নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, বৃহস্পতিবার। বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা বিমানবন্দরে তখন মানুষের ঢল। পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা তখন সাড়ে সাত কোটির মত হবে। কিন্তু সেদিন বিমানবন্দরে একজন বাঙ্গালিরও মুখ দেখা যায় নি। তাহলে তারা কারা! সেদিন বিমানবন্দর পুরোটা ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দখলে। তারা দর্শকদের হটিয়ে দিয়েছে। সাথে ছিল পাকিস্তান বিমানবাহিনী। প্রেসিডেন্ট আসছে, নিরাপত্তা তো লাগবেই। একটা কালো মার্সিডিসে করে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান আসলেন। এসব ছিল তার সাজানো নাটক। মিথ্যে একটা সামরিক বিদায় নিবেন তিনি। উদ্দেশ্য অন্যকিছু।
দশদিন আগে প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন ঢাকায়। এসেছিলেন অনেক আশা নিয়ে। এক কথায় পূর্ব পাকিস্তান কে হাত করার আশায়। তার সেই আশা বিফলে গেলেও তার চোখে মুখে ভাসছিল উত্তেজনা আর হতাশার মিশ্রণ। তিনি কোনো সামরিক অফিসারের সাথে সময় কাটালেন না। ফিসফিস করে দুজন অফিসারের সাথে কথা বলে তিনি আগালেন তার জন্য রাখা ঢাকা-করাচি পথের পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের এক বিশেষ বিমানের দিকে। এই ছয় হাজার মাইল দুরত্বের পথে তাকে যেতে হবে ভারতের উপর দিয়ে। তার দ্বিতীয় ক্ষমতা দখলের অভিষেক উদযাপন শেষ। তিনি আর অপেক্ষা করতে চাচ্ছিলেন না। যেখানে বিজয় সুনিশ্চিত সেখানে অপেক্ষা জিনিসটা বিষণ্ণতার সামিল। এই ক্ষণিকের বিষণ্ণতাকে সঙ্গী করে তিনি হুইস্কির বোতলটাকে আগলে রাখলেন।
ঘন্টার পর ঘন্টা এক বিষয় নিয়ে মিথ্যা আলোচনায় বসে থাকতে থাকতে তিনি যখন প্রায় ক্লান্ত, তখন তার নীল নকশা তাকে সাফল্যের সান্ত্বনা দিত। তিনি জানেন তিনি ব্যর্থ হবেন না। তাই তিনি ধৈর্য্য ধরে বৈঠকে বসে থাকতেন। তার নীল নকশা সফল করতে তার সামরিক বাহিনীর সাহায্য লাগত। তাই তিনি এভাবে বিদায়ের নাটকটা সাজিয়েছিলেন।
হুইস্কিতে চুমুক দিতে দিতে তার মাথায় আরেকটা প্ল্যান নাড়া দিল। তিনি চান না ভারতীয় বিমানবাহিনী তাকে আটকে দিক। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি করাচিতে নিরাপদে পৌঁছেই তার পরিকল্পনা মত আগাবেন। তিনি পাইলটকে নির্দেশ দিলেন পথের মাঝে যেন ভারতে না অবতারণ করা হয়। তিনি শুনে নিলেন প্লেনে জ্বালানী সম্পূর্ণ আছে কিনা। এবং প্রেসিডেন্টের প্লেনে জ্বালানী সম্পূর্ণ থাকাটাই স্বাভাবিক নয় কি!
প্রেসিডেন্টের করাচিতে অবতারণের খবর বেতারযোগে ঢাকায় পাঠানো হল। তার কিছু পরেই ইস্টার্ণ কমান্ড হেডকোয়ার্টারস থেকে ফরমান পাঠানো হল 'SORT THEM OUT' অর্থাৎ 'বাছাই কর খতম কর বাঙ্গালিদের' এবং সাথে সাথেই "অপারেশন সার্চ লাইট" এর শুরু হল। সামরিক বাহিনী ট্যাঙ্ক, গুলি, মেশিনগান নিয়ে প্রথম এটাক করল চট্টগ্রাম আর ঢাকাতে..................
সূত্রঃ দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে পাকিস্তান ডিফেন্স থেকে একটা ভিডিও বের হয় যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় ২৫ মার্চে কোন এটাক হয় নি এবং এসময়ে সব স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বন্ধ ছিল। তাই সেখানে ছাত্র থাকার প্রশ্নই উঠে না। যা মরেছে সব নাকি বিহারি অথবা পশ্চিম পাকিস্তানি। অর্থাৎ এটাক টা পাকিস্তান সামরিক বাহিনী করে নি, করেছিল বাঙালি তাও আবার পাকিস্তানিদের উপর। সবমিলিয়ে এটা আমার দেখা লাইফের সবচেয়ে হাস্যকর ভিডিও ছিল। ভিডিওর মাঝে এক জায়গায় নিজামীর কথা উল্লেখ করার পর সাঈদীর কথা উল্লেখ করেন এক বৃদ্ধ। তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে কাউকে থামানোর পর নতুন করে দুজনের নাম নেন। দেখে বোঝাই যাচ্ছিল পাশ থেকে কেও ইশারা করে তাকে বলেছেন তিনি সাঈদী নামটা মিস করেছেন। তাদের শাস্তি নাকি এই ছিল যে, তারা স্বাধীনতার পর পাকিস্তান ঘুরতে গিয়েছিলেন। যুক্তি টা এত হাস্যকর ছিল যা বলার মত না। আর ভিডিওর শেষে এক বিহারি নিজেকে কুমিল্লাবাসী দাবি করে মিথ্যা প্রচার করেন। তিনি বলেন, তাকে সত্য প্রকাশে কেও বাঁধা দিতে পারবে না............
********পাকিস্তান ভুলে গেছে বাঙালি যেমন ইতিহাস তৈরী করতে পারে, ঠিক তেমনি ইতিহাসকে বুকে নিয়ে সহস্র বছর বাঁচতে পারে। আমরা তোদের বানানো সত্যকে কোনোদিন ভয় পাই নি আর পাবোও না******
*ভিডিও লিংক কমেন্ট বক্সে এড করলাম। দেখে নিবেন সবাই.........*
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৫
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: Click This Link