নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা হিপোক্রেসি - নরকের কীটের সাথে সহবাস

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৪



পর্ব- ১১
********
মানুষের মনের মাঝে চেপে থাকা কষ্টের মানসিক চাপ বিষের যন্ত্রণার চেয়েও ভয়াবহ। মনের ভেতর চাপা রাখা কথাগুলো প্রতিনিয়ত চাপাতির কোপ দেয়। কারো কারো জীবন জুড়ে এমন অসহনীয় কুপানোর হাজারো কুচিকুচি ক্ষত হৃদয়ে বয়ে বেড়ানো ছাড়া করার কিছুই নেই। যদিও কেউ কেউ ভাগ্যবশত অদৃশ্য শক্তির ফলে তা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। আমি মানসিক চাপ সইতে না পেরে কিভাবে আমার স্ত্রীকে আমাদের বাড়িতে রেখে আসতে পারি তার উপযুক্ত সমাধানের জন্য আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করে শাশুড়ী বানেছা বিবির দারস্থ হলাম।বানেছা বিবি আমাকে আস্বস্ত করলেন যে, তার মেয়েকে বুঝিয়ে লন্ডনে আসার আগ পযর্ন্ত আমার মা বাবার সাথে একসাথে থাকার ব্যবস্হা করবেন। শাশুড়ীর কথায় বেশ হালকা হলাম মনে হলো এবং বিশাল টেনশন থেকে সাময়িক মুক্তি পেলাম। সেদিন রাতে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম। গভীর রাতের শুনশান নীরবতায় দুটি মানুষের তুমুলঝগড়ার শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুমের ঘোরে আমি যা শুনলাম তাতে পুরো ঘটনাই সিনেমার লোমহর্ষক কাহিনি বলে মনে হলো। যদিও একদিকের কথা শুনে সবকিছুর পরিস্কার চিত্র পাওয়া যায় না তবে কে কোন পরিকল্পিত পথে ধরে হাঁটছে তা বুঝতে পারা যায়। আমি অনেকটাই অবাক হলাম মা- মেয়ের ঝগড়া নাকি দুই কিরনবালা বান্ধবীর মধ্যে ঝগড়া তা মেলাতে গিয়ে। আমার স্ত্রী স্পষ্টতই মাকে বলছে, সবকিছুতে তুমি কেন জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আসো? তার সাথে তোমার কি সম্পর্ক তা কি আমাকে বুঝাতে হবে? একটি মেয়ে মায়ের চরিত্র নিয়ে এভাবে বয়ান করছে শুনে সাথে সাথে শরীরের সব লোমকূপ জেগে ওঠে। মনে হলো যেন দুজন মালী একজন আরেকজনের উদ্দেশ্য বলছে আমার বাগানে আমি কি ফুল লাগাবো তা আমি জানি! আর কোন ফুলকে গলার মালা হিসাবে গাঁথবো আর কোনটাকে ছিঁড়ে ফেলবো তা আমার নিজস্ব বাপার তা নিয়ে কথা বলত এসো না ! পুরো রাত মা মেয়ের ঝগড়া চললো আর আমি কানের ও মনের পর্দায় বড় তালা মেরে শুয়ে থাকি। সকালবেলা বাঁধন নিজ থেকে আমাকে বললো,
- তোমাকে একটা অনুরোধ করবো
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম হ্যাঁ বলো -
- আমাদের সংসারে যেকোন সমস্যা যদি দুজনের মধ্যে যদি সীমিত রাখি তাহলে সমস্যা কমবে নতুবা নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হতে থাকবে।
বুঝতে পারছিনা কি বলছো?
- আমি তোমার মা বাবাকে প্রতি সপ্তাহে দেখে আসবো কিন্তু আমাকে তোমাদের বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করো না।
আমি কথা না বাড়িয়ে শুধু মাথা নাড়ালাম,, আচ্ছা , যা তুমি ভালো মনে করো।
ছুটি শেষে লন্ডনে ফিরে আসার দু মাসের মাথায় দেশে থেকে যে খবর এলো তারজন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। আমার প্রাণের প্রিয় মা ইহজগৎ ছেড়ে পারাপারে চলে গেছেন। মায়ের জন্য মনটা হাহাকার করে উঠলো। তেরটি বছর পর মাকে কাছে পেয়েও ভালো করে কথা না বলতে পারারা স্পৃহা ও তৃষ্ণা আমাকে পোড়াতে লাগলো। মনের তীব্র দোহন থেকে মাস খানেক পর মায়ের মৃত্যুর চল্লিশ দিন উপলক্ষে দোয়ার জন্য দেশের উদ্দেশ্য আবারো রওয়ানা হলাম।
বাংলাদেশ বিমানের টকটি ফ্লাইটে সকাল দশটায় দেশে গিয়ে পৌঁছে যাই। বাবা, ভাই ও বাঁধন আমাকে নিতে এয়ারপোর্টে আসেন। আজ মা নেই আর সবি'ই আছে কিন্তু মা ছাড়া এই ভূবন কতটা ফাঁকা তা মনে হওয়াতে শুধু কেঁদেই চললাম। আগের মতোই দিনে শহরতলীতে আমাদের বাসায় আর রাতে বাঁধনের বাসায় আমার থাকা। মায়ের চল্লিশার আগের রাতে বাঁধনকে বললাম,
যেহেতু কাল মায়ের কুলখানি উপলক্ষে দোয়া হবে তাই আজ আমরা দু'জন আমাদের বাড়িতে থাকবো।
- তুমি থাকবে থাকো। আমিতো আর বাড়িতে থাকতে পারবো না।
এটা কোন কথা হলো অনেক আত্নীয় স্বজন আসবে তুমি থাকলে ভালো হয়।
- আমি কি কাজের মেয়ে নাকি তোমার আত্নীয় স্বজনকে রান্না করে খাওয়াবো। নাকি আমি কোন মিসকিনের মেয়ে তুমি আমাকে কুলখানিতে থাকতে বলছো।
কি বলছো এসব? তুমি এ বাড়ির স্ত্রী। তোমার একটা দায়িত্ব আছে না।
- তুমি আসলেই একটা ছোটলোক। তোমার মতে ছোটলোককে বিয়ে করাটাই ভুল ছিলো নইলে এভাবে কুলখানিতে নিয়ে তোমার আত্মীয় স্বজনকে রান্না করে খাবানোর মতো কথা বলার সাহস পেতে না।
ছিঃ, বাঁধন এগুলো কি বলছে? তুমি কি ঠিক আছো?
- নাহ আমি ঠিক নাই ! আমাকে কি কাজের মেয়ে ভাবছো? তোমার মত ছোটলোকের স্পর্ধা আমি দেখিয়ে ছাড়বো।
- ববি..তুই কই? জলদি করে বাসায় আয়, এই ছোটলোককে একটা শাস্তি দিতে হবে। দশমিনিট নয়। এক্ষুনি আয়।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পাথরের মতো দাড়িয়ে থাকলাম। দাড়াও দেখাচ্ছি ! বাঁধন একাধারে বলেই যাচ্ছে। রাত তখন দুইটা বাজে। আশেপাশের কেউ কথা শুনলেও আসবে বলে মনে হয় না। কিছুক্ষণ পর বাঁধনের ছোট ভাই আমার শালা 'ববি' ঘরে ঢুকলো।
কোন কিছু না জেনেই উচ্চস্বরে গালি দিয়ে বলতে থাকলো,
-শালাকে লাথি দিমু নাকি আপা? নাকি গুলি করে নিচে ফেলে দেবো?
আমি তার হাতে বিদেশি পিস্তল দেখতে পেলাম। তারচোখ আগুনের ফোস্কার মতো লাল হয়ে আছে।
ভাইয়ের কথার মাঝেই বাঁধন বললো এক সেকেন্ড দেরী না করে বের হয়ে যা ? নইলে তোর মৃত্যু নিশ্চিত।
আমি ঘরের মেইন দরজাটা একটু ফাঁকা দেখতে পেলাম। আর পিছনে না তাকিয়ে চোখবুঁজে দৌড় দিলাম। নরকের পিন্ড থেকে রকেট গতিতে বের হয়ে এসে দেখলাম পায়ের গোড়ালি দিয়ে রক্তের স্রোত চলছে। সিলেটের নতুন ব্রীজের আলোয় খেয়াল করে দেখলাম আমার পায়ে কোন জুতা না থাকাতে ইট,পাথরের ঘষায় রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হচ্ছে। মনে মনে বললাম এ এমন কিছুনা সাধের জীবনটা তো রক্ষা হলো। গভীর রাতে হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে হাঁপাতে হাঁপাতে বাড়ি এসে দরজায় কড়া নাড়ার আগেই দেখলাম বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন আমার প্রিয় জন্মদাতা পিতা। বাবাকে জড়িয়ে ধরে শিশুর মতো কাঁদতে কাঁদতে কিছুটা হালকা হলাম।
বাবা সবকিছু শুনে মন খারাপ না করে পায়ে বেন্ডেজ দিতে দিতে বললেন তোর মা মৃত্যুর সময় তোর জন্য দোয়া করে গিয়েছে। আমার মনে হয় তোর মায়ের দোয়া কবুল হয়েছে। আর দেরী না করে তুই এখনিই ঢাকায় চলে যা। আর টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লন্ডন চলে যা। কাল সকাল হওয়ার আগে ওরা থানায় গিয়ে মামলা দিলে পুলিশ তোকে ধরে নিয়ে যাবে। তখন সবই নষ্ট হয়ে যাবে। দেরী না করে চলে যা।
বাবার কথামতো কোন দেরী না করে সকাল হবার আগেই যুদ্ধাবস্হা থেকে ঢাকার পানে রওয়ানা হলাম। ঢাকা পৌঁছে তাড়াতাড়ি করে বাংলাদেশ বিমানের টিকেট অফিসে গিয়ে টিকেটের তারিখ পরিবর্তন করে পরদিন রওয়ানা দিলাম লন্ডনের উদ্দেশ্য। লন্ডন এতদিনের থাকার ঘর শাশুড়ীর ঠিকানা ছেড়ে আবারো 'চিত এন্ড কাত' হোটেলে উঠলাম। লন্ডনে এসে মনে হলো মা কি এমন দোয়া করলো যে বাবা এই কঠিন অবস্থায় এতটা দৃঢ়চেতা মনোভাব নিয়ে অসীম ধৈর্যের সমন্বয়ে সাবলীলভাবে বাঁচার রাস্তা দেখিয়ে দিলেন! বাবা'তো রেগেমেগে আগুন হওয়ার কথা ছিলো ! বাবাকে ফোনে কথাটা কিভাবে জিজ্ঞেস করি? বাবা আবার কি থেকে কি বলে ফেলেন? এইসব চিন্তা থেকে বাবাকে আর কিছু বলিনি। এদিকে লন্ডনে আমার শাশুড়ী বদনাম তুললো আমি নাকি নপুংসক। আমার সেক্সুয়াল ক্যাপাসিটি নেই তাই তার মেয়ের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছি। আমার এবার বুঝতে অসুবিধা হলো না কে এসবের মূলে কলকাঠি নাড়ছে। যে জাহাঙ্গীর ভাই আমাকে সঙ্গীত শিল্পী হতে নিজের সময়, টাকা ব্যয় করলো আজ কোন অজানা কারণে সে আমার ইজ্জত নিয়ে নীরবে কুশীলব হিসাবে ষড়যন্ত্র করে চলছে! একদিকে প্রাণপ্রিয় মা হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা তার উপর এইসব নরকের কীটদের যন্ত্রণা আমকে শেষ করেই দিবে। তাদের এখন কথা হলো কাবিনের জন্য যে দশ লাখ দেওয়ার কথা ছিলো তা দিয়ে যেন বিয়ের নিস্পতি করি। যদিও আমার কাছে এই মুহূর্তে কোন টাকা পয়সা নেই তবুও আমাকে এই নরক থেকে বের হয়ে আসতে হবে সেই সাথে আমি যে একজন সক্ষম পুরুষ তা আমাকে প্রমাণ করতেই হবে। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ভাই একদিন আমাকে ফোন করে জানালো আমার সাথে বানেছা বিবির কিছু জরুরি কথা আছে। আমি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনার সাথে দেখা করি। আমারও ইচ্ছা একবার দেখা করে আমার নামে রটানো বদনামগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং আমার পাল্টা অভিযোগগুলো বলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিই। তাই জাহাঙ্গীর ভাইকে বললাম, ঠিক আছে আপনি উপস্থিত থাকবেন আমি আগামী রবিবার বাসায় গিয়ে উনার সাথে দেখা করবো।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

আনমোনা বলেছেন: কাহিনী দ্রুত এগিয়ে চলছে.......। তারপরেও পাঠকের আগ্রহের সাথে তাল মিলাতে পারছেনা। পরের পর্ব কবে আসবে?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৬

বলেছেন: হা হা -- পাঠকের আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো।।।


শুভ শুক্রবারে আগামী পর্ব।।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ল, ভাই আমি কি সম্পূর্ণ গল্প আমার একটি মামলা হিসেবে নিতে পারি? আরো আগেই বলতে চেয়েছিলাম তবে তাহলে আজ থেকে শুরু পয়েন্ট টু বি নোটেড: - মিসকিনের মেয়ে, ছোটলোক, কাজের মেয়ে, ছোটলোকের স্পর্ধা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৮

বলেছেন: দাদা আমার,,
গল্পের সীমারেখা কোর্টে নিয়ে যাবেন না - দোহাই লাগে।।।

সামাজিক যত অসঙ্গতি তুলে ধরার অপচেষ্টায় বাঁধা দিবেন না। দোহাই লাগে।।।

ধন্যবাদ নিরন্তর।।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





থানা কোর্ট নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। ব্লগেই এটাকে আমার একটি মামলা হিসেবে দেখতে চাচ্ছিলাম, যেহেতু লেখক বলছেন গল্প গল্পের মতো চলবে, সেখানে আমিও চাই চলুক গল্প এটিকে মামলা হিসেবে নেওয়া উচিত হবে না। সাধারণ আর আট দশটা গল্পের মতোই হোক এই গল্প। গল্পে বাদী-বিবাদী পক্ষ আর ভাবা হবে না। পড়ছি, সাথে আছি, দেখি সময় কাকে কোথায় নিয়ে যায় ?


১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৪

বলেছেন: মামলা, হামলা,ঝামেলা ও সামাজিক অনাচার অবিচার আপনারা লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে লেখুন।।

আমার জানা মতে আপনার মতো সি, আই, পি যা বলেন সত্য বলেন তাই আপনার কাছ থেকে আরো জানতে চাই -


সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।

ভালো থাকুন।।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পটা পড়ছি।

সুন্দর জীবন আস্তে আস্তে কঠিন সমস্যার দিকে যাচ্ছে...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৯

বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় জু,বি রাহমান ভাই,
গল্পটিকে পড়েছেন জেনে উৎসাহিত হলাম।।।


জীবন সবসময় কঠিন তাকে সহজ করে নিতে হয়।।।


ভালো থাকুন ।।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: ++++
প্রথমে লাইক দিলাম ।সম্ভব হলে অনেকগুলো লাইক দিতাম ..................।
লতিফ ভাই আপনি আজকের পর্বের থিমটা কোথায় পেলেন ????
আমি এখন আর কিছু বলতে পারছি না । পরে কথা হবে ...........

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৪

বলেছেন: যাক
,কবি ইসিয়াকের এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় বিমোহিত হলাম।

আজকের পর্বেট থিমটা মনে হলো আপনার কবি মনে দোলা দিলো।।।

ভালোবাসায় আপ্লুত হলাম।।।

সকালের শীতল শুভেচ্ছা রইলো।।।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাক
,কবি ইসিয়াকের এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় বিমোহিত হলাম।

আজকের পর্বেট থিমটা মনে হলো আপনার কবি মনে দোলা দিলো।।।

ভালোবাসায় আপ্লুত হলাম।।।

সকালের শীতল শুভেচ্ছা রইলো।।।

লতিফ ভাই
শীতল শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ
দ্রুত মন্তব্যের জন্য আরো একবার ধন্যবাদ ।
আপনি খুব দ্বায়িত্বশীল তা বোঝা যায় ।
আর হ্যাঁ শীতল শুভেচ্ছা নিয়ে এই সকালে ঘামছি ...... হা হা হা .।
কেন বলুন তো ?
আশ্বিন মাস পড়ে গেছে তবু গরম কমছেনা ।
বাংলাদেশে এবার long time summer চলছে ।
ভালো থাকবেন
শুভসকাল

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৬

বলেছেন: সামু ব্লগের কবি "ভোরের পাখি "কে আবারো শুভেচ্ছা।।।
বাংলায় এখন ঋতুর বৈচিত্র্য নেই আছে মানুষের রিপুর বৈচিত্র্যময় চরিত্রের ভাস্কর্য।।।

গরমে আরাম করে ডাবের পানি খান সব ফকফকা হয়ে যাবে - হা হা।।।


আপনি এত সময় পান কেমনে??

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনি এত সময় পান কেমনে??

হা হা হা......সারাদিন তো দৌড়ের পারে থাকি ?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪২

বলেছেন: আমিতো আপনাকে ব্লগ পাড়ায় আর মুখ বইতে ঘোরাঘুরি করতে দেখি।।।। হা হা।।

দীর্ঘায়ু কামনা করছি।।।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫০

ইসিয়াক বলেছেন: তাহলে বলি ।
এখন বাসায় বাচ্চাদের পড়াচ্ছি । এর মধ্যে এই তো বাগানে পানি দিয়ে এলাম । আজকের পোষ্ট রেডি করছি ।
৭ঃ৩০শে স্কুল । ক্লাস। ১০ঃ১৫তে আমার grapnics design কোর্স ।আমি পারিনা ...।ভালো শিখছি। তারপর সারাদিন টিউশনি ........।এর ফাকে বাড়িতে এলে সামু । পিসি বেশির ভাগ অন করা ই থাকে । তো সমস্য কি ।মজা ই তো । কেটে যাচ্ছে দিন।
শুভসকাল ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

বলেছেন: জীবন সুন্দর ও সুখময় হোক এই কামনা করছি।।।

ভালো থাকুন।।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো কথাই বুকের মধ্যে চেপে রাখা ঠিক না। কাছের মানূষদের বলেই দেওয়া ভালো। অথবা ব্লগ তো আছেই।
মায়ের মৃত্যু মানে দুনিয়াটা অন্ধকার হয়ে যাওয়া।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪১

বলেছেন: কথা ঠিক তবে সমস্যা হলো --
১) সবাইকে সব কথা বলা যায় না।
২) নিজের কষ্ট শুনে কেউ কেউ মুখ চাপা দিয়ে হাসবে।
৩) কেউ উল্টো বেঁকে গিয়ে আরো কষ্ট বাড়িয়ে দিবে

৪) ব্লগে পোস্ট দিলে কেউ কেউ বা★ ছা★ লেখা বলবে আবার কেউ কেউ নিম্নমানের পোস্ট দেখে বা কবিতা দেখে ঘোষণা দিয়ে ব্লগে আসবেনা।।


ভালো থাকুন।।।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কষ্টকর জীবন কাহিনী
অনেক ভালো লাগলো :(

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪১

বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জমিদার বাড়ির মাইয়া।



ভালো থাকুন সবসময়।।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সিআইপি মিয়াআইপি এগুলো হচ্ছে মুলো ঝুলিয়ে গাধা দৌড়ানোর গন্ড মূর্খদের খেলা। যাক বাদ দেন সেসব। গল্পে নারী স্বাধীনতার নামে বাংলাদেশে কি হয় তার পরিস্কার চিত্রটি আশা করছি। আশা করবো গল্পে সত্য জানাতে লেখক কোনো ছাড় দেবেন না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

বলেছেন: আমি আরও কতটুকুই জানি আপনার জানার পরিধি ব্যাপক তাই যথেষ্ট।।।

নারী স্বাধীনতা নিয়ে আপনার একটা পোস্ট চাই।।।


ভালো থাকুন।।।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: ঘটনার ট্যুইস্ট তো সেই রকম দিচ্ছেন। আজকের পর্ব পড়ার পর সেইদিন পত্রিকাতে পড়া একটা নিউজের কথা মনে পড়ে গেল।
জীবন খুব কঠিন তবে তার চেয়েও কঠিন মানুষের হৃদয়!
লেখা চলুক, সাথে আছি।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

বলেছেন: নীল আকাশ ভাই,

আপনার গল্পটা নির্বাচিত পাতায় ঝুলছে, সময় করে পড়ছি।।।

আমার গল্পের ট্যুইস্ট ফুইস্ট কিছু না আপনার কাছে।।। তবুও সময় করে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।


ভালো থাকুন।।

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজকের পর্বটি পড়ে স্তম্ভিত হলাম। শুরু থেকে এই সিরিজের হেডলাইন দেখে একটা প্রশ্ন মনে ছিল, দ্য হিপোক্রিট- নরকের কীটের সঙ্গে বসবাস; জানিনা কবে সেই নরকের কীটের পরিচয় পাবো। সে দিক থেকে আজকের পর্বে তার যথাযথ দর্শন পেলাম। জীবন প্রবাহমান। একটা নরকীয় অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় লতিফ ভাইকে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

বলেছেন: জীবন প্রবাহমান তার তার তালে তাল মিলিয়ে চলছে অন্তহীন সাধন।।

নামকরণের মিলটা খুঁজে পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।।।


আপনার বিজি সিডিউল শেষ হোক আপাতত এই কামনা করছি।।


ভালো থাকুন বেশ করে।।



১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০২

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম থেকেই কাহিনীর সাথে আছি, কিন্তু এইভাবে মোড় নেবে ভাবি নি! মানুষের চরিত্র বড় বিচিত্র, সেই বিচিত্র চরিত্রের উন্মোচন হচ্ছে এই কাহিনীতে!

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

বলেছেন: এতে ব্যস্ততার মাঝে আপনি পোস্টটিকে পড়েছেন জেনে সত্যি ভালো লাগলো।।
আপনার মতো গুণী লেখক পোস্টটিকে পড়েছেন এটাই বড় পাওয়া।।


জীবন সুন্দর ও মধুর হোক।।।

আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকলাম।।

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশেষে এলো কাংখিত ঝড়!!!!
নরকের কিটের দংশনে জারেজার অবস্থা!
তবুও ভাল মায়ের দোয়া আর বাবার পরামর্শে এক কুল রক্ষে হলো!

আহা! ভাল মানুষগুলোর সাথেই কেন এমন হয়!

কারণ তারা ভাল বলেই মন্দের রুপটা কল্পনাই করতে পারে না।
আর দুষ্ট লোকেরাতো মন্দের মাঝেই করে বসবাস! তাই চোখে চোখেই বুঝে যায় হয় মন্দে মন্দে সহবাস!

পরিণতির অপেক্ষায় - - -

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

বলেছেন: প্রিয় কবি,

সাদার সাথে কালো আর আলোর সাথে অন্ধকার এটাই বাস্তবতা।।।

আপনার কাব্যিক মন্তব্য ভালোলাগার - ভালো মানুষগুলো বেঁচে থাক।।।


ভালো থাকুন প্রিয় ভাই।।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭

এমজেডএফ বলেছেন:
লতিফ ভাই, গল্পের ধারাবাহিকতায় এবং আন্তরিক টানে বান্দা আবারো হাজির! আশা করি ভালো আছেন। এই পর্বে বিভিন্ন নাটকিয়তার সাথে যোগ হয়েছে মারদাঙ্গা সিনেমার মতো কিছু আ্যাকশন। গল্পের এই পর্বে নায়কের দাম্পত্য জীবনের দ্রুত নেতিবাচক টার্নিং-এর কারণে অনেক পাঠকের মতো আমিও ব্যথিত।

গল্পের ঘটনা, চরিত্র, নাটকীয়তা ইত্যাদি সবকিছুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত লেখকের। তবে আগের পর্বগুলো আপনি যে স্টাইলে শেষ করেছেন তা এই পর্বে হয় নি। বিশেষ করে এই পর্বের শেষে একই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সামান্য ছন্দপতন হয়েছে। এই পর্বের শেষাংশ:
"আমার এবার বুঝতে অসুবিধা হলো না কে এসবের মূলে কলকাঠি নাড়ছে। যে জাহাঙ্গীর ভাই আমাকে সঙ্গীত শিল্পী হতে নিজের সময়, টাকা ব্যয় করলো আজ কোন অজানা কারণে সে আমার ইজ্জত নিয়ে নীরবে কুশীলব হিসাবে ষড়যন্ত্র করে চলছে! একদিকে প্রাণপ্রিয় মা হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা তার উপর এইসব নরকের কীটদের যন্ত্রণা আমকে শেষ করেই দিবে। ***
তাদের এখন কথা হলো কাবিনের জন্য যে দশ লাখ দেওয়ার কথা ছিলো তা দিয়ে যেন বিয়ের নিস্পতি করি। আমার কাছে এই মুহূর্তে কোন টাকা পয়সা নেই তবুও আমাকে এই নরক থেকে বের হয়ে আসতে হবে সেই সাথে আমি যে একজন সক্ষম পুরুষ তা আমাকে প্রমাণ করতেই হবে...
."

নায়কের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত আগামী পর্বে জানালেও চলতো। "একদিকে প্রাণপ্রিয় মা হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা তার উপর এইসব নরকের কীটদের যন্ত্রণা আমকে শেষ করেই দিবে। " -এই লাইনটির পরে লিখতে পারতেন:

এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ভাই একদিন আমাকে ফোন করে জানালো আমার সাথে বানেচা বিবির কিছু জরুরি কথা আছে। আমি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনার সাথে দেখা করি। আমারও ইচ্ছা একবার দেখা করে আমার নামে রটানো বদনামগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং আমার পাল্টা অভিযোগগুলো বলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিই। তাই জাহাঙ্গীর ভাইকে বললাম, ঠিক আছে আমি আগামী রবিবার বাসায় গিয়ে উনার সাথে দেখা করবো।

এইভাবে শেষ হলে আগামী রবিবারের সাক্ষাৎকারের ফলাফল জানতে পরবর্তী পর্বের জন্যে পাঠকের কৌতুহল থাকতো। আগামী পর্বের শুরুতে সাক্ষাৎকারের বিবরণে লিখতে পারতেন, "তাদের এখন কথা হলো কাবিনের জন্য যে দশ লাখ দেওয়ার কথা ছিলো তা দিয়ে যেন বিয়ের নিস্পতি করি। আমার কাছে এই মুহূর্তে কোন টাকা পয়সা নেই তবুও আমাকে এই নরক থেকে বের হয়ে আসতে হবে সেই সাথে আমি যে একজন সক্ষম পুরুষ তা আমাকে প্রমাণ করতেই হবে...."

যেখানে থাকুন, ভালো থাকুন। শুভরাত্রি...

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

বলেছেন: আবারো কৃতজ্ঞতা।।।
একজন গুণী মানুষ গল্পের কতটা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে আপনি তার জলন্ত উদাহরণ।।

আপনার মহামূল্যবান মন্তব্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।।।

চিন্তার পরিধি আরো বিস্তৃত হলো - চোর বেশি বলার নেই।।। ভালোবাসা রইলো।।।

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

সোহানাজোহা বলেছেন: গল্প যখন বাস্তবতাকে নিয়ে চলে সেখানে গল্পের স্বার্থকতা। আপনার গল্প স্বার্থক।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

বলেছেন: এই প্রথম আপনাকে পেলাম এরমধ্যে দুর্দান্ত ভালোলাগার মন্তব্য করে কৃতজ্ঞতার বাঁধনে বেঁধে দিলেন।।


ভালোবাসা রইলো।।।

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

আরোগ্য বলেছেন: এই মহিলা তো আস্ত দজ্জাল, কি দুর্ধর্ষ্ রে বাবা মানুষ নয় আসলেই নরকের কীট।
বানেছা বিবিকে তো আগেই রহস্যময় বলেছিলাম।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৭

বলেছেন: হা হা -

এমনই তো রমনী হয়।।।
কেউ জানে না জানে বাদশার হৃদয়।।।

পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ

১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: এখনো সাথে আছি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২

বলেছেন: কৃতজ্ঞতা এক আকাশ।।।

এমন ভালোবাসায় আপ্লুত হই বারবার।।

২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৪১

মুক্তা নীল বলেছেন:
ল'ভাই ,
আজকের পর্বে যেয়ে আমার কাছে পরিস্কার হলো গল্পের
শিরোনাম। ভালো মানুষের সাথে কিছু বিপরীত ব্যক্তি দারা
এমনটি হয় , এটা যেনো একদম পরীক্ষিত সত্য। বিশ্বাস
করা ঠিক কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস সব শেষ করে দেয়।

অ,টা: উপরের আমার ২০ নং মন্তব্য মুছে দিয়েন, শব্দে ভুল আছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

বলেছেন: শিরোনামের সার্থকতা খুজে পাওয়ায় জন্য আহ্লাদিত হলেম।।

ভালো লোকের স্থান নাই।।


সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.