিম্বা ওভাবে বলুক না কেন।
১০০% একমত। এত কম বয়সের একজন তরুণের মনে এমন বৈষম্যমূলক চিন্তা কেন আসে!! আবার একজন প্রবীণ ব্যক্তিও একইভাবে ভাবেন!! আরেকজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি নারীর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ক্রমাগত ধর্ষণ করে গেছেন যতদিন পর্যন্ত জানাজানি না হয়েছে!!! এদের কারো মনে নারীদের প্রতি শুধুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ আমি মনে করি না।
এরা আমাদের জাতির পুরুষের প্রতিনিধি। বোঝা যাচ্ছে, এই নারী বিদ্বেষীভাবের শিকড় কেবলই গভীরে যাচ্ছে। ফলে জাতি হিসেবে আমাদের উন্নতির গতি কেবলই শ্লথ হচ্ছে!
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: তামজিনের পোষ্টের থেকে বড় বিষয় হলো তার মানসিকতা। কোন মানসিকতায় সে গড়ে উঠছে।সে উগ্র মানসিকতার ধারক বাহক।তাকে থামাতে হবে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২২
করুণাধারা বলেছেন: সে উগ্র মানসিকতার ধারক বাহক।তাকে থামাতে হবে
আপনার কি মনে হচ্ছে আমাদের দেশে একমাত্র সেই উগ্র মানসিকতার ধারক বাহক? তাকে থামিয়ে দিলেই কি আমাদের দেশ নারীদের অবাধ বিচরণের স্থানে পরিণত হবে বলে আপনার মনে হচ্ছে?
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,কথায় যুক্তি আছে তবে কি জানেন মাঝা মাঝি স্থানে থাকাটাই উত্তম। সৌদি আরব এর ঘটনা গুলো সত্য আপনি ঠিক বলছেন জাতি হিসাবে এই দুর্ঘটনা গুলোর দায় ভার আমাদের সবার নিতে হবে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯
করুণাধারা বলেছেন: আমি আসলে বুঝতে পারলাম না মাঝামাঝি থাকাটা উত্তম বলে আপনি কি বোঝাতে চাইলেন!!
সৌদি আরবের ঘটনাগুলো সত্য বলে বলেছেন। কোন ঘটনাগুলো? এই যে আমাদের দেশ থেকে দরিদ্র মেয়েগুলো গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যায়, তারপর সেখানকার গৃহকর্তাদের দ্বারা ধর্ষিত হয়, কখনো কখনো তাদের লাশ দেশে ফিরে আসে, এটা? এর দায়ভার জাতি হিসেবে কেন আমাদের নিতে হবে? সব জেনে বুঝে কে তাদের ধর্ষিতা হতে পাঠাচ্ছে?
আর এই যে, রক্ষক ভক্ষক হয়ে দূতাবাসের উপসচিব নির্যাতিত মেয়েগুলোকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করলেন, তার দায়ও কি আমাদেরই নিতে হবে?
১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২৩
অগ্নিবেশ বলেছেন: জাকারিয়া সাহেব হলেন আমার জানামতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী স্কলার, যদি ইসলাম শিখি তার কাছ থেকেই শিখব। ব্লগের হাফ মুসলমানেরা বা পাড়ার ছক্কু মোল্লারা কি বলে তাতে ইসলামের কি যায় আসে? সাকিব জাকারিয়া সাহেবের কাছ থেকেই ইসলাম শিখেছে। ইসলাম মতে সেই সঠিক। ব্লগের আপনারা ইসলামও মানবেন আবার জীবিকার প্রয়জনে ইহুদী নাসারাদের দেশে পাড়ি জমাবেন, মা বেটিদের বাইরের কাজে পাঠবেন? ইসলাম মানতে হলে কোরান হাদিসে যা লেখা আছে হুবহু তাই মানতে হবে, অন্যথায় অভিনয় করে লাভ কি?
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক। আমি পোষ্টের কোথাও জাকারিয়া সাহেব, ইসলাম, কোরআন হাদিস, এসব কিছু বলিনি। আপনি কেন এসব কথা আনছেন? যদি পারেন পোস্টে যা লেখা আছে সেগুলো সম্পর্কে মন্তব্য করুন।
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
জুন বলেছেন: আমি সাজিদের মন্তব্যের সাথে একমত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দ্বিচারিতা ভাবতেও ঘৃনা হয়।
লেখায় প্লাস করুনাধারা +
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: আমি সাজিদের মন্তব্যের সাথে একমত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দ্বিচারিতা ভাবতেও ঘৃনা হয়।
আমি ভাবছিলাম মন্তব্য রাজিব নূর করেছেন! এখন দেখছি জুন!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, জুন।
১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭
নতুন বলেছেন: ধর্ষনের ক্ষেত্রে আমাদের পুরুষ সমাজের বেশিরভাগই ধর্ষকের পক্ষে সাহাজ্য করে।
কয়েক বছর আগে আমার বাবার কাছে এক ধর্ষকের পক্ষ থেকে সাহাজ্য করার জন্য তদবির এসেছিলো, আমি ঘটনা ক্রমে তখন ফোন করেছিলাম, কথায় কথায় বাবা বলেছিলেন যে ঐমুক এসেছে এই ব্যাপারে পরামর্শ চাইতে।
তখন বাবাকে তাদের মানা করেদিতে বলেছিলাম যে এই ব্যাপারে কোন সাহাজ্য করতে পারবেন না। কারন সেই ছেলে আসলেই অপরাধী। বাবা তাদের নিষেধ করেছিলেন।
সেই ছেলে এখন কেস থেকে মুক্তি পেয়ে সৌদি আরবে আছে। সেই ভিডিও এখনো অনলাইনে আছে, টাকা থাকলে দেশে সব কিছু থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়।
সাকিবের পোস্টে তার মনমানুষিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। আসলে এটাতে আমাদের সমাজের ভন্ডামীর মুখোস দেখা যায়।
যেই খেলায় খেলতে গিয়ে নামাজ কাজা করতে হয়। এবং তার চমতকার পারর্ফমেন্স দেখতে গিয়ে লাখো মানুষ নামাজ কাজা করে সেটাতে তিনি আয়ের পথ হিসেবে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্য নছিওত করছেন ধর্ম অনুসরনের জন্য!!!!
হাজার হাজার মানুষ তাকে সমর্থন করছেন কিন্তু তাকে কেউ বলছেন না। যে তিনি কেন নামাজ কাজা করতে হয় তেমন একটা খেলাকে জীবিকা হিসেবে নিয়েছেন!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: আমাদের দেশে ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে নতুন আইন পাশ হয় নভেম্বর ২০২০, যে সংক্রান্ত খবরের একটি লিংক আমি দিয়েছি পোস্টে। এটি এমন অপরাধ যে কেউ ধর্ষণের অভিযোগ করলে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় প্রমাণ ছাড়া। সে যে ধর্ষণ করেনি এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার!
কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষক ছাড়া পেয়ে যায়, যেমন আপনি উল্লেখ করেছেন। আপনার বাবা তাকে সাহায্য করেননি কিন্তু অন্য কেউ সাহায্য করেছে ,এবং সে এখন মুক্ত!!
ধর্ষণ করে শাস্তি না হওয়ার এই কালচারের কারণেই আমাদের দেশে ধর্ষণ এমন বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কাউকে তেমন প্রতিবাদ করতে দেখিনি। আপনি হয়তো একমাত্র যে, নীরবে মেনে নেওয়ার চাইতে প্রতিবাদ করেছিলেন।
আমাদের দেশে একটা ট্রেন্ড হয়েছে ইসলাম সম্পর্কে খুব কম জেনে ইসলামিক পোস্ট দেয়া। এটাকে অনেকে পূর্ণ জ্ঞান করে। তানজিম সাকিব নিশ্চয়ই এভাবেই পোস্ট দিয়েছে। আমি নিশ্চিত পোস্টের নিচে সকলে আমিন আমিন বলেছে। ধর্মীয় জ্ঞান এদের এত কম যে, জানেই না যে নামাজ কাজা করে খেলা যায় না!!
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজন পিতা কিভাবে ছেলের বিয়ে বিজ্ঞাপনে এত ভয়ানক অশ্লিল অসভ্য বিজ্ঞাপন দেয়?
মিরোর খারাপ কি বললো, ডিজগাষ্টিং বলেছে। খুব সামান্যই বলেছে।
আশ্রিত গৃহকর্মীদের অভিযোগ পেয়ে দূতাবাসে কাউন্সেলরের দায়িত্বে থাকা মেহেদী হাসানকে দ্রুতই বর্খাস্ত করে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এর পর মিডিয়া জেনেছে সরকারের কাছ থেকে। বিভাগিয় মামলা এরপর তাকে চুড়ান্ত ভাবে বর্খাস্ত করে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্রথমআলো এমন ভাবে রিপোর্ট করেছিল যেন প্রথমআলোর অভিযোগ পেয়ে সরকার ব্যাবস্থা নিয়েছে।
এই ধর্ষককে কিন্তু কোথাও কেউ সমর্থন করেনি কোথাও, কিন্তু তাঞ্জিমের মানবতা সভ্যতা বিরোধি মন্তব্যকে অনেকেই সমর্থন করেছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
করুণাধারা বলেছেন: শুধু অশ্লীল অসভ্য নয়, এটা ছিল চরম নারী বিদ্বেষী পোস্ট। অথচ ব্লগারদের অনেকেই ঘটকালি করতে এগিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু তার ক্রাইটেরিয়া মেনে পাত্রী জোগাড় করতে পারেননি।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে আইন খুব কড়া। ২০২০ সালে নভেম্বরের যে আইন পাশ হয় তাতে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ করা হলে অভিযুক্তকে কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই গ্রেফতার করা হবে। এর কোন জামিন হবে না। ধর্ষণ সে করেনি এটা প্রমাণ করার দায় অভিযুক্তের।
রক্ষক ভক্ষক হয়েছিল সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে। দিনের পর দিন মেহেদী আশ্রিতা মেয়েদের ধর্ষণ করে গেছে। তাকে জেলে নেয়া হয়নি। জেলে নিলে অটোমেটিক্যালি তার চাকরি চলে যেত। এত বড় একটা অপরাধ করেছে তার শাস্তি কেবল চাকুরীচ্যুতি। সে অন্য কোথাও চাকরি নেবে, উৎসাহিত হবে আরো নারীদের ধর্ষণ করতে। তাকে দেখে অন্যরা উৎসাহিত হবে ধর্ষণ করতে, কারণ দেখা যাচ্ছে এত বড় অপরাধ করেও মাফ পাওয়া যায়।
এই লোকের অপরাধের তুলনায় তানজিমের অপরাধ সমুদ্রের কাছে এক আঁজলা জল মাত্র।
১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
করুণাধারা বলেছেন: জানিনা কি ভেবে মন্তব্য করলেন। তবে মন্তব্য ভালো হয়েছে, প্রাসঙ্গিক হয়েছে।
১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ধারাপু, যতদূর মনে পড়ে ব্লগার কলাবাগানও প্রোটেস্ট করেছিলো।
তবে এটা ঠিক, কিছু ব্লগার এমনভাবে বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলেন লেখকের সাথে, যেনো এরকম বিজ্ঞাপন খুব স্বাভাবিক।
কি বলবো, স্পিচলেস!
এরকম অবমাননা চরম হতাশার।
আমি আবার কিছুক্ষণ পরে আসছি মন্তব্যে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
করুণাধারা বলেছেন: ঐ পোস্টে কলাবাগানের মন্তব্যের কথা মনে করতে পারছি না।
আমার বক্তব্য ছিল, নারীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য অনেকেই করেন, ফেসবুকে আর সামুতে। ঘৃণা সকলকেই করতে হবে।
আমাদের দেশের মুক্ত চিন্তার ধারক বাহক পুরুষেরা অধিকাংশই মুখে যা বলেন মনে তার বিপরীতটাই পোষণ করেন। কাজও করেন তেমনি। এবারের বই মেলাতে এক নারী লেখক এমন অনেকের মুখোশ উম্মোচন করেছিলেন, কিন্তু বইটার নাম মনে করতে পারছিনা এখন। যারা নিজেদের উচ্চ মানসিকতা নিয়ে উচ্চকিত, তাদের অনেকেই খুব হীন মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
আমি ভেবেছিলাম এই পোস্ট দেখে অনেকেই বলবেন যে, আমার উল্লেখিত এমন কোন পোস্ট কখনোই ব্লগে কেউ দেয়নি। সেজন্য স্ক্রীণশট দিয়েছি (যেহেতু লিঙ্ক দিতে পারলাম না)! তোমার কথা উল্লেখ করলাম, সবাইকে জানাতে তুমি প্রতিবাদ করেছিলে।
১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
জ্যাকেল বলেছেন: ময়ুরের পুচ্ছে কাকের শ্রী বৃদ্ধি হয় না। পশ্চিমা চোখে আমাদের দেশের মানুষকে দেখলে সে উল্টা-পাল্টা দেখবেই। তবে একটা ব্যাপার বলি- তানজিম সাকিবের মতো ছেলেপিলে আরো হওয়া দরকার আছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: তানজিম সাকিবের মতো ছেলেপিলে আরো হওয়া দরকার আছে।
ভালো বলেছেন!
১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
তানজিম যা বলেছে, এগুলো আমাদের দেশের আরও হাজার হাজার তানজিমের কথা।
এই দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ আমাদের চারপাশে অনেক আছে, যারা মেয়েদের মানুষ মনে করে না এবং তাদের অসম্মান করে।
নিজে থেকে সচেতন না হলে, মানুষ বলে এদের ভাবনায় পরিবর্তন আনতে পারবে না।
যদি এরকম স্ট্যাটাস রাম শাম ,যদু মধু বলতো, কেউ সেটা নিয়ে বিরক্ত হতো না।
তানজিমকে নিয়ে আলোচনার কারণ সে একজন সেলিব্রেটি।
পাবলিক ফিগার চাইলেই যা খুশি তা বলতে পারে না বা বলা উচিত না।
কারণ তাদের লক্ষ লক্ষ ফ্যান ফলোয়ার ব্যাডলি ইনফ্লুয়েন্সড হয়।
যাই হোক, যেহেতু তার বয়স অল্প, আশা করি সময়ের সাথে তার বোধগম্য হবে।
জনগণের চাপে পড়ে না, সত্যিকার অর্থেই যেন তার চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
করুণাধারা বলেছেন: তানজিম সেলিব্রিটি নয়, জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে সে ভালো খেলেছিল। মাত্র একদিনে কেউ সেলিব্রেটি হয় না।
এই পোস্ট নিয়ে এত মাতামাতি না হলে সে সেলিব্রেটির মর্যাদা পেতো না। একদিন, একটা খেলায় ভালো করলেই সেলিব্রিটি হওয়া যায়!!
মনে হচ্ছে সে এমন সেলিব্রিটি যে, তার পোস্ট পড়ে দেশের সকল পুরুষেরা নারীদের ঘরে বসিয়ে রাখতে শুরু করবে, সেজন্য সকলে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে।
১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
সৌদি আরবে গৃহকর্মীর ঘটনা পড়ার শুরুতেই মনে হয়েছে এরাতো রক্ষকই ভক্ষক।
তারপর দেখলাম ধারাপুও তাই লিখেছে। এই অন্যায়ের কোন ক্ষমা নেই। কিন্তু কোথায় বিচার???
দেশে কত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যার বিচার হয় না, তাদের বিচার চাওয়া মানেই হতাশা।
সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানো এটাই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা উচিত।
একটা দুটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, ম্যাক্সিমাম কর্মীদের একই পরিণতি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
করুণাধারা বলেছেন: দেশে কত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যার বিচার হয় না, তাদের বিচার চাওয়া মানেই হতাশা।
সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানো এটাই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা উচিত।
একটা দুটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, ম্যাক্সিমাম কর্মীদের একই পরিণতি।
আমারও হতাশা। পোস্টটা ঠিকমতো লিখতে পারিনি। এতজন কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন, নাহলে এই পোস্ট ড্রাফট করে নিতাম।
সৌদি আরবে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করা উচিত, সেটা তো বহুদিনের দাবি। সৌদি আরবে মেয়েদের পাঠানো বন্ধ হলে ধর্ষণ কমে যাবে!! বরং আমার মনে হয় মেহেদির মতো লোকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে ধর্ষণ কমে যেতো। এই যে দিনের পর দিন একটা লোক আশ্রিত অসহায় মেয়েদের ধর্ষণ করে চলছিল তার কোন শাস্তি হয়নি। (চাকুরীচ্যুতি শাস্তি নয়! ধর্ষণের শাস্তি দীর্ঘমেয়াদী জেল, এমনকি মৃত্যুদণ্ড)। সাধারণ ধর্ষকদের এমন শাস্তি হয়, এই সেলিব্রিটি ধর্ষকের শাস্তি চাওয়ার কথা কেউ ভাবতেই পারে না!!
বারবার ফিরে এসে মন্তব্য করার অসংখ্য ধন্যবাদ মিরোরডডল।
১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শায়মা বলেছেন: মেয়েদের নিয়ে এমন সব কথা বলতে অনেক মোল্লাকেই দেখেছি। গ্রামে এখনও মেয়েদেরকে এমনভাবেই বলা হয় সরাসরি ও বুক ফুলিয়ে। শহরেও অনেক বাড়িতেই এমনটা বলা হয়। আমাদের বাসায় যারা গৃহকর্মীরা আছে তাদেরকে নাকি শুনতে হয় শহরে গিয়ে কাজ করে তবে কি কাজ করে আল্লাহ জানে। মানে মেয়েরা যেন বাড়ির মধ্যে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে। বাইরে বের হলেই যার যার মত মংড়া দূর্নাম! না না তাও কি বসে থাকার যো আছে? মেয়েরা বাড়িতে বসে রান্না বান্না করবে আর সাথে পুরুষরা তাদের মালিকগিরি দেখাবেন। শুধু তাইনা শ্বাশুড়ি ননদ সবাই মিলে ঘরের মধ্যেও জি সিরিয়াল বানাবে। এতেই নারীর মুক্তি এটাই নারীর বৈশিষ্ঠ্য। নারী হইবেক সর্বংসহা বিশেষ করে লাঞ্ছনা গঞ্জনা সইবার জন্যই তাদেরকে তৈরী করা হয়েছে এমন ভাব।
আর ঐ পাত্রী চাওয়া ভাইয়ার কথা কি বলবো? এই ব্লগেও এমন পাত্রী যাই পোস্ট আসতে পারে চিন্তার বাইরে ছিলো। ভাইয়া সেটাই চিন্তার মাঝে এনে ফেললো। হি হি যেই পাত্রী মারে না, কাউকে সে ধরে না, মারে না ও কাটে না, করে নাকো ফোস ফাস মারে নাকো ঢুসঢাস সেই পাত্রী জ্যান্ত গোটা দুই আনতো, তেড়ে মেড়ে ডান্ডা করে দিতে পারবেন ঠান্ডা।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আমি সারা জীবন ধরে দেখেছি, মেয়েদের সব অর্জনের মূল্যায়ন হয় তারা মেয়েমানুষ এই বিবেচনা নিয়ে। এখন একজন মহিলা বাইরে কাজ করতে গেলে প্রথমেই দেখা হয় সে কোথায় কাজ করে, আবার খারাপ কিছু করছে না তো ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা কেবল তোমার বাড়ির গৃহকর্মীদের ব্যাপারে সত্যি নয়, বরং উচ্চশিক্ষিতা নারীদের এভাবেই যাচাই করা হয়। খুব দুঃখজনক আমি খুব অল্প পুরুষ মানুষ দেখেছি জীবনে, যাদের স্ত্রীরা তাদের চাইতে সফলতা অর্জন করার পর তারা ঈর্ষা পরায়ন হননি... আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষই স্ত্রীকে চাকরি করতে দেন এই শর্তে যে, চাকরি করার পরও ঘরের সব কাজ সন্তানদের দেখাশোনা স্ত্রীই করবে। তানজিম সাকিবের মত অল্পবয়সী, কম শিক্ষিত একটা ছেলে এমন ভাববে, এটা নিয়ে এত আশ্চর্য হবার কিছু নেই!!
বিয়ের পাত্রী ব্লগে খোঁজা যায়, কিন্তু মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করা কোন অবমাননাকর শর্ত দিয়ে নয়। আশ্চর্য হয়েছিলাম দেখে, ব্লগে অধিকাংশ ব্লগারই এই ব্যাপারটা বোঝেনই না। ব্লগ না আলোকিত, শিক্ষিত মানুষদের জায়গা!!!
২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার বক্তব্য ছিল, নারীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য অনেকেই করেন, ফেসবুকে আর সামুতে। ঘৃণা সকলকেই করতে হবে।
অফকোর্স। সবাই একই অপরাধে দোষী। কিন্তু কারো অপরাধ যেন কেউ দেখেও দেখে না, এটা খুবই অন্যায়।
পরিবর্তন আসুক আর নাই বা আসুক this must be addressed.
ছাড় পেয়ে পেয়ে আজ এই অবস্থা!
যারা নিজেদের উচ্চ মানসিকতা নিয়ে উচ্চকিত, তাদের অনেকেই খুব হীন মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
ধারাপু, এই ব্লগেই এমন অভিজ্ঞতা আছে। হয়তো যাকে শুরুতে জেনেছি অনেক উদার, অন্যদের চেয়ে ভিন্ন পজিটিভ অর্থে, পরবর্তীতে তারমাঝেই দেখেছি হিংসা, অহংকার আর হীনমন্যতা। কষ্ট পাই এমনটা দেখলে।
তোমার কথা উল্লেখ করলাম, সবাইকে জানাতে তুমি প্রতিবাদ করেছিলে।
অনেক থ্যাংকস আপু তুমি বিষয়টা খেয়াল করেছো এবং পরিবর্তীতে এটাকে আলোচনায় আনাতে।
সবার জানা উচিত ভদ্র মুখোশের আড়ালের আসল চেহারা।
তবে আপু আমি এখনও অবাক হই, সেই লোকটা কি করে এমন একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো।
বিলিভ মি, এটা যে কেউ করতে পারে beyond my imagination!!!
সেই পোষ্টে তুমি আমার মন্তব্য দেখেছিলে?
রাগের মাথায় আমি খুব অশালীন মন্তব্য করেছিলাম।
সেই বিজ্ঞাপন আমাকে প্রভোক করেছে এতো বাজে ভাষা ব্যবহার করতে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
করুণাধারা বলেছেন: এখনও অবাক হই, সেই লোকটা কি করে এমন একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো।
মনের ভেতর চেপে না রেখে এমন পোস্ট দিয়েছিলেন দেখেই তো জানতে পারলাম, শিক্ষিত মানুষেরাও নারীদের মানুষ বলে মনে করে না। তবে ব্লগ ছাড়াও অনেক জায়গায় এটা দেখেছি। শিক্ষিত, স্বাবলম্বী নারীকে বিয়ে করে তাকে গৃহবন্দী করে ফেলাটা অনেক পুরুষ নিজেদের অর্জন বলে মনে করেন।
এই ধরনের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় রাগান্বিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। যারা রাগান্বিত হননি, তারা অস্বাভাবিক।
২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
শায়মা বলেছেন: ১৯. ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১০
অর্ক বলেছেন: ষাট বা ষাটোর্ধ মহিলার সঙ্গে প্রেম করতে চেয়ে একজনের এখানে একটি পোস্টের কথা আমার পরিষ্কার মনে আছে। বিস্মিত হয়েছিলাম দেখে। বেশ ক'বছর আগের কথা। জানি না লেখাটি এখনও আছে কিনা? খুব সম্ভবত পরবর্ত্তীতে কখনও মুছে দিয়েছেন। "ষাট বা ষাটোর্ধ মহিলা কে আছেন ব্লগে। আওয়াজ দেন। প্রেম করতে চাই।" এরকম দুতিন লাইনের একটা লেখা। নেহাতই ফান করেই লেখা নিশ্চিতরূপে। তারপরও আপনাদের কাছে এখানে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি, ষাট ষাটোর্ধ মহিলার সঙ্গে প্রেম করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রকাশিত বিশেষ সেই লেখাটির ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কি?
ধন্যবাদ।
ভাইয়া ঐ লোকের মনে হয় দুরাভিসন্ধি ছিলো ষাটোর্ধ নারী খুব শীঘ্রই ইন্তেকাল ফরমাইলেই উনার বিষয় আশয় হস্তগত করিবেন নহেতো নিজেই গলা টিপিয়া মারিয়া ........ সোজা কথা বিকৃত চিন্তা আর কি......
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: অর্ক মন্তব্য মুছে দিতে বলাই আমি মন্তব্য মুছে দিয়েছি। ঠিকই আছে, নাহলে ক্যাচাল শুরু হতে পারে।
কিন্তু সেই পোষ্টের কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। তুমি যেই গোয়েন্দা,একটু ভাবলেই বুঝতে পারবে এটা কে করেছেন।
তুমি কি আজকাল ক্রাইম পেট্রোল দেখছো নাকি! এই খুনাখুনির কথা মনে হল কেন!! আমার মনে হয় না সম্পত্তি দখল তার উদ্দেশ্য ছিল। হয়তো তার স্ত্রী বেঁচে থাকলে ষাট বছর বয়স হতো। এটা ভেবেই হয়তো স্ত্রীর মতো কাউকে খুঁজতে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন!
তবে যাই বলো, ব্লগে এসে অল্পকালের মধ্যে এত বিচিত্র মানুষ দেখেছি, বাস্তব দুনিয়ায় এমন দেখা হয়নি।
২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
মনে হচ্ছে সে এমন সেলিব্রিটি যে, তার পোস্ট পড়ে দেশের সকল পুরুষেরা নারীদের ঘরে বসিয়ে রাখতে শুরু করবে, সেজন্য সকলে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে।
নাহ আপু সে কোন আহামরি সেলিব্রিটি না বা তার কথায় ঘরে ঘরে পরুষের দৃষ্টিভঙ্গি চেঞ্জ হবে না কিন্তু এগুলো নিয়ে মানুষ বেশি কথা বলার সুযোগ পায়। যত বেশি এসব হয়, ততই নারীদের নিয়ে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি, যা খুবই আনএক্সপেক্টেড। এরকম কথা ইউটিউবে ফেইসবুকে আরও হাজারো মানুষ প্রচার করে সেগুলোও কাম্য না।
কিন্তু যেভাবেই হোক সামহাউ তার লেখাটা লাইম লাইটে চলে আসছে। সো কল্ড সেলিব্রিটি যদি নাও হয়, ইউজ্যালি শো বিজের কেউ কিছু করলে বা বললে সেগুলো খুব ভাইরাল হয়। অনেকে ইচ্ছে করেই করে, আবার অনেকে না চাইলেও হয়ে যায় ।
তবে কথা বলার আগে অবশ্যই ভাবা উচিত।
শুরুতেই যা বলেছিলাম, এ কথা শুধু তার একার না, হাজার হাজার মানুষ আমাদের আশেপাশে এরকম মানসিকতার।
যেটা খুবই দুঃখজনক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: জীবনের আরও কিছুটা পার করো, দেখতে পাবে শিক্ষিত, আলোকিত মানুষেরাও নারীদের মেয়েমানুষ হিসেবে ভাবতেই ভালোবাসেন। এত অনেক ঘটনা দেখেছি যে, এইসব নিয়ে কেউ কিছু বললে আমি আর বিচলিত হই না।
, এ কথা শুধু তার একার না, হাজার হাজার মানুষ আমাদের আশেপাশে এরকম মানসিকতার।
যেটা খুবই দুঃখজনক।
ঠিক কথা। আজ যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের অনেকেই নিজের মনে এমন ধারণা পোষণ করে।
২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মেয়েদের নিয়ে এমন সব কথা বলতে অনেক মোল্লাকেই দেখেছি। গ্রামে এখনও মেয়েদেরকে এমনভাবেই বলা হয় সরাসরি ও বুক ফুলিয়ে। শহরেও অনেক বাড়িতেই এমনটা বলা হয়। আমাদের বাসায় যারা গৃহকর্মীরা আছে তাদেরকে নাকি শুনতে হয় শহরে গিয়ে কাজ করে তবে কি কাজ করে আল্লাহ জানে। মানে মেয়েরা যেন বাড়ির মধ্যে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকবে। বাইরে বের হলেই যার যার মত মংড়া দূর্নাম! না না তাও কি বসে থাকার যো আছে? মেয়েরা বাড়িতে বসে রান্না বান্না করবে আর সাথে পুরুষরা তাদের মালিকগিরি দেখাবেন। শুধু তাইনা শ্বাশুড়ি ননদ সবাই মিলে ঘরের মধ্যেও জি সিরিয়াল বানাবে। এতেই নারীর মুক্তি এটাই নারীর বৈশিষ্ঠ্য। নারী হইবেক সর্বংসহা বিশেষ করে লাঞ্ছনা গঞ্জনা সইবার জন্যই তাদেরকে তৈরী করা হয়েছে এমন ভাব।
বাপ্রে আজকে আপা এত ক্ষ্যাপা ??
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪১
করুণাধারা বলেছেন: কই ক্ষ্যাপা!! শায়মা তো এরকমই! ভুলকে ভুল আর অন্যায়কে অন্যায় বলবেই, সব সময়।
২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষ যতক্ষন দু’পেয়ে জীব থেকে মানুষ না হয়ে উঠবে ততদিন এমন চলতেই থাকবে।
এর জন্য পরিবার, শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিকতা, ধর্মের ভুল ইন্টারপ্রিটেশন, আবার তাদেররই রমরমা পসার,
মানুষের জিগিষার অনুপস্থিতি, মূর্খতা এরকম বহু বহু কারণের যোগফল হরো চলমান এসব চেতনার কারণ।
দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান আহরণের তাগিদ দেয়া ধর্মের মানুষদেরই দেখুন কেমন মূর্খতার পরাকাষ্ঠা হয়ে
পোষাকে আর শোনা বিশ্বাসে বুদ হয়ে স্বাভাবিক হিতাহিত জ্ঞানশুন্য জীবন বোধে জীবন পার করে দিচ্ছে।
মাঝে মাঝে চরম হতাশ হয়ে নিজে্ে নিজের মাঝে বুদ হয়ে চুপ হয়ে ডুবে থাকি। উত্তরণের পথ কই?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
করুণাধারা বলেছেন: সহমত ভৃগু! মানুষ দুপেয়ে জীব থেকে মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি, তাই তাঁর কাছ থেকে ভালো কিছু কীভাবে পাবো! এর দায় পরিবার, শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিকতা, ধর্মের ধর্মের ভুল ইন্টারপ্রিটেশন এই সবকিছু দায়ী। আমাদের সমাজে এখন জ্ঞানের চাইতে পেশি শক্তির কদর বেশি, সুতরাং মানবিক গুণাবলী অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ধর্মের মানুষদেরই দেখুন কেমন মূর্খতার পরাকাষ্ঠা হয়ে
পোষাকে আর শোনা বিশ্বাসে বুদ হয়ে স্বাভাবিক হিতাহিত জ্ঞানশুন্য জীবন বোধে জীবন পার করে দিচ্ছে। এই কথাটার প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় জাদিদের মন্তব্যে। আমরা এদেরকেই অনুসরণ করি, তাই সত্যের কাছে পৌঁছাই কীভাবে!!
এসব ভাবলে হতাশ হতে হয়। তবুও আশায় বুক বাঁধতে হবে, একদিন নিশ্চয়ই পরিস্থিতি বদলে যাবে!
২৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
পোস্টটা ঠিকমতো লিখতে পারিনি।
you can edit if you need.
এতজন কষ্ট করে মন্তব্য করেছেন, নাহলে এই পোস্ট ড্রাফট করে নিতাম।
কেনো? পোষ্ট থাক, ড্রাফট করো না।
ভালো টপিক নিয়ে লিখেছো।
নারীদের অসম্মান করা, সুযোগ পেলে এবিউজ করা, রেইপ করেও সাজামুক্ত জীবন কাটানো, বছর ঘুরে গেলেও বিচার না পাওয়া, পেলেও সেটা সাফিশিয়েন্ট না হওয়া, এগুলো নিয়ে আসলেই সেরকম বিশেষ লেখা নেই। সবাইতো গুছিয়ে লিখতে পারে না।
তুমি লিখেছো, আরো লিখবে। তাই তোমাকে থ্যাংকস ধারাপু।
(চাকুরীচ্যুতি শাস্তি নয়! ধর্ষণের শাস্তি দীর্ঘমেয়াদী জেল, এমনকি মৃত্যুদণ্ড)।
আমার কাছে মনে হয় ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া।
এর চেয়ে উত্তম শাস্তি আর কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা।
sorry for my language but this is what I believe.
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২২
করুণাধারা বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া।
একমাত্র শাস্তি!! জেল জরিমানা কিছুই দরকার নেই!! অবশ্য যাদেরকে দেশে প্রচলিত আইনে জেল জরিমানা মৃত্যুদন্ড না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাদেরকে পুরুষাঙ্গ কেটে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।
কিন্তু এই ধর্ষকের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় মাথা বাদ দিয়ে সব অঙ্গ কেটে বাঁচিয়ে রাখা উচিত।
ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
২৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: না মনে হচ্ছে না।কিন্তু সুরু করতে হবে।আর কত কাল চলবে এই সব।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
করুণাধারা বলেছেন: শুরু করতে হবে অবশ্যই। তবে একটা কথা আছে না, "অপরাধীকে নয় অপরাধকে ঘৃণা কর।" সেই নীতি মেনে সকল অপরাধীর বিরুদ্ধেই নামতে হবে, বেছে বেছে কজনের বিরুদ্ধে নয়। তাহলেই হয়তো সুফল পাওয়া যাবে।
২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৯
জাদিদ বলেছেন: ১০ নাম্বার টাইপের মন্তব্য এই দেশের অধিকাংশ সাধারন ইসলামিস্টদের মধ্য দেখা যায়। তারা মনে করেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা কথা বলা বা এই সংক্রান্ত সঠিক সিদ্ধান্তে আসার ক্ষমতা শুধুমাত্র তথাকথিত হুজুরদের রয়েছে। ফলে তারা খুব সহজেই অন্যকে নাস্তিক বা ধর্ম বিদ্বেষী বা এই হাফ মুসলমান ইত্যাদি টাইপের শ্রেনীতে বিভক্ত করে শান্তি পায়। সাধারনত কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় এই ধরনের মানসিকতাকে তুলনামুলক বেশি পেট্রোনাইজ করা হয়।
আল্লাহর নির্দেশে আল্লাহর নবী যে ধর্ম মানুষের মাঝে প্রচার করেছেন, সেটার সাথে আমাদের দেশের বা এই অঞ্চলের ইসলামের বিশাল ব্যবধান আছে - এটা একটু পড়াশোনা করলেই বুঝা যায়। যা বুঝার মত জ্ঞান বা পড়াশোনা নেই আমাদের দেশের একটি বড় অংশের যারা ধর্মীয় গ্রন্থের আয়াত এবং নির্দিষ্ট ব্যাখ্যাকেই মুখস্ত করে জীবন কাটান। তারা গভীরে যান না ইতিহাস পড়েন না। ইসলামকে বুঝতে হবে অনেক প্রিয় এবং অপ্রিয় বিষয়ের উপর ইতিহাস জানতে হবে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই দেশের মানুষের মুর্খতা হৃদয়ে গেঁথে গেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ৯০% হুজুরদের ইসলামের দর্শন বুঝার মত গভীরতা বা জ্ঞানী বলে মনে করি না।
আমি তানজীম সাকিবের মত প্রকাশে বিশ্বাস করি, একজন মানুষ তার মত প্রকাশের অধিকার রাখেন। কিন্তু আমি তানজিম সাকিবের মতের সাথে একমত নই। তানজিম সাকিব যে অঞ্চলে, যে সমাজে বড় হয়েছেন, সেখানে নারীকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডিতেই দেখা হয়, এর বাইরে গেলেই তানজিম যা লিখেছেন - সেটাই বলা হয় যার সাথে ধর্ম অন্তত ইসলাম ধর্মের কোন সংযোগ নেই। কিন্তু আমাদের হুজুররা এবং ফেসবুকীয় আলেমরা এই বিষয় সংযোগ বের করবেন কিছু মুখস্ত বুলি আর তথাকথিত হাদিসের উপর ভিত্তি করে। হাদীসের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে নারীদের প্রতি যে পরিমান নির্যাতন করা হয়েছে - সৃষ্টিকর্তা শেষ বিচারের দিনে সেটার উপযুক্ত বিচার করবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।
মানুষের স্বাধীনতা দেয়া মানেই যা খুশি তা করা নয় - স্বাধীনতা মানেও যা খুশি তা করা নয় বরং নিজের অসীম ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন করার নামই স্বাধীনতা। ফলে নগ্নতা, অশালীনতা বা অবাধ যৌণতা কখনই স্বাধীনতার মাপ কাঠি নয়। আল্লাহ মানুষের আত্ম নিয়ন্ত্রনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নফসের সাথে যুদ্ধ সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন। মানুষের স্বাধীনতা হচ্ছে পথ বেছে নেয়ার স্বাধীনতা। আর সঠিক পথ বেছে নেয়ার জন্য আল্লাহ পড়তে বলেছেন।
পর্দা মানে হচ্ছে - শালীন এবং অশালীনের মাঝে একটি ফারাক তৈরী করা অর্থাৎ একটি দেয়াল তৈরী করা। এটা নারী পুরুষ সকলের জন্যই প্রযোজ্য। এই দেয়ালকে কারো জন্য নির্দিষ্ট করার মধ্যে আরো সহজ করে যদি বলি -শুধুমাত্র নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়াই নারী অবমাননা এবং কোরান ও সুন্নাহকে ভুল ব্যাখ্যা করার মত অন্যায়। ইসলামিক ইতিহাসে নারীদের অনেক স্বাধীনতা দেয়া আছে, আমাদের প্রিয় নবীর মৃত্যূর পর অনেক অদ্ভুত জিনিস ধর্মে ঢুকেছে। এইগুলোকে জাস্টিফাই করা হয় অনেক অদ্ভুত মাসালা দিয়ে যেমন ইতিবাচক বেদাত এবং নেতিবাচক বেদাত।
আমি দুঃখিত আপনার পোস্টে কিছু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার জন্য।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: তারা মনে করেন ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা কথা বলা বা এই সংক্রান্ত সঠিক সিদ্ধান্তে আসার ক্ষমতা শুধুমাত্র তথাকথিত হুজুরদের রয়েছে।
এবং তাঁরা এই হুজুরদের কথা, তাদের আলোচনা, সিদ্ধান্ত সব হুবহু মেনে চলেন, এটাকেই ধর্মের রীতি বলে মনে করেন। এই তথ্য প্রবাহের যুগে তারা কোন কিছু যাচাই-বাছাই করেন না। অথচ আল্লাহ আমাদের জানার জন্য কুরআন দিয়েছেন, যাকে আল্লাহ বলেই দিয়েছেন জ্ঞানময় কুরআন, যা নাজেল হয় "পড়ো" শব্দটি দিয়ে। কুরআনের প্রথমেই আল্লাহ বলে দিয়েছেন, "এটা সেই গ্রন্থ, এতে কোন সন্দেহ নেই।" কিন্তু আমরা কী করি! আমরা কুরআন পড়ি এর প্রতি অক্ষর পাঠের সওয়াব অর্জন করার অভিপ্রায়ে! কারণ হুজুর এভাবেই কুরআন পড়তে বলেছেন!
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষকে হুজুররা ব্রেন ওয়াশ করে ফেলেন। আমার একজন শিক্ষিত নিকট আত্মীয়কে আমি কোনো প্রসঙ্গে বলেছিলাম হুজুর ভুল বলেছেন। তিনি খুব রেগে গিয়ে বলেছিলেন, "তুমি তো মেয়ে মানুষ! তুমি হুজুরের চেয়ে বেশি বোঝো নাকি!" সারাজীবন কেটে গেল, মেয়েমানুষের তকমা সরিয়ে মানুষের পরিচয় অর্জন করতে পারিনি!
হাদিসের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে নারীদের প্রতি যে পরিমাণ নির্যাতন করা হয়েছে সৃষ্টিকর্তা শেষ বিচারের দিনে সেটার উপযুক্ত বিচার করবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।
আমি মাঝে মাঝে নারীদের উপর এই নির্যাতন আর নিগ্রহ নিয়ে ভাবি। অনেক নির্যাতন এখনো চলছেই, কিন্তু তিন তালাকের বিধান কিছুকাল হয় রহিত হয়েছে। এই বিধান দিয়ে অসংখ্য নারীর জীবনে তারা যে বিপর্যয় ডেকে এনেছেন, তার ক্ষমা তারা আল্লাহর কাছে কখনো পাবেন বলে আমি মনে করি না।
এখন তানজিম সাকিব যদি এমন হুজুরের অনুসারী হয়ে থাকে তবে তার চিন্তাধারা কতটা উন্নত হতে পারে!! আমিও তাকে সমর্থন করিনা, কিন্তু আমি তার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। এই ধরণের মত প্রকাশ করার ফলেই সেটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, এবং এই মতের অসারতা প্রমাণ হয়েছে। মানুষ কেবল তানজিমের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করছেন, কিন্তু তার মতকে কেউই সমর্থন করেননি। প্রার্থনা করি, তানজিম সাকিব, এবং সেইসাথে তার মত যারা আছে তারা যেন বুঝতে পারে, যে পরিবারে নারীকে সম্মান করা হয়না সে পরিবার কখনও বিকশিত হতে পারেনা।
তবে আমার মনে হয়, তানজিম সাকিবের মতো তরুনদের মানসিকতা কেন এমন হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনো মনোবিদ আলোকপাত করলে ভালো হতো। সাম্প্রতিক সময়ে আমি আমার ছেলের তিনজন বন্ধুকে দেখেছি হঠাৎ কট্টরপন্থী হুজুর হয়ে যেতে। এরা কেন এমন হয়, সেটা বুঝতে পারলে হয়তো প্রতিকারের পথ বের হতো।
আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। মন্তব্যের প্রতিটি কথার সাথে সহমত পোষণ করছি শুধু একটি বাদে; আমার মনে হয় বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ নয়, শতকরা ৯৫ ভাগ হুজুরদেরই ইসলামের দর্শন বোঝার মত গভীরতা বা জ্ঞান নেই।
আমার মনে হয়, পোস্টের মন্তব্য না হয়ে থেকে এই মন্তব্যকে একটা পোস্ট করলে এটা সবাই দেখতে পেতেন, এ নিয়ে আলোচনা হতো এবং সেই আলোচনার ফলে আমাদের অনেকেরই সুযোগ হতো ধর্মের নামে প্রচলিত অনেক ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের হয়ে আসার। আমাদের দেশের একটি বড় অংশের যারা ধর্মীয় গ্রন্থের আয়াত এবং নির্দিষ্ট ব্যাখ্যাকেই মুখস্ত করে জীবন কাটান।
এটা নিয়ে লিখবার সাহস নেই আমার, কিন্তু এই বিষয়ে পড়বার আগ্রহ আছে।
ধন্যবাদ, চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৯
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: এই ভিডিওটা দেখেন, আমাদের নৈতিকতা
অপ্রাসঙ্গিক হলে ডিলিট করে দিয়েন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
করুণাধারা বলেছেন: ভিডিওটার জন্য ধন্যবাদ ফ্রেটবোর্ড! এটা অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে কেন!!
কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, ওই বৃদ্ধের কাছাকাছি কি একজনও মানুষ ছিল না যে বৃদ্ধকে থামাতে পারতো। ওখানে যারা গিয়েছে তারা মেয়েদের নাচ দেখে বিনোদিত হতেই গিয়েছে। তাদের টপকে বৃদ্ধ কিভাবে স্টেজে উঠে মেয়েদের পিটাতে পারলেন!!!
তবে এটাই আমাদের দেশের মানুষদের প্রকৃত চিত্র।
আমার ব্লগে প্রথমবার আপনাকে পেলাম ফ্রেটবোর্ড। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৬
নিমো বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষই বা কোন নীতিমালার আলোকে উক্ত পোস্ট খানা প্রকাশ হতে দিয়েছিলেন ? এমনকি টিকিয়েও রেখেছিলেন! ঈশপের বিখ্যাত গল্পে ছোট চুরি না থামানোয় ছেলের মায়ের কান কামড়ানোর ঘটনা আপনার জানা থাকার কথা। ছবির নরাধম সহ আরও পাষন্ডগুলির সূচনাটাও সাকিবের মত ছিল নিশ্চয়ই। তখনই না থামানোয় এখন মৃত্যদন্ড দিয়ে থামানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষই বা কোন নীতিমালার আলোকে উক্ত পোস্ট খানা প্রকাশ হতে দিয়েছিলেন ? এমনকি টিকিয়েও রেখেছিলেন!
আপাত দৃষ্টিতে আপত্তিকর এমন অনেক পোস্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষ প্রকাশ হতে এবং টিকেও থাকতে দেন। এর উদ্দেশ্য সম্ভবত মতাদর্শের ভিন্নতা দেখানো। নারীকে অবদমনের কথাময় এই পোস্ট; কিন্তু এটা প্রকাশ না হলে আমরা তো জানতেই পারতাম না যে সভ্য মানুষের মুখোশ পরে অসভ্য মানুষও এই ব্লগে থাকতে পারে!!
৩০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪
জুন বলেছেন: আমাকে আপনার রাজীব নুর মনে হলো করুনাধারা
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
করুণাধারা বলেছেন: এটা নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেলেন জুন!
রাজীব নুর অধিকাংশ সময় যে মন্তব্য করেন পোস্টের সাথে তা একেবারেই সম্পর্কহীন হয়। ফলে আমি বুঝতে পারি না উত্তরে কি লিখব! আপনার মন্তব্য পড়েও আমার একই অবস্থা হলো। তখন রাজীব নুরকে মনে পড়লো।
আমি সাজিদের মন্তব্যের সাথে একমত। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দ্বিচারিতা ভাবতেও ঘৃনা হয়।
আমার পোস্টের কোথাও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের দ্বিচারিতা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি, আমি সাজিদের মন্তব্যেও এ ধরনের কিছু নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দ্বিচারিতা সম্পর্কে আমার কিছু জানাও নেই। তাহলে এই মন্তব্যের উত্তরে কী বলতে পারতাম
৩১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি যেটা বললেন এটা যিশুর কথা।আমি এটা মানি না।অপরাধ কখনো অপরাধ করে না।অপরাধ করে আপরাধি।তাঁকেই থামাতে হবে।প্রয়োজনে তাকে কঠিন শান্তি দিতে হবে।।আমি মিররের সাথে এক মত,প্রয়োজনে তার ———।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯
করুণাধারা বলেছেন: তাকে থামানো হয়েছে, সে ভবিষ্যতে আর এমন পোস্ট দেবে বলে মনে হয় না। নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা তার নিশ্চয়ই আছে।
তবে মিরর ডল যে শাস্তির কথা বলেছে সেটা ধর্ষকের জন্য শাস্তি, তানজিমের জন্য নয়। আপনি আপনার প্রথম মন্তব্যে তানজিমের শাস্তির উল্লেখ করেছেন। আমি তানজিমের প্রসঙ্গে আপনাকে বললাম।
৩২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
জুন বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পুরুষদের সম্পর্কে যেই সব গল্প শুনি আমাদের বা বিভিন্ন দেশের গৃহকর্মীদের সাথে তা সর্বজন বিদীত। কিন্ত মুখে হাদীস হাতে তসবিহ। আমি এটাকেই দ্বিচারিতা বলেছি যার অর্থ :-
দ্বিচারিতা অর্থাৎ দুই ধরনের চরিত্র। নিজের কথা ও কাজের পারষ্পরিক অমিল বা বিরোধিতাকে বলে দ্বিচারিতা। ইংরেজিতে যাকে বলে double standard । তাই সৌদি দুতাবাসের বাংলাদেশী কর্মীর গর্হিত আচরণে লজ্জিত হলেও অবাক হই নি করুনাধারা। সংগদোষে লোহা ভাসে অবস্থা।
আর ক্রিকেটার সাকিব যা বলেছে তার জন্য খারাপ লাগছে। যখন মনে হয় আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্রীড়াবিদরা কিছুটা সামাজিকতা আর শিক্ষার পেছনের সারি থেকে উঠে আসে। তাই হয়তো না বুঝেই ফেসবুক পেয়ে তা শেয়ার করা ইত্যাদি। জানি না বুঝে লিখেছে কি না বুঝে লিখেছে। তার বয়স কম। তাই কঠিন শাস্তি হিসেবে এসব নিয়ে তাকে বাক্যবানে নিস্পেষিত না করে তার অসাধারণ খেলোয়াড়ি প্রতিভার বিকাশ ঘটুক এটাই চাই। হয়তো আলোকিত পরিবেশ পেলে এধরণের চিন্তা করবে না। জানি না।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
করুণাধারা বলেছেন: দুঃখিত জুন, আমাকে একটা জিনিস বোঝাতে আপনাকে বারবার পোস্টে আসতে হলো বলে।
তবে আপনি যেমন বললেন, তেমন দ্বিচারিতা আমি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের মানুষের মধ্যে দেখিনি। মুখে ধর্মের বাণী আর কাজে পাপ, এমনটা এরা করে না বরং প্রকাশ্যেই তারা মদ নারী এবং অর্থের প্রতি তাদের লোভের কথা বলে। আমাদের দেশে মানুষ লুকিয়ে চুরিয়ে কলগার্লের কাছে যায় বা ডাকে, এরা প্রকাশ্যে গাড়ি থামিয়ে এমন মেয়েদের তুলে নেয়, আমি নিজে কয়েকবার দেখেছি।
আরব দেশের এই পুরুষদের অনুকরণে আমাদের দেশে অনেকে জোব্বা টুপি পড়ে, তাদের ধার্মিক বলে মনে হয়। কিন্তু জোব্বা টুপি আসলে কোন ধর্মীয় চিহ্ন নয়, এটা তাদের আবহাওয়ার সাথে সম্পৃক্ত পোশাক। আপনি হয়তো ব্যাংককের নানা জায়গায় এইসব জোব্বাধারীদের দেখেছেন। আমার এক বন্ধু এআইটিতে পড়তো। সে একবার আমাকে বলেছিল, "ব্যাংককের নানা জায়গায় দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশের পুরুষেরা আলখাল্লা পরে মাথায় টুপি দিয়ে এক হাতে কল গার্ল এর কোমর জড়িয়ে ধরে আরেক হাতে ধরা মদের গ্লাসে চুমুক দেয়।" আমি তখন বলেছিলাম, এদের পোশাক দেখে এদের মোল্লা বলে ভেবো না।
তবে তারা যা পাপ করে, তা জানিয়ে শুনিয়েই করে। আমরা তো জানি, মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মী পাঠালে গৃহকর্তা এদের ভোগ করবে। সেটা জেনেও আমাদের দেশের কর্মকর্তারা এই অসহায় মেয়েগুলোকে পাঠান, ভাব দেখান তারা কিছুই জানেন না। এটা কিন্তু আমাদের দ্বিচারিতা।
যাহোক, অনেক কথা বললাম। হালি পূরণ করতে আসতে হবে না কিন্তু!
শুভকামনা রইল জুন।
৩৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু সাকিবের কথাটা ফেসবুকে ঝড় বয়ে গেছে। ওকে নিন্দা করে বহু পোস্ট চোখে পড়েছে।ব্লগেও পোস্ট এসেছে। কিন্তু শতভাগ সহমত আপনার সঙ্গে যারা ওকে নিন্দা করছে তারা কি সত্যিই মুক্তমনা? একেবারেই নয়। আমার মনে হয় আপু আমরা মুখে নারী স্বাধীনতার কথা বলি ঠিকই। কিন্তু আমরা কেমন নারীকে চাই তার বর্ননা সুকুমার রায় দিয়েছেন।
যে সাপের চোখ্ নেই,
শিং নেই নোখ্ নেই,
ছোটে না কি হাঁটে না,
কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁস্ফাঁস্,
মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ,
নেই কোন উৎপাত,
খায় শুধু দুধ ভাত—
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আনত?
আপু তপন ভাইয়ের সুরে বলি, আমিও অবচেতন মনে সুকুমার রায়ের ছড়ায় বর্ণিত ....
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
করুণাধারা বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন। সবচাইতে ভালো নারী সে যে কোন ফোঁসফাঁস করে না ঢুসঢাস মারে না, নির্বিবাদে সব কথা মেনে নেয়। এমন নারীকেই পুরুষ চায়, খুশি হয়ে তাকে লক্ষীমেয়ে বলে ডাকে!!
নিজের মনের ঝাল ঝাড়তে এদের তেরে মেরে দু'ঘা ডান্ডা মারলেও চুপ করেই থাকবে।
অবশ্য আমি মনে করিনা পদাতিক কিংবা শেরজার ভাবনা মোটেও এমন!!
মন্তব্য এবং লাইকের জন্য অনেক ধন্যবাদ পদাতিক।
৩৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কেউ একজন বলেছিলেন, মানুষ সিংহের প্রশংসা করলেও পছন্দ করে গাধাকে। আমরা যতই নারীমুক্তির কথা বলি, আমাদের সমাজের লোকজন চায় বউ ঘরকন্না করুক। আমি ওই লেখাটা পড়ে বুঝতে পারিনি কেন ডাক্তার, ইঞ্চিনিয়ার পাত্রীই লাগবে?
আপনি যে ধর্ষকের বর্ণনা দিলেন, এরকম সুযোগসন্ধানী হাজার হাজার আছে। এরা হচ্ছে শিক্ষিত ধর্ষক। অনেকে আছে ধর্মান্ধ টাইপ। তানজিম সাকিব টাইপ যারা, এরা নারীরা বাইরে এসে নিগৃহীত হলে বাহবা দেবে, বলবে কেন বাইরে এল। এরা নিজের ঘরে নির্যাতন চালায়। আপাতদৃষ্টিতে যদিও মনে হয় এরা নারীকে সম্মান করে, আদতে করে না। একজন নারী যদি নষ্ট হয়, পুরুষ নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসিপাতা নয়?
নারীকে নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বড় বড় পদে বসা লোকজনও করে। আমরা শুধু প্রতিবাদ জানাই আমাদের কাউকে নিয়ে কিছু বললে অথচ আমরা নিজেরা তো অন্যদের নিয়ে এমন মন্তব্য করিই। শুধু তাই না, আমাদের মতাদর্শের বাইরের কাউকে নিয়ে কেউ এমন মন্তব্য করলে এড়িয়ে যাই। আমার সর্বশেষ পোস্টটা পড়ুন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: আমরা যতই নারীমুক্তির কথা বলি, আমাদের সমাজের লোকজন চায় বউ ঘরকন্না করুক। আমি ওই লেখাটা পড়ে বুঝতে পারিনি কেন ডাক্তার, ইঞ্চিনিয়ার পাত্রীই লাগবে?
আমাদের দেশে ঘরের বউ যতই শিক্ষিত হোক না কেন, ঘর চালানোর দায়িত্ব তার উপরেই থাকে। সুতরাং ঘর কন্নার ভার তার উপর থাকবেই। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পাত্রী পছন্দ করেন মানুষকে দেখানোর জন্য, শিক্ষিত মেয়ে বউ করে ঘরে এনেছেন এটা বলার জন্য। শো পিস এর মত ব্যবহার করেন।
তানজিম সাকিব আর আমার বর্ণিত ধর্ষকের সম্বন্ধে আপনার পর্যবেক্ষণ পুরোপুরি সঠিক। আমি জানিনা কেন তারা এভাবে চিন্তা করেন।
আপনার শেষ পোস্টে অবশ্যই যাব, তখন এ নিয়ে কথা বলব।
ভালো থাকুন রূপক বিধৌত সাধু।
৩৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওই পোষ্ট আর মিডের মন্তব্য দেখেছিলাম তখনই। মিডের মন্তব্যের স্ক্রীণশটও নিয়ে রেখেছিলাম ভবিষ্যতের জন্য। তবে পোষ্টে গিয়ে কিছু বলি নাই, কারণ ওই ব্লগারকে আমি একজন বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী হিসাবেই জানি। তার কোন পোষ্টেই আমি মন্তব্য করি নাই সম্ভবতঃ। অর নারীদের সন্মান আর অধিকার নিয়ে যারা সোচ্চার, তাদের বেশীরভাগে ক্রিয়াকান্ড দেখলে আমার একটা কথাই মনে হয়, ফরজের খবর নাই, সুন্নত নিয়া টানাটানি।
হিপোক্র্যাসির চুড়ান্ত উদাহরন একেকটা।
আপনার এই চমৎকার পোষ্টটা অফলাইনে পড়েছিলাম। মন্তব্য করবো করবো করতে করতে একসময়ে কাজের চাপে ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ মনে পড়লো।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
করুণাধারা বলেছেন:
ফরজের খবর নাই, সুন্নত নিয়া টানাটানি।
হিপোক্র্যাসির চুড়ান্ত উদাহরন একেকটা।
এই ভন্ডামিই সবচাইতে বিরক্তিকর। এই বিরক্তিকর ব্যাপার থেকে আশু মুক্তি লাভ ঘটার কোন সম্ভাবনা দেখি না। আমাদের দেশে নারীবাদীরা দিনরাত এক করে নারীমুক্তির আন্দোলন করে চলেছেন, অথচ যখন মুনিয়া হত্যা হলো তখন তাদের মুখে তালা! সেটা বুঝলাম, টাকায় অনেক কিছুই বিকায়, কিন্তু একটা নারীলোভী, ধর্ষক, খুনি, পরের জমি আত্মসাত কারী কি করে জাতীয় মসজিদের মুসল্লিদের কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হয়, এই ব্যাপারটা আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না!! তার মানে মুসল্লিদের সকলেই ভন্ড।
এমন ভালো মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভুয়া। অনেক দিন পর ব্লগে আসলেন, কিছুদিন থেকে যান...
৩৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এতো চমৎকার লেখা এতো দেরীতে দেখলাম। আফসোস!
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
করুণাধারা বলেছেন: ভুলকে ভুল আর সঠিককে সঠিক বলার অভ্যাস আমাদের থাকা উচিত। সেটা যার সম্পর্কেই হোক না কেন। এটাই বলতে চেয়েছি।
এমন অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান। ভালো থাকুন।
৩৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সত্যিকার ভাবে ইসলাম মেনে চলতে চাইলে মেয়েদের চাকরি করা কিংবা পড়াশোনা করার তেমন কোন সুযোগ নেই।
মেয়েরা সেইটুকু পড়াশোনা করা উচিত যেইটুকু করলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পারে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিকার ভাবে ইসলাম মেনে চলতে চাইলে মেয়েদের চাকরি করা কিংবা পড়াশোনা করার তেমন কোন সুযোগ নেই।
মেয়েরা সেইটুকু পড়াশোনা করা উচিত যেইটুকু করলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পারে।
এই কথাটা মোল্লারা বলে থাকেন। এটা ঠিক নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। সুস্থ থাকুন সবসময়, শুভকামনা।
৩৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোরআন হাদিসের আলোকে ইসলাম।
আপনার নিজের মতো করে ইসলাম নিলে হবে না।
কোরআন পড়ুন।
৩৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই দেশে কোন ধর্ষণের বিচার হয়েছে আপা ?
মামলার মার প্যাঁচে পড়ে এক সময় সব ফিকে হয়ে যায় । অনেক মামলা দেখেছি এক আদালত থেকে আরেক আদালতে গেলে একদম ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় । তাই ধর্ষক শাস্তি পাবে না এটা নিপাতনে সিদ্ধ এই দেশে ।
আর ব্লগারের পোস্ট নিয়ে বললেন না ? ব্লগের একজন আছে না সবাইকে জ্ঞান দিয়ে বেড়ান , ঐ যে যিনি আবার অতিরিক্ত শিক্ষিত নিজেকে নারী অধিকারের অন্যতম সুপন্থি মনে করেন , সেই লোকই কী মধুর মন্তব্য করলেন । অনেক অগ্রজকে দেখেছি পরে আবার জিজ্ঞেস করেছে পুত্রবধূ পেলেন ? কী আশ্চর্যকর অবস্থা ! আমি সেদিন হতভম্ব হয়ে পড়ছিলাম সব ।
নারীকে এইদেশে কেউ সম্মান দেয়নি এমনকি নারীবাদীরাও না ও লিবারেলরাও না । সবাই কেবল নারী নারী করছে কেউ মানুষ মানুষ বলছে না । নারীকে যেদিন মানুষ না বলবো ও সেই অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত না করবো ততদিন অন্তত নারী কেবল নারী নাম নিয়েই অপমানিত হবে !!