নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
এক-এগারোর সরকারের কথা আশা করি সবার মনে আছে। বিএনপি-আওয়ামী লিগের প্রধান নেত্রী ও তাদের পরিবারদের মাইনাস করে সংস্কার পন্থী দের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের ব্যর্থ চেষ্টা মাইনাস টু'র অংশ ছিলো। আবার এক-এগারোর সরকারের অপর নাম সামরিক সরকার বললে ভুল হবে না। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীদের এক ঘাটে জল খাওয়ানোর জন্য এক-এগারো সরকার বিখ্যাত। মোটা ডোনেশন দিয়েও অনেক সময় পার পেতে হিমশিম খেয়ে গিয়েছিল তৎকালীন সামরিক সরকার। তাই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীদের কাছে এক-এগারোর সরকার একটি দুঃস্বপ্নের মত!
জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত সরকার কি ধরণের সরকার? ইহা কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার? কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগ তার শাসনআমলে কেয়ারটেকার সরকার বিধান বাতিল করেছে। তাই বর্তমান সরকারকে কেয়ারটেকার সরকার বলা উচিত হবে না। তাহলে এই সরকার কি বিপ্লবী সরকার? কিন্তু বিগত সংবিধানের আলোকে শপথ নেয়া ও সরকার পরিচালনায় এমন সব লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যারা জুলাই অভ্যুত্থানের মুল অংশীদার ছিলো না। মূলত সংবিধানের মারপ্যাচে ইন্টেরিম সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকারে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্রদের প্রতিনিধি, আমলাদের প্রতিনিধি, আলেম সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি রয়েছে। মজার ব্যাপার হইলো এই সরকারও অনেকটা সেনাবাহিনীর উপর নির্ভরশীল সরকার বলা যাইতে পারে। তার প্রমাণ মিলে সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যে। বারবার তিনি তার বক্তব্যে এই সরকারের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সরকারকে সেনাবাহিনী ১৮ মাস পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা সরকারের প্রধান মাঠের শক্তি হিসাবে বিবেচিত হলেও তাদের প্রটেকশনে সেনাবাহিনী সব সময় তাদের পাশে রয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার এক-এগারোর সরকারের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেবের একটি সাক্ষাৎকারে সবার ভিতর তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে সবার আগে এই সাক্ষাৎকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম । উনাকে ঠান্ডা মাথার অধিকারী ও বিচক্ষণ ব্যক্তি হিসাবে জুলাই অভ্যুত্থানের শুরু থেকে জানতাম। কিন্তু তিনি আচমকা ফখরুল সাহেবের সাদামাটা বক্তব্যের প্রতিবাদে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবেন তা স্বপ্নেও চিন্তা করি নাই। ফখরুল সাহেব কেবল বলেছেন যে, ছাত্র উপদেষ্টারা নতুন রাজনৈতিক সংগঠনে যোগ দিলে ইন্টেরিম সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একবারে যথার্থ মনে হয়েছে। শুধু তাই নয় কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরো এগিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক দল গঠনের পর ছাত্র উপদেষ্টারা দলে যোগ দিক অথবা না দিক তাদের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ ছাত্র উপদেষ্টারা বর্তমানে যে সব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন সবগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ। তারা রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না হয়েও নির্বাচন কে প্রভাবিত করতে পারবেন উপযুক্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে। উদাহরণ হিসাবে ছাত্রদের কথিত রাজনৈতিক সংগঠন নাগরিক কমিটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কাউন্সিলর দের নিয়ে সভা ডেকেছিল এবং তাদের সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানিয়েছিল। এমন কথাও শুনেছি নাগরিক কমিটিকে সহযোগিতা করলে তাদের পূর্বে আওয়ামী লীগ কে সহযোগিতা করার অপরাধ থেকে অব্যহতি দেয়া হবে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ফখরুল সাহবের বক্তব্যের রিয়াকশনে পাল্টা বলেছে বিএনপি নাকি এক-এগারোর সরকার চায়। ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে আছে বলে ইহা এক-এগারোর সরকার হয় নি। নাহিদের পুরো বক্তব্য অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশা। জামায়াতের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যখন একই ধরণের কথা বলে তখন ছাত্র উপদেষ্টারা নিরব থাকে। কিন্তু বিএনপি কিছু বললেই তারা প্রচুর এগ্রেসিভ আচরণ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাহিদের বক্তব্য নিয়ে জোরেশোরে সমালোচনা চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে খ্যাত মাহফুজ আলম তার নিজ এলাকায় সমাবেশে যোগ দিয়ে পুনরায় এক-এগারো সরকার নিয়ে কথা বলেছে। তার বক্তব্য হচ্ছে, দেশে আর এক-এগারো কোনদিন ফিরে আসবে না। বিদেশি শক্তির তাবেদারি আর মেনে নেয়া হবে না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ এক-এগারো ফিরে না আসলেও মাইনাস ওয়ান ফরমুলা অটো কমপ্লিট । অবশ্য আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ নির্যাতন করেছে তাদের প্রতি দেশের মানুষের ঘৃণা সহজে যাবে না। একই সাথে আওয়ামী লীগের সাপোর্টারদের নির্বাচনের সময় বাসায় বসে টিভি দেখা ও পরিবারের সাথে খানা খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে । সেজন্য আওয়ামী লীগ কে তারা ধন্যবাদ জানাতে পারে।
নাগরিক কমিটির নেতা নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী সাম্প্রতিক সময়ে কমেডিয়ানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। নিত্য নতুন শব্দ আবিস্কার করে তিনি বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে চলছেন। তিনি তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে বলেছেন, তাদের দল নাকি মুজিববাদ ও জিয়াবাদ কাউকে দেশের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তার এই বক্তব্যের জবাব বিএনপি নেতারা সুন্দরভাবে দিয়েছেন। তারা যদি নাহিদের মতো বলতো যে দেশে আবার দুই নেত্রী কে মাইনাস টু'র ফরমুলা ও এক-এগারো চালু করার চেষ্টা চলছে তখন রিয়াকশন কেমন হতো? বিএনপিকে কেন আওয়ামী লীগের সাথে ট্যাগ দেয়া হচ্ছে ? খালেদা জিয়া যখন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে যায় সেদিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ফেইসবুক পেইজ থেকে পোস্ট করা হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ! দেশ আপা মুক্ত হলো। পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে দেয়া হয়। অর্থাৎ ছাত্রদের মস্তিষ্কে মাইনাস টু ফরমুলা স্মৃতি এখনো ভাস্বর। সেই ছাত্রদের প্রতিনিধিরা যখন বিএনপিকে ১/১১ ফিরিয়ে আনার জন্য অভিযোগ করছে তখন বিষয়টি ভূতের মুখে রাম নামের মতো শোনায়।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন:
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: এই সরকার সবথেকে বড় ফ্যাসিস্।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন:
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: চারিদিকে কি ঘটছে বুঝতে পারছি না । কাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলযোগ অবস্থা বেশ ভাবিয়ে তুলেছে । আমার ফেসবুক 672602538 । আসুন আলাপ সারি বা আমার বাসায় আড্ডা মারি যদিনা আপনি মিরপুরের বাইরে থাকেন ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গতকালের ঝামেলা সহযে শেষ হবে না।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মিরপুরে আসলে নক দিবো ফেইসবুকে। ধন্যবাদ
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামাত শিবিরিকে থামাতে হবে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ব্লগ সম্পন্ন পড়তে পারি নাই বলে আমি দুঃখিত। এই জুলাই বিল্পব টি কিসের জন্য ছিলো? সরকার পতন নাকি কোটা সংস্কার? আমার মতে এটা কোটা আন্দোলন ছিলো না। এটা সরকার পতনের আন্দোলন ছিলো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৩রা আগস্ট পর্যন্ত এটা কোটা আন্দোলন ছিল। পরে এক দফা ঘোষণা করে। ছাত্র প্রতিনিধিরা কারো নির্দেশে সুযোগের উপযুক্ত ব্যবহার করেছে। একটা মেটিকুলাস প্লান ছিলো তবে তা ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালে যখন দেশের ইকোনমি ক্রাইসিস যাবে তখন। শেখ হাসিনা কোটা প্রথা চালু করে পুনরায় আরো আগে নিজের পতন ডেকে আনে। আমি যতটুকু সমন্বয়ক দের থেকে জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যাই হোক দেশের ভালোর জন্য হোক।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানার জন্য।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আবার ধন্যবাদ।
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৩
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: পোস্ট দেখলে বোঝা যায় কে কোন পক্ষের । ভালো লিখেছেন ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৩
নিমো বলেছেন: আমাদের সমন্বয়বাদীদেরতো পাপা শুরু হয়েছে। হা!হা!