নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘড়ির টিকটিক শব্দে হাত চেপে ধরা মেয়েটা আর ভুতের ভয় পায় না।

রাফি বিন শাহাদৎ

সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক

রাফি বিন শাহাদৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরুর ডায়েরী

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৬

মাঠের এক কোণে শিরু একা বসে আছে। আমি যাচ্ছিলাম অফিস রুমে; হাতে ছুটির দরখাস্ত। খুব মাথা ধরেছে; মাইগ্রেনের ব্যাথা সহ্য করা কঠিন। তবুও ইচ্ছা করল ওর কাছাকাছি বসার। তখন টিফিন চলছে। সন্তর্পণে ওর কিছুটা কাছাকাছি গেলাম। জানি না সে টের পেয়েছিল কিনা। কলেজের অশ্বত্থ গাছটার নিচে হেলান দিয়ে আমি ওকে দেখছিলাম আরআর অন্যমনস্ক হয়ে দরখাস্তের দিকে চোখ বুলাচ্ছিলাম। কিছুটা দূরে তাকাতেই দেখি একটা পেন্সিল পড়ে আছে। ইচ্ছে করল তার ছবিটা আঁকার। দরখাস্তের পেছন সাইডে মাইগ্রেনকে তুচ্ছ করে আমি ছবিটা আঁকালাম। আঁকানো শেষে আমি বুঝলাম শিরু আমার দিকেই তাকিয়ে ছিল এই দীর্ঘ বিশ মিনিট। হয়ত বোঝার চেষ্টা করছিল আমি কি করছি। কিন্তু সে উঠে গেল না! ঘন্টার ঠনঠন আওয়াজে ভনভন করে মাছির মত যখন সবাই ক্লাসে ফিরে যাচ্ছে তখন আমিও ফিরে গেলাম; কিন্তু আমার ক্লাসে না। জানি না ছবিটা কেমন হয়েছিল। অপেক্ষার চল্লিশ মিনিট শেষে যখন শিরু রওনা হল প্র‍্যাক্টিকাল ক্লাসের উদ্দেশ্যে, তখন আমি তার ব্যাগের ভিতরে প্রোট্রেটটা রেখে আসলাম। অনেকেই ছিল ক্লাসে, কিন্তু কেও কিছু বলল না। সবাই জানে আমি কিছু নিতে ব্যাগে হাত দেই নি; কিছু দিতে হাত দিয়েছি। খুব ইচ্ছে ছিল পরিচয় গোপন রাখার; কিন্তু পারি নি। এতক্ষণে টের পেলাম মাইগ্রেনের ব্যাথাটা খুব বেড়ে গিয়েছে। তবুও আমার কিছুই মনে হচ্ছে না। কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়। কিন্তু তাই বলে কি প্রেমের জন্য জীবন হারানো যায়! তাই আরেকটি দরখাস্ত লিখে প্রস্তুতি নিলাম বাড়ি ফেরার। ব্যাগটা অগোচরে পড়ে থাকল বেঞ্চে। কেও হাত দেয় নি। কারণ সবাই জানে আমি তাকে ভালবাসি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: এই ভালবাসা বর্তমান কোন অবস্থায় আছে ?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: চোখাচোখি তে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.