নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
ইসকনের বহিস্কৃত সদস্য চিন্ময় দাস কে নিয়ে বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্ক এখন যে কোন সময়ের চেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। রাস্ট্রদোহিতার অভিযোগে চিন্ময় দাস কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলা হলেও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের কোন প্রভাবশালী নেতার সাথে চিন্ময় দাসের আর্থিক লেনদেনের তথ্য সরকারের কাছে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিন্ময় দাস কে আদালতে হাজির করার সময় অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতিতে দূর্বৃত্তরা একজন মুসলিম আইনজীবীকে হত্যা করে। সারাদেশে তখন ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের পতাকা মাড়ানোর মতো লজ্জাজনক কান্ড ঘটে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে বিভিন্ন মতবাদের অনুসারী দের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম আইনজীবী হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অর্থায়নে ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের নামে বহির্বি্শ্বে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদীরা এখনও চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের শোক ভুলতে না পেরে তাদের উগ্রবাদী কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
মমতার অতিকথন ও রাজনৈতিক বিলাপ : পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বর্তমানে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে সেক্যুলার মানসিকতার বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু তিনি এখন স্বস্তিতে নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আরজিকর হত্যা মামলায় মমতার গদি বেশ নড়েচড়ে উঠে। পশ্চিমবঙ্গে মমতার শক্ত পদক্ষেপের কারণে বিজেপি ক্ষমতায় যেতে পারছে না। তাই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি চেয়েছিল মমতাকে গদি ছাড়া করতে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক হিন্দুরা তখন বিজেপিকে সাপোর্ট করেছিল। শেষ পর্যন্ত মমতা পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হন। চিন্ময় দাসকে গ্রেফতারের পর পশ্চিমবঙ্গের এক বিজেপি নেতা বসবাসরত হিন্দুদের সাপোর্ট পাওয়ার জন্য বেশ হইচই করে, বাংলাদেশকে হুমকি ধামকি দেন। মমতা তখন মোদির সিদ্ধান্তই তার সিদ্ধান্ত বলে জানান। আজকে মমতা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী যাতে বাংলাদেশে আসে সেইজন্য নরেন্দ্র মোদি কে পদক্ষেপ নিতে বলেন । মমতার এমন আহবান পরিস্থিতি বিবেচনায় একধরণের রাজনৈতিক স্টান্ডবাজী হলেও বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক!
সিলেটের সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় হিন্দুদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা : সিলেটের সুতারকান্দি স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ এলাকার অভিমুখে মার্চ করেছে হিন্দু ঐক্য মঞ্চের নেতাকর্মীরা! এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্তে ভারতীয়দের বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ : ফেনীর সীমান্তবর্তী পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দরের ভারত অংশে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ইসকনের পক্ষে ও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ছিঁড়ে ফেলা হলো পতাকা : ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। 'হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি ' নামের একটি সংগঠনের নেতারা এই হামলা চালান। কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী, সহকারী হাইকমিশন বাংলাদেশের সার্বভৌম সম্পদ। সেখানে হামলা করাকে রাষ্ট্রের উপর হামলার সমতুল্য মনে করা হয়।
উপরের ঘটনাগুলো ভারতের সমাজে হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থীদের প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি তুলে ধরে । মুসলমান কট্টরপন্থীদের মধ্যে প্রতিবাদ জানানোর এই ধরণের ভাষা পরিচিত হলেও হিন্দুদের মধ্যে এই ধরণের আক্রমণাত্নক কার্যক্রম একেবারেই নতুন। চিন্ময় দাসের প্রথম পরিচয় সে একজন বাংলাদেশি এবং দ্বিতীয় পরিচয় তিনি একজন হিন্দুত্ববাদী নেতা। একটি স্বাধীন দেশ তার যে কোন নাগরিককে সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করতে পারে। সেখানে ভিনদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশের কিছু নেই যদি না তার পিছনে অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকে!
চিন্ময় দাস ভারতের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার কারণ কি শুধুই তার ধর্ম নাকি বাংলাদেশে বসে তিনি ভারতীয় গুপ্তচরবৃত্তি করতেন তার জন্য ? এসব বিষয়ে গভীর অনুসন্ধানের প্রয়োজন!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৮
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য ধর্মই যথেষ্ট।
এই সব রূপকথা দিয়ে সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১০
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এখানে কি প্রামানিত হচ্ছে বুঝা মুসকিল তবে বাংলাদেশের মানুষ বুঝুক
কে জগন্য-
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারতের সমাজ ব্যবস্থায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
মেঘনা বলেছেন: চিন্ময় দাস কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জামাতি ও হেফাজতকে খুশি করতে। কারণ আপনারা জানেন হেফাজতীরা স্লোগান দিছিলো "একটা একটা ইস্কন ধর /
ধইরা ধইরা জবাই কর "
ইউনুস সরকার এবং সরকারের সমর্থকরা দেশটাকে আফগানিস্তান / ইরান বানাতে চায়। আর মিডিয়া, সমন্বয়ক,উপদেষ্টা, সুশীল সমাজ চেষ্টা করতাছে কিভাবে ইস্কনকে জঙ্গী বানানো যায়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে এসব কথাই বলতো। আর ভারত বিশ্বে সেটা প্রচার করতো। আমরা বাংলাদেশিদের ভাগ্য খারাপ। এক দল ভাদার দালাল, অন্য দল পাদার দালাল।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯
মেঘনা বলেছেন: কোন যুক্তিতে ইসকন কে আপনি জঙ্গি সংগঠন বলবেন ?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের ইসকনের ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান করতে হবে।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
মেঘনা বলেছেন: ২০২২ সালে দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর প্রতিমা ভাঙচুর মন্দির ভাঙচুর সহ যে যে নির্যাতন হয়েছিল তার মধ্যে একটি তিনজন ইস্কন সাধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বিচার হয় নাই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেটাও কি ইউনূস সরকারের দোষ? আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ! যখন পৃথিবীতে আসি তখন আমাদের গায়ে কোন ধর্ম লেখা থাকে না। ইসকন সংগঠন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের ইসকন সংগঠন আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করে থাকতে পারে।যদি এমন কিছু প্রমাণিত হয় তবে বিশ্বের অন্য দেশের ইসকন ভক্তদের জন্য লজ্জাজনক! আওয়ামী লীগ অবশ্যই খারাপ কাজ করেছে বলেই আজকে তাদের চলে যেতে হয়েছে। জনগণ অনেক ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:২৭
কাঁউটাল বলেছেন:
পোভুপাদ
করে নাদ
চিনময় গুপ্ত
ইসকন
বিসকন
কৌশলী নৃত্য