![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি, আঁকাআঁকি করি। কখনো কোন লেখা সংবাদ, কখনো কবিতা-গল্প, কখনো পাণ্ডুলিপি হিসেবে গণ্য হয়। কোনটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব আছে, কোনটির সামাজিক। এর একটিও আমার নিজের বলে মনে হয় না।
বছর দেড়েক আগে ম্যাকবুক কিনেছি। পৃথিবীর কোন দেশের শিক্ষিত নাগরিক সম্ভবত এত বিপদে পড়েন না, তাদের নিজের ভাষায় লেখার ক্ষেত্রে। ম্যাকবুক কিনলাম শ্রেফ লেখালেখি করার জন্য। কিন্তু প্রথম দিনেই লাগলো খটকা, আমি যা লিখবো তা উইন্ডজঅলারা পড়তে পারবেন না। সারাদেশে বলি কেন, সারাদুনিয়াতেই এখন উইনডোজ-এর ভীড়। তাহলে ম্যাকের প্রতি প্রেম-এর কি কবর রচনা হবে ? বাংলাতেই তো লিখতে চাই। বাংলাতেই লিখি। তাহলে উপায় কী হবে ? ভরসা ইউনিকোড। স্থাপন করলাম, একুশে বাংলা, অভ্র, বিজয় বায়ান্নসহ পশ্চিমবঙ্গের দুয়েকটি সফটওয়্যার পর্যন্ত। কিন্তু হায়, স্বাচ্ছন্দে কিছু লেখা যায় না। এখন উইন্ডোজ-এ যেভাবে ইউনিকোড কম্পোজ করা যায়, স্বাভাবিক বিজয় কী বোর্ডের লে আউট অনুযায়ী, সেভাবে ম্যাকে বিজয় একুশে ব্যবহার করা যায় না। অক্ষর আগে লিখে আর তার ‘আ’ কার, ‘উ’কার, ’ঈ’ কার লিখতে হয়। ছোটখাটো আরো কিছু সমস্যা আছে। কখনো ফেইসবুকে পোস্ট দিলে, উইন্ডোজ- তা খুলে দেখি দুয়েকটি ভেঙে গেছে। যন্ত্র ব্যবহারে আমি খুঁতখুঁতে, বিন্দুমাত্র সমস্যা মানতে পারি না।
আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে বলে ‘ডিজিটাল’ ও ‘বাংলাদেশ’ দুটি শব্দেরই বারোটা বাজাই। ডিজিটাল শবব্দটি বাংলাদেশের সেঙ্গে বিশেষ করে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে আমরা কি বোঝাতে চাই ? পৃথিবীর আর সব দেশ অ্যানালগ ? যা হোক, বিষয়টি অনেক পুরনো ও বস্তাপচা হওয়ার কারণে এই গর্তে আমি বেশিদূর নামতে চাই না।
আমরা একটি আন্তর্জাতিক দিবস অর্জন করেছি ভাষার জন্য, বায়ান্নর মহান আত্মত্যাগের জন্য। কিন্তু আজো পর্যন্ত বিশ্বময় বাংলাভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য কিছুই করতে পারিনি। গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে আমাদের ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর এখনও অসম্ভব। আজ আমরা চাইলেই অন লাইনে জার্মানি, ফ্রান্স এমনকি ভিয়েতনামের সাহিত্য পড়তে পারছি, কিন্তু আমাদের বাংলা সাহিত্য অনলাইনে বিদেশী কাউকেই পড়াতে পারছি না। পৃথিবীর বহু ভাষাই পুরোপুরি ইউনিকোডে চলে গেছে, সেগুলোর সঙ্গে ইংরেজি ভাষার যোগাযোগকে অনেক সহজতর করে ফেলেছে। কথনের হিসেবে বাংলা ভাষার স্থান পৃথিবীতে চতুর্থ। কিন্তু এখনও বাংলা থেকে আন্তর্জাতিক ভাষায় রূপান্তরের কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হলো না। আমাদের ভাষা যদি পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে ইংরেজি করে বিদেশীরা দেখার সুযোগ পেত, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বহুদিক থেকেই এগিয়ে যেতে পারতাম আমরা।
- আমাদের সাহিত্য রাতারাতি আন্তর্জাতিক সাহিত্যে প্রতিনিধিত্বশীল অবস্থান পেত।
- আমাদের মানসম্পন্ন সাহিত্য ম্যান বুকার পাইজ এবং নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেই পারতো। পুরস্কারও পেত বৈকি।
- আমাদের বুদ্ধিজীবী, ভাষাবিদ, প্রযুক্তিবিদেরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেন, তখন নিশ্চিতভাবিই মনে হয় তিনি ধ্বজাধারী ছাড়া কিছু নন। আরে বাবা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির মান বাড়াতে কিছু করুন, তাতেই হবে, তথ্য প্রযুক্তির জন্য কিছু করলে, তা হয়ে ওঠে সারাবিশ্বের সম্পদ। কোন দল বা কোন দলের ঘোষিত শ্লোগানের নয়।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সুলাইমান হাসান বলেছেন: অ্যাপল ফালতু !!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: এই জন্যই তো এ্যাপল কিনি না ।