নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিক্স

লিংকন বাবু০০৭

ভালবাসি বই পড়তে আর পছন্দ করি টুকটাক লিখতে, ভালো লাগে বুদ্ধিমানদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। দেশটাকে ভালোবাসি। সৎ-পরিশ্রমীদের শ্রদ্ধা করি। । আমার ব্লগ নিয়ে অনেক আগ্রহ আছে। কিন্তু কিছু জানি না। তাই জানতে চাই

লিংকন বাবু০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেল হত্যা দিবসের ইতিহাস আরো ভাল করে জানতে চাই

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

আজ ৩ নভেম্বর,২০১৬ জেলহত্যা দিবস।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় ৪ নেতাকে;

১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম - ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপুস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট)
২) তাজউদ্দিন আহম্মেদ - প্রধানমন্ত্রী
৩) কামরুজ্জামান - ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রী
৪) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী - অর্থমন্ত্রী এঁরা কারা?
এই চারজন বীর-নাবিক,বঙ্গ সন্তানই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে পুরো ৯মাস মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে থেকে পুরো যুদ্ধটা চালিয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন।
তাঁরা যেমন ছিলেন নির্ভীক, তেমন সৎ, ঠিক তেমনই দুরদৃষ্টি সম্পন্ন। নীতির প্রতি আপোষহীতাই তাদের কঠিন পরিনতির দিকে নিয়ে যায়।
এই কলঙ্কিত হত্যাকান্ডই প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কারন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা ঠিকই জানত, এই চারজন যদি বেঁচে থাকেন, তবে ঠিকই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যেমন তাঁরা দিয়েছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে।

হত্যাকারীদের দিক থেকে এটি ছিল একটি সফল অভিযান। কারন, এই হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশে অন্ধকার যুগ। যে যুগে, নিষিদ্ধ হয়ে যায় হত্যাকারীদের বিচার, রাজাকাররা হয়ে যায় "দেশ প্রেমিক", নিষিদ্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, ইত্যাদি। এর পর থেকেই তো শুরু হয় একের পর এক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা। ফাঁসি দেওয়ারও সময় ছিল না, গুলি করে হত্যা করা হয় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিনত হয় মেধাশুন্য অস্ত্রবাজে, পাকিস্থান সেনাবাহিনীর 'বি-টিম' হিসাবে। তারা দখল করে জনগণের ক্ষমতা। যে দারোয়ানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বাইরের গেট পাহারা দেওয়ার জন্য, তারা হয়ে যায় বাড়ির কর্তা! ১৫ বছরের এই অন্ধকার যুগে নষ্ট হয়ে যায় বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব প্রতিষ্ঠান।

তাই, মানব সভ্যতার ইতিহাসে বেদনাময় এক কলঙ্কিত দিন। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেই ক্ষান্ত ছিল না, গুলিবিদ্ধ নিথর দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ’৭১-এর পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

খুনিরা তোমরা জেনে রাখ, এই নৃশংস হত্যাকান্ডে আমারা মুষড়ে পরব না, ভয় পাব না। এই হত্যাকান্ড আমাদের আলোড়িত করে। এই হত্যাকান্ড আমাদের অনুপ্রানিত করে দেশের জন্য কাজ করতে, নি:শ্বার্থ ভাবে মানুষের উপকার করতে। আমার গর্বিত আমাদের পুর্বপুরুষ নিয়ে।
জাতীয় চারনেতার মৃত্যু দিবসে আসুন এক মুহূর্তের জন্য থামি - কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করি তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানকে। ঘৃনা করি তাদের হত্যাকারী এবং সেই হত্যার পিছনে থাকা এবং হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগী সকল কুচক্রীদের। আসুন বিচারের জন্যে সোচ্চার হই - তাদের বিদেহী আত্বার প্রতি যথাযথ সন্মান জানাই।
(**বি:দ্র: জেল হত্যা নিয়ে কোন ভাল বই(সঠিক ইতিহাস সমৃদ্ধ)থাকলে আমাকে জানিয়ে উপকৃত করে বাধিত করুন।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.