নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভ্যুত্থানে প্রাণহানির ঘটনায় ‘দোষ স্বীকার’ হাসিনার ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে প্রাণহানির ঘটনায় ‘দোষ স্বীকার করেছেন’ পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটি দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বও দায়ী’, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনপর্বে হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রথম বার ‘দোষ স্বীকার’ করলেন হাসিনা- শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা হারানোর ১৫ মাস পর প্রথম বার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দায় এড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ বার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় কার্যত দোষ স্বীকার করলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে চলে যান হাসিনা। সেই থেকে ভারতেই ‘অজ্ঞাতবাসে’ রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই চলতি সপ্তাহের ইমেলে তিন সংবাদমাধ্যম- রয়টার্স, এএফপি এবং দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গত বছরের জুলাই-অগস্টের আন্দোলনপর্বে বিপুল প্রাণহানির দায় চাপিয়েছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাঁধে। নাম না করে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ‘বিদেশি চক্রান্ত’ এবং আন্দোলনকারীদের একাংশের দিকেও।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সুর বদলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দোষের কথাও কবুল করেছেন হাসিনা। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, আপনি কি রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত হিংসার জন্য দায় স্বীকার করেন? জবাবে তিনি বলেন, দেশের নেত্রী হিসেবে, আমি চূড়ান্ত ভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করি। হত্যাকাণ্ডের জন্য আইনরক্ষক বাহিনীকে নিশানা করে তিনি বলেন, আমি নিরাপত্তা বাহিনীকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলাম, এই অভিযোগ মৌলিক ভাবে ভুল। প্রাণহানি বা আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতির উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ১৪০০ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


মানবজমিন ডেস্ক ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জন সমর্থন বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার সবই করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লাভ হবে কি ? উনার status এখন হাওয়া ভবনের ডাকাতদের মতো । ;)

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




আপনি যা লেখেন, উহা বুঝে লেখেন, নাকি প্রশ্নফাঁস জেনারেশন'এর পোষ্ট?

আপনি বললেন যে, তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন! এরপর বলছেন যে, তিনি বলেছেন, " প্রানহানি বা আইন শৃংখলার আরো অবনতির উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবেই হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিলো।"

শেষ বাক্য কি অপরাধ স্বীকার, নাকি অণয়েরা কিভাবে পরিকল্পিতভাবে হতয়াকান্ড চালায়েছে, তার উল্লেখ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লেখার শিরোনামে প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখেন নাই?

আমি তো জাস্ট শেয়ার করলাম; মতামত দিবেন পাঠকেরা।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৫

মাথা পাগলা বলেছেন: জুলাই বিপ্লবের প্রথম ১~২ দিন কিছু ছাত্র মারা গিয়েছিল যেটা পুলিশ আরও সতর্কভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতো। পরে যা যা হয়েছে পুরোটাই আম্রিকার ম্যাটিক্যুলাস প্ল্যান। জনগন বুঝে না বুঝে জঙ্গিদের সহায়তা করেছে। লীগের বর্তমান স্ট্যান্ড - বাংলাদেশে অবৈধ রাজাকার সরকার ক্ষমতায় আছে, এই অবৈধ সরকার কি বললো না বললো তাদের কিছুই আসা যায় না।

আনন্দবাজার, মানবজমিন পত্রিকার লিংকটা সংযুক্ত করতে পারলে ভালো ছিলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাথা ঠান্ডা করুন। হোটেল ওয়েস্টিনে গিয়ে হাসের মাংস খান।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি যা লিখছেন, সেটা হতে হবে আপনার ভাবনা; আপনি জরীপ চালাননি।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: মাথা পাগলা বলেছেন: জুলাই বিপ্লবের প্রথম ১~২ দিন কিছু ছাত্র মারা গিয়েছিল যেটা পুলিশ আরও সতর্কভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতো। পরে যা যা হয়েছে পুরোটাই আম্রিকার ম্যাটিক্যুলাস প্ল্যান। জনগন বুঝে না বুঝে জঙ্গিদের সহায়তা করেছে।

মাথা পাগলার বক্তব্যটি একটু রিভার্স করি দেখি শুনতে কেমন লাগে? মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ১~২ দিন কিছু মানুষ, বুদ্ধিজীবী মারা গিয়েছিল যেটা পাকি আর্মি আরও সতর্কভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতো। পরে যা যা হয়েছে পুরোটাই ভারত আর ইন্দিরা গান্ধীর ম্যাটিক্যুলাস প্ল্যান। জনগন বুঝে না বুঝে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে।

বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপ করা মানে কি খারাপ? এসব ম্যাটিক্যুলাস প্ল্যানের কথা বলে কি পাকি শাসক আর হাসিনার কুকর্ম গুলো ডাকতে পারবেন?

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



@কলিমুদ্দি দফাদার ,

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ইডিয়টদের ধারণা ও রাজকারদের ধারণা ঘুরেফিরে একই রকম। আপনি থাই বিয়ার ও ৫ ডলারের থাই মেয়েদের ভালোবাসা কেনার লোক; আপনার আধা-রাজাকারী মগজে মুক্তিযুদ্ধ অপরিস্কার থেকে যাবে সব সময়।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
@জেনারেশন বাকশাল:

আপনাকে অভিনন্দন! আপনি ৭১ এর যোদ্ধা দেশ ছেড়ে আরো আগেই পালিয়েছেন; এখন নিউইয়র্ক ২০ ডলারের মুরগির খুপড়ি হোস্টেলে বাস করে আমেরিকান ভাতায় সংসার চালাচ্ছেন। সোস্যালিষ্ট চিন্তা-ভাবনা লালন করে ক্যাপিটালষ্ট ডলারের কাছে বিক্রি হয়েছেন। ব্লগে এমন আত্মস্বীকৃত টাউটের অভাব নেই....

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৩৭

মাথা পাগলা বলেছেন: @দফাদার

আপনার রিভার্স ভাবনা শুনে হাসিনার দিক থেকে তিনিও বলতে পারেন, তার মনে হয়েছে জঙ্গিরা দেশে ক্যাওস লাগাচ্ছে তাই গুলির নির্দেশ দিয়েছে। রিভার্স চিন্তা-ভাবনা সব দিক থেইকাই দেওন যায়। আপা বিগত ১৫ বছরে যদি বলে রাজাকার-দেশদ্রোহীদের বিচার-ব্যবস্থায় বিচার সম্ভব না, লুপ হোল আছে তাই নিজ বিবেচনায় বিচার করেছেন। এগুলা আমি সমর্থন করি না কিন্তু চাইলে তিনি নিজেকে এইভাবে জাস্টিফাই করতে পারেন।

আপনার রিভার্স ভাবনা ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য দিক ভেবে বলছেন, আমার পয়েন্টটা আরেক জায়গায়। আমি হাসিনার কোন কুকর্ম ঢাকতে চাই নাই। বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র বা জোরজুলুম ছাড়া কোনো শাসককে নামানো যায়নি, মুজিবকেও সড়ানো যেতো না।
বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ খারাপ না যদি সেটা দেশের ভালোর জন্য হয়। দিনশেষে জনগন নিজের ভালো চায়, বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপে মানুষ যদি শান্তি পায়, সাপোর্ট অটোমেটিক দিবে।

আজকে জঙ্গি প্রসঙ্গ তো আসতোই না যদি সো কলড বিপ্লবীদের কাজ ঠিক থাকতো। জুলাই বিপ্লবে যতো মানুষ মারা গেছে, পরে তার ১০ গুণ বা বেশি মানুষ মারা গেছে বিগত এক বছরে। হাসিনা পলায়নের পর তো সবাই ভেবেছিলো এটলিস্ট ১~২ বছর শান্তিতে থাকা যাবে। দেশে চোর-বাটপার খুনি থাকবে না জেলগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তা কি হয়েছে? মুখে অনেক দেশপ্রেম কিন্তু কাজে অন্য, বিগত এক বছরে উপদেষ্টাদের কার্যকলাপ দেশবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। ভালো-মন্দ সবই থাকবে কিন্তু বর্তমান সরকারের উগ্রবাদ ছাড়া, একটা পজিটিভ কাজও আপনি দেখাইতে পারবেন না।

আমি পার্টিক্যুলারলি তাদের অপকর্মের কথা বলতে চেয়েছি। তাদের অপকর্মের কথা বলতে চাইলে অটোমেটিক হাসিনার প্রশংসা কিছুটা হলেও চলে আসবে। হাসিনার অপকর্মের জন্যই আজকে দেশের এই অবস্থা, দেশ পাকিস্তান-আম্রিকার কলোনি হবার পথে। হাসিনার আলাদা করে কোন প্রশংসা করার ইচ্ছা আমার ছিল না। আবার ইউনুস সরকারেরও প্রশংসা করতে পারছি না।

"বহিঃশক্তি হস্তক্ষেপ" চিন্তা-ভাবনা থেকে বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় ব্লগার এস.এম. আজাদ রহমান, রাবব১৯৭১ -রা এসে "আমেরিকা-পাকিস্তান" কলোনি না হইতে দেবার জন্য আপার নেতৃত্বে "লগি-বৈঠা" সমন্বয় করার চিন্তা-ভাবনা জাস্টিফাই করাইতে পারে।

বিগত ১ বছরে দেশে হাসিনার ছায়া নাই, বর্তমান সরকারের কাজ আলোচনা না করে যেভাবে মানুষ হাসিনা নিয়ে আছে মনে হয়ে কালকেই হাসিনা চলে আসবে, ঠেকানোর জন্য যেমন বিরোধীতা করছে আবার আসার স্বপক্ষেও মানুষ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.