নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

কুশন

আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।

কুশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি তোমাকে ভালোবাসি

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৭


(ছবিঃ গুগল)

আজ কাজে যাই নি। সারাদিন শুয়ে ছিলাম। এই মাত্র বিছানা থেকে নামলাম। সারাদিন কিছু খাওয়া হয়নি। খুব খিদা পেয়েছে। ওয়াশ রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে ফ্রিজ খুললাম। মাখনের বাটি বের করলাম। রুটিতে মাখন মেখে খাবো। সাথে সামান্য চিনি দিব। চিনি ছাড়া আমি মাখন রুটি খেতে পারি না। তবে চিনি খুব সামান্য পরিমানে দেই। চার পিছ পাওয়া রুটি খেলাম। আধা বোতল ঠান্ডা পানি খেলাম। ছোটবেলা থেকেই আমি ঠান্ডা পানি ছাড়া খেতে পারি না। দীর্ঘদিনের অভ্যাস।

এখন মগ ভরতি করে কফি খাবো। তারপর শান্তি। লিন্ডা ফোন না দিলে সন্ধ্যার সময় ঘুম ভাঙতো না। লিন্ডা চেয়েছিলো আজ সন্ধ্যাটা বাইরে কাটাতে। ডিনার করতে চেয়েছিলো জ্যাকসন হাইটসে। একবার লিন্ডাকে বলেছিলাম জ্যাকসন হাইটস এলাকাটা আমার খুব ভালো লাগে। মনে হয় নিজের দেশে চলে এসেছি। লুঙ্গি পড়া মানুষ দেখা যায়। পান চিবাতে চিবাতে লোকজন বাংলায় কথা বলে। দেশের তেহারি, বিরানী, মোরগ পোলাউ সবই পাওয়া যায়। ঝালমুড়ি পর্যন্ত। দোকানের সাইনবোর্ড গুলো পর্যন্ত বাংলায় লেখা।

এই জন্য লিন্ডা আমাকে বারবার জ্যাকসন হাইটস নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু এখন আমার জ্যাকসন হাইটস এলাকাটা ভালো লাগে না। বাঙ্গালীদের বড় নোংরা মনে হয়। ছেচরা মনে হয়। একসমকয় জ্যাকসন হাইটস ভালো লাগতো কারন তখন আমেরিকা আমি নতুন এসেছি। জ্যাকসন হাইটস এর সবচেয়ে বড় সমস্যা সেখানে গাড়ি পার্কিং এর জায়গা পাওয়া যায় না। খুব ভোগান্তি। এজন্য প্রয়োজোনে মাসে দুই একবার জ্যাকসন হাইটস গেলে আমি অন্যের গাড়িতে করে যাই।

কলিং বেল বাজছে। লিন্ডা এসে গেছে। আমি দরজা খুললাম। লিন্ডার হাতে এক তোড়া সুন্দর ফুল। একটা শ্যাম্পেনের বোতল। এবং দুটা স্যান্ডউইচ। লিন্ডা রাতের খাবার নিয়ে এসেছে। যদি রাতে আমি আর কিছুই খাবো না। পেট ভরে মাখন দিয়ে পাওয়ারুটি খেয়ে নিয়েছি। লিন্ডা ফুলের তোড়াটা সাজিয়ে রেখে আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট রাখলো। লিন্ডার ঠোঁট অনেক ঠান্ডা। সুন্দর পারফিউমের গন্ধ পেলাম। সম্ভবত এই পারফিউমের নাম পয়জন। একটু কড়া গন্ধ কিন্তু ভালো লাগে।

লিন্ডা বলল, আগামীকাল আমার অফিস নেই। আদরের সুরে বলল, আজ রাতে আমি তোমার সাথে থাকব। আজ আমাকে খুব আদর করতে হবে কিন্তু। বিদেশি মেয়ে বলেই লিন্ডা এভাবে বলতে পারলো। বাঙ্গালী মেয়ে হলে এরকম করে বলা সম্ভব না। সবচেয়ে বড় কথা কোনো বাঙ্গালী মেয়ে শ্যাম্পেনের বোতল নিয়ে তার ছেলে বন্ধুকে বলতে পারবে না- আজ আমি তোমার সাথে থাকব। আমাকে খুব আদর করতে হবে কিন্তু। বাঙ্গালী মেয়েদের জীবন সহজ নয়। নানা জটিলতা আর কুটিলতায় ভরা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

হাবিব বলেছেন: বাঙালিদের চক্ষু লজ্জা বেশি।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৭

কুশন বলেছেন: আবার একদম বাঙ্গালীর লজ্জাই নেই।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২১

ইসিয়াক বলেছেন: লিন্ডা চরিত্রটা কি কাল্পনিক? নাকি সত্যি?

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩১

কুশন বলেছেন: না কাল্পনিক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.