নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথাগুলো বলে ফেলার জন্যে এসেছি

লিসানুল হাঁসান

নিতান্তই সাধারণ মানুষ

লিসানুল হাঁসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সম্রাটের মৃত্যু

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪২


মানুষ মরবেই । অমরত্বের গোপন কথা এখনো গোপনই রয়ে গেছে। মৃত্যু স্বাভাবিক হলেও আমরা মৃত্যু নিয়ে বিচলিত হই, কৌতূহলী হয়ে উঠি। বিশেষত বিখ্যাত এবং কুখ্যাত মানুষের মৃত্যুতে। হিটলার, নেপলিয়ন কিংবা হালের বিন লাদেন- অনেকের মৃত্যুকে ঘিরে আছে রহস্যের ধোঁয়াশা। তাদের মৃত্যু কি স্বাভাবিক ছিল নাকি কোন অস্বাভাবিক ষড়যন্ত্র ছিল, আদৌ কি মারা গিয়েছে- এমন অসংখ্য প্রশ্ন ।

সম্রাট নেপোলিয়নের মৃত্যু নিয়েও এমন অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আছে। জীবনের শেষ সময়টা নেপোলিয়ন কাটিয়েছিল সেন্ট হেলেনায়। নির্বাসনে। নেপোলিয়নের মৃত্যুর কারণ হিসেবে আর্সেনিক বিষক্রিয়ার কথা বেশ শোনা যায়। আর্সেনিক বিষপ্রয়োগে কাউকে ধীরে ধীরে মারা হলে তার চুল , নখ এসবে আর্সেনিক এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। গবেষকেরা নেপোলিয়নের দেহাবশেষে থেকে স্বাভাবিক মাত্রার বেশি আর্সেনিক পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার মৃত্যুর পরে যে ময়নাতদন্ত করা হয় সেখানে ডাক্তার তার পাকস্থলীতে বিশাল অংশজুড়ে টিউমারের মত দেখতে পান। তাছাড়া ছিল বাদামী রক্তের মত বস্তু। এসবের ভিত্তিতে বলা হয় নেপোলিয়ন পাকস্থলীর ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। আধুনিক গবেষকেরা সম্প্রতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক পাকস্থলীর ক্যান্সারের রোগীদের পর্যবেক্ষণ করেন। এই পর্যবেক্ষণের সাথে নেপোলিয়নের ময়নাতদন্তের বিবরণের তুলনামূলক পর্যালোচনায় নেপোলিয়নের মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাকস্থলীর ক্যান্সারই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত। নেপোলিয়নের এর বাবার মৃত্যুর কারণ হিসেবে পাকস্থলীর ক্যান্সার এর কথা বলা হয়। তাছাড়া নেপোলিয়ন জীবনের একটা বড় অংশ সৈনিক হিসেবে যুদ্ধের ময়দানে ময়দানে চষে বেড়িয়েছেন। সৈনিক হিসেবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস , পারিবারিক ক্যান্সারের ইতিহাস ,পাকস্থলীতে আলসার, রক্তপাত আর টিউমারের উপস্থিতি এসব ক্যান্সারের দিকেই ইঙ্গিত করে। নেপোলিয়নের শরীরে ছাড়াও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরে স্বাভাবিকমাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল যেটা ধীর বিষক্রিয়ার ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে নাকচ করে দেয়।
নেপোলিয়নের মৃত্যু নিয়ে একদম শতভাগ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা এত বছর পর প্রায় অসম্ভব । নেপোলিয়নের মত সম্রাটের ইউরোপের রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব বিবেচনা করেই তার মৃত্যুর এত বছর পরেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়। সামাজিক বিজ্ঞানীরা, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা , রাজনীতিবিদেরা সবাই এ নিয়ে আলোচনা করতে পছন্দ করেন যে তার মৃত্যু যদি অন্যভাবে হত , কিংবা সে যদি মুক্তি পেয়ে যেত তাহলে বিশ্বরাজনীতিতে তার ভূমিকা কি হতে পারত । সাম্প্রতিক গবেষণার পরে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে , তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে যদি পাকস্থলীর ক্যান্সার বিবেচনায় আনি তাহলে এটা বলা চলে যে শেষ বয়সে নেপোলিয়ন যদি মুক্তিও পেত, শারীরিক অবস্থার কারণে রাজনীতিতে সে হয়ত অতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত না ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ যুগেও ময়নাতদন্ত হতো এটা জানলাম। উনি অপেক্ষাকৃত কম বয়সে মারা গেছেন। তাই সুস্থ থাকলে বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারতেন এটা ধারণা করা যায়। জেলে গেলে এমনিতেই মানুষের শরীর অনেক রোগে আক্রান্ত হয়। তাই তার জেল জীবনও তার শরীরকে দুর্বল করার কারণ হতে পারে।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: একদিন মানুষ মৃত্যুকে জয় করবে। আমি সেই অপেক্ষায় আছি।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫১

ঘরহীন বলেছেন: নেপোলিয়ন বেঁচে থাকলে, ক্ষমতায় থাকলে; ইউরোপের রাজনীতিতে তার ভূমিকা নিয়ে এখন সমাজ বইয়ে আলাদা অধ্যায় থাকতো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.