নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে সমাধানের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেইনি (ভিডিওতে দেয়া আছে তাই)। আজ সমাধানের ব্যাখ্যা সহ ধাঁধাটি দিলাম।

ধাঁধাটি এমন, এক স্বৈরশাসক এক দ্বীপে ১০০ জন লোককে বন্দী করে রেখেছে, যারা একেবারে শিশু অবস্থায় বন্দী হয়ে এখন প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় দ্বীপে আছে। প্রাচীর ঘেরা দ্বীপে বন্দীদের পাহারা দেয়ার জন্য গেটে দারোয়ান আছে। বন্দীরা একজন আরেকজনকে দেখতে পারে, কিন্তু পরষ্পরের সাথে কথা বলতে পারে না বা কোনো তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে না।‌ বন্দীরা অন্য বন্দীদের চোখ দেখতে পেলেও নিজের চোখের রঙ দেখতে পারে না, কারণ দ্বীপে কোনো আয়না বা প্রতিফলিত হতে পারে এমন কিছু নেই, সমুদ্রের পানিও অস্বচ্ছ যাতে চোখের রঙ বোঝা যায় না। স্বৈরশাসক বলেছে, বন্দীদের কারো চোখ নীল আর কারো চোখ সবুজ। যাদের চোখ সবুজ, তাঁরা চাইলে দ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে পারে। এরজন্য রাতের কোন সময়ে  দ্বীপের দারোয়ানের কাছে গিয়ে বলতে হবে যে, "বের হতে চাই"। দারোয়ান তখন চোখে টর্চের আলো ফেলে দেখবে চোখের রং কিনা। সবুজ চোখ দেখলে দারোয়ান গেট খুলে দেবে, কিন্তু নীল চোখ দেখলে বন্দীকে নিয়ে সোজা দ্বীপের আগ্নেয়গিরিতে ফেলে দেবে। নিশ্চিত মৃত্যু!

কোন বন্দীই দারোয়ানের কাছে যাবার সাহস করেনা, কেননা নিজের চোখের রং জানার উপায় কোন বন্দীই বের করতে পারে না। একজন আরেকজনকে যদি চোখের রঙ বলে দেয়, তাহলে দুজনকেই আগ্নেয়গিরিতে ফেলে দেয়া হবে।

 এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপের মানুষেরা দ্বীপ থেকে বেরোবার কোনো উপায় দেখছিল না। তাদের দুরবস্থা দেখে এক মানবাধিকারকর্মী তাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজতে লাগলেন। এই মানবাধিকারকর্মীকে স্বৈরশাসক দ্বীপে যাতায়াতের অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু বন্দীদের সাথে কথা বলার অনুমতি দেননি। মানবাধিকার কর্মী দেখলেন, স্বৈরশাসক মিথ্যা বলেছেন। দ্বীপে কোন নীল চোখের মানুষ নেই, দ্বীপের সমস্ত মানুষের চোখ সবুজ। তিনি ভাবলেন, এই তথ্যটা জানতে পারলেই দ্বীপের সমস্ত মানুষ মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু বন্দীদের সাথে কথা বলার অনুমতি তো মানবাধিকারকর্মীর নেই।  অনেক অনুরোধের পর স্বৈরশাসক তাকে দুটি শর্তে বন্দীদের সাথে কথা বলার অনুমতি দিলেন:

প্রথম শর্ত- বন্দীদের উদ্দেশ্যে একটিমাত্র বাক্য বলা যাবে।

দ্বিতীয় শর্ত- সেই বাক্যটিও এমন হতে হবে যেন  তা শুনে বন্দীরা নতুন কিছু জানতে না পারে, অর্থাৎ কেবলমাত্র তাদের জানা কোন বিষয়ই মানবাধিকারকর্মী তাদের জানাতে পারবেন।

এই শর্ত মেনে নিয়ে মানবাধিকারকর্মী  একটি বাক‍্য‌ তৈরি করলেন। স্বৈরশাসক যখন দেখলেন যে বাক‍্যটি  তার দুটি শর্তই পূরণ করছে, তিনি মানবাধিকারকর্মীকে অনুমতি দিলেন বাক্যটি বলার। মানবাধিকারকর্মী একটি মাইক নিয়ে দ্বীপে গেলেন, দ্বীপের নানা জায়গায় গিয়ে তিনি বারেবারে একটি বাক্যই ঘোষণা করতে লাগলেন, যা দ্বীপবাসী সকল বন্দীই শুনতে পেল।

"তোমাদের মধ্যে অন্তত একজনের চোখ সবুজ।"

এরপর এক রাত, দুই রাত করে একশো রাত কেটে গেল। শততম রাতে দেখা গেল, একশো জন বন্দীই বের হয়ে গেছে। কি করে এটা সম্ভব হলো?

≠======================================================================

সমাধান: বোঝার সুবিধার্থে প্রথমে বন্দীর সংখ্যা দুইজন ধরে নেই। মনে করা যাক তাদের নাম A আর B। প্রথম দিন তারা পরস্পরের সবুজ চোখ দেখতে পাচ্ছে, কিন্তু যেহেতু ঘোষণা বলছে অন্তত একজনের চোখ সবুজ, তাই A ভাবছে যে B এর চোখ সবুজ অর্থ তার নিজের চোখ হয় নীল না হয় সবুজ। সে ভাবছে:

১) A এর চোখ নীল হলে সেটা দেখে B বুঝতে পারবে নিজের চোখ অবশ্যই সবুজ, তাই সে প্রথম রাতে চলে যাবে।
২) A এর চোখ সবুজ হলে সেটা দেখে B প্রথম রাতে যাবে না, কারণ তার চোখের রঙ সম্পর্কে সে নিশ্চিত হতে পারে না। B প্রথম রাতে না গেলে A বুঝতে পারবে যে A এর সবুজ চোখ দেখে B যায়নি, আবার Bও বুঝতে পারবে যে তার সবুজ চোখ দেখে A যায়নি, অর্থাৎ দুজনের চোখই সবুজ। তাই দ্বিতীয় রাতে দু'জনেই চলে যাবে।

যদি বন্দী তিনজন হয়, ধরা যাক তাদের নাম A, B, C! C দেখবে বাকি দুজনের চোখ সবুজ, এবং বিবেচনা করবে:

১) C এর চোখ নীল হলে A, B দু'জনেই তা দেখবে এবং তাদের দুজনের চোখের রং সবুজ বলে বুঝতে পেরে দ্বিতীয় রাতে চলে যাবে।

২) যদি তাঁরা দ্বিতীয় রাতে না যায়, তবে বুঝতে হবে C এর চোখও সবুজ। কারণ A, B দ্বিতীয় রাতে যাবে না, যদি তাদের প্রত্যেকে দুজন সবুজ চোখের মানুষ দেখতে পায়, অর্থাৎ দ্বিতীয় রাতে কেউ না গেলে তিনজনেই বুঝতে পারবে তিনজনের চোখই সবুজ। সুতরাং তৃতীয় রাতে তিনজনই চলে যাবে।‌

গাণিতিক ভাবে দেখানো যায়, যদি n সংখ্যক সবুজ চোখের মানুষ থাকে, তবে nতম রাতে সবাই বের হয়ে যেতে পারবে, অর্থাৎ ১০০ জন সবুজ চোখওয়ালা ১০০ তম রাতে বের হয়ে যেতে পারবে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধাধা নিয়ে মাথা ঘামানোর টাইম নাই। তবে প্রথম মন্তব্য আর লাইকের সুযোগ আমি খুবই কম পাই। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগাইলাম।

অ.টঃ ব্লগার শেরজা তপনের লেটেস্ট পোষ্ট নিয়ে আপনার কাছ থেকে কিছু আলোচনা আশা করেছিলাম। :)

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০

করুণাধারা বলেছেন: দুই জায়গায় প্রথম স্থান অর্জন সহজ কাজ না! এই বিরল অর্জনের জন্য অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ!

অ. টপিক নিয়ে বলি, ওই লেটেস্ট পোস্ট রম্য রচনা নাকি বিটিভির জন্য কোন স্ক্রিপ্ট, সেটা ভেবে দীর্ঘ সময় পার করেছি, ভাবতে ভাবতে মনে হয়েছে সম্ভবত দ্বিতীয়টা হবে। তারপর সবদিক বজায় রেখে একটা মন্তব্য করেছি। #:-S

অবশ্য আমার পরে করা আপনার মন্তব্য দেখলাম। ঠিকই বলেছেন, আমারও এই পোস্ট পড়ে কালবৈশাখীর কথা মনে পড়ছিল, উনিও একবার পোস্ট দিয়েছিলেন যে ঢাকা শহরে মানুষ লাইন দিয়ে গরুর গোস্ত কেনে, আর জবাইয়ের কিছুক্ষণের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যায়। কারণ হিসেবে উনি বলেছেন, মানুষের হাতে এখন প্রচুর পয়সা।

শেরজার থেকে একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা আমার। আমি দেখেছি রমজান মাসে প্রচন্ড গরমের মধ্যে ট্রাকের পিছনে মানুষের দীর্ঘ লাইন, সেই ট্রাকে ন্যায্য মূল্যে মুরগি ডিম দুধ বিক্রি করা হচ্ছিল।

তাহলে কারা এত দামী মাছ গোশত খায়? এই ধাঁধার উত্তর হলো, চোরেরা। চুরির পয়সা খরচ করতে তাদের গায়ে লাগেনা। আজকাল অনেক মানুষের এমন পয়সা আছে....

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:





ধারাপু, কোথায়? দেখতে পাচ্ছি নাহতো, একটু এগিয়ে দিবে প্লীজ :(



৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: অবশ্যই এগিয়ে দেবো, চুপ করে এক জায়গায় বসো। তারপর এই ভিডিও দেখ আর শোন। ভালো না লাগলে বন্ধ করে দাও! :)

ধাঁধা তো আর সবার ভালো লাগে না। কার ভালো লাগতো মনে আছে!! আজকে সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে একজনের পোস্টে মন্তব্য দেখে স্মৃতি কাতর হলাম। মনে পড়লো, বিশেষ করে তারই জন্য সাচু ধাঁধার পোস্ট দিত!! এই পোস্ট তাকে স্মরণ করেই দেয়া, যদি ফিরে আসে... আবার সবকিছু আগের মত জমজমাট হয়ে উঠতো যদি!!



৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মায়াস্পর্শ বলেছেন: মাথা ঘুরাচ্ছে যে, |-)

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: হায় হায়! মাথা ঘুরাচ্ছে!! সাবধান!

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: গল্পে ১০০ জন বন্দী একে অপরকে দেখতে পাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মী বলেছে যে , '' তোমাদের মাঝে অন্তত একজনের চোখ সবুজ'' । অথচ প্রত্যকেই দেখছে যে , বাকি ৯৯ জনের চোখই সবুজ কিন্ত কেউ যাচ্ছে না। তার মানে শ অক্ষরটা সাইলেন্টলি বলতে চেয়েছে মানবাধিকার কর্মী ! |-) আর কিছু মাথায় আসছে না ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: একশো বন্দীর প্রত্যেকেই বাকি ৯৯ জনের সবুজ চোখ দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু নিজের চোখ দেখতে পারছে না। ফলে কেউই নিজের চোখের রঙ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছে না, নিশ্চিত হতে প্রয়োজন হলো একশো দিনের। কেন একশো দিন! এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সহজে বোঝার জন্য প্রথমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুজন বন্দী ধরে, তারা দ্বিতীয় রাতে যাবে। এভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় তিনজন যাবে তৃতীয় রাতে, চারজন চতুর্থ রাতে ইত্যাদি... অন্তর্জালের লেখা পড়ে এবং ভিডিও দেখেও আমার অনেক সময় লেগেছে সমাধান বুঝতে...

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: এরা কি পাপাঙ্গুল!!!!!!! :-/

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: নীল আর সবুজ দেখেই তোমার মাথায় পাপাঙ্গুলের কথা চলে এলো!! দারুন চৌকশ!!

নীল মাথাতে সবুজ রঙের চুল
এরাই পাপাঙ্গুল!

না, এরা পাপাঙ্গুল না, পাশের দ্বীপে থাকে। প্রতিবেশী বলতে পারো।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: অবশ্যই এগিয়ে দেবো,

আমি কি এগিয়ে দিতে বলেছি! ধারাপু তার পা জোড়া এগিয়ে দিবে। ওইটা খুঁজছি :)
আমি ক্ষমা চাইবো। মাফ করে দিলে হয় নাহ!!

এমনিতেই ঘুম আসে না, এই মধ্যরাতে এখন আবার ধাঁধা!!
নিশ্চয়ই কোন পাপ করেছিলাম, তার প্রায়শ্চিত্ত :)


৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫২

করুণাধারা বলেছেন: মাফ করে দিলাম যাও! তোমাকে মাথা ঘামাতে হবে না আর। রাত দুইটা বাজতে চলল এখন ঘুমিয়ে পড়ো!

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

শায়মা বলেছেন: তাহলে মনে হয় আমাদের টিকটকখ্যাত পিচ্চিপাচ্চি প্রিন্স মামুন........ :) সবুজ রঙ টিয়াপাখি চুল তার!!! তুমি নিশ্চয়ই চিনবে না। আমিও সেদিন তাকে চিনে অবাক!! পুরাই ম্যাকাও বার্ড তার মাথায়!!!!!!!! :D

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৬

করুণাধারা বলেছেন: দেখতে হবে তো প্রিন্স মামুনকে! অবশ্য দুই মিনিটের বেশি দেখার ধৈর্য্য থাকবে বলে মনে হয় না।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: কার ভালো লাগতো মনে আছে!! আজকে সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে একজনের পোস্টে মন্তব্য দেখে স্মৃতি কাতর হলাম। মনে পড়লো, বিশেষ করে তারই জন্য সাচু ধাঁধার পোস্ট দিত!! এই পোস্ট তাকে স্মরণ করেই দেয়া, যদি ফিরে আসে... আবার সবকিছু আগের মত জমজমাট হয়ে উঠতো যদি!!

হুম! অবশ্যই মনে আছে। আমিও দেখেছি সেই সাম্প্রতিক মন্তব্য। ধারাপুর মতো আমিও বেশ অনেকক্ষণ এসব নিয়ে ভেবেছি।
সত্যি বলতে আমারও অনেক খারাপ লাগে। মানুষই ভুল করে, আবার মানুষ তার ভুল বুঝে অনুতপ্ত হয়, মানুষই মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। অতীত ভুলে আবারও সামনে এগিয়ে যায়।

I badly miss those days. I wish one day everything will be like before.
থ্যাংকস ধারাপু, তাকে মনে করে পোষ্ট দেয়ার জন্য।
ভালো থেকো। সবাই যে যেখানে আছে ভালো থাকুক।

রাত নিয়ারলি আড়াইটা। অনেক ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।




০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

করুণাধারা বলেছেন: আমার মনে হয় হুট করে রাগের মাথায় সামু ছেড়ে চলে যাওয়া যায়, কিন্তু ছেড়ে থাকাটা খুব আনন্দদায়ক হয় না। তাই আমি আশাবাদী যে অভিমান ভুলে সে ফিরে আসবে আবার।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেকদিন পড়ে এরকম একটা ধাঁধা পেলাম যেটা বেশ কৌতুহলোদ্দীপক।

তবে মানবাধিকারকর্মীর "তোমাদের মধ্যে অন্তত একজনের চোখ সবুজ" এই ঘোষণা দেবার প্রয়োজনটা কেন পড়লো এটা নিয়ে আমি একটু কনফিউজড।

বন্দীদের কারো কারো চোখের রং সবুজ এই তথ্যটাই কি যথেষ্ট নয়, এই চলে যাওয়ার প্রসেসটি শুরু করার জন্য?
আরেকটা বিষয় হলো তারা জোড়ায় জোড়ায় থাকলেই তো দ্বিতীয় রাতেই সব একসাথে চলে যেতে পারে। ১০০ জন মিলে একসাথে থেকে ভেজাল বাড়িয়ে লাভ কী? :)

০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪০

করুণাধারা বলেছেন: বন্দীদের কারো কারো চোখের রং সবুজ এই তথ্যটাই কি যথেষ্ট নয়

ঠিকই বলেছেন, এই তথ্যটাই যথেষ্ট। আমি এভাবে চিন্তা করিনি আগে। বুঝতে পারছি আমার মাথা খাটানোর ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, সেজন্য আমি কেবল যে সমাধান দেয়া আছে সেটা নিয়েই ভেবেছি, এছাড়া আর কিছু ভাবতে পারিনি। আপনার মন্তব্য পড়ার পর আরেকবার ভিডিওটি দেখে তার নিচে দেয়া মন্তব্যগুলো পড়ে দেখলাম অনেকেই আপনার মতোই অন্য বাক্য ব্যবহারের কথা বলেছেন, অন্যরা আলোচনা করে বলছেন যে সেটাও সম্ভব, মূল ব্যাপারটা এখানে common knowledge, স্বতন্ত্র ভাবে যে জ্ঞান ফলপ্রসূ হয় না সামষ্টিক ভাবে সেই জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে ফল লাভ করা সম্ভব। এই ভিডিও ছাড়াও, অন্তর্জালের লেখায় পড়েছি একটা জন সমষ্টির জন্য common knowledge কীভাবে কাজ করে। পড়েছি, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। তবে এটা বুঝতে পেরেছি যে common knowledge এর প্রয়োগ বোঝাতেই এই ধাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।

আপনার বাক্যটাও পরীক্ষা করে দেখেছি, এটা দিয়েও একই ফল পাওয়া যাবে।

১০০ জন মিলে একসাথে থেকে ভেজাল বাড়িয়ে লাভ কী?

কিছু লাভ তো নিশ্চয়ই আছে। ১০০ জন একসাথে থাকলো বলেই এই ভিডিও বানানো গেল, লক্ষ লক্ষ মানুষ সেটা দেখলো... B-)

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




লিংকটা যায়নি :(




০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: এই গান ততবারই শুনি একই রকম ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটা দেবার জন্য।

১১| ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১২:১১

এম ডি মুসা বলেছেন: আমার মাথায় এত বুদ্ধি নেই- আমি প্রেসার নিয়ে কিছু দেখতে পারি না, একটু সমস্যা আছে।

০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আমি প্রেসার নিয়ে কিছু দেখতে পারি না

প্রেসার নিয়ে দেখবার কোনো দরকার নেই, এমন ডি মুসা। আপনি এসেছেন এতেই আমি খুশি।

আমার মাথায় এত বুদ্ধি নেই

এই কথায় একমত হতে পারলাম না। বুদ্ধি সবারই কাছাকাছি থাকে, কিন্তু মনোযোগ দেবার ক্ষমতার কমবেশি থাকে। শারীরিক ও মানসিক নানা ধরনের চাপ মনোযোগ দেবার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, এটাই ব্যাপার।

ভালো থাকুন, শুভকামনা।

১২| ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক সময় ধাঁধা, puzzle, quiz ইত্যাদি solve করতে খুব মজা পেতাম, সফলও হতাম। এখন এসব কাজকে বেশ ভারী মনে হয়। ফলে, সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাটাও ভারী হয়ে যায়। বোঝা যাচ্ছে, মস্তিষ্ক ও মননের ক্রিয়াকলাপে তীক্ষ্ণতা ক্রমশঃ ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে।
তবে, আপনার এ ধাঁধাটা আমার জন্যে একটু নতুন ধরনের ছিল, তাই সমাধানের আগ্রহও ছিল।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে আবার একটি নতুন ধাঁধায় প্রবেশ করলাম।

০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

করুণাধারা বলেছেন: এখন এসব কাজকে বেশ ভারী মনে হয়।

আমারও। আমি তাই কেবল সমাধান দেয়া আছে এমন ধাঁধা দেখি, সমাধান সহ। এটাও তেমনই একটি ধাঁধা, এর সমাধানের জন্য যে সব যুক্তি দেয়া হয়েছে সেগুলো বুঝতেও আমার অনেক সময় লেগেছে। খুব ভালো বুঝিনি অবশ্য, common knowledge কিভাবে কাজ করে সেটা ভালো মতো বুঝিনি।

আসলে এ ধাঁধাটা দেবার পেছনে আপনার অবদান আছে। গতকাল আপনি একজনের পোস্টে তিনটি মন্তব্য করেছেন। সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে দেখতে পেয়ে আমি সেই পোস্টে গেলাম। একসময় নানারকম বিষয়ে সুলিখিত পোস্ট দিতেন যে ব্লগার তিনি অভিমান করে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন। আমি চাই আগের মতই তিনি ব্লগে সক্রিয় হোন। আপনি পোস্টে গিয়ে তাকে একথা বলেছেন, আমি এই ধাঁধা পোস্ট আরেকবার দিলাম যাতে ধাঁধার আকর্ষণে তিনি ফিরে আসেন। আশাকরি মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে যে নতুন ধাঁধায় পড়েছিলেন এখন তার সমাধান হয়ে গেছে। :)

১৩| ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন দুপুর সাড়ে বারোটা, একটু পরই লাঞ্চে যাবো। কাজ করতে করতে ভাবলাম আপনার পোষ্ট না পড়েই লাইক/কমেন্ট করলাম। এইটা তো একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। বড়ভাইয়ের মুখ বন্ধ, কিছু বলতে পারছে না। কিন্তু চোখ তো খোলা!!! আমার এইধরনের নাদানী কাজ দেখে কি ভাববে চিন্তা করেই লজ্জা লাগলো। তাই আপনার পোষ্টে একটু চোখ বুলালাম। তারপর থেকেই কেমন যেন মাথা ঘুরাচ্ছে.......বমি বমি লাগছে!!!! B:-)

ক্রিসকে ডাকলাম। লাঞ্চের আগেই কড়া করে এক কাপ কফি আর একটা বিড়ি না হলে রিকোভারী হবে না। =p~

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের সার- সংক্ষেপ: এটা একটা বমন উদ্রেককারী পোস্ট। :||

তারপরও মন্তব্য করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৮:১২

প্রামানিক বলেছেন: পড়লাম পুরোটা, ধাধা মন্দ নয়।

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রামাণিক।

১৫| ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৮:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বমি বমি সম্ভাবনা লাগিছে মন্দনা।

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬

করুণাধারা বলেছেন: বমি বমি সম্ভাবনা লাগিছে মন্দনা।

হায় হায়! কী বিষম কাব্যময় মন্তব্য!!

১৬| ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: নির্বহনকে আমিও খুব মিস করি। আমি বিশেষভাবে মিস করি তার রুবাই। মাঝে মাঝে ভাবি হয়ত কোণ একদিন অভিমান ভুলে ব্লগে ফিরে এসে চমকে দেবে আবার সবাইকে।


তবে সারে চুয়াত্তর ভাই কেন এত অনিয়মিত? মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোস্টের কমেন্ট বক্সে দেখা যায় উনাকে। কিন্ত কোণ প্রকার ব্লগীয় মিথস্ক্রীয়ায় দেখা যায় না আর তাকে। মনেতো হয় ভাবীর কুনজর পড়সে উনার ব্লগিং এর উপর :)

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

করুণাধারা বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি হয়ত কোণ একদিন অভিমান ভুলে ব্লগে ফিরে এসে চমকে দেবে আবার সবাইকে।

তাই যেন হয়। আমি নিশ্চিত যে, সেদিন সকলে তাকে সাদরে কাছে টেনে নেবে। কারণ তার লেখনী আর ব্যবহারের কারণে সে অনেকের প্রিয় ব্লগার ছিল। ব্লগে সুন্দর আলোচনার সৃষ্টি করতে পারতো তার পোস্ট, তখন সামুতে এলে দমবন্ধ হয়ে যেতো না।‌

সাড়ে চুয়াত্তর হয়তো ব্যস্ত আছেন, আশাকরি তিনিও ফিরবেন তাড়াতাড়ি।

১৭| ০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:৪৯

সোহানী বলেছেন: ধাঁ ধাঁ সবসময়ই আমার মাথার উপ্রে দিয়া যায় বা আমিই মাথার উপ্রে পাঠায়ে দেই ;) । কারন আমি কিছুতে মাথা ঢুঁকালে সর্বনাশ, ওটা সমাধান না পর্যন্ত সেখান থেকে বের হই না :-P

আমরা মা মেয় মাঝে মাঝে এরকম রিডল ভিডিও দেখি আর নিজেরা বসে সমাধান করে শেষ অংশ দেখি ;)

০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

করুণাধারা বলেছেন: মাঝে মাঝে ধাঁধা সমাধান করতে ভালো লাগে। আজকাল attention deficiency এর জন্য কোন কিছু নিয়ে ভাবতে পারিনা। কিন্তু এতে মাথার ব্যায়াম হয়। :)

মা, মেয়ের কাহিনী পড়ার পর তাদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মনে হলো ছেলে বাদ থাকবে কেন... সেটা ভাবতেই মনে হলো ছেলের বাপকে শুভেচ্ছা থেকে বাদ দেয়াও ঠিক হবে না!! অতএব সোহানীকে সপরিবার শুভেচ্ছা।

১৮| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি প্রথম দিনই পোস্ট দেখেছি- কিন্তু ধাঁধা দেখে আর পড়ার ইচ্ছা জাগে নি। কেন যেন এসব বিষয়ের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই।
তবুও পড়লাম! কি বুঝলাম কি বুঝলাম না জানি না :)

০৪ ঠা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

করুণাধারা বলেছেন: যে বিষয়ে আগ্রহ নেই তাতে সময় দেয়া বেশ কষ্টকর কাজ। ধাঁধায় আপনার আগ্রহ না থাকা সত্ত্বেও আপনি সময় নিয়ে এই পোস্ট পড়েছেন, লাইক দিয়েছেন আর মন্তব্য করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ সেজন্য।

তবে আমি কিন্তু আপনার ওপর এটা চাপিয়ে দেইনি। আমার যে পোস্ট আপনি আগ্রহ পাবেন না, অনায়াসে পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন। আপনার কত পোস্ট তো আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করার সময় অলসতা করে মন্তব্য করিনা। আশাকরি আমার এ ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। :)

১৯| ১৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটা পড়লাম আপু। কিন্তু সব কেমন যেন মাথার উপ্রে দিয়ে চেলে গেল। বলে দাও না আপুনি।

৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: হা হাহা, এটা তো মাথার উপরে দিয়ে যাবার জন্যই দিয়েছি! :) বলে দিলেই তো সব রহস্য শেষ!

২০| ২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি গানিতিক সূত্র না বরং আমার নিজস্ব চিন্তা থেকে ধাঁধার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। আপনার দেয়া সমাধান দেখার আগেই আমি নিজের মত চিন্তা করেছি। পরে সমাধান দেখেছি। আমার কাছে ধাঁধার উত্তরটা এই রকমঃ

১০০ জন বন্দির প্রত্যেকে নিশ্চিত যে বাকি ৯৯ জনের চোখ সবুজ। কিন্তু নিজ নিজ চোখের রঙের ব্যাপারে তারা নিশ্চিত না। কারণ প্রত্যেক বন্দি বাকি সবার চোখ দেখতে পাড়ছে নিজেরটা ছাড়া। ১০০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে সবার মধ্যে এই চিন্তা কাজ করবে যে, সবুজ চোখ হওয়া সত্ত্বেও বাকি ৯৯ জন কেন চলে গেল না। তখন তাদের প্রত্যেকের মাথায় আসবে যে তার মানে ওরা প্রত্যেকে ভয় পাচ্ছে যে ওদের নিজের চোখ হয়তো নীল। ১ম বন্দি দেখছে যে সবার চোখ সবুজ। যদিও বাকিরা ভাবছে তাদের চোখ নীল। সে তখন বুঝবে যে সে-ও একই ভুলের মধ্যে আছে। কারণ একই নিয়ম কাজ করছে সবার জন্য। এক সময় তারা সবাই বুঝবে যে প্রত্যেকে একই ধরণের চিন্তা করার কারণে কেউই যাচ্ছে না। ১ম বন্দি যেমন নিশ্চিত যে বাকি ৯৯ জনের চোখ সবুজ একই ভাবে ১০০ তম বন্দি নিশ্চিত যে ১ম বন্দি সহ বাকি ৯৯ জনের চোখ সবুজ। ১০০ তম দিনে সবার মধ্যে এই বোধ জাগ্রত হবে যে সবাই ভাবছে তার চোখ হয়তো নীল আর বাকিদের চোখ নিশ্চিতভাবে সবুজ। এক সময় তারা বুঝে যাবে যে আসলে সবার চোখই সবুজ। কারণ ১০০ জনের চোখে সবুজ হলেও এটা বলা সঙ্গত যে অন্তত ১ জনের চোখ সবুজ।

৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: খুব অবাক হলাম দেখে যে আপনি ধাঁধাটা নিয়ে ভেবেছেন!! আমরা বেশিরভাগ মানুষই মাথা কাটানোর চাইতে সমাধান দেখে নেওয়াটাই সহজ মনে করি। ‌ স্কুল কলেজে অংক বইয়ের সমাধান বলে একটা বই পাওয়া যেত অনেক সময় কঠিন অংক নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সমাধান দেখে ফেলতাম! আপনি বোধ হয় কখনো তেমন করেন নি!!

আপনার উত্তর মনে হয় ঠিক আছে। সম্ভবত একটা মাত্র সমাধান বলে দেয়া হয়েছে, কিন্তু মাথা খাটালে আপনার মত আরো অনেক সমাধান বের হয়ে আসবে।

আমি দুঃখিত এতো দেরি করে উত্তর দেবার জন্য। আমি আগেই এই মন্তব্য দেখেছি কিন্তু এটা বোঝার জন্য ভাবতে অনেক সময় নিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.