নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ নিবে ?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৭


আওয়ামী লীগের মিছিলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকার ডেমরা-উত্তরা- বাড্ডা - মিরপুর সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ঝটিকা মিছিল করছে। প্রায় তিনমাস ধরে রাস্তায় মিছিল নামানোর প্রস্তুতি ছিলো। মিছিলে অংশগ্রহণকারী অনেক কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে পাল্টা মিছিল করছে। আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের সমালোচনা করছে তারা। এনসিপির নেতারা বায়বীয় শক্তিকে দায়ী করছে আওয়ামী লীগকে রাস্তায় মিছিল করার সুযোগ দেয়ার জন্য । সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের মিছিলের ব্যাপারে কড়া বাক্যবিনিময় ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সরকার দায় চাপাচ্ছে পুলিশের উপর। তাদের গাফিলতির কারণে ছাত্রলীগ রাস্তায় নামার সাহস পাচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অভিযোগ করছেন । শুধুমাত্র হুমকি ধামকি আর গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ কে ঠেকানো যাবে ?

সরকার যখন দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের আইন সংশোধন করতে সিদ্ধান্ত নেয় তখন মানবতা বিরোধী অপরাধ দলের পক্ষ থেকে সংগঠিত হলে দলকে বিচারের আওতায় আনার বিধি বাদ দেয়। এতেই বোঝা যাচ্ছিলো সরকার আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়। ড. ইউনূস তো বলেই দিয়েছেন আম্লিক সাপোর্টার দের ভুল পথ থেকে সঠিক পথে বুঝিয়ে নিজের পছন্দের দলের সদস্য করতে চান তিনি। অর্থাৎ তিনি ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন। এদিকে প্রশাসনে আম্লিকপন্থী আমলাদের আরো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর নিউজ খবরে আসছে প্রতিদিন। এভাবেই সংস্কার হচ্ছে দেশের আওয়ামী লীগ পন্থী আমলাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর মাধ্যমে। অন্যদিকে বিএনপি পন্থী পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করীম কে নিজেদের মেঘনা আলম কে বিশেষ আইনে গ্রেফতারের অপকর্ম ঢাকতে ডিবি থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। সরকারের তৈরি কিংস পার্টি মনে করে পুরো উপদেষ্টামন্ডলী ও প্রশাসন বিএনপির পারপাস সার্ভ করছে। কিন্তু জামায়াত ও আওয়ামী লীগের আমলাদের ব্যাপারে তারা চুপ। মুখে তারা যতই বলুক ডি-আওয়ামীফিকেশনের কথা কাজে সেটার প্রকাশ নেই। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যাবসায়ী গোষ্ঠীদের তারা ঊপহারের বিনিময়ে নিরপত্তা দিচ্ছে । এর বড়ো প্রমাণ হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ ভাঙা হলেও বসুন্ধরা গ্রুপের উপর একটা ফুলের টোকাও পড়ে নাই।

আওয়ামী লীগ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। তাদের মিছিল ঠেকানোর মতো কোন অস্ত্র(আইন) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই। বিদেশি শক্তিগুলো চায় না আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করা হউক। এম্বাসীর চাপ আছে সরকারের উপর। রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে। কেউবা আবার ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবে বলে আত্নবিশ্বাসী। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি চায় না সন্ত্রাস দমন আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক। তারা আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করার পক্ষে। সবখানেই একটা হযবরল অবস্থা ! এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগ সংগঠিত ভাবে রাস্তায় নেমে মিছিল করবে এটাই স্বাভাবিক। ভালো না লাগলেও রিয়েলিটি মাইনা নেয়া ছাড়া উপায় কী ?

সরকার চাইলে ১৯৭৮ সালের পলিটিক্যাল অর্ডিন্যান্স ব্যবহার করে কোর্ট থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি স্থগিতের আদেশ আনা যায় কিনা বিচারিক কার্যক্রম শেষ করার আগে তার জন্য চেষ্টা করে দেখতে পারে। কিন্তু সরকার সেটা করবে কিনা তার কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগ কে মাঠে নামতে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে বলে সন্দেহ হচ্ছে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবী তুলতে এনসিপি এক পায়ে খাড়া। তারা বারবার চেয়েছে দেশে গৃহযুদ্ধ হউক কিন্তু প্রতিপক্ষ পাচ্ছে না বলে তা বাস্তবতার মুখ দেখেনি। আওয়ামী লিগের চেয়ে উত্তম প্রতিপক্ষ কে হতে পারে ? অরাজকতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন না দিয়ে দীর্ঘদিন তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার কে কাজে লাগাতে পারবে।

আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে তাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। যার পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার খতম তার নেতৃত্বে মিছিল করে আওয়ামী লীগ যে কতটা দীনহীন মাথামোটা সংগঠনে পরিণত হয়েছে তার নমুনা দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই করাপ্টেড আওয়ামী লীগ কে কোনোভাবেই মেনে নিবে না। এভাবেই ভবিষ্যৎ রাজনীতি বন্ধের কবর খুঁড়ছে তারা। :-B

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: কোন পদক্ষেপ নিবে না।মুগুড় নিয়ে একজন দাড়িয়ে আছে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই মুগুরের বাড়ি সবার আগে আম্লিকের ঘাড়ে পড়েছিলো।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: লল মিনিমাম ৩৫% মানুষের দল কে ব্যান করবে। সাহস কত!

২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গৃহযুদ্ধ বাধানোর জন্য প্রতিপক্ষ দরকার। আম্লিক উত্তম প্রতিপক্ষ!

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: না। এর ওর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সময় কাটিয়ে দিবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সকল আম্লিকপন্থী আমলাদের উপদেষ্টামন্ডলীতে ঢুকাচ্ছে ! কি করতে চাইছে এরা আল্লাহ মালুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.