![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে।\nকি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই\nউল্টা!!!\nনিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই\nযে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের\nএকটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল্হাদে বড়\nহয়েছি এবং এখনও হচ্ছি।বাবা-মা আমার কাছ থেকে অনেক\nকিছু আশা করে।যদিও তাদের আশা আমি পূরন করতে পারব\nকিনা জানিনা।
=> আচ্ছা, ফোন ধরতে এতো কি সমস্যা তোমার? তুমি কি এমন ভিআইপি হইছো?
:: বাসায় ছিলাম তো। আর আম্মু পাশে ছিলো।
=> দেখো, আম্মু পাশে ছিলো, এটা তো মেয়েদের লাইন। তুমি এটার অজুহাত দেখাও কেন?
:: সত্যিই আম্মু পাশে ছিল, অজুহাত দিতে যাবো কেনো?
=> আচ্ছা মানলাম, তাহলে কাল সন্ধ্যায়ও ফোন ধরলে না যে? তখন তো তুমি বাইরেই ছিলে।
:: নাইট টূর্নামেন্টে খেলছিলাম তখন...
=> তাহলে দু'বার রিং হওয়ার পর ফোন বন্ধ করে দিয়েছো কেনো?
:: ও.. চার্জ ছিলোনা হয়তো।
=> তোমার অজুহাত ফুরায় না কখনো তাইনা...?
:: আচ্ছা স্যরি। আর হবেনা এমন। তুমি বের হবে কখন?
=> ক্লাস ১০.৩০ এ শেষ হবে। তুমি ১১ টায় আসিও
কাটায় কাটায় ১১ টায় সিআরবিতে পৌঁছে সৌরভ। বাস জ্যামে যখন ছিলো তখন খুব দুঃশ্চিন্তা হচ্ছিলো তার। শেষমেশ দৌড়েই এসে পৌঁছেছে। সিরিষতলায় বিশাল বড় গাছটার একটা শেকড়ের ওপর বসে হাপাচ্ছিলো সৌরভ। মণি ভীষন সহজ সরল মেয়ে হলেও সময়ের ব্যাপারে খুব হিসেবী। যদি দেরী হয়ে গেলে মণি অপেক্ষা করতে করতে রাগ করে চলেই যায়। তাই দৌড়ে দৌড়ে এসেছে সৌরভ। কিন্তু সে জানে মণি রাগ করবে ঠিকই তবে চলে যাবেনা। মণিকে রাগলে সুন্দর দেখায় কিন্তু সৌরভ চায়না মণি রেগে থাকুক। সে চায় মণির হাসিমুখটা যেন সবসময় থাকে। কিছুক্ষণ পরেই মণি আসে। বেশ প্রশস্ত করে হেসেই বলেঃ
=> আজকেও আগে আসলে! তা মশাই আপনি কি একদিনও আমাকে আগে আসতে দিবেন না??
:: তুমি কষ্ট করে এসেছো, একটু বসো আগে।
=> হুম বসছি। এই তোমার চোখের নিচে কালি পড়েছে যে? রাত জাগছো তাইনা?
:: আরে না, এমনিই..।
=> তুমি আজকেও এখনো কিছু খাওনি তাইনা..??
:: খাইছি তো।
=> কি খাইছো শুনি? ওই শুধু চা ই তো??
:: আচ্ছা ঠিক আছে এখন খাবো চলো..
=> তুমি সবসময় এরকম করবা তাইনা?
মন খারাপ করে থাকে মণি। সৌরভ একটু চুপ করে কি যেন ভাবছে। মেয়েটা কতো ভালবাসে এটা ভাবলেই নিজেকে বড্ড ভাগ্যবান মনে হয় সৌরভের। কিছুক্ষণ পর নীরবতা ভাঙ্গিয়ে সৌরভ অনুনয়ের সুরে বলেঃ
:: আচ্ছা এবারের মতো মাফ চাইছি। এখন থেকে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করবো। রাগ করে থাকিও না আর, প্লিজ।
=> মনে থাকে যেন। এবার ওঠো। বাসায় দেরী হলে আবার বকা শুনতে হবে তোমাকে..
:: একটা কথা বলবো?
মুচকি হেসে মণি জবাব দেয়ঃ
=> বলতে হবেনা। জানি কি বলবা তুমি। বাসায় ফেরার লাইনটাতো ছেলেদের এটাই বলবা তাইতো?
সৌরভ ভাবে সবকিছু কি করে বুঝে যায় মেয়েটা। খানিকটা কৃপণভাবেই হাসে সৌরভ।
সৌরভকে চুপ থাকতে দেখে মণি বলেঃ
=> হইছে আর ভাবতে হবেনা তোমার। চলো ফেরা যাক।
রোজকার এরকম মিষ্টি খুনসুটি চলতেই থাকে দুজনের মধ্যে। একসময় মনে হয়, এই খুনসুটিই বুঝি ভালবাসায় ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। বুঝতে শেখায় ভালবাসার গভীরতা। খুনসুটি চলতে থাকুক, ভালবাসার সহযোগী হয়ে...।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: