নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে না!

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮


বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার জন্য সমাজের একটি বৃহৎ অংশ দাবী জানিয়ে আসছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি কে অনেকে দায়ী করছে কারণ তারা সরাসরি আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার পক্ষে তাদের মতামত দেয় নি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিশেষ সংশোধনী তে কোন দল অপরাধ করলে তাকে শাস্তির বিধান ও নিষিদ্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল উপদেষ্টা পরিষদে সবার মতামতের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী তে কোন রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ বা শাস্তির বিধান রাখার বিষয় টি বাদ রেখে খসড়া প্রস্তাব পাশ হয়। কারণ হিসাবে জানানো হয় বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এবং কাউকে রাজনৈতিক বিবেচনায় যাতে ফাঁসানো না হয় সেজন্য নিষিদ্ধ বা শাস্তির বিধান সংশোধনী থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে চাইলে তা সন্ত্রাস বিরোধী আইন, নির্বাচন আইন অথবা ১৯৭৮ সালে জারীকৃত অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা যাবে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেও তা করা যেতে পারে বলে আশা করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল!

জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপি-জামাত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন গুলো মূলত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার মাস্টারপ্লান অনুযায়ী কাজ করেছে।বিদেশি শক্তির প্রধান লক্ষ্য ছিলো হাসিনা রেজিমের পতন। গতবছরের নভেম্বর - ডিসেম্বর মাসে বিএনপি ও জামাতের সাথে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিভিন্ন পশ্চিমা দূতাবাস দীর্ঘসময় বৈঠক করেছিলেন। এছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিটি আলোচনা সমাবেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস গুলো থেকে প্রতিনিধি দল থাকতো। তারা বিভিন্ন সময় জানতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যদি পতন ঘটানো হয় তবে দেশে কি গৃহযুদ্ধ হবে কিনা! এই ধরণের আলাপের কিছু নমুনা আমাদের সো কল্ড মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলমের ফেইসবুক স্টাটাসে পাওয়া যায়।

আমেরিকা,ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ রয়েছে সরকারের উপর। তাই জনমত থাকলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারছেন না। উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধিদের এই বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে যাতে মাঠের ছাত্র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে না দেয় । রাজনৈতিক দল বিএনপি নিজেও বৈদেশিক চাপে রয়েছে। ভারত, আমেরিকা ও ব্রিটেন সবসময় যোগাযোগ রেখেছে যাতে বিএনপি তাদের কথার বাইরে না যায়। জামায়াতে ইসলামের আমীর লন্ডনে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আওয়ামী লীগ কে ফ্যাসিস্ট বলতে উনার খারাপ লাগে। যারা অপরাধ করেছে তারা শাস্তি পাবে এবং যারা নিরীহ আওয়ামী লীগ তাদের জামাত সাহায্য করতে চায়।

এখন যে নানা ধরণের আন্দোলন চলছে বা ঘটানো হচ্ছে এসব কিছু সাজানো বলে মনে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কে ব্যস্ত রাখা হবে একের পর এক ইস্যু দিয়ে অন্যদিকে সরকার বিদেশি শক্তির পরামর্শ অনুযায়ী তাদের সংস্কার কাজ চালাবেন। বিদেশি শক্তি ও সেনাবাহিনী যখন চাইবে তখনই কেবল নির্বাচন হবে। দেশের মানুষের মতামত এখানে মুখ্যবিষয় নয়।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই ❤️

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটাই সত্য কথা!

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১২

জাদিদ বলেছেন: আপনি এই লেখাগুলো কি পত্রিকা অবলম্বনে লিখেছেন? যদি লিখে থাকেন, তাহলে বিষয়টি পোস্টের নিচে সংযুক্ত করবেন।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি সুশীল সমাজ, এম্বাসী, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য কথা অনুযায়ী লিখেছি। তাদের নাম কি সংযুক্ত করতে হবে?

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করণ বা না করণ বিষয়ে গণভোট নেওয়া উচিৎ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের ভয় আছে!

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া এবং জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করা। একইভাবে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য একটি প্রধান শত্রু পক্ষ থাকে, যা তাকে চিহ্নিত করতে হয়। যে দল তার শত্রুকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়, সে দল রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে পারে না। তাই বলা যায়, রাজনৈতিক দলের প্রধান কাজই হলো তার প্রধান শত্রুকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় কৌশল অবলম্বন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া।

এই প্রেক্ষাপটে, বিএনপি তার প্রধান শত্রু হিসেবে আওয়ামী লীগকে চিহ্নিত করেছে। বর্তমান রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত থাকলেও, রাজনীতি করতে গেলে প্রতিপক্ষ প্রয়োজন। এ কারণেই বিএনপি তার রাজনীতির স্বার্থে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চায় বলে আমার ধারণা।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাত এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বিরোধী দল হবে।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: BAL নিষিদ্ধ করনে হা না ভোট করা দরকার।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দৌড়ানির উপর রাখতে হবে। গতকাল এক ইনফ্লুয়েঞ্জা কে দেখলাম সাদ্দাম কাগু রে লাইভে আনছে! মালে এখন ও কি তরতাজা! চর্বি কমে নাই।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দৌড়ানির উপর রেখে চর্বি কমাতে হবে সেই সংগে যাতে কোটকাচারীর বারান্দায় সময় পার হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জীবন হারাম করে দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে এরা কীট ভাবতো। সঠিক সময়ে দ্রুত বিচার করে ১০/১৫ বছর জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: কুতুব দাদা, এদের ক্ষমা করে দেওন যায় না? প্রতিহিংসার রাজনীতি না ছাড়লে বাংলাদেশ উন্নতি হবে ভাবছেন? আসলে গরুর গোস্ত রক্তকে গরম রাখে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদের ক্ষমা করে দিলে সাধারণ মানুষের পরাজয় হবে। ২০১৪ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষকে মানুষ মনে করে নাই। আপনি যদি বলেন জংগীবাদ বেড়ে গেছে এরজন্য দায়ী শেখ হাসিনা। বিএনপির সময়ে জংগীবাদ বেড়ে গিয়েছিল দেখে সাধারণ মানুষ হাসিনা কে দায়িত্ব দিয়েছিলো এদের সাইজ করতে। কিন্তু তিনি এর অপব্যবহার করেন। নাটক সাজান। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। ব্যাঙের ছাতার মতো ক্যাডেট মাদরাসা গড়ে উঠছে! সেখানে কি পড়ানো হচ্ছে তা শেখ হাসিনার নজরে ছিলো না। খালি লুটপাট এবং খাই খাই।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

প্রামানিক বলেছেন: ভারতের সহযোগিতায় আওয়ামীলীগ বেঁচে থাকবে

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের ইন্টারন্যাশনাল কানেকশন ভালো।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

জটিল ভাই বলেছেন:
সাধারণ মানুষের মতামত কবে মুখ্য বিষয় ছিলো? হায়রে সোনার বাংলা....... :(

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এবার হওয়ার সুযোগ ছিলো!

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

রবিন.হুড বলেছেন:

জাগ্রত জনতা পার্টি হতে ভবিষ্যৎ বাঙলাদেশের আলোক বর্তিকা।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: প্রচার চালিয়ে যান।

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি তো খুশি হবেন!

১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতা হাতে পেলে মানুষ স্বৈরাচারীরা হয়ে যায়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইউরোপ কেন হয় না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.