![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে।\nকি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই\nউল্টা!!!\nনিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই\nযে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের\nএকটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল্হাদে বড়\nহয়েছি এবং এখনও হচ্ছি।বাবা-মা আমার কাছ থেকে অনেক\nকিছু আশা করে।যদিও তাদের আশা আমি পূরন করতে পারব\nকিনা জানিনা।
মা -কিরে গালে হাত দিয়ে আছিস কেন?
সৌরভ -এমনিই দাঁতে ব্যথা।
মা -দাঁতে ব্যথা? কি হইছে দেখি দেখি।
হাত সরা।
সৌরভ -কিছু না কাল আইসক্রিম খেয়ে পানি খাইছিলাম তাই ব্যথা।
মা -দেখি দেখি ইয়া আল্লাহ গালে হাতের
দাগ কেন? কে মারছে তোকে।
সৌরভ - কোথায়...কোথায়?
মা -এই যে স্পষ্ট পাঁচ আঙ্গুলের দাগ।
সৌরভ - কে আমাকে মারবে? এমনেই বন্ধুদের
সাথে দুষ্টামি করতে গিয়ে একটু লাগছে।
মা -একবার বলিস আইসক্রিম খেয়ে হইছে,একবার বলোছ দুষ্টামি করতে গিয়ে হইছে।কি ব্যাপার বল
তো বাবা..
সৌরভ - কিছু হয়নাই মা।এতো পেচাইয়ো নাতো।
এই বলে খাবার টেবিল থেকে উঠে গেল
সৌরভ । মাকে বড়রকমের মিথ্যে কথা বলে ফেলেছে। এই দাগ আইসক্রিম বা বন্ধুদের দুষ্টামির ফল না। গতকাল
মহুয়ার থাপ্পড়ের ফল। এতো জোরে থাপ্পড় মেরেছে যে গালে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ বসে গেছে। এখন কিছু
খাওয়া তো দূরে থাক,সারাদিন
গালে হাত দিয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় নাই। মহুয়া মেয়েটা দেখতে সুন্দর। অতিরিক্ত সুন্দর যেটাকে বোঝায়।
অনেক দিনের পরিচয়,সে তো সহজে রাগে না তাহলে হঠাত এরকম থাপ্পড়ের দিলো কেন। সমস্যাটা কোথায়? প্রপোজ করাতেও তো কোন ভুল ছিল না।
৭টা তরতাজা লাল গোলাপ দিয়ে আর
কবিতার দুচার লাইন । আচ্ছা গোলাপে কি কোন সমস্যা ছিল, কবিতাটাও
তো ঠিকঠাক বলেছিল।
তাহলে থাপ্পড় টা মারলো কেন?
## মহুয়ার মন খারাপ। ঘুম আসছে না। রাত ১টা বেজে ২০ মিনিট।
এখন গভীর ঘুমে থাকার কথা। তবে আজ ঘুমোতো পারছে না। সৌরভের
কথা মনে পড়ছে। ছেলেটাকে এতো জোরে থাপ্পড় মারা উচিত হয়নি। যদিও এটা তার প্রাপ্য ছিল।
কোথায় কি করতে হয় এটা ঐ ছেলের
মাথায় আজও ঢুকলো নাই।
কোচিং থেকে বান্ধবীদের সাথে ফিরছিল,
এমন সময় রাস্তায় দাড় করিয়ে কি সব
ইনিয়ে বিনিয়ে বলে গোলাপের গুচ্ছ
হাতে ধরিয়ে দিলো। এমনিই
দিনটা ভালো কাটে নাই, পরে হঠাত
এরকম অনাকাঙ্গিত প্রপোজাল
পেয়ে টেম্পারটা কন্ট্রোল করতে পারলো না।বসিয়ে দিলো একটা। তবে থাপ্পড়
টা একটু বেশিই জোরে পড়ে গেছে।
ব্যথা পেয়েছে নিশ্চয়ই। এরকম
করা একটুও উচিত হয়নি। প্রেমের
প্রস্তাবই তো দিয়েছে, পালিয়ে নিয়ে যাওয়া হুমকি তো আর দেয়
নি। কাল ক্লাসে গিয়েই সৌরভের
কাছে ক্ষমা চেতে হবে।নাহ কাজটা একটুও ঠিক হয়নি।
..........................................
..........................................
রাতটা গভীর হয়। রাত জাগা পাখিগুলো জোছনা সাক্ষী রেখে আলাপ
চালিয়ে। জোনাক পোকার
আলোতে প্রেম পত্র লেখে তা বাতাসে ভর করে আদান-প্রদান করে। কেউ বা কারও প্রতিক্ষায় থাকে। পৃথিবীর
দুপ্রান্তে দুটি মন কাছে আসার
অপেক্ষায়। খুব ধীরে ধীরে কাছে আসবে। খুব দ্রুত তৈরী হওয়া সম্পর্ক নড়বড়ে হয়।হালকা বাতাসেই পড়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা সম্পর্ক
গভীরতা পায় বেশি। গভীর
সম্পর্কে খাদ থাকে না। থাকলেও
ছোটছোট। ছোট ছোট খাদে ভালবাসা কমে না।
Happy Valentines Day to all...
Wish u all a lovable, proactive, secure life ahead...!!!
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৬
সাজ্জাদ মণি বলেছেন: পরের বান মনে থাকবে ।
শুভ নববসন্ত
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্প লিখলে গল্পই লিখুন| মাঝে ছাড়েন কেন? শুভ নববসন্ত