প্রয়োজন এবং অপ্রয়োজনের বন্ধু!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

Ethel Barrymore সাহেব বহু আগে বলেছিলেন "The Best Time to Make Friends is Before You Need Them"
ছোটকালে যদিও এই কথাটা জানতাম না, তবে এই নীতিটাই ফলো করেই বন্ধু বানাতাম; প্রয়োজনের আগে।

ছোটবেলা থেকে শুরু করে কলেজ লাইফ পর্যন্ত এই ব্যাপারটা কখনও বুঝতে পারি নাই যে কারা প্রয়োজনের বন্ধু আর কারা অপ্রয়োজনীয় কারন আমি কোনদিন কারো সাথে নিজের প্রয়োজন সারাতে বন্ধুত্ব করি নাই। ক্লাসের প্রথম কিছু দিনে যাদেরকে ভাল লাগত তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করতাম, এই শেষ। এরপর আর সাথে কথাও বলতাম না, বন্ধুত্বতো প্রশ্নই আসে না। এই কারনেই আমার বন্ধুর সংখ্যা গুটিকয়েক এবং তাদের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই গাড়। কোথাও গেলে একসাথে যাওয়ার চেষ্টা করি, খেতে বসলে একসাথে, ঘুরতে গেলে একসাথে, এমন কি একজনের কাজেও প্রায় সময় একসাথে যাই। এমনটাই আমাদের বন্ধুত্ব!

স্কুল, কলেজ পার করে যখন ঢাকায় ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, কিছুদিন ক্লাস করলাম তখন বুঝতে শুরু করলাম প্রয়োজন আর অপ্রয়োজনের বন্ধু (!) কি জিনিস! অন্যসময় কোন খবর থাকে না, কিন্তু দরকারের সময় এমন ভাব দেখায় যেন তার সাথে আমার কত সহস্র বছরের দোস্তি। কাজ শেষ, "হ্যা দোস্ত, অনেক থ্যাংক্স।" এই হয় তাদের বিদায় বাণী। এরপর পরবর্তি প্রয়োজনে না লাগা পর্যন্ত আর কোন খবরা খবর নিবে না। এ ছাড়াও আমার আরও কিছু 'বন্ধু' আছেন যাদের কাছে আমি 'লোণ করার ব্যাংক' এবং ২৪/৭ 'হেল্প লাইন' হিসেবে সুপরিচিত। টাকা দরকার? লিসানের কাছে যাও। হেল্প দরকার? লিসান তো আছেই। চাইলে/বললে 'না' করে না। অথবা একবার 'না' বললে কিছুক্ষর ক্যার ক্যার কর, অবশ্যই করে দিবে। টাকা নিয়া ভুলে যাও, কিছুক্ষন ক্যার ক্যার কর; টাকা আর ফেরত দেয়া লাগবে না বা অ্যামাউন্ট কিছুটা কমে যাবে!

মাঝে মধ্যে এইসব পোলাপানের উপর এতই মেজাজ খারাপ হয় যে মন চায় ধইরা টানা আধাঘন্টা থাবড়াই। সেটাতো আর সম্ভব না, তাই এবার ঠিক করছি এইসব বাল ছাল গুলারে আর বেইল দিবনা। আমি আমার সেই স্কুল কলেজের বন্ধুদের সাথেই ভাল আছি, বাকিগুলারে (টুট) টাইম নাই!

লেখাঃ লিসান

০ টি +০/-০