নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অপরাজনীতির কালো থাবা সিনেমা জগতে (১৮+) - শেষ পর্ব

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১


আওয়ামী লীগের এমপি জুনায়েদ হোসেন পলকের সাথে সম্পর্ক ছিলো চিত্র নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার। নুসরাত ফারিয়া ভারতের কলকাতা এবং বাংলাদেশের ঢালিউড ইন্ড্রাষ্টি তে সমানে কাজ করে গিয়েছেন। লাস্যময়ী এই নায়িকার সাথে জুনায়েদ হোসেন পলকের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলো। পলকের বউ থাকা সত্ত্বেও মন খারাপ হলে চলে যেতেন নুসরাত ফারিয়ার বাড়ি। দুইজনে ঘন্টার পর ঘন্টা লুডু খেলতেন বলে জানা গিয়েছে। নুসরাত ফারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আনার হত্যার সাথে জড়িত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। এমপি আনারের সাথে নুসরাত ফারিয়া কলকাতায় একান্ত ভাবে সময় কাটিয়েছেন বলে গোয়েন্দারা ধারণা করেছেন। তবে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি এবং মামলা চলমান।

বাংলা চলচ্চিত্রে নায়িকা পরিমণি বেশ আলোচিত নাম। কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই তিনি বিশ টি ছবিতে সাইন করেছিলেন ; যদিও কোন ছবি আলোর মুখ দেখেনি। পরিমণির বিরুদ্ধে নাইট ক্লাবে মাতলামি এবং মারামারির অভিযোগ রয়েছে। বাসায় মদ, গাঁজা সহ বিদেশি ড্রাগস পরিমণির বাসায় পাওয়া গিয়েছিল। কথিত আছে পরিমণি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে প্লেজার ট্রিপে যেতেন। ছবি না করলেও পরিমনির লাইফস্টাইল বিলাসবহুল ছিলো । নাইট ক্লাবে মাতলামি ও মারামারির জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। যে পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত কাজের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পরিমনি তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে; তার সাথে একান্তে লুডু খেলে। জানাজানি হলে পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত হন।

বাংলাদেশের সংস্কৃতির অন্যতম বিনোদনের অংশ হলো নাটক ! নাটকের দুইজন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদের সাথে সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। একজন শমী কায়সার এবং অন্যজন ছিলেন তারিন আহমেদ। শমী কায়সারের স্বামী ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত। শমি কায়সারের সাথে নেতাদের ভালো সম্পর্ক ছিলো। অন্যদিকে তারিন আহমেদ ছিলেন অবিবাহিত। তার স্বপ্ন ছিলো একদিন তিনি সংসদ সদস্য হবেন। তার জন্য নেতাদের অন্দরমহলে তাকে ঘন ঘন যাতায়াত করতে শোনা যেত।

বাংলা চলচ্চিত্রর দুইজন নায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ জড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজনীতির সাথে। ফেরদৌসের রাজনীতির হাতে খড়ি পশ্চিম বাংলায়। মূখ্যমন্ত্রী মমতার হয়ে দেশ থেকে কলকাতায় গিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন । ফেরদৌস সর্বশেষ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অন্যদিকে রিয়াজ মূলত চেয়েছিল তেলবাজি করে পদ, পদবী বাগিয়ে নিতে। শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দেন নাই।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। সিনেমার জগৎ পরিকল্পিত ভাবে শেষ করে দেয়া হয়েছে । তবুও সকল বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সিনেমা!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



পলক নাকি পালক বালক ইত্যাদিরা দেশ ও জাতিকে সন্মান করতো না; এগুলো জন্মগতভাবে ক্রিমিনাল ছিলো।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাধারণ মানুষ এদের কারণে ভুগছে।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: একজন পুরুষের একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে। এগুলো ব্যাক্তিগত বিষয়।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এগুলো সব ওপেন সিক্রেট! বিবাহিত পুরুষ তার উপর রাজনীতিবিদ হলে সমস্যা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.