নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের ভেতরেই এক শিক্ষক আরেক শিক্ষককে চড় মেরেছেন। গত বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক জয়নাল আবেদিন নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালীর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
গত ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জয়নাল আবেদিন পলাতক ছিলেন। এই সুযোগে কলেজের ভূগোলের সহকারি অধ্যাপক সিরাজুল হক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে স্বঘোষিত অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন। অথচ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ইউএনও জয়নাল আবেদিনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিলেও সিরাজুল হক তাকে সরিয়ে দেন। জয়নাল আবেদিন ও সিরিজুল হকের থাপ্পড়ের ভিডিও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে দেখা যায়, মাউশির অফিস রুমে ঢোকার সময় জয়নাল আবেদিনের উপর চড়াও হন সিরাজুল হক। তিনি আগে থেকেই মাউশির অফিস রুমে অবস্থান করছিলেন। জয়নাল আবেদিন কে পরপর তিনটি থাপ্পড় মারেন সিরাজুল হক। দেয়ালের সাথে জয়নাল আবেদিন কে চেপে ধরে ঘুসি মারতে উদ্যত হলে কর্মচারীরা তাকে বাধা দেন।
সিরাজুল হক কে এই বিষয়ে জানতে ফোন দিলে তিনি প্রথম অস্বীকার করলেও পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে সনাক্ত করার কথা জানালে ঘটন্য সত্য বলে ফোন রেখে দেন। অন্যদিকে জয়নাল আবেদিন কে ফোন দিলে তিনি রেসপন্স করেন নি। ইউএনওর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে অধ্যক্ষ পদের জন্য দুইজন শিক্ষকের মধ্যে ঝামেলা চলছে। জয়নাল আবেদিন কে অনুপস্থিতির জন্য অধ্যক্ষ পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হলেও অন্য এক কমিটির থেকে অনুমোদন নিয়ে তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ দাবী করছেন। তবে সিরাজুল হক কিসের ভিত্তিতে নিজেকে অধ্যক্ষ ঘোষণা করেছেন সে ব্যাপারে ইউএনও সঠিক তথ্য দিতে পারেন নি।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছাত্র কতৃক শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানোর ঘটনা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে একধরণের গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ছাত্রদের অনেক আগেই উঠে গিয়েছে। শিক্ষার্থীদের জোর করে প্রাইভেট পড়ানো, পছন্দের শিক্ষার্থী কে বেশি নম্বর দেয়া, নারী শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের অবৈধ সম্পর্ক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে দালালি করা সহ হেন অপকর্ম নাই যার সাথে শিক্ষকেরা জড়িত হওয়া বাকি আছে! একটি দেশের সরকার যখন দীর্ঘদিন ধরে জোর করে ক্ষমতায় থাকে তখন সে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পচন ধরা শুরু হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৪ সালের পর থেকে মনোজগত পরিবর্তন হতে শুরু করে। সেই পরিবর্তনের ফলাফল ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ক্রমেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। কাটাখালীর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তাদের কলেজের দুইজন শিক্ষকের মারামারির ভিডিও ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছে। এর ফলে তাদের মনের মধ্যে উক্ত শিক্ষকদের প্রতি আর যাই হউক কোন ভালো ধারণা তৈরি হবে না বরং শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা যায় এমন ভাবনা যদি শিক্ষার্থীর মনে এসে থাকে উহাকে বাতিল করিবার শক্তি কারো নাই।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন আমি ভালো দেখি না। বাম ফ্রন্টের গুলো মন্দের ভালো! ইসলামিক ছাত্র শিবির সবসময় মধ্যবিত্ত ছাত্রদের টারগেট করে। বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন কোচিং আছে শিবির পরিচালিত ১০/১৫ টি! তাদের সার্ভিস ভালোই মোটামুটি ! অন্যদিকে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের নিজেদের ও পড়াশোনা নাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান তারা গড়তে পারে নাই। বরং জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে গেছে তারা!
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১০
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
এগুলো আগস্ট বিপ্লবীদের অবদান।
তারা পুরো দেশের কোন কিছুই নস্ট না করে থামবে না।
প্রশাসন খেয়েছে। থানা খেয়েছে।
বিচার বিভাগ খেয়েছে।
শিক্ষাঙ্গন খেয়েছে।
কিছু খেতে বাকি রাখবে না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব আপনার প্রিয় দলের সময়ও ভালো ছিলো না। দেশের মধ্যে অনেক সমস্যা রয়েছে।
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:২৩
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর, ছাত্রলীগ রাখার কারণে শেখের মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছে; শিবিরের কারনে আমাদের জাতি কখনো নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে না, ও দেশে প্রায়ই হত্যাকান্ড ঘটবে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ছাত্রলীগ কাউন্টার ফোর্স হিসাবে কাজ করতে পারে নি। তাহলে শিবির বেড়ে উঠার চান্স পেত না।
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪১
পুরানমানব বলেছেন: ইহারা গুন্ডা মুজিবের প্রেতাত্মা।
ব্লগেও রক্ষী বাহিনীর কিছু সাবেক পেটোয়া কর্মীরা এখন লেখক বনিয়া গিয়াছে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জিয়ার সৈনিক বনাম মুজিবের সৈনিকের ফাইট এনজয় করুন।
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০১
শায়মা বলেছেন: হায় হায় মারামারি করার সময় খেয়াল ছিলোনা মনে হয় যে সিসি ক্যামেরা আছে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হা হা!
৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: এইটা কেমন কথা
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মান ইজ্জত শেষ!
৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লজ্জাজনক!
৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
নিমো বলেছেন: নূতন বাংলাদেশের নূতন স্বাধীনতার নমুনা!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইহা নতুন ও পুরাতন স্বাধীনতার মারামারি!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪০
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
শিবির ভয়ংকর সমস্যার সৃষ্টি করে চলেছে।