নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক
পোস্টারের দূর্গা-কালিকে দেখে থুতু দেওয়া তথাকথিত মুসলিম সম্প্রদায়কে সর্বপ্রথম ধিক্কার জানাই। তাদের কাছে প্রশ্ন-"কোন শাস্ত্র মতে তুমি তাদের ধর্মের প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ কর? কুরআন নাকি হাদিস? আল্লাহ তোমাকে বলেছিল কি ইসলাম বাদে বাকি সব ধর্মকে অসম্মান করতে?" তবে কেন এমন ব্যবহার! তবে কেন তাদের প্রতি নির্বিচার? সংখ্যায় কম বলে কি তাদের মূল্য নেই! আমি মেনে নিলাম ভারতে মুসলিমদের সাথে যা হয় তা অসন্তোষজনক। কিন্তু তাই বলে তুমিও তাই করবে! আল্লাহ নিতান্তই মুসলিম কে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন; আক্রমণাত্মক না হয়ে,প্রতিশোধ না নিয়ে শত্রুর জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে বলেছেন। কতজন করে! দৃষ্টান্ত হিসেবে সবাই রাসুলুল্লাহ স: কে মানে। কিন্তু রাসুলের জীবনী থেকে জানা যায় তিনি প্রতিটা গোত্রের প্রতি উদার ছিলেন। প্রত্যেকের জ্ঞান বৃদ্ধিতে প্রার্থনা করতেন। তিনি কোনো প্রতিশোধ নেন নি। অথচ তার সেই ক্ষমতা ছিল, আল্লাহ তাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে সৃস্টি করেছিলেন। তবে তারা কোন মহানবীর সমর্থক! রাসুল নাকি প্রতিদিন পৃথিবীতে সৃষ্ট ধর্মান্ধদের যারা কুরআন হাদিস না পড়ে তাদের গোত্রের লেখা উদ্ভট সব বইগুলোকে নিজেদের পথপ্রদর্শক হিসেবে মানে? আল্লাহ এবং রাসুল আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটা ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সহমর্মিতা প্রকাশ করতে। এই জন্যই ইসলামে 'বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব' নামে এক প্রকার ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি। এমনকি জান্নাতে প্রবেশাধিকার তারাই পাবে যারা অন্য গোত্র, ধর্মের মানুষকে সম্মান করবে। বানিয়ে কিছু বলছি না। কুরআন হাদিস খুললেই টের পাবে। তবে কি আমি ধরে নিব তারা কুরআন পড়ে নি, হাদিস পড়ে নি! তাহলে তাদের মুসলিম বলি কিভাবে! মুসলিম শব্দটা খুব ভারী। তোমরা প্রতিদিন কুরআন বিকৃত করছ, বিকৃত করছ রাসুলের মধুর বাণী। শাস্তি তো পাবেই যার রূপ কল্পনাতীত। চোখে সুরমা, মাথায় টুপি, গায়ে পাঞ্জাবি পড়লেই মুসলিম হয়ে যায় না। আজই খুলে নিয়ে ধুতি পড়ায়ে দিলে ধর্ম চেঞ্জ হতে সময় লাগবে না। মানুষের ধর্ম প্রকাশ পায় মনুষ্যত্বে। পাঞ্জাবি ধুতি টুপি আতর এসব শুধু সাজসজ্জা। ভেতরটা আসল। ভাল- দামী পাঞ্জাবি না পড়ে দামী মনমানসিকতার অধিকারী হও ঠিক রাসুলের মত কিংবা তার অনেক কাছাকাছি।
আমি জানি আমার কথাগুলা অনেকেই হয়ত বাঁকা ভাবে নিবে। তাদের মতে আমি নাস্তিক! আসলে পৃথিবীটাই এমন। নিজের ধর্ম নিয়ে কথা বললে কেও নাস্তিক না, কিন্তু পরের ধর্মের পক্ষে বললেই সে নাস্তিক। ধর তারে, গর্দানে বসাও চাকু, "গুলি করে মারার চেয়ে জবেহ করে মারলে সওয়াব বেশি।" সেদিনই লাইনটা পড়েছিলাম। পেপারের হেডলাইন ছিল এইটা। জগতের নিয়মই এখন এরকম উল্টো। ধার্মিকরা আজ নিশ্চুপ। কারণ উগ্রপন্হীদের নিকট থেকে বাঁচতে তারাও চায়। কে না তার জীবনকে ভালবাসে!
****কথাগুলো সব ধর্মমতের মানুষের জন্যই সত্য। ইসলাম সম্পর্কে ভাল জানায় উদাহারণ হিসেবে উগ্র মনমানসিকতার তথাকথিত মুসলিমদের দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করলাম।***
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯
কানিজ রিনা বলেছেন: নিজের ধর্ম যে বিশ্বাস করে। সে কখনও অন্য
ধর্মকে ঘৃনা করেনা। কোরআন হাদীসের
কোথাও নেই অন্য ধর্মকে ঘৃনা করা।
যারা এসব করে তারা নামের মুসলিম।
ইসলাম সম্পর্কে না জানা মুর্খ মুসলিম।