![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আল্লাহর অতি নিকৃষ্ট, গুনাহগার এক বান্দা। আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে ভালো মানুষ হওয়া এবং আল্লাহর দয়া ভিক্ষা করাই আমার লক্ষ্য।
"A friend to all is a friend to none" - দার্শনিক অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ বিসি)।
আমি বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরীক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে সাধারণ জ্ঞান। আপনারা যারাই বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা মাত্রই জানেন এটি কি বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। এবং সাধারণ জ্ঞান হচ্ছে এ প্রস্তুতির অন্যতম এক দুর্ভেদ্য লক্ষ্য! বিসিএসের প্রস্তুতি নেয়ার আগেও আমি পত্রিকা পড়তাম। আমার বাসায় প্রতিদিন দুইটি পত্রিকা রাখা হয়- কালের কণ্ঠ ও দি ডেইলি স্টার। বলে রাখা ভাল যে আমি মূলত ডেইলি স্টারের একজন পাঠক। কালের কণ্ঠ পত্রিকার কিছু পাতায় কিছু অনলাইন ট্যাবলয়েড এর মত অগুরুত্বপূর্ণ ও গালগল্প ধরনের খবর প্রকাশ করে আর ডেইলি স্টারের প্রতিদিনের একটাই কাজ কিভাবে বর্তমান সরকারের বিন্দুমাত্র ভুল ধরে ওটাকে "তাল" বানানো যায়। সরকারের ভালো কোন খবর তাদের পৃষ্ঠায় লঘু গুরুত্ব এর সাথে প্রকাশিত হয়, অন্যদিকে কোথাকার কোন মনীষী (দেশের উন্নয়নে যার কোন অবদান-ই নেই, বক্তৃতাতেই সব সার) কি বলল, কিভাবে বলল, কেন বলল এইসব বিশ্লেষণ করে তামা তামা করে ফেলে। আপনি যদি ডেইলি স্টারের পাঠক হন, আপনার মনে হবে দেশে অরাজকতা, হতাশা, অনাচার আর দুর্নীতি-দুরবস্থা ছাড়া কিছুই নেই। তবে একটি কথা মানতেই হবে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টার, আর কিছুর জন্য না হলেও অন্তত ৮০% লেখার শুদ্ধ ব্যাকরণের জন্য (২০% লেখায় ছাপানোর ভুল অথবা ব্যাকরণের ভুল থাকে), বিদেশী নামকরা লেখা কোন পরিবর্তিত না করেই হুবহু ছাপানোর জন্য, এবং বিভিন্ন টপিক নিয়ে ভাল ভাল লেখক ও গবেষকদের লেখা ছাপানোর জন্য।
তা যাই হোক না কেন, ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার কারণ হল বিসিএস পরীক্ষার প্রিলি প্রস্তুতির জন্য অনেক বড় ভাই - বিসিএস এক্সপার্ট (!) দের সাথে কথা বলে বুঝলাম পত্রিকাও এভাবে পড়া লাগবে যেন পত্রিকা আমার পাঠ্যপুস্তক। তো শুরু হল আমার মনোযোগ দিয়ে পড়া। এখন আমি এমন সব খবর মনোযোগ দিয়ে পড়ি যেগুলো কয়েক সপ্তাহ আগেই শুধু চোখ বুলিয়ে যেতাম।
সেভাবে পড়তে পড়তেই চোখে পড়ল গ্রীসের ঋণ সংকট। আমি আগেও এটার ব্যাপারে জানতাম, কিন্তু এইবার এইটার ব্যাপারে পত্রিকায় পড়ে ভালমত জানার আগ্রহ জাগল।
গ্রীসের ঋণ সংকট নিয়ে ইন্টারনেটে বহু ভাল ভাল কলাম রয়েছে, সে ব্যাপারে নাই-বা লিখলাম। এই ঋণ সংকটের সবচেয়ে প্রকট যেটা মনে হয়েছে আমার কাছে তা হল - ইউরোপিয়ান ট্রইকার অবিসংবাদিত ক্ষমতা।
ভাবতেও অবাক লাগে এই উত্তর-আধুনিক (post-modern) যুগে একটি বৈশ্বিক সংগঠন এভাবে একটি দেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক নীতি, জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে, এবং তা পুরোই একটি স্বৈরশাসকের ন্যায়, আর বাকি পৃথিবী তা দেখছে নীরব দর্শকের মত।
ইউরোপিয়ান ট্রইকা হল তিনটি সংস্থার একটি সন্নিবেশ - ইউরোপিয়ান কমিশন (ইউরো গ্রুপ), ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, আইএমএফ (ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড)। এখানে বলে রাখা ভাল যে, ট্রইকা একটি রাশিয়ান শব্দ যার মানে হল - একই ধরনের তিনটি বস্তু/ব্যাক্তির সম্মেলন (three of a kind)।
নভেম্বর ১, ১৯৯৩ এ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া ইইউ (উল্লেখ্য এটি পূর্বে ইউরোপিয়ান কমিশন নামে পরিচিত ছিল এবং ৬ টি দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল) এ গ্রীস অংশ নিয়েছিল অনেক আগেই। ১ জানুয়ারি, ১৯৮১ সালে, আবেদন করার ছয় বছর পর গ্রীসের আবেদন গৃহীত হয় এবং এই দেশটি ইউরোপিয়ান কমিশনের সদস্য হয়।
মূলত ১৯৪৫ সালের আগে থেকেই ইউরোপিয়ান দেশগুলি একটি একীভূত সংস্থা সৃষ্টি করার কথা বিবেচনা করছিল যা তাদেরকে রক্ষা করবে বৈশ্বিক যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং আমেরিকান ও অন্যান্য সুপার পাওয়ারের হাত থেকে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার এর অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা আরোহণ ও ক্ষমতার অপব্যাবহারে ইউরোপে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে হিটলারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ না নিলে ইতিহাস ই হয়ত অন্যরকম হত। কিন্তু, বাস্তব কথা হচ্ছে ইউরোপের কোন দেশই প্রস্তুত ছিল না হিটলারের মত বিশাল একটা হুমকি মোকাবিলার জন্য। এ অসহায়ত্ব থেকেই প্রথমে ইউরোপিয়ান কমিশন ও পরে ইইউ এর উৎপত্তি।
গ্রীস ইইউ এর একটি সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের মত নিজের অর্থনীতিক ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার শর্তগুলো ক্রমেই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। ইইউ এর সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে গ্রীসের অর্থনৈতিক রেটিং রাতারাতি হু হু করে বেড়ে যায়। ফলে গ্রীস অবকাঠামোগতভাবে প্রস্তুত না থাকলেও গ্রীসে হতে থাকে অনেক উঁচু ঝুঁকির অর্থনৈতিক বিনিয়োগ। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে কর্মজীবীদের বেতন। চিন্তিত গ্রীস সরকার যখনই এ সংকটময় ব্যাপারগুলো নিয়ে ইইউকে উদ্বিগ্নতা দেখিয়েছে, ইইউ ততই গ্রীসকে অভয় দিয়েছে, অনুমোদন করেছে নতুন ঋণ যেন গ্রীস তার অর্থনীতিকে স্থবির হতে না দেয়। আর এ ধরনের পরাম্পরি ঋণ, ইইউ এর যুক্তিহীন অভয়, গ্রীস এর সাধ্যের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ঝুঁকি, অর্থনৈতিক নীতি ও টাকশাল নীতি নির্ধারণে গ্রীসের অপারগতা - এ সব কিছুরই উত্তরোত্তর ফলাফল আজকের গ্রীসের ঋণ শোধে অক্ষমতা (loan default)।
ট্রইকা গ্রীসকে ঋণ শোধের জন্য যে টাকা মঞ্জুর করেছিল বেইলআউট প্যাকাজের(bailout package) অংশ হিসেবে তার বেশিরভাগই কিন্তু গ্রীসের হাতে পৌঁছায়নি। গ্রীসের হাতে পৌঁছানোর আগেই ট্রইকা থেকে তা দেয়া হয়েছে ইইউ এর অন্য দাতা দেশগুলিকে (পড়ুন ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ইত্যাদি ইইউ এর নীতিনির্ধারণী দেশগুলো) গ্রীসের পূর্বের ঋণ শোধের অংশ হিসেবে। মানে কি হল? গ্রীস কাগজে-কলমে বেইলআউট এর টাকা পেলেও আসলে তার সবটুকু পায়নি।
এভাবে গ্রীস ধ্বংস ও অপমানের দোরগোড়ায় যাওয়ার এক পর্যায়ে ক্ষমতায় আসেন আলেক্সিস সিপ্রাস (alexis tsipras)। বামপন্থী সিরিজা (syriza) পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে তার ক্ষমতায় আরোহণের প্রধান নির্বাচনী ইশতেহার ই ছিল ব্যয় সংকোচন নীতির বিরোধিতা (anti-austerity)। ট্রইকার নীতি মেনে গ্রীসের ২৫% বেকারত্ব, প্রতিদিন ব্যাংক থেকে প্রতি জন ৬০-১২০ ইউরো সর্বোচ্চ উত্তোলন, তৃতীয় বিশ্বের ন্যায় অরাজকতা - এ সব কিছুর লাগাম ধরার শপথ নেন সিপ্রাস। তার অংশ হিসেবে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন করেন তিনি।
এই নির্বাচনের মূল বিষয় ছিল গ্রীস কি ট্রইকার দেয়া বিশাল শর্ত সম্বলিত বেইলআউট প্যাকাজ মানবে নাকি মানবেনা। এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্লেষকরা বলছেন যে গ্রীস যদি ট্রইকার শর্ত না মানে তা হবে গ্রীসের জন্য ইইউ থেকে বহিষ্কারের প্রথম ধাপ (grexit)। অন্যদিকে ট্রইকার দেয়া শর্ত মানা আর গ্রীসের সার্বভৌমত্ব হারানো একই কথা। এখন প্রশ্ন ছিল গ্রীস কি ইইউতে থাকার মূল্য হিসেবে নিজের সার্বভৌমত্ব প্রদান করতে ইচ্ছুক?
কিন্তু না। গ্রীসের জনগণ বিপুল ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রইকার অপমানজনক বেইলআউট প্যাকাজ। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রীস তিন- বছরের একটি বেইলআউট প্যাকাজ প্ল্যান ইইউকে হস্তান্তর করেছে, যেটি তাদের নিজেদের বানানো। দেখা যাক কি হয়।
কিন্তু, সবার বন্ধুসুলভ সংস্থা হিসেবে যে ইইউ এর শুরু তার পরিপূর্ণ রুপান্তর হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণ-প্রিয় সংস্থা হিসেবে।
আমার ভার্সিটি জীবনে কিছু মানুষ ছিল। এরা খুবই স্মার্ট, করিৎকর্মা, চটপটে, বাগ্মী। তারা সবার বন্ধু ছিল, তাদের সাথে কারো শত্রুতা ছিলনা, কিন্তু তাদের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও কেউ ছিলনা। এদের নেটওয়ার্কিং ক্ষমতা ছিল পুরো অন্য লেভেলের। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এদের উপরি-বন্ধুত্ব এদেরকে হালকা করে তোলে মানুষের কাছে। এরা হয়ে উঠে সকলের কাছে পরিচিত, কিন্তু কারো কাছে কাম্য নয়।
কেন যেন মনে হচ্ছে ইইউ এর এখন অবস্থা এই রকম ই। কিছু ইইউ রাষ্ট্র একে দেখে বন্ধু সংস্থা হিসেবে (বড় দেশগুলো) , কিছু রাষ্ট্র দেখে প্রয়োজনীয় শয়তান হিসেবে (necessary evil), আর কিছু রাষ্ট্র দেখে "ছেঁড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" হিসেবে।
যে সংস্থাটির শুরু একটি মহান উদ্দেশ্য নিয়ে - to make war unthinkable and materially impossible, সে সংস্থাটির ভুল চালে এবং ভুল নীতিতে আজ একটি দেশ ধ্বংসের দোরগোড়ায়। যুদ্ধবিগ্রহ থেকে রক্ষার মূল্য কি তবে সার্বভৌমত্ব?
তবে গ্রীসের চূড়ান্ত পরিণতি যা-ই হোক না কেন, আমি সম্মান জানাই গ্রীসের আপোষহীন জনগণদের, যারা নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্য ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার মত উঁচু মূল্য ও পরিশোধ করতে রাজি। আমি স্বাগত জানাই তাদের স্বপ্নকে, তাদের দৃঢ় চিত্তকে।
গ্রীসের ই মহামনীষী এরিস্টটল বলেছেন - "You will never do anything do anything in this world without courage. It is the greatest quality of the mind next to honor."
It is good to see Greece retains that courage and honor.
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি অনেক ভালো লাগল ভাই। ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে একটা তথ্য জানানোর জন্য ।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল, গ্রীসের নেতৃত্বের মাথায় গোবর ছাড়া আর কিছুই ছিল না ! তারা কেন শক্ত পদক্ষেপ নিল না এই অবস্থায় পৌছার আগে? তাদের কি কোনই দ্বায় নেই?
একটা দেশ এত ঋণ নেয় কিভাবে যেখানে তার সেই ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নেই?
আর এখনো যে তারা কৃচ্ছতা সাধনের দিকে যেতে চায় না, তার মানে কি? সারা জীবন ধারের টাকায় বসে বসে খাবে ওরা??
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
লাল স্কচটেপ বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভাই, ইইউতে অংশগ্রহণ করার অন্যতম একটি পূর্বশর্ত হল যে অংশগ্রহণকারী দেশের অর্থনৈতিক যত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রয়েছে তার সব-ই নিবে ইউরোপিয়ান ব্যাংক, দেশগুলোর সেন্ট্রাল ব্যাংক নয়। এর ফলে সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কার্যত "নখ দন্তহীন বাঘ" হয়ে পড়ে যাদের হাতে কাগজে কলমে সব ক্ষমতা আছে, কিন্তু কার্যকরী ক্ষমতা ছিল ইউরোপিয়ান ব্যাংকের।
গ্রীসের সিপ্রাস-পূর্ববর্তী সরকারগুলো ছিল ইইউ ঘেঁষা, তাছাড়া গ্রীসের তখন বার্ষিক বৃদ্ধিহার ছিল বেশি। তাদের ধারণা ছিল যে, গ্রীসের এই বৃদ্ধি হার রক্ষার জন্য গ্রীসে বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রয়োজন, এবং তা কিছুটা সত্য ও বটে। কিন্তু তারা যেখানে ভুল করে ফেলেছিল তা হল, গ্রীস এর যে অর্থনৈতিক ঝুঁকি নেবার সামর্থ্য আছে, তার থেকে বেশি ঝুঁকির প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগ গ্রীসে অনুমোদন করে। এর ফলে যে অর্থনৈতিক সংকট হয়, তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গ্রীস বেশ কয়েক বারই ইইউ বরাবর সমাধানের জন্য আবেদন করে। কিন্তু, ইইউ কোন কার্যকরী সমাধান না দিয়ে গ্রীসের অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি লাভের জন্য সাময়িকভাবে ঋণ প্রদান করে। কিন্তু, যেহেতু গ্রীসের গোঁড়ায় গলদ, তাই এই ঋণ এর অর্থেও সফলতার সাথে অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে পারলনা গ্রীস। এরপর ইইউ এর কাছে গেলে তারা আবার ঋণ দিল, আবার গ্রীস পারলনা। এভাবে গ্রীস জড়িয়ে যায় ঋণের জালে, যার ফল আজ এই Greece Debt Crisis.
যদি গ্রীসের হাতে কার্যকরী ক্ষমতা থাকত, তাহলে গ্রীস বৈদেশিক বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারত (according to different levels of risk), গ্রীসের কর্মজীবীদের বেতন এর হু হু করে বৃদ্ধি রোধ করতে পারত। সবশেষে আর কিছু পারুক বা না পারুক, দেউলিয়া অবস্থা থেকে মুক্তিলাভের জন্য টাকা ছাপাতে পারত, যেটা আমেরিকা ২০০৮ এর Financial Meltdown এ ব্যাপকভাবে করেছে। একবার ভাবুন তো যদি আমেরিকা ওই সময় টাকা প্রিন্ট না করতে পারত, আজকে আমেরিকা সর্বস্বান্ত হয়ে যেত। কিন্তু গ্রীস যেহেতু যুক্ত কারেন্সি ব্যবহার করে, এই খুব গুরুত্বপূর্ণ অপশন তার নেই। সে তার অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচার জন্য পুরো ইইউ এর মুখাপেক্ষী।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আপনার এই পোস্টে আবারও ফিরে আসব।