নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাহা বলিব সত্য বলিব-০৩

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৪:১৫

প্রথম দুই পর্ব পড়া শেষ হলে আপনাকে ধন্যবাদ। ফিরে যাই বাকি কথায়:
ফেব্রুয়ারিতে কোচিং এর স্টুডেন্ট সংখ্যা ২০০+ হয়ে যায়। ফি বেশি অন্য কোচিং এর তুলনায়। যাই হউক স্টুডেন্ট রা ভালো সার্ভিস পাইলেই চলে। কোচিং এর একটি নিয়ম হলো টিচার এবং স্টুডেন্ট সবাইকে যোহর এর সালাত পড়তে হবে। টিচার এবং ছেলে ছাত্ররা মসজিদে এবং মেয়ে ছাত্রীরা এবং শিক্ষিকা রা কোচিং এর ভিতর জায়গা করে পড়তে হবে। মুসলিম কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। মার্চ মাসের শুরুতে বড়ো স্যার ঘোষণা দিলেন তিনি কোচিং থেকে মেয়েদের বোরখা দিবেন এবং স্কুলের ড্রেসের উপর তা পরিধান করে আসতে হবে। বোরখার কালার ছিলো সবুজ রঙের! বেশ ঢোলা ঢালা করে বানানো হয় সে বোরখা যাতে মেয়েদের শরীরের কোনো আকৃতি না বোঝা যায়। অনেক মেয়ে একটু বোরখা পড়তে অসন্তোষ থাকলেও তাদের পরিবার বিষয় টি খুব লাইটলি নেয়। কারণ পোলাপান ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে বিপথগামী হচ্ছে, পড়ছে না। এইভাবে হয়তো মেয়েদের ভালোই হবে। মুখ ঢাকার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা ছিলো না। যেহেতু মার্চ-এপ্রিল এ প্রচুর গরম তাই মেয়ে শিক্ষার্থী রা অনেকেই ইচ্ছা করে বোরখা আনতো না। ম্যাডাম ধরলে বলতো ভুলে গিয়েছে। কালকে থেকে পড়ে আসবে। বোরখার ফুল টাকা এডমিশন এর টাইম এ নেয়া হয়ে গিয়েছিলো।এইজন্য বেশি ফি নিয়েছে।বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থী বোরখা বাসায় রেখে আসতে থাকে। এইভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর বড়ো স্যার বুদ্ধি করেন বোরখা পড়ে না আসলে অভিভাবক এর কাছে কল যাবে এবং ক্লাসে ঢুকতে দেয়া হবে না। এতে অনেক ছাত্রী প্রচন্ড গরম লাগলেও বোরখা পরিধান করতো। ৪/৫ জন তারপর ও ছিলো দুষ্ট টাইপের যারা বোরখা পড়ে আসতো না এবং ক্লাসে ডুকতে না দিলে কোচিং এর বারান্দায় বসে টাইম পাস করতো। এবার তাদের জন্য বড়ো স্যার চালু করেন বোরখা ভাড়া সিস্টেম। কোচিং এ ৭/১০ টি বোরখা এক্সট্রা রাখা হতো যারা বোরখা পড়ে আসবে না তাদের জন্য। কারণ ক্লাসের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বোরখা ভাড়া দেয়া হতো ১০/২০ টাকায়! এতে সবাই মোটামুটি বোরখা পড়তে শুরু করে রেগুলার কোচিং এ! মেয়ে শিক্ষার্থী রা এবার সবাই একজোট হয়ে বড়ো স্যার এর কাছে যায় যে গরমে ক্লাস করা কঠিন বোরখা পড়ে! তাদের জন্য এসি ব্যবস্থা করা হউক। স্যার বুঝলেন যে স্টুডেন্ট ধরে রাখতে হলে এই কাজ উনাকে কর‍তেই হবে। এসির ব্যবস্থা হলো। মেয়েরা ঠান্ডা হলো। যেহেতু আমি ৯ম-১২শ শ্রেণীর ক্লাস নিতাম তাই ছোট ক্লাসে তেমন যাওয়া হতো না। কাউকে চিনতাম ও না। আমি যেসব ক্লাসে পড়াতাম সবাই মুসলিম ছিলো। একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় একবার অষ্টম শ্রেণির ক্লাস আমাকে নিতে হয়।বিজ্ঞান পড়াতে মেয়েদের ক্লাসে ঢুকি। আমি ইংরেজি ক্লাস নেই সাধারণত! বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্ট হওয়ার সুবাদে পড়া আছে বিজ্ঞান বিষয়ে। যাই হউক ক্লাসের মধ্যে মেয়েরা আমাকে দেখে লম্বা করে সালাম দিলো। আমি চিন্তা করলাম একদিন যেহেতু ক্লাস নিবো গল্প করি ছাত্রীদের সাথে। তাদের জীবনের লক্ষ্য কি জানার চেষ্টা করি। র‍্যান্ডম একটি মেয়েকে আমি প্রশ্ন করি তোমার নাম কি? মেয়েটি উত্তর দেয় মুন। বললাম কি হতে চাও লাইফে? মেয়েটি উত্তর দেয় হাউজওয়াইফ! ক্লাসে হাসির রোল পড়ে যায়।( চলতে থাকবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.