নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক
- সময়ের সাথে মানুষ অনেক বদলে যায়, তাই না?
আমি মেয়েটার দিকে তাকালাম। পূর্ণিমা রাতে সে বিষন্ন এক মনে আকাশে তার প্রিয় তারাটি খুঁজছে। এটি এমন এক তারা যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় কিন্তু সে দেখতে পারে না। যখন হঠাৎ দেখতে পায় তখন মেয়েটার চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু জল পড়তে থাকে। প্রতিটি কণায় অস্পষ্টভাবে লেখা "কেন এরকম হল!" যখনই কেন বাদে অন্য কিছু বের হতে নেয় বা কেন এর যথার্থ উত্তর বের হতে চায় তাড়াতাড়ি করে হাত দিয়ে সেগুলো আটকে দেয় সে। ঠিক যেন জোরপূর্বক মনের কষ্টগুলো চেপে রাখার মত। আমি ওর ঘাড়ে মাথা রাখলাম।
- সত্যিই তাই, আগে তুই এভাবে হঠাৎ করে এসে আমার ঘাড়ে মাথা রাখতি আর এখন আমার রাখতে হয়।
- দোষের বোঝা বহন করার মত ক্ষমতা বোধ হয় তোর নেই।
- সত্যিই নেই, এই জন্যই তো প্রতিবার তোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেই।
- নতুন করে আবার প্রেম নামক কমেডি মুভি শুরু করার দরকার আছে?
- কোনো দরকার নেই।
- তবে ঘাড় থেকে মাথা সরিয়ে নে। আমার অসহ্য লাগছে।
আমি মাথা সরিয়ে নিলাম। শুনেছি আলোর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে চোখের পানি শুকিয়ে যায়। তাই আমি এক দৃষ্টিতে ফোনের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। সে তার মত তারা খোঁজায় ব্যস্ত। গভীর রাত; চারপাশ নিস্তব্ধ।
- একটা কথা বলতে পারি?
- বলে ফেল।
- একটু কাছে এসে বসবি? এভাবে তাকাবি না। মাথা সরাতে বলেছি; দূরে তো যেতে বলি নি।
- কেন কি দরকার?
- একটু মাথা রাখতাম।
- অনেক রাত হয়েছে। বালিশে গিয়ে মাথা রাখ যা।
- তুই শুবি না?
- আমার চোখে ঘুম নেই। তুই গিয়ে শুয়ে পড়।
- আমারও নেই। কাছে আয় না, প্লিজ।
আমি কাছে গিয়ে বসলাম। ও আমার ঘাড়ে মাথা রাখল। আমি ওর হাত শক্ত করে ধরলাম। আমার কাঁধ ভিজে যাচ্ছে। বোধ হয় তা চোখের রক্ত হবে; চোখের পানি যে এভাবে পড়তে পারে তা আমার ধারণাতীত ছিল। আমার সেদিন অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু পারলাম না। এক ব্যর্থ প্রেমিক হয়ে অব্যর্থ প্রেমিকার হাত ধরে বসে থাকলাম।
এরপর ভোর হল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তখন ৭ টা বেজে গেছে। তাড়াতাড়ি করে কোনোরকম রেডি হয়ে আমি দৌঁড় দিলাম স্যারের বাসায় বাস্তব জগতের অবাস্তব সাধনে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
কল্লোল পথিক বলেছেন:
বাহ!চমৎকার লিখেছেন।