নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Miles to go... before I sleep!

আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে। কি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই উল্টা!!! নিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই যে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল

সাজ্জাদ মণি

আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে।\nকি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই\nউল্টা!!!\nনিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই\nযে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের\nএকটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল্হাদে বড়\nহয়েছি এবং এখনও হচ্ছি।বাবা-মা আমার কাছ থেকে অনেক\nকিছু আশা করে।যদিও তাদের আশা আমি পূরন করতে পারব\nকিনা জানিনা।

সাজ্জাদ মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

‍“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?...”

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

হ্যা প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি নতুন একটা তারিখের সম্মুখীন; শুধু আমি নই পৃথিবীর সব মানুষই আহ্নিক গতির ব্যবধানে এই তারিখটির সাথে সম্মুখীন হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে । এইতো স্বাভাবিক । রাত তখন বারোটার কাটা ছুঁইছুঁই । কোত্থেকে যেনো সেই চিরচেনা আর অতি আপন একটা গান ভেসে আসলো কানে । যতোসম্ভব মাইকে বাজতেছে-
‍“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলিতে পারি?...”
গানটা শোনার পর মনে হলো, ও আজকে না একুশে ফেব্রুয়ারি ! এবার ফের চোখ রাখলাম ক্যালেন্ডারে । নাহ, আজকের দিনটা প্রতিদিনকার মতো স্বাভাবিক না । আমার জন্য, বাংলাদেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ একটা স্মরণীয় দিন । ২১ তারিখ হওয়ার কয়েক মিনিট আগেও মনে ছিলো একুশে ফেব্রুয়ারির কথা । আমি বোধহয় কিছুক্ষণের জন্য ভুলেই গিয়েছিলাম । তাই গানটা শোনার পর সচকিত হলাম । ভেবে খারাপই লাগলো ।
নিরর্থক ভাষা দিবস উদযাপন ও বাংলা ভাষার অপ-উচ্চারণরীতি নিয়ে কয়েকদিন আগেই কিছু একটা লিখতে চেয়েছিলাম । কোনো এক কারণে লিখতে পারিনি ।
দেয়ালে আজ পিঠ ঠেকে গিয়েছে, আজকে না চাইলেও লিখতে হবে । ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেও অন্ততপক্ষে আজ লিখতেই হবে । নইলে যে ঐ পারে তাঁদের কাছে মুখ দেখানোর মতো কিছুই থাকবেনা আমার এবং আমাদের । কারণ, আমরা যে বাঙ্গালি । তাই সময়ের প্রয়োজনে আমার যে আজ কিছু বলার আছে ।

আপনি যদি মুসলিম হন, তাহলে শহীদদের জন্য মসজিদে গিয়ে দোয়া করুন । আপনি যদি সনাতনী হন, মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে তাঁদের জন্য প্রার্থনা করুন । আপনি যদি ঈসায়ী হন, চার্চে গিযে ঈশ্বরের কাছে তাঁদের জন্য প্রার্থনা করুন । এটা স্ব স্ব ধর্মের ধার্মিকদের জন্য প্রযোজ্য; সার্বজনীন নয় । স্বাভাবিক ভাবেই একজন মুসলিম পারেন না মন্দিরে গিয়ে সনাতনীদের সাথে ভাষাশহীদদের জন্য পূজা করতে, ঠিক তেমনি একজন সনাতনীও পারেন না মসজিদে গিয়ে মুসলিমদের সাথে দোয়া করতে ।
আমি যখন লিখছি ততোক্ষণে চারদিকে শহীদ দিবস নিয়ে হৈ চৈ অনেকটাই কমে গিয়েছে । কোথাও কোথাও এ উপলক্ষে হয়তো কনসার্টও হয়েছে কিংবা হবে । হোক, তাতে আপত্তি নাই । নিস্ফল একটা অনুরোধ হৃদয়ে বাংলাকে লালন করলে কনসার্টে বাংলা গানের পরিবর্তে হিন্দি কিংবা ইংরেজি গান শোভা পেতোনা । তাই বলে বলছিনা এসব গান গাওয়া কিংবা শোনা যাবেনা । বিদেশী ভাষার গান শোনেন আর গান, যাই করেন না কেনো, অন্যদিনে করেন, আজকের দিনে না ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশে শহীদ মিনারগুলো আল্পনা আর ফুলে এতোক্ষণে হয়তো সাজানো শেষ । আমি চাই আরো অতি আড়ম্বরের সাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন হোক । কারণ বাঙ্গালীর সোনার সন্তানেরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে । এ ত্যাগ বাঙ্গালীদের এতোটাই বেশি গানটা শুনলেই অবুঝ মনটা ডুঁকরে ওঠে ।
ইন্টারনেটের বদৌলতে ফেসবুক আর ব্লগের মাধ্যমে অনেক কিছুই শেখা হয়েছে আর শিখে চলেছি, অনেক কিছু দেখা হয়েছে আর দেখে চলেছি । কয়েকমাস আগে থেকেই যে জিনিসটা দেখে বেশ অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেছি তা হলো বাংলা ভাষার বিকৃত উচ্চারণ । যেমন, বিকৃতভাবে ‘আমারে’ শব্দটিকে ‘আম্রে’, ‘তোমারে’ শব্দটিকে ‘তোম্রে’, ‘ব্যাপক’ শব্দটিকে ‘ব্যাফুক’ ‘বিনোদন’ শব্দটিকে ‘বিনুদুন’ ইত্যাদি বহু শব্দ উচ্চারণ করে চলেছে কিছু উন্নত স্মার্ট ব্যক্তিরা । ইতোমধ্যে আরো লক্ষ্যণীয়, অনলাইনে এই বিকৃত উচ্চারণগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বাস্তবজীবনেও ব্যবহার পেয়েই চলেছে, যা প্রমিত বাংলা ভাষা ও ভাষা উচ্চারণের জন্য বিশাল ক্ষতিকারক ।
একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতি বছরই আসে । আমরা দিবসটি পালনও করি । অতি ভালো কথা । কিন্তু দিবসটি যে জন্য সেটাই যদি ভুলে যাই, তাহলে এই নিরর্থক দিবস পালন করে ভাষা শহীদদের অসম্মান করার কোনো অধিকার আমাদের নেই । আর উন্নত স্মার্ট ব্যক্তিরা, আপনারা উন্নত স্মার্ট দেশে চলে যান, এইখানে শহীদ সালাম, জব্বার, বরকত, রফিক, শফিউরেরা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন । অতি উন্নত স্মার্ট ব্যক্তিদের জন্য তাঁদের রক্তে রঞ্জিত এদেশের মাটিতে পা রাখার অধিকার দেয়া হয়নি ।
এবারের ভাষা দিবসে আসুন আমরা সচেতন হই ভাষা দিবসের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য্য নিয়ে । আসুন আমরা ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হই আর অসাম্প্রদায়িক বুকট প্রসারণ করে বুকে টেনে নেই সবাইকে, শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দেই সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি-ভালোবাসার হাত । তবেই বাংলাদেশে ফিরে আসবে প্রকৃত শান্তি ।

(COLLECTED From a following BLOG)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.