নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেসিডেন্টের সাথে যে কারণে শেখ হাসিনার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল !

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২০


ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। অন্তত দু’টি বিষয় নিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুজনের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ ও শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে বঙ্গভবন আর গণভবনের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছিল। রীতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলে দেশে ফেরার পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা যায় চীন ও ভারত সফরের পর। সম্পর্কের অবনতি এমনটাই ঘটেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনের দিকে পা-ই বাড়াননি। এই যখন অবস্থা, তখনই বিচারক নিয়োগের প্রশ্নটি সামনে আসে। গণভবন বা আইন মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা দেখে প্রেসিডেন্ট বিরক্ত হন।

১৮ই এপ্রিল ২০২৪ প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে সামগ্রিকতা নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে। নিয়োগের পদ্ধতি স্পষ্ট না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে প্রথাগতভাবে নিয়োগ হয়ে আসছে। বিষয়টি লিখিত না থাকলেও আলোচনাক্রমে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করার নিয়ম চালু আছে। প্রেসিডেন্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এই নিয়ম ভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বঙ্গভবনে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। সারসংক্ষেপ বহনকারী ব্যক্তি তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে বিরক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পাল্টা একটি চিঠি পাঠান সই না করেই। এতে তিনি বলেন, যেভাবে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আমি কিছুই জানি না, অথচ আমাকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হবে। প্রচলিত নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্টকেই পুতুল বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম কেন? দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া উপেক্ষা করার কী অর্থ আছে’।

আইনমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করারও প্রয়োজন মনে করেননি। সবমিলিয়ে প্রেসিডেন্ট ব্যথিত হন-এটাও উল্লেখ ছিল চিঠিতে। এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর দপ্তরে। ওদিকে প্রচলিত শ্রম আইন নিয়েও ভিন্নমত দেখা দেয়। আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নেয়ার জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এতে প্রেসিডেন্ট মনঃক্ষুণ্ন হন। এতে করেই বঙ্গভবন ও গণভবনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। সম্ভবত এসব কারণেই হাসিনা ৫ই আগস্ট ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনেও কোনো যোগাযোগ করেন নি।

রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ' থেকে সংগ্রহীত

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এত তিক্ততা সৃষ্টির ঘটনা ঘটলে তো জনগণ কিছুটা হলেও জানতো এবং তার পরিণতিও খুব ভালো হওয়ার কথা ছিল না প্রেসিডেন্টের জন্য। খবরের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা রাক্ষুসে মাছ হয়ে গেছেন অনেক আগেই। নিজেকে শ্রেষ্ঠ নেতা ভাবেন। ওবামা টবানা, ক্লিনটন মিনটন, বাইডেন মাইডেন উনার ধারে কাছেও নাই।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এইসব আজাইরা গপ্পোর সূত্রও আজাইরা, যাকে বলে- সূত্র: চালাইয়া দেন!

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হতে পারে। মানবজমিনের সাংবাদিক মতিউর রহমানের রাস্ট্রপতির ইন্টারভিউ থেকে নেয়া হয়েছে।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:



সাম্বাদিক মতি চৌধুরীর সাংবাদিকতার কোন নীতি মেনে চলে না।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জী চাচা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.