নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনের পর ড. ইউনূসের সরকার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্কার কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচন কমিশন ও ভোটের পদ্ধতি সংস্কারের আলোচনা সামনে আসে। আলোচনা শুরু হয় সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোন দলের লাভ, কোন দলের ক্ষতি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
আনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি কী?
বর্তমানে বাংলাদেশে ৩০০ আসনের জন্য ভোটাররা সরাসরি প্রার্থী নির্বাচন করেন। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে একটি দল মোট ভোটের অনুপাতে আসন পাবে। অর্থাৎ, জনগণের সরাসরি ভোটে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হবেন না। যদি একটি দল ৪০ শতাংশ ভোট পায়, তবে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ৪০ শতাংশ আসন পাবে। অনেকের মতে, এটি গণতন্ত্রের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাবে, কিন্তু তাতে বিজয়ী দলের আসন সংখ্যা কমে আসবে এবং ছোট দলগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি আসন পাবে।
আওয়ামী লীগ-বিএনপির সম্ভাব্য ক্ষতি: পাশ্চাত্যের উদাহরণে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বড় দলগুলোর আসন সংখ্যা কমায়। বাংলাদেশের বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে ভোটের তুলনায় বেশি আসন পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০১ সালে বিএনপি ৪০.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে ১৯৩টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে তাদের আসন সংখ্যা ১২৩-এ নেমে আসত, এবং আওয়ামী লীগ প্রায় সমান আসন পেত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তন বড় দলগুলোর জন্য এককভাবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন করে তুলবে।
জামায়াত ও ইসলামি দলগুলোর আশা: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সবচেয়ে জোরালো সমর্থন এসেছে জামায়াতে ইসলামী থেকে। দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান বলেন, "সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন দেশের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে। এটি কোনো নির্দিষ্ট দলের জন্য নয় বরং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।" অনেকে মনে করছেন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে, যা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারে।
ছোট দলগুলোর চ্যালেঞ্জ ও সুবিধা: অনেক ছোট দল, যেমন সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের সমর্থন দিচ্ছে। ছোট দলগুলোর আঞ্চলিক প্রভাব থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে ভোট কম হওয়ায় বর্তমান পদ্ধতিতে তাদের সফলতা কম। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, “সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। এতে সরকার এককভাবে কর্তৃত্বপরায়ণ হতে পারবে না।”
বিএনপির বিরোধিতার কারণ: বিএনপি বলছে, বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চালু করতে হলে পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, এর মাধ্যমে দেশের শাসনক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠতে পারে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ এবং অন্যান্য দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি: আওয়ামী লীগ তাদের ভোট ব্যাংক নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে অংশ নিলে লাভ-ক্ষতির হিসাব মেলাতে হবে। গণ অধিকার পরিষদ এবং জামায়াতের মতানুসারে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাই উত্তম। তারা মনে করেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক সমাধান হতে পারে।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট। নতুন নির্বাচন পদ্ধতি চালু হলে ছোট দলগুলো সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হলেও বিএনপির মতো দল এর বিরোধিতা করছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষের দাবি বেশ শক্তিশালী। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে কতটা আগ্রহী, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
বিবিসি
২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট না যাওয়াতে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। আওয়ামী লীগের নিরীহ সাপোর্টার রা আমি-ডামির ইলেকশনে আসে নাই। এখন আওয়ামী লীগ যদি ইলেকশন করতে না পারে তবে ৪০ ভাগ লোক ভোট দিতে যাবে না। তাহলে নির্বাচন কিভাবে গ্রহণযোগ্য হবে? দেশের ৪ কোটি ভোটার ভোট দিতে যাবে না। আওয়ামী লীগ নিজে মরছে সবাইকে মারছে।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন দলে এমপি হওয়ার মতো যোগ্য লোক নেই; ফলে, ভোটে নির্বাচিত হবে চোর-ডাকাত ও গর্দভরা। কোন দলেই দেশ চালাতে পারবে না; ফলে, সিষ্টেম সাহায্য করবে না।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভাসমান ভোটার রা ভোট দিতে যাবে না।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬
সোনাগাজী বলেছেন:
সংখ্যা সামানুপাতিক সিষ্টেম কাজ করছে ইসরায়েলে; কারণ, ওখানকার গর্দভও আমাদের পিএইচডি থেকে জ্ঞানী ও সৎ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইরাকে এই সিস্টেম অনুসরণ করে ইসলামিক দলগুলো সেকুলার দের পরাজিত করেছে। এখন আইন করছে নয় বছরের মেয়ে বিয়ে করা যাবে। মুসলিম নারী প্রতিনিধি আছে বাট তারা এর বিরোধিতা করে লাভ হচ্ছে না।এসব ডামি মহিলা প্রার্থী দিয়ে ইরাকের কোনো লাভ আছে!
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আগামী নির্বাচনের রেজাল্ট বদলানো হবে; ফলে, কতজন কাকে ভোট দেবে, ইহা অর্থহীন।
২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কি বলেন এসব? আপনার কথা ব্লগের কেহ মানবে না। কেবল আওয়ামী লীগ ইলেকশনে ইঞ্জিনিয়ারিং করতো। বাকি সব দল ফেরেশতা।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:০০
কামাল১৮ বলেছেন: নীতিগত কোন কিছু করার এখতিয়ার এই সরকার রাখে না।এদের কাজ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন করা।নির্বাচিত সরকার যা করার করবে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কিন্তু সরকার নিজেদের অন্য রকম কিছু ভাবছে।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সরাসরি নির্বাচনটা আমাদের জন্য ভালো।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ১০০ ভাগ সহমত।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: সংখ্যাতত্ত্ব ভোট প্রথা হচ্ছে অযোগ্যদেরও ক্ষমতার ভাগ দেওয়া।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মার্কা দেখে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে পতিত লীগের ফিরে আসতে সহজ হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০২
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন দলে এমপি হওয়ার মতো যোগ্য লোক নেই; ফলে, ভোটে নির্বাচিত হবে চোর-ডাকাত ও গর্দভরা।