নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I am anonymous

শেষ শ্রাবণ

শেষ শ্রাবণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাল আর সেকালের বেলাবোসেরা

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

যাই বলেন এখনকার জেনারেশনের মধ্যে ভাব বিষয়ক জিনিশটা ব্যাপক কাজ করে। আগের কালের মত বেলা বোসের জন্য টেলিফোনে ধন্না দিতে হয় না আর চণ্ডিদাসের মত বরশীও বাইতে হয় না। অনলাইনে কথা দেখা, প্রেম, বিয়ে আর চ্যাটিং এ বেশি ভাব না জমলে ব্লক! আগে একটা মেয়ের বাসায় টেলিফোন পাওয়া ছিল মিরাক্কেলের মত! সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। সারাদিন পর টেলিফোন রিসিভ করলেও হয় বাবা করত আর নয় তো মামা বা অন্য কেউ! চিঠি লিখে অপেক্ষা করতে হত ফেরত বার্তার জন্য। রাজকীয় স্টাইলে ব্যবহার করা হত বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া কবুতর বা ঈগল। এসব পাখি গুলোর পায়ের সাথে বেধে দেয়া হত ছোট্ট কাগজে লেখা কথা সমূহ। তখনকার ছেলেরা ধুতি পরতো আর ধুতি না পরলে অমিতাভ বাচ্চন স্টাইলের পান্ট ঢোলাঢাল জামা। তবে হ্যা তখনকার মেয়েরা কিন্তু ভারি সুন্দর ছিল। মেকাপ করত না, সাড়ি বা খোঁপায় ফুল পরতো। ঐ সময় সুগন্ধি ছিল আভিজাত্যের পরিচয়। পেট থেকে পরার পর বিয়ে হয়ে যেত নবজাতক শিশুদের! খুব অল্পবয়সে বিয়ে নিয়ে প্রায় বিড়ম্বনায় পরতে হত! কবি জসী্মউদ্দীনের কবর কবিতায় একটা লাইন আছে, "এতটুকু তারে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।" তো এই লাইন দিয়ে একটা সুন্দর ধারনা পাওয়া যায় তখনকার রিলেশন গুলো কেমন হত। খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যেত ডেটিং করার সময় কই। অনেকের কাছে ঐ সময়টাই ভাল ছিল আর এখনো আছে। ঐ সময় অপেক্ষা নামাক বিষয়টা কাজ করত। অধ্যবসায় করতে হত রাতের বেলায় গহীন নির্জনে দেখা করাছিল স্বপ্নের মত। বর্তমান সময়ে বাঁশঝাড় তো সবারি চেনা। কি অদ্ভুত ব্যাপার তাই না, ঐ এরেঞ্জ ম্যারেজ করে কাটিয়ে দিত সম্পূর্ণ জীবন! এখনকার মত এত ডিভোর্স বা ব্রেকাপ ছিল না। যদিও কখনো জানা যায়নি বেলা বোসের সাথে অঞ্জন আদও কথা বলতে পেরেছিল কিনা তবে গানের ঐ লাইনগুলো আমাদের সবার মনে দাগ কাটে ইস পত্রমিতা বা টেলিফোন যোগে যদি একটা প্রেম হয়ে যেত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
নতুন পোস্ট দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.