নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন, সিদ্দিকুর রহমানকে গণধোলাই এবং ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে !

০২ রা মে, ২০২৫ রাত ২:০৮


সারাদেশ যখন ভারত পাকিস্তানের ফেকু যুদ্ধ নিয়ে প্রেডিকশন করছে তখন কতিপয় লোক ব্যস্ত সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীকে বিতর্কিত প্রশ্ন করতে, কেউ ব্যস্ত অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান কে গণধোলাই দিতে এবং প্রখ্যাত অভিনেতা আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকের কে মামলায় ফাঁসানো নিয়ে। বিস্তারিত খুলে বলার চেষ্টা করছি।

ফারুকীর বিতর্কিত সংবাদ সম্মেলন ও সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুতি : বাংলাদেশের ছবি 'আলী' কান চলচিত্রে পুরস্কার পেয়েছে। এই সুসংবাদ দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। সেখানে তিনজন সাংবাদিক জেনে বুঝে উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীকে বিতর্কিত প্রশ্ন করা শুরু করে। সাংবাদিকদের বক্তব্য ছিলো জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা যে ১৪০০ মানুষ হত্যা করেছে তা কতটুকু সঠিক? বিচারের আগে শেখ হাসিনাকে খুনী বলা যাবে কিনা? ফারুকী খুব স্মার্ট উত্তর দিয়েছে। তার বক্তব্য ছিলো এমন, জাতিসংঘ তদন্ত করে প্রায় ১৪০০ মানুষ হত্যার কথ্যা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। শেখ হাসিনা একজন সার্টিফায়েড বর্বর হিসাবে তারা মনে করে। ফারুকী পাল্টা সংবাদিক কে প্রশ্ন করেন, "জুলাই অভ্যুত্থানে আপনি কই ছিলেন "?

আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছে, ফারুকী ফ্যাসিবাদ আওয়ামী বিরোধী হলেও কেন তার স্ত্রী ' মুজিব ' চলচ্চিত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। জবাবে ফারুকী উত্তর দেন, " তিশা কি করেন তা তিনি জানেন না " । একই ছাদের নিচে বাস করে স্বামী ও স্ত্রী জানে না তারা কি কাজ করে, কেন করছে ! ফারুকীর এই প্রশ্নের উত্তর শুনে যে কেউ বুঝতে পারবেন তিনি কেমন বেকায়দায় পড়েছিলেন। তাই এমন বোকা বোকা উত্তর তার মুখ থেকে বেড়িয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এমন বিতর্কিত প্রশ্ন করে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে তিনজন সাংবাদিক বেইমানি করেছে। একটি অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন ' জুলাই রেভ্যুলেশনারী এসোসিয়েশন মার্চ ফর তিন মিডিয়ার অফিস ইভেন্ট ঘোষণা করেন। এই সংগঠনের ভয়ে দীপ্ত টিভি, এটিএন বাংলা ও চ্যানেল আইয়ের তিন সাংবাদিক বরখাস্ত হন। অথচ উপদেষ্টা নাকি তিন মিডিয়ার লোক ছাটাই নিয়ে কিছুই জানতেন না।

আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান কে গণ ধোলাই দিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রদল কে এই কাজ সরকার থেকে করতে বলা হয়েছিলো ? একজন লোক যিনি আওয়ামী লীগের সময় ঢাকা-১৭ আসন থেকে উপনির্বাচনের টিকিট চেয়েছিলো। সিদ্দিক খুবই ভালো একজন অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী ট্রেন্ডে গা ভাসাতে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে ! সেই রাজনীতি তার কাল হলো। জনসম্মুখে রাম ধোলাই করেছে স্থানীয় বিএনপির পোলাপান ! তাদের অভিযোগ সিদ্দিক আওয়ামী লীগ পাওয়ারে থাকতে অনেক অন্যায় ও খারাপ কাজের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছিলো। তাই ছাত্র-দল উহাকে পিটিয়েছে। তার কাপড় খুলে ফেলা হয়েছে যা একজন অসৎ রাজনীতিবিদের যথার্থ প্রাপ্ত হিসবে আমরা আত্নতুষ্টিতে ভুগতে পারি ! কিন্তু একজন লোক কে রাম প্যাদানি অথবা কোন মামলা ছাড়াই মারধর বা গ্রেফতার সমর্থন যোগ্য নয়। এসব ঘটনা শেখ হাসিনার জামানায় হইতো। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাটাই যেন সরকারের পক্ষে অধরা থেকে যাচ্ছে।

সবশেষ আসি আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে। বিএনপির একজন কর্মী শ্রাবণ মিরপুরে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মারা গেছেন। এখন দাবী করা হচ্ছে ইরেশ যাকের সহ আরো ৪০৭ জন মিলে শ্রাবণ কে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ইরেশ যাকের জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন বলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা দাবী করেন। দেশে চলছে ঢালাও ভাবে মামলা বাণিজ্য ! এসব মামলায় বাদি আসামী কে চিনে না। এভাবে হাজার হাজার ভুয়ো মামলা বাণিজ্যের কবলে পড়েছে দেশ। মামলা বাণিজ্য করে রাজনৈতিক দলগুলো ভালো ইনকাম করছে ! অর্থাৎ নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দেশে আর কবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে ?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ২:৩১

যামিনী সুধা বলেছেন:



দেশে যা ঘটেছে, যারা ইহার পক্ষে ছিলো, তারাই তো মামলাবাজি, মববাজি, চাঁদাবজি করছে?

০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:৩৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যদি কাঠগড়ায় দাড় করাতে হয় সবার আগে ইন্টেরিম সরকার কে দাড় করানো উচিত। তারা ছাত্রদের দিয়ে মববাজি করিয়ে বিচারপতি, শিক্ষক অপসারণের মাধ্যমে এই কালচার স্টার্ট করলো। অথচ যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে কাজ টা করা যেত। এরপর কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক মববাজি করে নিজ নিজ ফায়দা লুটলো। সরকারের হাতে আর কন্ট্রোল রইলো না। শুধু ট্যাগ করে ধোলাই বা হত্যা চালু হয়ে গেল। একজন সুন্নী আলেম ইমাম কে শিশুকামী ট্যাগ দিয়ে মেরে ফেলল প্রতিপক্ষ । বাচ্চার বাবা কন্যাকে রাস্তা থেকে আনার জন্য তার হাত ধরলে তাকেও মববাজি করে পেটানো হলো। চাঁদাবাজি সব দলই কম বেশি করছে। বিএনপি দল হিসাবে বড়ো তাই বেশি করছে, বাকিরা কম করছে কারণ দল ছোটো। এত চাঁদাবাজি চলছে কিন্তু প্রশাসন কয়জন কে ধরেছে? প্রশাসন পারে খালি সাধারণ মানুষের সাথে। র‍্যাব মাদক তদন্তে গিয়ে কলেজ ছাত্র একটা মাইরা ফেলাইসে । পুলিশ যদি এতদিনেও মেরুদণ্ড সিধে করে না দাড়াতে পারে আর কবে পারবে? ডিসেম্বরের পর সেনবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আর থাকবে না। তখন কিভাবে পপরিস্থিতি সামাল দিবে ? প্রশাসনে ঘাপটি মেরে আছে আওয়ামী লীগ ল্যাস্পেন্সার রা। ইন্টেরিম সরকার কিছু কাজে গতিশীল আনতে চাইছে। তারা আমলাদের খুশি করতে চাইছে। সেজন্য গিফট দিচ্ছে। এগুলো আবার ফাঁস হয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে সরকারের বদনামি হচ্ছে। প্রাইভেসি বলে কিছুই থাকছে না।

২| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ২:৪৩

যামিনী সুধা বলেছেন:



"ঘোর" শিরোনামে ব্লগার জুল ভার্ণের ১টি পোষ্ট আছে; সময় পেলে পড়ে দেখবেন!

০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়েছি।

৩| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:৫৪

যামিনী সুধা বলেছেন:



"ঘোর" পড়ে আমার মনে হয়েছে যে, উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ অসুস্হ; ঘোর এসেছে মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে; কিন্তু ৪/৫ বছর আগের থেকে আমার মনে হয়েছে যে, উনার শারীরিক ও মানসিক সমস্যা আছে।

০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বয়স হয়েছে। অসুস্থ হতেই পারেন। আবার গুমের ট্রমা আছে উনার ! সব দোষ শেখ হাসিনার।

৪| ০২ রা মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপি এখনো আওয়ামী লীগকে তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে।কিন্তু পরিবর্তীত পরিস্থিতে যে কৌশলের পরিবর্তন করতে হয় এটা তারা শিখে নাই।এই জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কোন কৌশল লাগবে না। মাঠে বাকি প্রতিপক্ষ আরো নুভ!

৫| ০২ রা মে, ২০২৫ ভোর ৬:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সিদ্দিকের ঘটনা নিয়ে নাটক হতে পারে। অরিজিনাল স্টোরি।

০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হেতের কি সা্‌হস! ঢাকার এমপি হইবে।

৬| ০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ঘটনার পরম্পরা।

০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই দুঃখের কথা কি বলব, আমার এক বন্ধুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
সে আজ আড়াই মাস ধরে কারাগারে। তার অপরাধ সে নাকি জুলাই হত্যা মামলার আসামি। এক নম্বর আসামী শেখ হাসিনা।

আমার বন্ধু ঝামেলাহীন মানুষ।
সে রাজনীতি করে না। তার ছোট সংসার। ছোট একটা চাকরি করে। বন্ধুর শখ সে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বন্ধুর সংসারে করুন অবস্থা। কিছুদিন আগে তার এক কন্যা হয়েছে।

০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভুয়া মামলা বেড়ে গেছে।

৮| ০২ রা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

আদিত্য ০১ বলেছেন: হা হা, ফ্যাসিবাদ কারা এখন, ৯ মাসেই ইউনুস গংরা যা দেখাইছে তাতে, আগামী ৯ মাসে দেশে সে কি হবে। কেউ কইতে পারবে না। ভোট দিবো, কইলেই গুলি করবে। কইতে পারবে না যে সার্ভিস খারাপ, কইলেই গুলি

০২ রা মে, ২০২৫ দুপুর ১:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হক মাওলা৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.