নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক
সূর্য অস্ত যায় নি, পশ্চিমাকাশের এক কোণে অর্ধেক মাথা বের করে এখনও আলো দিচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে মাগরিবের আজান হবে। গ্রামের পিছন দিকের পরিত্যক্ত জায়গায় গড়ে উঠা একতালা মসজিদ থেকে সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ ভেসে আসছে। আরেকটা শব্দ, যা মিশে গেছে তিলাওয়াতের সাথে, যা পৌঁছাতে পারছে না কারো কানে, সেটি হচ্ছে সাত বছর বয়সী এক মেয়ের আর্তনাদ। মেয়েটির বাবা শখ করে নবীজীর মাতার নামের সাথে মিল রেখে তার নাম রেখেছিলেন আমেনা। পাঠিয়েছিলেন মসজিদে কুরআন শিখার জন্য। শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ছ'দিন বাদ আসর মসজিদে শিখানো হয় কুরআন তিলাওয়াত। আজ শুক্রবার, ভুল করে মেয়েটি মসজিদে এসেছিল হাতে আমপারা নিয়ে। কিন্তু তার আর ফিরে যাওয়া হয় নি।
মসজিদের ভিতরে নিজ রুমে তুলে ধর্ষণ করছে মসজিদের ইমাম। মেয়েটার আমপারাটা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে পাশেই। ঘড়ি দেখে নিল সে। মাগরিবের ওয়াক্ত প্রায় হয়ে গেছে, যা করার এখুনি করতে হবে। মেয়েটার ঘাড় ধরে ডানপাশে মটকে দিল সে। আমেনা সাথে সাথে মারা গেল, কেও যেন সন্দেহ না তার জন্য সে বন্ধ করে দিল কুরআন তিলাওয়াতের রেকর্ড। তারপর লাশটিকে বস্তায় ভরে তার হিরো সাইকেলে করে ফেলে দিয়ে আসল পাশের জঙ্গলে।
রুমে ফিরে প্রথমে তার চোখ গেল রক্তাক্ত আমপারার দিকে। এইটা দেখিয়ে যদি সহজ-সরল গ্রামবাসীর থেকে একটা গরু বাগিয়ে নিতে পারে তাহলে মন্দ হয় না। স্বপ্নের সাথে বাস্তব মিশিয়ে একটা গল্প বানালেই হয়ে যাবে। বিছানার নিচে আমপারাটা লুকিয়ে রেখে নিজের নির্ধারিত পোশাক পড়ে মাগরিবের নামাজের জন্য তৈরি হলে নিল মুখোশধারী ইমাম।
দলে দলে মুসল্লী আসলেন, তার পিছে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লেন। ঠিক সেসময় পাঁচ ওয়াক্ত জামায়াতে আদায় করা আমেনার বাবা পাগলের মত খুঁজতে লাগলেন আমেনাকে.........
মুখোশ উন্মোচিত হবে একদিন, সবার। ঠিক সেদিন লোকে বলবে-"আহারে! মানুষটা কত ভাল ছিল!!!!"
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৮:০৪
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: কষ্ট লাগে ভাই দেখে
২| ০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কেউ কেউ ...... বহুরুপী
০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৮:০৪
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: খুব নির্মম। খুব।