নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত বিরোধিতা ও ৮০০ কোটি টাকা গচ্ছা যাওয়ার কাহিনী!

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০০


"ভারত আমাদের শত্রু যে প্রজন্ম তা বুঝতে পারবে তারাই হবে শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম"- মওলানা ভাসানী। জুলাই অভ্যুত্থানের পিছনে শেখ হাসিনা রেজিমের দুঃশাসন ও বিগত ২/৩ টি নির্বাচনে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপ অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করা হয়। অনেকেই মনে করেন, শেখ হাসিনা দিল্লির সেবাদাসী;তাই হাসিনার উচিত ভারতে চিরস্থায়ী বাস করা ! ভারত বাংলাদেশের সাথে বিগত ১০/১৫ বছরে যে সব চুক্তি সম্পাদন করেছিল তার বেশিরভাগ দেশের চেয়ে নিদিষ্ট দলকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাই হউক অবশেষে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর! তা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধিতা জাগিয়ে রাখতে চান। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভারত মানেই হিন্দু দেশ বলে মনে করেন। এছাড়া বিগত কয়েকবছর ধরে ভারতে হিন্দুবাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ভারত বাংলাদেশকে শুধু শোষণ করে এমন ন্যারেটিভ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দলগুলো সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সফল।

৫ই আগস্ট পটপরিবর্তনের পর আলোচনায় আসে বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়নের! ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন ক্যারিকুলাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার নতুন ক্যারিকুলাম বাস্তবায়নের অনুপযোগী ঘোষণা করে তা বাতিল করে। আগামী বছর পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্ব কাদের দেয়া হয়েছে তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। দেখা যায় ২০০৯ সাল থেকে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্ব পেয়ে আসছে। ২০২৫ সালের জন্য প্রায় ১ কোটি বই ছাপানোর জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটিকে! কিন্তু বর্তমান সরকারের বিভিন্ন এনটিটি যাদের কট্টর ভারত বিরোধী বলে মনে করা হয় তাদের পক্ষ থেকে একটি জরীপ চালানো হয় যে, ভারতীয় ছাপাখানায় বই ছাপানোর বিরোধী কত শতাশ মানুষ? জরীপের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ ভারতে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর বিরোধী! তারপর এনসিটিবি সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের ছাপাখানায় বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। পূর্বে ভারত, সিংগাপুর সহ আরো কয়েকটি দেশের প্রিন্টিং প্রেসকে দরপত্রের জন্য আহবান করা হত দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ! বাংলাদেশের ছাপাখানা গুলো তখন টেন্ডার পাওয়ার জন্য কমদামে বই ছাপাতে রাজি হতো। সরকার এই বছর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা বন্ধ করে দিয়ে দেশীয় প্রেসে বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২৫ সালের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্ব পায় বাংলাদেশের ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান গুলো সবাই মিলে সিন্ডিকেট করে পূর্বের তুলনায় বেশি অর্থ দাবী করে। গত বছর পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর জন্য সরকারের ব্যয় হয়েছিলো ১৪০০ কোটি টাকা,ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার পর তা গিয়ে ঠেকবে ২২০০ কোটি টাকার ও বেশি! এনসিটিবির একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন কালি ও কাগজের দাম এত বাড়েনি যে ৮০০ কোটি টাকা বেশি খরচ বাড়বে। অন্যদিকে বর্তমানে এনসিটিবিতে চাকুরি করেন এমন একজন কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন বাজারে প্রকৃত মূল্য যাচাই করে কাজ দেয়া হলেও প্রিন্টিং প্রেসের মালিকেরা বিভিন্ন অযুহাত তুলে বেশি টাকা নিচ্ছে। প্রিন্টিং প্রেসের মালিকদের প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, এনসিটিবি যে মূল্য ধরে দিয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। এনসিটিবি আগের বছরের বাজার মূল্য ধরে তাদের কাজের দায়িত্ব দিলেও উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে।

ভারতের ছাপাখানায় পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর চুক্তি বাতিল হওয়ায় শায়েখ আহমাদুল্লাহ হুজুর হতে সুইপার মতীন সবাই খুব খুশিতে ফেইসবুকে পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু ৮০০ কোটি টাকা বেশি খরচ বেড়ে যাওয়ার পর ও কেউ কিছু বলছেন না যদিও তাদের পকেট থেকেই টাকাটা খরচ হচ্ছে। সকাল বিকাল ভারত বিরোধিতা করে মনে যে সুখ পাওয়া যায় সহবাসে সে সুখ নেই। মাওলানা ভাসানীর উক্তি দিয়ে শেষ করছি, " পিন্ডির গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্ত হয়েছি ভারতের দাসত্ব করতে নয়"।


মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পাইকারী ভারত বিরোধীতা ঠিক নয়। ভারতের সাথে লাভবান হওয়ার মত সম্পর্ক থাকা জরুরী।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিভিন্ন দেশে বড়ো বড়ো রাজনীতিবিদ জন্মায়! বাংলাদেশে জন্মায় বাটপারবিদ!

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিভিন্ন দেশে বড়ো বড়ো রাজনীতিবিদ জন্মায়! বাংলাদেশে জন্মায় বাটপারবিদ! এরা আসলে বেকুব। বেকুব বলেই শেখ হাসিনা এদেরকে নিয়ে এত বছর খেলতে পেরেছেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঠিক কথা কয়েছেন!

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫২

ক্লোন রাফা বলেছেন: পরোক্ষভাবে এই খরচই ভুমিকা রাখবে সামগ্রিক মুল্য বৃদ্ধিতে।আমরা হলাম মুখে মুখে দেশপ্রেমিক! অধিকাংশ ব্যাবসায়িরা অসৎ ও লুটেরা দুর্ণীতিবাজ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাই পায় সোনার খনি, আমরা পেয়েছি চোরের খনি!

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

আদিত্য ০১ বলেছেন: ব্লগেও একটা গ্রুপ আছে, বুঝে না বুঝে কি বকে যাবে আপনার পোস্টে দেইখেন,

আমার কথা হইলো, এই ভারত ভিরোধী বা ভারতীয় পন্য বর্জন তাও একজন সোশাল ইনফ্লুয়েঞ্জার দ্বারা। এগুলা আমাদেরই ক্ষতি, জামাতের আমীর কিন্তু ঠিকই বলেছে "জামাত ভারত বিরোধী নয়", আবার বিএনপিও একই কথা, আসলে প্রতিবেশী দেশের সাথে বিরোধী মনোভাবে রেখে লাভ নেই, বরং ক্ষতি, হ্যা আমাদেরকে ভারতে সাথে পররাষ্ট্র সম্পর্কগুলো সেভাবে করা উচিত যেন আমাদের ক্ষতি না হয়, একথায় আমাদের স্বার্থ দেখে বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র সম্পর্ক রাখতে হবে। ভারত বিরোধী বা অন্য আমেরিকনা বিরোধী এগুলা বলে ক্ষতি ছাড়া কিছুই না। মুখে বিরোধী আগে বললেও জামাত বিএনপি এখন কেউই ভারত বিরোধী বলছে না, বরং তারা ভারতের সাথে সম্পর্ক রাখতে ব্যস্ত

কিন্তু আমরা কিছু আমজনতা হুদাই লাফাচ্ছি না বুঝে

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধনাবাদ।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২১

নিমো বলেছেন: আসছে সংযমের মাসে আমরা ব্যবসায়ীদের আরও খেল দেখব। ব্লগের জটিল বেকুবকূলের বদলদামি দেখব।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ব্লগার জটিল ভাই তো মজার মজার ব্লগ লিখেন!

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৭

নিমো বলেছেন: তিন মাসেই ৮০০ কোটি। তাহলে বালের ১৭ লাখ কোটি কামাতে এই সরকারের কয় বছর লাগবে ব্লগের গণিতবিদ করুণাধারার কাছে জানতে চাই ? এছাড়াও শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক সত্তর হাজার কোটি টাকা ছাপাচ্ছে। সবই ভারতীয় ষড়যন্ত্র!

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কানেক্টিভিটির যুগে ইগো নিয়ে নিজ ঘরে বসে থাকা লোকসান।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

তানভির জুমার বলেছেন: আপনার এই লেখার সোর্স টা কি দেওয়া যাবে?

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কালবেলা অনলাইন নিউজ পেপার! ছাপাখানায় ব্যয় অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা লিখে গুগল করলেও পাইবেন।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৩

আদিত্য ০১ বলেছেন: নিমো বলেছেন: আসছে সংযমের মাসে আমরা ব্যবসায়ীদের আরও খেল দেখব। ব্লগের জটিল বেকুবকূলের বদলদামি দেখব

এদের ইচ্ছে বা মতের বাইরে লিখলেই হল সেটা কমেন্ট হোক বা পোস্ট হোক, এদের দল এসে উদ্ভট কমেন্ট করবে, আপনি যেই পা্ল্টা কমেন্ট করবেন, তার আরও হিংস্রতার রুপ নিবে, সোনাগাজীকে এভাবেই তারা সরাইছে, যাইহোক সামু তাদেরই হোক, তাদের মতের বাইরে কাউকে রাখবে না, তারাই থাকুক, তাদের মতের বিরুদ্ধে উনিশ থেকে বিশ হলেই এরা উদ্ভট কমেন্ট করবে বা এদের বেকুবি আঁচরণ দেখাবে

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সমাজে সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে হয়;কেউ দোষ ত্রুটি মুক্ত নয়।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: টাকা বেশী লাগলেও যদি ভারতের অতি নিম্নমানের কাগজে অস্পষ্ট ছাপানো বই যদি এবার মানসম্মত হয়, তাতে ৮০০ টাকা বেশী ব্যয় হলেও আপত্তি করার কিছু নেই। তবে সরকার নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ না দিয়ে যদি প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে অনেক প্রতিষ্ঠানকে বই ছাপানোর সুযোগ করে দেয় তবে ব্যয় নিশ্চয়ই কমে আসবে। দেশীয় প্রকাশনা শিল্পকে পথে বসিয়ে ভারতীয়দের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া নিশ্চয়ই কোন দেশপ্রেমিক সরকারের কাজ নয়। আচ্ছা জনাব কুতুব সাহেব, বলুনতো বাংলাদেশের জায়গায় ভারত হলে কি তারা তাদের বই ছাপানোর কাজ বাংলাদেশকে দিতো?
আর বিগত পনের বছরে ভারত বাংলাদেশ থেকে অনেক অনেক সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছে, বিনিময়ে তারা সীমান্তে মানুষ হত্যা করে লাশ উপহার দেয়া ছাড়া তারা আমাদের আর কি কি 'উপকার' করেছেন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৮০০ কোটি টাকা সিন্ডিকেটের কারণে বেশি লাগছে। যতই উন্নত মানের কাগজ ব্যবহার করা হোক ব্যয় ১০০/২০০ কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। ভারত কে বাদ দিতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে দরপত্র আহবান করা স্থগিত করেছে সরকার। ভারতের ছাপানো বই গুলোতে সমস্যা ছিলো আমিও জানি কিন্তু দেশীয় সিন্ডিকেটের হাতে এই ভাবে আটকা পড়া উচিত নয়।


ভারত বাংলাদেশ থেকে অন্যায্য ফেভার নিয়েছে বলে এখন বেশি ব্যয়ে বই ছাপানো হবে এটা কুযুক্তি!

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৪

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: ....৮০০ কোটি টাকা বেশী ব্যয় হলেও...

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৩

আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশের ১০০% মানুষই দুর্নিতিবাজ, কেউ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুর্নিতিবাজ আর বাকিরা সুযোগ না পেয়ে নীতিবান। আমাদের কপাল এতই খারাপ যে ক্ষমতায় যারা যায় তারাই দুর্নিতির বিভিন্য ক্ষেত্র তৈরি করে। শুধুমাত্র ৩৫০ এমপি আর মন্ত্রীরা যদি ভাল হত তাহলেই বাকীরা এমনিতেই ভাল হয়ে যেত।

ভারতে মুদ্রিত বইগুলো খুবই নিন্ম মানের আর ভুলে ভরা সুতরাং দেশে প্রিন্ট করাই উত্তম, এখানে আমি ভারত বিরোধীতার কিছু দেখিনা। এখন সবাই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতেছে এদের শায়েস্তা করার জন্যেইতো সরকার। তাই তাদের কঠোর হতে হবে সেই সাথে যে কোনো মুল্যে উন্নত মানের ভুল বিহিন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছাতে হবে। শিক্ষার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছার দেয়ার কোনো অবকাশ নেই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান বাতিল করার একমাত্র কারণ ভারত! ভারতের দুইটি প্রতিষ্ঠান বাদে বাকি সব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ছিলো। মূলত দেশীয় সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হতো। তখন দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অর্ডার হাতছাড়া হয়ে যাবে এই ভয়ে কম টাকায় পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্ব নিতো। এবার শুধু দেশীয় কোম্পানি দায়িত্ব পাওয়ায় তারা সবাই মিলে সিন্ডিকেট করে বেশ ভালো অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খরচ এনসিটিবি আগের বছরের তুলনায় ২০০ কোটি বাড়িয়েছিল! না হয় আরো ২০০ কোটি বেশি নিক! টোটাল খরচ পড়বে ১৬০০ কোটি; টাকা সেইভ হবে মিনিমাম ৫০০/৬০০ কোটি! আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫১

জেনারেশন৭১ বলেছেন:



দেশে বই ছাপানোর সিদ্ধান্তটা সঠিক হয়েছে, মানুষ কাজ পাবেন। তবে, মুল্যও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যেতো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কাজের অভাব নাই। চাকুরির এক্সামের জন্য হাজার হাজার বই ছাপানো হয়। আর আগেও বাংলাদেশের প্রেসে অধিকাংশ বই ছাপানো হতো। ভারতের মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পেত! আমি যে টপিক নিয়ে লিখেছি আপনি তার থেকে সরে যাচ্ছেন। ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৪০

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

আমাদের উচিত হবে ভারতের সাথে জেহাদ ঘোষণা করা
ব্যাটারা মালাউনের জাত।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হা হা।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমার মোটে, ভারতেরে ছাপাখানা হতে ছাপানোর চেয়ে আমাদের দেশে ৮০০ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করে ছাপানোও ভালো। মুদ্রণশিল্প টিকে থাকা এবং এই সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশের এই সংকটের সময় এমন মনোভাব দুঃখজনক! ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.