নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন, খাতার প্রথম পৃষ্ঠায় সুন্দর হস্তাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্রথম প্রশ্ন লিখে তার নিচে অনেকখানি জায়গা খালি রেখে পৃষ্ঠার একেবারে শেষে লেখা, "উত্তর ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় দেখুন"। তিনি দেখলেন, খাতার পরবর্তী সব পৃষ্ঠায় প্রশ্নপত্রের অন্যান্য প্রশ্ন তুলে দিয়ে নিচে লেখা, "উত্তর ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় দেখুন"। শিক্ষক ২০ নম্বর পৃষ্ঠায় পৌঁছে গেলেন, দেখলেন সেখানে পুরো পাতা জুড়ে মস্ত বড় এক 'ক' লিখে তার নিচে ছাত্র লিখে রেখেছে, "দ্যাখ **, কত্ত বড় ক!"
কৌতুহল
মেট্রো রেলের টিকেট করার লাইনে দাঁড়িয়েছি, মেশিন কাজ করছে না তাই লাইন আগাচ্ছে না। আমার পিছনে দাঁড়ানো লোকটি আমাকে প্রশ্ন করা শুরু করলেন। অন্যের ব্যাপারে অতি কৌতুহল দেখানো যে শিষ্টাচারের সীমা অতিক্রম করা, এটা যে অতি অশোভন একটি কাজ লোকটির সম্ভবত একথা জানা ছিল না। আমি না শোনার ভান করে চুপ করে থাকলেও তিনি বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন, অগত্যা উত্তর দিতে হয়...
- যাবেন কোথায়? বললাম।
- আপনি থাকেন কোথায়? বললাম।
- দেশের বাড়ি কোথায়? বললাম।
- আপনার ছেলেমেয়ে কয়জন? বললাম।
- তারা কী করে? বললাম।
- সাহেব কী করেন? বললাম।
- আপনি কী করেন? কিছু করি না।
- চাকরি করেন না? না।
- আগে করতেন? না।
- আপনি জীবনেও চাকরি করেন নাই? না।
লোকটার কৌতুহল মেটাতে গিয়ে একসময় আমাকে মিথ্যা বলতে হলো! বিরক্ত হয়ে লাইন ছেড়ে আরেক লাইনের শেষে গিয়ে দাঁড়ালাম।
অপরিচিত কোন মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ে এমন কৌতুহল প্রকাশ করা যে অনুচিত, বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে, এই সাধারণ জ্ঞানটুকুও কিছু মানুষের থাকে না। ব্লগও একটা পাবলিক প্লেস। এখানেও দেখি কেউ কেউ ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন, যেমন আপনার বয়স কত, আপনার আয় কত ইত্যাদি। এটা অতি অশোভন এবং অনুচিত আচরণ।
কুম্ভীলক এবং কোতোয়াল
অন্যের লেখাকে নিজের নামে চালিয়ে দেয় যে, তাকে বলে কুম্ভীলক। সামু ব্লগেও কোন কোন ব্লগার কুম্ভীলকবৃত্তি অবলম্বন করে থাকতেন, আবার কোন কোন ব্লগার কুম্ভিলকের উপর নজরদারি করতে থাকতেন। দ্বিতীয় ব্লগার লেখা চুরির প্রমাণ হাজির করে চোরকে একাজ থেকে বিরত থাকতে বলতেন। যেহেতু চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে দ্বিতীয় ব্লগার কাজ করে যাচ্ছিলেন, তাই তাকে ব্লগীয় কোতোয়াল বলতে পারি। কোতোয়াল কিন্তু তার কাজে সফলতা পেলেন না; প্রথমত সমস্ত প্রমাণ দেবার পরও লেখা চোর কিছুতেই চুরির কথা স্বীকার করলেন না, দ্বিতীয়ত সামুর কিছু পুরনো ব্লগার কোতোয়ালের উপর চোটপাট করলেন, তিনি নতুন ব্লগার হয়ে পুরোনো ব্লগারের উপর এমন খবরদারি করছেন দেখে। এরপর দেখা গেল কোতোয়াল সামু ছেড়ে কোথায় চলে গেলেন... মনের দুঃখে হয়তো বনেই গেলেন!! অথচ ব্লগার শের শায়রী আবিষ্কার করেছিলেন যে এই কোতোয়াল আসলে কোনো নতুন ব্লগার নন, ইনি সামুর ঋদ্ধ ব্লগার ম্যাভেরিক। লগইন জটিলতায় ম্যাভেরিক নিকে সামুতে আসতে না পেরে নিজের নামে সামুতে ব্লগিং করতে এসেছিলেন। অবশ্য এখন সামুতে একাধিক কোতোয়াল ম্যাভেরিকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
কুম্ভিলকের সমস্যা মনে হয় সামুর শুরু থেকেই আছে। ২০০৮ সালে, ষোলো বছর আগের সামুতেও আমি একজন কুম্ভিলককে পেয়েছি। অবশ্য আমি কোতোয়ালের মতো এমন এলেমদার নই যে লেখাচোর ধরে ফেলবো! এই কুম্ভীলককে আবিষ্কার করেছি কাকতালীয়ভাবে! একদিন করুনাধারা লিখে গুগল সার্চ করতে গিয়ে দেখি "করুনাধারা" শিরোনামে একটা পোস্ট আসলো। সেটা কবিগুরুর "জীবন যখন শুকায়ে যায়..." গানে একটা শিরোনাম জুড়ে দিয়ে তৈরি করা পোস্ট, অথচ পোস্টের কোথাও কবিগুরুর নামের উল্লেখ করেন নি পোস্ট দাতা! view this link
ক্যাচাল
দূর থেকে ক্যাচাল দেখতে আমার ভালো লাগে, বলা যায় যে আমি ক্যাচাল পর্যবেক্ষণ করতে বেশ পছন্দ করি। সামুতে কখনো সখনো ক্যাচাল হয়, সেটা দেখে আমার দেখা প্রথম ক্যাচালের কথা মনে পড়ে যায়। সেটা ছিল অনেক জনের ক্যাচাল, দুই দেশের মানুষের মধ্যে ক্যাচাল। ১৯৯৩/৯৪ সালে, আমি তখন ইউ এ ইতে থাকি। সেখানে তখন গালফ নিউজ পত্রিকা পড়া হতো। মোটাসোটা পত্রিকায় অনেকগুলো পৃষ্ঠা, একেক পৃষ্ঠায় একেক রকম খবর থাকতো। একটা পৃষ্ঠা ছিল India and the sub continent নামে, আর ছিল খেলার খবরের জন্য একাধিক পৃষ্ঠা। দেখা গেল, এই দুই জায়গাতেই প্রতিদিন শচীন টেন্ডুলকারের গুণগান করে নানারকম খবর থাকে, সাথে বিশাল ছবি। কখনো টেন্ডুলকার হাসিমুখে নতুন কেনা লাল গাড়িখানার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, কখনো লন্ডনে তার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়ানো, কখনো কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে গেছে! তখন টেন্ডুলকার ভারতের ক্রিকেটে সদ্য আবির্ভূত হয়েছেন, তাকে বলা হতো ভারতের ক্রিকেটের child prodigy। তেন্ডুলকারে ভারতীয়দের মাতামাতি দেখেই হয়তো গালফ নিউজ পারলে পত্রিকার অর্ধেক জুড়ে তার খবর ছেপে দেয়।
আমার স্বামী একদিন গালফ নিউজের চিঠিপত্রের পাতায় একটা চিঠি লিখলেন, চিঠির শিরোনাম ছিল "Such in Tendulkar!", চিঠির বক্তব্যের সারসংক্ষেপ ছিল, "শচিনকে নিয়ে এত মাতামাতি করার কী আছে! এমন কী তালেবর হয়ে গেছে সে, যে প্রতিদিন পত্রিকা খুলেই তার চেহারা দেখতে হবে, খবর পড়তে হবে!"
এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় পরদিন শচিনের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে দু-তিনটা চিঠি ছাপা হলো, তারপর দিন পাঁচ ছয়টা, এবার পক্ষের সাথে বিপক্ষেও। তারপর দিন একজন লিখলেন, জনৈক (আমার স্বামীর নাম) পাকিস্তানী শচিনের কীর্তিতে গাত্রদাহ অনুভব করছেন, কারণ পাকিস্তান ক্রিকেটে শচিনের মতো এমন কীর্তিমান কোনো ক্রিকেটার নেই, কখনো হবেও না!! আমার স্বামীর মুসলিম নাম দেখে এই লেখক অনুমান করে নিয়েছিলেন তিনি পাকিস্তানি! এরপর শুরু হয়ে গেল গালফ নিউজে ভারতীয় এবং পাকিস্তানীদের পত্র লিখন প্রতিযোগিতা, ভারতীয়রা শচিনের পক্ষে আর পাকিস্তানীরা বিপক্ষে। এই পত্রিকার পুরো এক পাতা থাকতো নানা বিষয়ে পাঠকদের মতামত প্রকাশক চিঠিপত্রের জন্য, দেখা গেল সেই চিঠিপত্রের পাতা জুড়ে থাকছে কেবল শচিন বিষয়ক চিঠি! পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বিক্রম ভোহরা, নাম দেখে তার জাতীয়তা বোঝা যায় কিন্তু তিনি নিরপেক্ষভাবে পক্ষে-বিপক্ষে সমান সংখ্যক চিঠি প্রতিদিন ছাপাতেন, আর সেই ক্যাচাল পর্যবেক্ষণের জন্য আমি ভোর হলেই দোর খুলে হকারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতাম।
বেশ কিছুদিন পর সম্পাদক একদিন ঘোষণা দিলেন, তেন্ডুলকর সম্পর্কিত কোন চিঠি আর ছাপা হবে না। আমার দেখা প্রথম ক্যাচালের সমাপ্তি এভাবেই ঘটেছিল!
কেকা আপার আলুর নুডুলস
একদিন টিভি খুলে দেখি কেকা আপা নতুন রেসিপি শেখাবেন, আলুর নুডুলস। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতে বসলাম, কারণ চালের আর গমের নুডুলস খেলেও আলুর নুডুলস কখনো খাইনি, নামও শুনিনি! কেকা আপা বলে চলেছেন, "... আলুর নুডুলস কোরিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান প্রভৃতি দেশে খুবই জনপ্রিয়। আমি তাদের রেসিপিটাকে নিজের মতো করে নিয়েছি, এটা একটা সহজ রেসিপি, ফিউশন রেসিপি বলতে পারেন, কেমন! তাহলে আলুর নুডুলসের জন্য আমরা নিয়ে নিলাম বড় দুটো আলু, এগুলোকে এভাবে চিকন করে কেটে নিয়ে সরিয়ে রাখলাম। এবার নিলাম এই একটা মাঝারি পেঁয়াজ, দুটো লাল আর সবুজ ক্যাপসিকাম, একটা গাজর, সবগুলো এভাবে জুলিয়ান কাটে কেটে
নিলাম। কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে রাখলাম, কেমন। আচ্ছা এবার ছোট একটা বিজ্ঞাপন বিরতির পর ফিরে আসছি... বিরতির পর আবারও এলাম, এবার ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে দুটো ডিম এভাবে ভেজে তুলে নিলাম। এরপর এই তেলে পেঁয়াজ দিয়ে অল্প ভেজে আলু দিয়ে ঢেকে দিলাম। আলু একটু নরম হয়ে এসেছে , এবার কেটে রাখা বাকি সবজি, লবণ, গোলমরিচ, কাঁচামরিচ, সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে দিলাম। এবারে ডিম দিয়ে পাঁচ মিনিট নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলাম। দ্যাখেন, কী সুন্দরভাবে তৈরি হয়ে গেল আমাদের আলুর নুডুলস!"
অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত দেখার পর আমি হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম! আলু ভাজা রান্না দেখলাম এত সময় ধরে!!
=================================================================================
আমার এই পোস্ট পাঠ করা অনেকটা আলুর নুডুলস শেখার মতো, এই পোস্টে দেশবাসীর জন্য হিতকর কোনো কিছু বা শিক্ষনীয় কোনো কিছু নেই। সামুতে বর্তমান কালে যেসব রাজনীতিবিহীন, বিজ্ঞানবিহীন, মানবিহীন নিম্নমানের পোস্ট আসে এই পোস্ট তার একটা নমুনা।
১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩
করুণাধারা বলেছেন: একে তো নিম্ন মানের পোস্ট, তারপর আপনি চা কপি চেয়ে তো এর মান আরো নীচে নামিয়ে দিলেন!! আপনার বড়ভাই যে চা কফি দেন মার্কা মন্তব্য দেখলে খুব বিরক্ত হন, উনাকে বিরক্ত করি কী করে!! নাহ্, চা কফি হবে না!
অবশ্য আপনাকে বিরাট অভিনন্দন, পর পর দুই বার ফার্স্ট হওয়া বিশাল ব্যাপার। আশাকরি এরপর হ্যাট্রিক করবেন!
রান্না বান্না ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছি। আশাকরি কবরে যাওয়ার আগেই শিখে ফেলতে পারবো। আপনার বিরিয়ানি পোস্টে আমার মন্তব্য মনে আছে, আপনার পোস্টে আমার প্রথম মন্তব্য! ইদানিং আমার মনে হয় আপনি খালি এক বিরিয়ানি রান্নাই জানেন, নাহলে এত বছরেও আর কোন রান্না পোস্ট নাই কেন!
আপনার কৌতুহলও তো দেখি কম না, লাইনে আমার পিছনে দাঁড়ানো লোকের বয়স জেনে আপনার দরকার কী!
প্রধান কুম্ভীলককে আমি খুব মিস করি। আশাকরি তিনি আবার ফিরবেন, আবার চোর পুলিশের খেলা জমে উঠবে সামুতে। আমি দর্শকের গ্যালারিতে বসে দেখবো।
২| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগে লেখাচুরি থামানোর জন্য কতোয়ালগিরি শব্দটা ভাল বলেছেন। আসলেই দেশী দারোগা/ কতোয়াল স্টাইলেই সেই চেষ্টা হয়েছিল। ব্লগে রেডফ্ল্যগ ক্লীক করে কারনসহ যে কোন পোস্ট রিপোর্ট করলেই কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা যায়। এরপর বাদবাকি ব্যবস্থা নেয়ার জন্যতো মডু আছেই। ব্লগারদের বাজে ভাষায় আক্রমন করার কোন প্রয়োজন দেখি না।
ব্লগে দেখা এই পর্যন্ত সেরা ক্যচাল ছিল ব্লগার আমি সাজিদকে ব্লগ থেকে বিতাড়িত করতে যেয়ে জনৈক মৃন্ময়ীর নিজেই কট খাওয়া। ব্লগ ঝিমায়ে পড়লে ক্যচালের প্রয়োজন আছে
১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে চোরাই লেখা এখনও দেখা যায়, তবে সম্ভবত সৌজন্য দেখিয়ে চোরকে অভিযুক্ত করা হয়না আর!
অবশ্য এটা কোন সিরিয়াস পোস্ট না, সবসময় সিরিয়াস পোস্ট না দিয়ে হাবিজাবি পোস্ট দিলে কার কি ক্ষতি হয়!! সামুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর বৈচিত্র্যময় লেখা, যেটা আমি অন্য ব্লগে পাই নি। উচ্চ মানের লেখার সাথে নিম্ন মানের লেখা থাকলেই তো লেখার মান নির্ণয় করা সহজ হয়।
'আমি সাজিদ' হাই অফিসিয়ালের নিক ধরা মানুষটিকে যথাযথ সম্মান দেখাননি বলে তাকে প্রায় বিতাড়িত করা হয়ে গেছিল!! আমাকে তো কেবল বিতাড়ন না, দেশীয় আইনে শাস্তির মুখোমুখি করার হুমকি দেয়া হয়েছিল। আমার মনে আছে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগময় সেই পোস্টে আপনি আমার পক্ষে কথা বলেছিলেন। সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১০
সোনালি কাবিন বলেছেন: ব্লগেট্টা আর মেট্রোরেলের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নকর্তা কাছাকাছি বয়সের সন্দ করি!
১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগেট্টা আর মেট্রোরেলের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নকর্তা কাছাকাছি বয়সের সন্দ করি!
কাছাকাছি বয়সের হতে পারে কিন্তু তারা এক মানুষ নয়, এতে সন্দেহ নাই! ব্লগের উনি হলে প্রথম প্রশ্ন হতো এরকম, মেট্রোরেল খুব চড়ে বেড়াচ্ছেন! দেশের জন্য আপনার অবদান কি?"
৪| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অপরিচিত কোন মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ে এমন কৌতুহল প্রকাশ করা যে অনুচিত, বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে, এই সাধারণ জ্ঞানটুকুও কিছু মানুষের থাকে না। - খুবই বিরক্তিকর।
তবে এসব মানুষদের শায়েস্তা করার উপায় হচ্ছে, উল্টো তাদের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন প্রশ্ন করা।
১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
করুণাধারা বলেছেন: তবে এসব মানুষদের শায়েস্তা করার উপায় হচ্ছে, উল্টো তাদের ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন প্রশ্ন করা।
সেটা খুব ভালো পন্থা হতে বলে মনে হয় না! কারণ এই ধরনের মানুষ যেমন অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তেমনি নিজের বিষয়ে সবাইকে জানাতে ভালবাসেন। তাই আমি প্রশ্ন করলে তিনি নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত বলার সুযোগ পেয়ে যেতেন। আসলে আমার উচিত ছিল কড়া ভাবে তাকে বলা, "চুপ করে, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের চরকায় তেল দিন। আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।"
দুঃখের বিষয়, উচিত কাজটি আমি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করতে পারি না।
৫| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কুম্ভীলক এবং কোতোয়াল চলবেই সামুতে, তা চলুক। কেকা আপার আলুর নুডুলস উপাদেয় হয়েছে।
১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
করুণাধারা বলেছেন: কুম্ভীলক এবং কোতোয়াল চলবেই অবশ্যই!
১৬ বছর আগের সামুতে একজন কুম্ভীলককে খুঁজে পেয়েছি। তাই মনে হয় সব যুগেই সামুতে কুম্ভীলক আছে এবং থাকবে, এবং এখানে চোর পুলিশের খেলা দেখার বিনোদন সবসময়ই থাকবে দর্শকের জন্য।
আলুর নুডুলস অবশ্যই উপাদেয়। সকালবেলা রুটির সাথে এই নুডুলস অনেকেই খেয়ে থাকেন।
৬| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: বেশ কয়েকটি ঘটনা সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন। শচিনকে নিয়ে ঘটনাটি চমক-পদ মনে হল, ক্যাচাল মনে হয় ভালই জমে উঠেছিল!
ব্লগের ক্যাচাল মাঝে মাঝে বেশ ঝটিল আকার ধারণ করে। আমার ব্লগের প্রথম দিকের ঘটনা, এক পুরুষ ব্লগার নারী নীকে লিখতেন। পুরুষরা সব হামলে পরত কমেন্ট বক্সে আপু -মাপু বলে উহ-আহ করতে, পরে যখন আসল সত্য বেরিয়ে এলো, তখন বিশাল এক ক্যাচাল লেগেছিল! অনেক পুরুষ ব্লগার আহত হয়ে ঝগড়ায় নেমে পরেছিল! আমার জীবনে দেখা সব থেকে মজার ক্যাচাল ছিল সেটি, আমি তখন হাতে পপ কর্ণ নিয়ে দেখছিলাম!
কেকা আপাকে নিয়ে আর আগের মত নিউজ দেখি না এখন আর। আলু ভাজাকে নূডুলস বলে চালানো আমার কাছেও হাস্যকর লাগল।
১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: শচীন ছিল তখন ভারতীয়দের জাতীয় হিরো। তাই তার বিরুদ্ধে বলাটা ভারতীয়রা পছন্দ করবে না জানা কথা, কিন্তু পাকিস্তানীরা যেভাবে জড়িয়ে পড়লো এবং যা শুরু হল, তাকেই বলে ক্যাচাল।
ব্লগের ক্যাচাল পপকর্ন হাতে নিয়ে দেখতে আমারও ভালো লাগে, তবে একবার এতে জড়িয়ে পড়ে বুঝেছি এতে ব্লগিং করার এনার্জি ভীষণ ভাবে ক্ষয় হয়।
কেকা আপার রেসিপি নিয়ে সামুতে একাধিক পোস্ট আছে।
৭| ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ২:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাহ্, চা কফি হবে না! আচ্ছা......তাইলে হরলিক্স তো অন্ততঃ দিতে পারেন!! টলার, স্ট্রংগার, শার্পারসহ আরো কি কি যেন হয়!!! তখন আমার নিয়মিত গেয়ানী পোষ্ট দেয়ার ক্ষমতা হবে। কাজেই এটা খেলে বড়ভাই অবশ্যই বিরক্ত হবে না।
অবশ্য আপনাকে বিরাট অভিনন্দন, পর পর দুই বার ফার্স্ট হওয়া বিশাল ব্যাপার। আশাকরি এরপর হ্যাট্রিক করবেন! দোয়া রাইখেন!!
ইদানিং আমার মনে হয় আপনি খালি এক বিরিয়ানি রান্নাই জানেন, নাহলে এত বছরেও আর কোন রান্না পোস্ট নাই কেন! সব রান্নাই পারি। তবে রান্নাবান্নার পোষ্ট নিম্নমানের পোষ্টের মধ্যে পড়ে, তাই আর দেয়ার সাহস পাই নাই।
আপনার কৌতুহলও তো দেখি কম না, লাইনে আমার পিছনে দাঁড়ানো লোকের বয়স জেনে আপনার দরকার কী! আপনার প্রতি অতি-আগ্রহের কারনটা বোঝার চেষ্টা করছি।
১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
করুণাধারা বলেছেন:
আচ্ছা, নেন এক কাপ হরলিক্স! দেশ ও জাতির কোন উপকারে আসে না এমন মন্তব্য করার জন্য আমাকে তিরষ্কার কেউ এখন নাই দেখে হরলিক্স দিতে পারলাম।
রান্নার পোস্ট না দ্যান, আপনার যে পোস্ট দেওয়া ডিউ হয়ে আছে সেটা দিয়ে ফ্যালেন! সেই যে, হৃদ যন্ত্র সম্পর্কিত পোস্ট দেয়ার কথা ছিল, স্টেন্টিং বা বাইপাসের পর মানসিক কী ধরণের সমস্যা হতে পারে... মনে করায় দিলাম। মনে হচ্ছে আপনার হাতে এখন বেশ সময় আছে...
ঐ লোকের বয়স যাই হোক, আমি যে পুরোপুরি শক্তিহীন বুড়োমানুষ হয়ে গেছি বেশ বুঝতে পারছি। এই আমিই একসময় মানুষের মুখের উপর উচিত জবাব দিয়ে চুপ করিয়ে দিতে পারতাম, এখন আর পারিনা!!
৮| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:১৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: আলু ভাজা তো ভালো জিনিস। কিন্তু মুরগির পাছায় নুডুলস ভরে দিয়ে পাছার মুখ আবার ডিম দিয়ে বন্ধ করার ভিডিও দেখার পরের কয়েক মাস আমি নুডুলস বা ডিম - কোনটাই মুখে তুলতে পারিনি।
১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ভাগ্যিস এই ভয়াবহ ভিডিও দেখিনি!! এইরকম জিনিস মাথায় আসে কিভাবে!! এটা দেখার পরে নুডুলস আর ডিম খেতে না পারাটা খুবই স্বাভাবিক।
৯| ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
২০০৩ সালের ঘটনা, যাত্রাবাড়ী থাকি তখন পরিচিত এক ভাগ্নে বলল তাদের ক্লাসের এক ছাত্র নাকি ইংরেজী পরীক্ষার খাতায় লিখেছে-‘স্যার আপনার পাড়ে ধরি, দয়া করে পাস করায়ে দিয়েনে।’
সেই ছাত্র নাকি ঘোরতর প্রেম করতো তাই সে লেখাপড়া কিছুই করতনা। তাই পরীক্ষার খাতায় এসব লিখে দিছে। শুনে আশ্চার্য হয়েছিলাম, কোন ছাত্র এরকম করতে পারে সেটা আমার ভাবনাতে ছিলনা।
সুন্দর পোস্ট খানায় +++++
১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: খাতায় এমন চিঠি লিখে রাখার কথাটা আমি অনেক শুনেছি। সারাবছর লেখাপড়া না করে যখন পরীক্ষা দিতে বসে তখন জানে যে ফেল তো করবেই, তাহলে এভাবে একটা চিঠি লিখে চেষ্টা করলে ক্ষতি তো নাই...
অসংখ্য ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার, মন্তব্য আর এতগুলো প্লাসের জন্য।
১০| ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
এম ডি মুসা বলেছেন: লেখার মান মানুষ নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যেটা ভালো সেটাকে ভালো বলা উচিত না হয়,, জোর করে দাবি তুলে জনতা এক করে ভালো বলাকে কে আসলেই ভালো না। তাই আমার মতে যে লেখাটি ভালো ,, সেটাকে ভালো বলা উচিত, মানুষের কাজ হলো নিজে জানো যদি পারো অন্যকে জানাও এর বাইরে কি । আমরা জানার জন্য শিখি ,, তর্ক বিতর্ক করার জন্য না। এখানে ব্লগ লিখে কেউ পদক পাবেন না,, বীর খেতাব হিসেবে। তাই মূল উদ্শ্যে হলো নিজে জানো অপরকে জানাও। সেখানে যদি নিজেকে নায়ক হিসেবে বা লেখক হিসেবে উপস্থাপন আর অর্থ বিষয় নিয়ে সমস্যা থাকে..। তাহলে তা ঝামেলা বাধবেই , সবাই রাজা হতে চায়,,,,,,,,,,
১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫
করুণাধারা বলেছেন: তাই মূল উদ্দেশ্য হলো নিজে জানো অপরকে জানাও
একদম ঠিক বলেছেন। এজন্য সবার বোধগম্য ভাষায় জানাতে হবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এম ডি মুসা।
১১| ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:১০
প্রামানিক বলেছেন: মজার কাহিনী পড়ে বেশ ভালো লাগল।
১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
করুণাধারা বলেছেন: মজার লেখা কি আপনার একচেটিয়া অধিকার! মাঝে মাঝে আমারও লিখতে ইচ্ছা হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রামাণিক।
১২| ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অতি পরিচিত গান, কবিতার লাইনের ক্ষেত্রে মনে হয় না সূত্র উল্লেখ করা আবশ্যক।
যেমন ধরেন, আমি যদি এখন ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেই,
"সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে
সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম
কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি
কীভাবে এত বদলে গেছি এই আমি"
এটাতে নিচে এলআরবির নাম লেখা মনে হয় না আবশ্যক। সবাই জানে। রবীন্দ্রনাথের ঐ গানটিও খুব পরিচিত এবং কেউ এটাকে বুলবুল আহমেদ পান্নার রচনা বলে ধারণা করবে বলে মনে হয় না। তাই আপনার কুম্ভীলকবৃত্তির উদাহরণটা যথাযথ লাগে নি।
রবীন্দ্রনাথের গান, তথা পরিচিত বা জনপ্রিয় অনেক গান বা কবিতার লাইন আমি এভাবে শেয়ার করতে দেখেছি মানুষকে।
১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আমি ফেসবুক সম্পর্কে ভালো জানিনা, সেখানে হয়তো এভাবে কবিতা বা গান শেয়ার দেয়া হয়, সবাই হয়তো এতেই অভ্যস্থ। ফেসবুকে লেখার সপক্ষে তথ্য সূত্র দেয় কিনা আমি জানিনা, কিন্তু ব্লগে পোস্টে কিছু উদ্ধৃত করা হলে তার তথ্য সূত্র দেয়ার নিয়ম আছে বলে জানি, সেটা কবিগুরুর গানকে কবিতায় পরিণত করলেও।
কবিগুরুর কবিতার শিরোনাম থাকলেও গানের শিরোনাম নেই, গানের প্রথম লাইন দিয়েই তার পরিচয় হয়। তাই যে কোনো গান ইউটিউবে সার্চ করতে গেলে আমরা প্রথম লাইন দিয়ে সার্চ দেই। কিন্তু এই পোস্টে লেখক একটা শিরোনাম জুড়ে দিয়েছেন যা কবিগুরু দেননি!
এই পোস্টে দুজন মন্তব্য করেছেন, দু'জনেই মনে করেন রবীন্দ্রনাথের নাম দেয়া দরকার ছিল।
আপনি অন্য রকম মনে করতেই পারেন। আমি মনে করি, সর্বক্ষেত্রে সূত্র উল্লেখ না করলেও চলে, তবে করাটাই সর্বোত্তম পন্থা।
১৩| ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: 'ক' নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম।
১। 'ক'
এসএসসি পরীক্ষার অংকের কৌতুক পড়ে বেশ মজা লাগল। আমি ভেবেছিলাম ২০তম পৃষ্ঠায় পরের কোন পৃষ্ঠায় যাওয়ার ইন্সট্রাকশান থাকবে, পরের সেই পৃষ্ঠায় গেলে আরও অনেক পরের কোন পৃষ্ঠায় যাওয়ার নির্দেশনা থাকবে। এভাবেই চলতে চলতে হয়ত খাতা শেষ হয়ে যাবে। শেষটা আমার ভাবনার সাথে মেলেনি, সেজন্যই ভাল লেগেছে।
২। কৌতুহল
বাঙ্গালীর সিভিক সেন্স এমনিতেই কম। পরিচিত, অপরিচিত-প্রায় সবাই-ই একসময় শালীনতা-সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
৩। কুম্ভীলক এবং কোতোয়াল
ব্লগার ম্যাভেরিক কি নতুন নিকে ফিরে এসেছেন? কোন নিক?
৪। ক্যাচাল
ভারতীয়রা মুসলিম নাম দেখলেই তাকে পাকিস্তানী ট্যাগ দিয়ে দেয়। প্যাথেটিক।
৫। কেকা আপার নুডুলস
আলু ভাজি !!!
আসলে সময়ের সাথে সাথে মানুষের পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে, সেই সাথে কমছে লেখালেখির অভ্যাসও। সবাই এখন শটকার্টে সেলিব্রেটি হওয়ার ধান্ধায় আছে। চারিদিকে টিকটক-ফলে ব্লগের পোস্টের কোয়ালিটিও দিনদিন নেমে যাচ্ছে। রোর বাংলার মত ওয়েবসাইটও আর্কাইভ করে ফেলা হয়েছে সামু আর ব্যতিক্রম হবে কিভাবে?
পোস্ট ভাল লেগেছে।
১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: পুরো পোস্ট বিশ্লেষণ করে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা।
সত্যিই এখন মানুষ কম পড়ছে, পড়ার চাইতে কানে হেডফোন গুঁজে শোনা অনেক সহজ কাজ। না পড়লে লিখবে কিভাবে!! তাই ইদানিং এখানে ভালো লেখার অভাব। এ অবস্থা থেকে বের হওয়ার উপায় কী তা জানিনা।
এই পোস্টে ১১ নম্বর মন্তব্যর উত্তরে ম্যাভেরিক উত্তর দিয়েছেন যে এটা তাঁর নতুন নিক। কিন্তু এখন তিনি ব্লগে আসেন না।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা।
১৪| ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার পরিচিত এক ভাইয়া এস এস সি বোর্ড পরীক্ষার খাতায় ১০০ টাকা পিন আপ করা পেয়েছিলো, সাথে চিঠি। স্যার আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, পাশ করতে না পারলে বিয়ে ভেঙ্গে যাবে। আমার কাছে এই ১০০ টাকা ই আছে, দোয়া করে পাশ করিয়ে দিবেন।
এই কৌতূহল আমাদের জাতীয় চরিত্র প্রায়।
কেকাআপ্পির কথা আর নাই বা বললাম, পারিবারিক টিভি চ্যানেল পেয়ে পরিবারের সবাই উনারা সেলেব্রেটি।
২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, পাশ করতে না পারলে বিয়ে ভেঙ্গে যাবে। আমার কাছে এই ১০০ টাকা ই আছে, দোয়া করে পাশ করিয়ে দিবেন।
বড় করুন কাহিনী! কিন্তু কেন যে হাসি পাচ্ছে!! ঘুষ অনেক রকম হয় শুনেছি, কিন্তু পরীক্ষার খাতায় ঘুষের টাকা গুঁজে দেবার কথা এই প্রথম শুনলাম। গল্পটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মনিরা!
এই কৌতূহল আসলেই আমাদের জাতীয় চরিত্র। অনেকদিন আগে টেলিভিশনের খবর দেখছিলাম, একজন রাষ্ট্রপতির কন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সেই সংবাদ দিয়ে টেলিভিশনের সংবাদদাতা বলছেন, "আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম মাননীয় রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে তার অনুভূতির কথা আপনাদের জানাতে। কিন্তু উনি রাজি হননি।"
একজন সদ্য সন্তানহারা পিতার অনূভুতি জানার কৌতুহলময় জাতি আমরা!
১৫| ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০১
শায়মা বলেছেন: হা হা হা ক নিয়ে কত কিছু!!!!!!!!!!
পোস্ট পড়ে সকল কমেন্টো পড়িয়া এসে মনিরা আপুর কমেন্টে ১০০ টাকা আর বিয়ের জন্য স্যারের পায়ে পড়া রিকোয়েস্ট দেখে হাসতে হাসতে মরলাম!!!
২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: আমিও হাসতে হাসতে মরলাম এই কাহিনী শুনে! খাতায় ঘুষ হিসেবে টাকা আটকে দেবার আইডিয়া যার মাথায় খেলে, সে কেন একটু লেখাপড়ার কাজে মাথাটা খাটায় না!!
তুমি মনে হয় ক'দিন অনুপস্থিত ছিলে! আমি বেশ মাথা খাটালাম সম্ভাব্য কারণ ভেবে ভেবে।
১৬| ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
"ক" আকারান্ত দিয়ে পর্ব শুরু করা এই লেখাটিতে " কি কমু ?" কড়া বাস্তবের এই কথায় কাষ্ঠহাসি করিতে করিতে কন্ঠ কাহিল !
কেকার কেচ্ছা কষা করিয়াছেন।
ক্যাচালে ক্যাচাল কমিবে কিরূপে ?
২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: "ক" আকারান্ত দিয়ে পর্ব শুরু করা এই লেখাটিতে " কি কমু ?" কড়া বাস্তবের এই কথায় কাষ্ঠহাসি করিতে করিতে কন্ঠ কাহিল !
কইতে কিছু কি কম করলেন? কাহিল কন্ঠেরও কতটা কারিশমা!
ক্যাচালে ক্যাচাল কমিবে কিরূপে ?
কিরূপে...কী করে কই!! কিন্তু কাহিনীটা কী কনতো, কনক- কুমুদকে কারাবন্দী করিয়া কি কাল্পনিক ক্যাচাল কমাইবার কোনো কায়দা করিলেন?
কৌতুকময় কমেন্ট করিতে কতটা কষ্ট করিলেন! কৃতজ্ঞতার কথা কই কী করিয়া!!
১৭| ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
কষ্ট করিয়া "ক" কারে কমেন্ট করায় কৃতজ্ঞ ।
কি কান্ড !!!!!
কতো কারিশমা করুণাধারার কবোষ্ণ কমেন্টে! কমেন্টে কয়েকশত +++++++++++
২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
করুণাধারা বলেছেন: ক- কারে কমেন্টে কমেন্টে করুণাধারা কুপোকাত!
হা হা! মনে হচ্ছে কবির লড়াই চলছে! কিন্তু আমার বিদ্যার ঝুলি উপুড় করেও এবার কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না। অতএব ++++++++++++++ জানিয়ে হার স্বীকার করে নিলাম।
১৮| ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দারুন লিখেছেন কিন্তু আপু!
শেষেরটা পড়ে তো হাসি পেয়ে গেল।
আশা করি ভাল আছেন?
২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
করুণাধারা বলেছেন: যাক, লিখেছিলাম দেখে আপনার দেখা পাওয়া গেল!! মাঝে মাঝে হঠাৎ কখনো আপনাকে দেখা যায় তারপর আর কোন খবর নেই! আশাকরি ভাল আছেন। সামুর সাথে থাকবেন, এবং সব সময় ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।
১৯| ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধু অপরিচিত জনই নয়, পরিচিতজনের কাছেও সরাসরি প্রশ্নের মাধ্যমে বয়স, পেশা, বেতন ইত্যাদি জানতে চাওয়াটা অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে। ভদ্রসমাজে কেউ এভাবে জিজ্ঞেস করে না।
কবিতা, গল্প, উদ্ধৃতি, উক্তি ইত্যাদি যত বিখ্যাত ব্যক্তিরই হোক না কেন, এবং সেটার যত সংক্ষিপ্ত অংশই লেখা হোক না কেন, মূল লেখকের নামোল্লেখ করাটাই সমীচীন বলে মনে করি। নাম নিশ্চিতভাবে জানা না থাকলে নিদেনপক্ষে তা উদ্ধৃতিচিহ্নের ভেতরে উল্লেখ করা উচিত, যেন অন্ততঃ এটা বোঝা যায় যে কথাগুলো লেখকের নয়, অন্য কারও।
২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
করুণাধারা বলেছেন: আমার নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করেছি এই পোস্টে। এটা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম, আপনার মন্তব্য পড়ে স্বস্তি ফিরে পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এই মন্তব্য এবং লাইক দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
কৌতূহল মনে জাগা খুব স্বাভাবিক, কি সেটা প্রকাশের নিয়ম আছে। সহযাত্রীকে সোজাসুজি 'কোথায় যাবেন' জিজ্ঞেস না করে জিজ্ঞেস করতে হবে, 'আপনি কি অনেক দূরে যাবেন?' উত্তর সে হ্যাঁ/না দিয়েও দিতে পারে অথবা তার গন্তব্যের কথা বলতে পারে। সকলের সাথে, এমনকি শিশুদের সাথে কথা বলার সময়ও কৌতূহলের সীমারেখা মেনে চলার উচিৎ।
দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের অনেক মানুষকেই দেখি যে কৌতুহলের সীমারেখা মেনে চলেন না।
২০| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
"দ্যাখ **, কত্ত বড় ক!"
এটা পড়ে এক ঘটনা মনে পড়ে গেলো।
একবার আমাকে এক পাগল এটাক করেছিলো।
সাথে সাথে পাশ থেকে মীরজাফর ফ্রেন্ডসরা চলে গেলো।
পাগল তার মাথা আমার দিয়ে এগিয়ে বলে, দ্যাখ মাথায় কয়টা শিলি!
সত্যি সত্যি মাথায় রক্ত মাখা সেলাই করা।
কি যে ভয় পেয়েছিলাম আমি!!!
চারপাশে এতো মানুষ থাকতে আমাকেই কেনো সেলাই দেখাতে আসলো বুঝলাম না
২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
করুণাধারা বলেছেন: পাগল কোন কথা নাই বার্তা নাই নিজের মাথার সেলাই দেখতে বললো!!! সেই মাথায় আবার রক্ত মাখা!! তোমার মনের অবস্থাটা ভেবে আমারই মন খারাপ হয়ে গেল!
চারপাশে এতো মানুষ থাকতে আমাকেই কেনো সেলাই দেখাতে আসলো বুঝলাম না
এটা বোঝা কি খুব কঠিন কিছু? আমার যেটা মনে হয়, পাগলের কষ্ট হচ্ছিল। পাগল হলেও সে তো মানুষ। তার কষ্টটা কাউকে বলতে চাচ্ছিল, যদিও সেটা বলার ভাষা সে জানতো না। তাই বলেছিল, দেখ মাথায় কয়টা সেলাই। আর অন্যদের বাদ দিয়ে কেন তোমাকেই বলতে আসলো? কারণ সবার মাঝে তোমাকে ওর কাছে মানবিক মনে হয়েছে। পাগলের অনুভূতি কিন্তু অনেক ভালো থাকে!
২১| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: @মিরোরডডল,
"চারপাশে এতো মানুষ থাকতে আমাকেই কেনো সেলাই দেখাতে আসলো বুঝলাম না" - মনে হয়, পাগলটা আপনাকে একজন ডাক্তার ভেবেছিল।
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১২
করুণাধারা বলেছেন: মনে হয়, পাগলটা আপনাকে একজন ডাক্তার ভেবেছিল। এটাও হতে পারে! অবশ্য আপনার এই মন্তব্য দেখার আগেই আমি মিরোরডডলেল মন্তব্যের উত্তর লেখা শেষ করছি, পাগল কেন মিডকেই বেছে নিল এর কারণ আমার যা মনে হয়েছে সেটা ব্যাখ্যা করে। মন্তব্য লেখা শেষ করতেই একটা ফোন এল, সেই ফোন শেষ করে মন্তব্য পোস্ট করতে আবার ফোন!!
২২| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আছে কেউ কেউ এরকম, প্রথম দেখাতেই ফর নো রিজন এতো এতো প্রশ্ন করে, কতকিছু যে জানতে চায়।
যাকে প্রশ্ন করছে সে যে বিরক্ত হচ্ছে, সেই বোধটাও কাজ করে না।
একবার এক ভদ্রলোকের সাথে দেখা, জানতে চাইলেন আমি বাংলাদেশী কিনা। যেই জানলেন, আর ওমনি একের পর এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন শুরু করলেন, যতবার চলে যেতে চাই, ততবার আরেক প্রশ্ন করেন। অভদ্রতা করে কথার মাঝখানে চলেও যাওয়া যায়না। এরপর শুরু করলেন নিজের কথা, জানতে চাইনি তারপরও বাংলাদেশে ওনার অবস্থান কি, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড কি,
প্রপার্টি কি আছে না আছে সব বলতে শুরু করলেন, আমার এক ফ্রেন্ড এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়
পরবর্তীতে ওনাকে আমি আরও কয়েকবার যখন দেখেছি, দূর থেকে দেখলেই আমি কেটে পড়ি যেনো কথা বলতে না পারেন
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২২
করুণাধারা বলেছেন: তুমি পরপর মন্তব্য করে গেছ, অথচ আমি অনলাইনে থেকেও উত্তর দিতে পারছিনা! জানিনা কেন আজকে এত মানুষ ফোন করছে!!
তেমন কৌতূহলী হলে তুমিও হয়তো জানতে চাইতে, কে ফোন করলো, কি বলল ইত্যাদি...
আসলে এধরনের লোককে এড়ানো খুব সহজ না! না হলে ঐ লোকের সামনে থেকে তুমিও কেটে পড়তে পারতে সহজে। আমার কৌতুহল হচ্ছে, এই ধরনের কৌতূহল কি কেবল বাঙালিরাই দেখায়, নাকি বিদেশীরাও এমন কৌতূহল প্রকাশ করে?
একটা খুব কমন প্রশ্ন হচ্ছে "আপনার দেশের বাড়ি কোথায়?" শতকরা ৯০ জন মানুষ এটা জিজ্ঞেস করবেই।
২৩| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: @মিরোরডডল,
অথবা কিছুটা সেবা শুশ্রূষা পাবার আশায় একজন নার্স মনে করেও হয়তো সে মাথাটা আপনার দিকে এগিয়ে দিতে পারে।
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৬
করুণাধারা বলেছেন: অথবা কিছুটা সেবা শুশ্রূষা পাবার আশায় একজন নার্স মনে করেও হয়তো সে মাথাটা আপনার দিকে এগিয়ে দিতে পারে।
অর্থাৎ মিরোরডডলকে দেখেই বোঝা যায় তার কাছ থেকে সাহায্য- সহানুভূতি পাওয়া যাবে... কিন্তু রক্ত মাখা মাথা দেখার পর মিরোরডডলের মাথা চক্কর দিল কিনা জানতে কৌতুহল হচ্ছে।
২৪| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
খায়রুল আহসান বলেছেন: @মিরোরডডল,
"চারপাশে এতো মানুষ থাকতে আমাকেই কেনো সেলাই দেখাতে আসলো বুঝলাম না" - মনে হয়, পাগলটা আপনাকে একজন ডাক্তার ভেবেছিল।
হা হা হা
very well said.
সেটা হলে ভালোই ছিলো কিন্তু কি এক অজানা কারণে আরও কয়েকবার পাগলের পাল্লায় পড়েছিলাম।
আরেকবার এক অর্ধনগ্ন পাগলি আমার হাত ধরে এক টান দিয়ে তার কাছে নিলো, হাত আর ছাড়ে না।
আমি যত হাত ছাড়াতে চাই, হাসি দিয়ে আমাকে ধরে রেখেছে। বরাবরের মতো ফ্রেন্ডসরা সরে গেছে, আমার আপন বোনও ছিলো, সেও চলে গেছে, সবাই দূরে দাঁড়িয়ে দেখে পাগলি কি করে।
বিপদে মানুষ চেনা যায়, সবকটা বেঈমান
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: পাগলের পাল্লায় পড়ার এইসব কাহিনী শুনে হাসি আসছে, যদিও হাসা উচিত না।
আমার মনে হয় তোমার বন্ধুদের স্বরূপ চেনানোর জন্যই এরা তোমার কাছে আসে!
আমার আপন বোনও ছিলো, সেও চলে গেছে, সবাই দূরে দাঁড়িয়ে দেখে পাগলি কি করে।।
তোমার আপন বোন দেখছি বড় কৌতুহলী! তা তোমার বোন সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চাই। বয়স কত? কোথায় থাকে? ফর্সা না কালো...
২৫| ২১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
খায়রুল আহসান বলেছেন: @মিরোরডডল,
অথবা কিছুটা সেবা শুশ্রূষা পাবার আশায় একজন নার্স মনে করেও হয়তো সে মাথাটা আপনার দিকে এগিয়ে দিতে পারে।
আই উইশ সো
যদিও আমি তখন সদ্য তরুণী।
২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: পাগল কি তরুণ নাকি বৃদ্ধ ছিল?
২৬| ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "শতকরা ৯০ জন মানুষ এটা জিজ্ঞেস করবেই" - নিউ ইয়র্কে প্রচুর বাংলাদেশির বাস। এখানে পথ চলার সময়, দোকানে রেস্তোরাঁয় কিংবা মাসজিদে দেখা হলেই প্রতিদিন বেশ কয়েকজনকে এ প্রশ্নের উত্তরটা জানাতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার শুধু এক কথার উত্তরে সন্তুষ্ট হয় না। তারা আরেকটু গভীরে যেতে চায়। কৌতুহলের কোন সীমা নেই যেন।
২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২০
করুণাধারা বলেছেন: কৌতুহলের কোন সীমা নেই যেন।
আমারও অবশ্য নিউইয়র্কের বাঙালিদের নিয়ে অসীম কৌতুহল, বাঙালি পাড়ার বাঙালি যাঁরা। শুনেছি এদের মধ্যে অনেকেই অলসতায় সময় কাটান, আর মার্কিন সরকারের দেয়া নানারকম সুবিধার সদ্ব্যবহার করে থাকেন।
স্থানের বর্ণনার সাথে সাথে নানারকম মানুষের গল্প ভ্রমণ কাহিনীকে আকর্ষণীয় করে তোলে, যেমন আপনার প্লেনের সহযাত্রী মহিলার গল্প। আশাকরি নিউইয়র্কবাসী এই অনুসন্ধিৎসু দুয়েকজন মানুষের গল্পও আপনার ভ্রমণ কাহিনীতে থাকবে।
২৭| ২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি শুনেছি যে অনেক দুর্বল পরীক্ষার্থী পরীক্ষার খাতার শেষে শিক্ষকের উদ্দেশ্যে কাকুতি, মিনতি, অনুনয়, বিনয় করে লেখে যে তাকে যেন পাশ করিয়ে দেয়া হয়। তা না হলে বাবা ঘর থেকে বের করে দিবে বা ছাত্রীর ক্ষেত্রে বিয়ে হবে না। আসলে এই ধরণের পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়া উচিত। সাহস করে পরীক্ষার হলে আসাটাও অনেক বড় ব্যাপার। কয়েকদিন আগে ডিবির প্রধান বললেন যে এখন নাকি অনেক পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে ডিভাইস থাকে নকল করার জন্য। পরীক্ষা শুরুর সাথে সাথে হলের কোন দুষ্ট শিক্ষক প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে বাইরে প্রশ্ন-ফাঁস গ্যাংয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। প্রশ্ন-ফাঁস গ্যাংয়ে বেশ কিছু মেধাবী ছাত্র থাকে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান তৈরি করে ফেলে এবং উত্তরগুলি প্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষার্থীর কানের ডিভাইসে পৌঁছে দেয়। পরীক্ষার্থী উত্তর শুনে শুনে লিখতে থাকে। এই কানের ডিভাইস ছাড়াও এই কাজে মোবাইল সিম জাতীয় ডিভাইস থাকে পরীক্ষার্থীর অন্তর্বাসের ভিতরে।
অপরিচিত মানুষকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে বরিশালের লোকের জুড়ি মেলা ভার। আমার আব্বার কাছে শুনেছি যে বরিশালের মানুষ অপরিচিত কারও সাথে দেখা হলে যদি জানতে পারে যে সে চাকরী করে তাহলে তার দ্বিতীয় প্রশ্ন হয় 'বেতন কত পান'। বরিশালের উত্তর অঞ্চলের মানুষ আবার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে ঠাট্টা, মশকরা করে তাদের পোশাকের রুচির ব্যাপারে। বরিশালের উত্তর অঞ্চলের মানুষেরা বলতো যে দক্ষিণের লোকেরা লুঙ্গি আর গামছার পার্থক্য বোঝে না। অর্থাৎ লুঙ্গি পরে মানুষের সামনে না এসে গামছা পড়ে আসে।
ব্লগার ম্যাভেরিককে মিস করছি। অনেক দিন ধরে তাকে দেখা যাচ্ছে না। ব্লগার শের শায়েরিও নিখোঁজ তার আগে থেকে।
কেকা ফেরদৌসিকে দেখলেই বোঝা যায় খাওয়ার জন্যই এই পৃথিবীতে আসা। ওনার ভাইও তো সেই রকম সাইজের। পাঞ্জাবি ছাড়া আর কিছু গায়ে লাগে না।
২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: আমার এক আত্মীয়া কলেজ শিক্ষিকা, এইচএসসির পরীক্ষক। সে একদিন বলল যে অনেক খাতাতেই শূন্য দিতে বাধ্য হয়, এক নম্বর দেবার মতোও কিছু লেখা থাকে না। আমি একদিন এরকম শূন্য পাওয়া খাতা দেখতে চাইলে সে দেখালো। দেখলাম যে, খাতায় পাতার পর পাতা জুড়ে হাবিজাবি অনেক কিছু লিখে, খাতার শেষ পৃষ্ঠায় চিঠি লিখে রেখেছে তাকে পাশ করানোর অনুরোধ জানিয়ে।
পরীক্ষার খাতায় এভাবে পাশ করানোর অনুরোধ জানানো চিঠি লেখা মনে হয় আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য!
অপরিচিত লোককে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা পুরো বাংলাদেশের মানুষেরই স্বভাব, সেখানে আপনি বিশেষ করে বরিশালের উল্লেখ করলেন কেন!!! মনে হচ্ছে আজকে কাঁঠাল বিষয়ে কোনো এক পোস্টে আপনার মন্তব্যে দেখলাম, শ্বশুর বাড়ি বরিশাল থেকে কাঁঠাল পাঠানো হয় আপনার বাড়িতে...
শায়মা যদি ঐ মন্তব্য দেখে থাকে, আর তারপর বরিশাল বাসীদের প্রতি নিন্দামূলক আপনার এই মন্তব্য দেখে, তাহলে আপনার অবস্থা খুব ভালো থাকবে বলে মনে হয় না!
আমি তো ভাবতাম কেকা ফেরদৌসীর ভাই বাঙালিয়ানা দেখাতে সব সময় পাঞ্জাবি পরেন। এখন আসল কারণটা বুঝতে পারছি।
২৮| ২৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হাহাহ...
সবগুলো পার্টই মজার ছিলো...
যদিও আমি ক্যাচাল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। কেউ মন্তব্যে অপমানমূলক বাক্য ব্যবহার করলেও, হাসিমুখে উত্তর দিই...
ভালো লাগলো পড়ে...
অনেকদিন পর মন খুলে হাসলাম। আলুভাজাটা আমিও মন দিয়ে দেখেছিলাম। কী এক্টাবস্থা...
৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: নয়ন বড়ুয়া, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
প্রথমত, আপনি অনেকদিন বিরতির পর ফিরে এসেছেন দেখে।
দ্বিতীয়ত, আমার পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে দেখে।
তৃতীয়ত, আপনিও আলুর ভাজা শিখতে টিভি চালিয়ে বসেছিলেন জেনে।
ভালো থাকুন।
২৯| ২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো....
কার লেখা সেটা উল্লেখ করতে ইচ্ছা হয়নি , প্রয়োজনবোধ করিনি।
১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:১২
করুণাধারা বলেছেন: আমি সম্ভবত খুব ছোট কিছুর জন্য মারা যাবো.....
মারা যাবার কথা আসছে কেন!! বরং বলতে পারেন আমি সম্ভবত খুব ছোট কিছুর জন্য অমর হব....
উত্তর দিতে অনেক দেরি হলো। দুঃখিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'ক' তে কিন্তু করুণাধারাও হয়। ছাত্র পরীক্ষকের কাছে সেটাও চাইতে পারতো, বড় একটা 'ক' না দেখিয়ে।
লাইনে আপনার পিছনে দাড়ানো লোকটার বয়স আনুমানিক কতো হবে বলে মনে হয়েছিল? শোভন-অশোভনের সীমারেখা বোঝার জন্য যে জ্ঞানের প্রয়োজন, সেটা অনেকেরই নাই; মায় অনেক গেয়ানী ব্লগারের ক্ষেত্রেও কথাটা প্রযোজ্য!!!
প্রধান কুম্ভীলক আপাততঃ অতীত। আমাদের এখন সামনে নজর দিতে হবে। কুম্ভীলক ধরার এলেম কম-বেশী অনেকেরই আছে। কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে নিশ্চয়ই।
দেখা যাচ্ছে ক্যাচালের সাথে সম্পৃক্ততা আপনাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। এই ব্লগেও আপনার সেই ঐতিহ্য বজায় আছে দেখে এক ধরনের নির্ভরতা পাওয়া যায়।
রান্না-বান্নাতে আপনি সব সময়েই দূর্বল। আমার বিরিয়ানী রান্নার রেসিপিতে আপনার সেই ঐতিহাসিক কমেন্টের কথা মনে আছে না!!! ফিউশন বিষয়টা যে কি, সেটা আপনাকে আগে ভালো করে বুঝতে হবে। এখন লেন্টিল স্যুপের রেসিপি দেখে যদি আপনার মনে হয় এটা খাটি দেশী ''পাতলা ডাইল'' তাহলে কিভাবে হবে বলেন?
মন্তব্যে পরথম হইলে আপনি চা নাকি কপি দেন???