![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশে প্রতিদিন ঘটছে নানা ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সরকারের পক্ষে নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই খুন, ধর্ষণ, মব কালচার ও চরমপন্থীদের কার্যক্রম পড়তে হচ্ছে। দেশে সরকার নামক কোনো অভিভাবক আছে তা মনে হচ্ছে না। দেশকে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতি দ্রুত প্রয়োজন। কিন্তু দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির দোহাই দিয়ে অনেক পক্ষ নির্বাচন দেরিতে হউক সে চেষ্টায় মাঠে নেমেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কার, ঐক্যমত্য ও নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীদের উপর যৌন নিপীড়নের অসংখ্য নিউজ সংবাদ মাধ্যম গুলোতে এসেছে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ কেবল এক/দুই মাসে বেড়েছে এমনটি নয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রচুর নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা মিডিয়ায় এসেছিলো। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও গতবছর নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা পেপারে পড়েছিলাম।তন্মধ্যে একটি ঘটনা আমার মনে গভীর ভাবে দাগ কেটেছিলো। একটি আট/নয় বছরের শিশুকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছিলো একজন মুখোশ ধারী ভদ্দরলোক। শিশুটি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খালি বোতল কুড়াতো । শিশুটির অবস্থা এতই খারাপ হয়েছিলো যে তার যোনি ও মলদ্বার একসাথ হয়ে গিয়েছিলো। শিশুটি মলত্যাগ করতে পারছিলো না। এই ঘটনা যখন ঘটে প্রথম আলো বাদে অন্য কোনো মিডিয়া নিউজ করেনি। সে সময় কাউকে আজকের মতো প্রতিবাদ করতে দেখিনি। মেয়েদের দেখেনি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে মিছিল করতে। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কে দেখিনি বয়ান দিতে। সবাই তখন ব্যস্ত ছিলো পতিত স্বৈরাচার কে নিয়ে। বিভিন্ন আন্দোলনে ছদ্মবেশে পতিত স্বৈরাচার ফিরে আসতে পারে সে জন্য সবাই সজাগ ছিলো। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে নারীদের উপর যে সব সহিংসতা হচ্ছিলো তা নিয়ে এক/দুইটি গোষ্ঠী ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করেনি। এর কারণ মিডিয়া তখন এসব নিউজ বেশি বেশি কভার করে নাই। তাহলে এখন কেন করছে ?
মাগুরায় ছোট শিশু আছিয়ার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে একদল হায়েনা। মেয়েটা জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। যারা আছিয়ার সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অতীতেও নারী কেলেঙ্কারির মামলা ছিলো। কিন্তু দেশের দূর্বল আইনের মারপ্যাচ ও ভিকটিমের পরিবারকে কিছু আর্থিক সহায়তা দিলেই খুব সহযে এসব মামলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আছিয়ার ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হওয়ায় নতুন আইন প্রণয়নের পথে হাঁটছে তারা। ধর্ষণের তদন্ত পনেরো দিনের মধ্যে শেষ করা ও নব্বই দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার কথা ভাবছে সরকার। এই সময়ে সম্ভাব্য অপরাধীকে জামিন না দেয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। পূর্বে তিরিশ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ ও ছয়মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার বিধান ছিলো।
সরকার সাধারণ জনতার দাবীর মুখে এমন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে যা সমর্থন যোগ্য নয়। সাধারণ মানুষ তিনদিন/সাতদিনের মধ্যে বিচার করে আসামীকে ফাঁসি দেওয়ার দাবী জানালে তা সরকার কে মেনে নিতে কেন হবে ? আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না। বাংলাদেশের মানুষজন যে খুবই সুনাগরিক আমরা তা বলতে পারি না। ধর্ষণের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। দেশের মানবাধিকার সংস্থা গুলোর তথ্য মতে আশি ভাগ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা ভুয়া। এখন কেউ যদি ভুয়া মামলায় আটক হয়ে জামিন ব্যতীত তিনমাস জেলে থাকে তবে তার সাথে অন্যায় করা হবে। অনেক সময় নারীরা ধর্ষণ মামলায় স্বামী, বয়ফ্রেন্ড বা প্রতিদ্বন্দিকে ফাঁসাতে পারে। তাই সরকারের উচিত যেসব প্রতিষ্ঠান এসব বিষয় নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া। সেটা যদি জনসাধারণের মতের বিপরীতে যায় শুধুমাত্র ইনসাফের জন্য সরকারকে তার নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।
ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনি ও তাদের পক্ষে আইনজীবী দাড়াতে না দেয়া উভয় ঘটনা নিন্দনীয়। একজন ব্যক্তি আদালত কতৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে দোষী ভেবে মারধর করলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তির রাষ্ট্রের নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে। এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই যাতে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারে তার জন্য সরকার কে সহযোগিতা করতে হবে। অন্যথায় দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।
গত কয়েকসপ্তাহ ধরে দেশের মব কালচার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যখন তীব্র সমালোচনা হচ্ছিলো তখন ঢাবির এক নারী শিক্ষার্থীকে একজন দাইয়ুস ব্যক্তির যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। দাইয়ুস ব্যক্তির পক্ষে কোনো প্রকার অনুসন্ধান ব্যতীত তৌহিদি জনতা দাঁড়ালে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। দাইয়ুস ব্যক্তির জামিনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। সাধারণ মানুষ মনে করছে সরকার তৌহিদি জনতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। অনেকে সরকারের দেশ পরিচালনার এক্তিয়ার নেই বলে মনে করছে। সব মিলিয়ে যখন পরিস্থিতি হযবরল তখন একের পর এক ধর্ষণের খবর সামনে আসতে থাকে আর চাপা পড়ে যেতে থাকে পুরাতন ইস্যু। গত শুক্রবার হিজবুত তাহরীরের জমায়েত নিয়ে সাধারণ মানুষ যখন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছিলো তাও চাপা পড়ে গেছে। বিশ্ব মিডিয়ায় বেশ ঘটা করে হিজবুত তাহরীরের মিছিল নিয়ে নিউজ কভার করেছে। দেশি ও বিদেশি চাপে যখন সরকারের নাভিশ্বাস উঠছে ঠিক তখনই ধর্ষণের সকল নিউজ সারাদেশ খুজে খুজে বের করছে সাংবাদিকেরা । একই কাজ যদি তারা সারাবছর করে যেতেন তবে অনেকেই উপকৃত হতো।
দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়লে কারা লাভবান হবে ? জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে এক শ্রেণীর লোক জোট বেধেছে যে করেই হোক আগামী সংসদ নির্বাচন যাতে দ্রুত না হয়। কখনো সংস্কারের নামে, স্থানীয় নির্বাচনের নামে তারা বর্তমান সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে মাঠে নেমেছে। নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থা তেমন সুসংগঠিত নয় বলেও তারা এমন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অনেকে খোয়াব দেখে সেনা শাসন আসবে আবার কেউবা খোয়াব দেখে বিপ্লবী সরকারের। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে এসব গোষ্ঠীর ফায়দা আছে বলেই তারা দ্রুত নির্বাচন চায় না। কারণ দ্রুত নির্বাচন হলেই তাদের সুযোগ সুবিধা কমে যাবে। তাই আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকলে জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়বে। এভাবেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত অনেকে। সেনাপ্রধান তাদের এই উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সরকার কে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন ।
১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেটা তো দরকারই।
২| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:০৩
আদিত্য ০১ বলেছেন: বিএনপি কি করছে? তারা কেন নির্বাচন নিয়ে চাপ দিচ্ছে না। বিএনপির উচিত নির্বাচন শীগ্রই আয়োজন করা। বিএনপি জয়ী হবে, এইটা এক রকম নিশ্চিত করে অনুমান করা যায়। নির্বাচিত সরকার থাকলে, অনেক কিছু গুছিয়ে আসবে
১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নোবেল বিজয়ী ক্ষমতায়। কি করবে বলুন?
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬
নিমো বলেছেন: কাঁউটালটা কোথায়?কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবর্জনার কাছে নিশ্চয়ই চটকদার কোন উত্তর আছে।
১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কার মাল্টি কিছু জানেন?
৪| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: যে সরকার মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সরকারকে কান ধরে বিদায় করে দেওয়া দরকার।
১০ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই সরকার ভালোয় ভালোয় বিদায় নিবে বলে মনে হচ্ছে না৷
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: এই সরকার যত দেরী করবে, তত তাদের অশান্তি বাড়বে।
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নির্বাচিত সরকার দরকার।