নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুঁজে ফিরি নিজেকে নিজের অন্তরালে

হাসান মুহিব

শুধু লিখতে চাই, মনের অন্ধ কুটিরে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো বর্ণমালা

হাসান মুহিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্কিড গ্যালারী - ১

২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩







অনেক দিন ধরে ভাবছি অর্কিড নিয়ে কিছু লিখবো ; নানান রকম তথ্য সংগ্রহে রেখেছিলাম এবং অর্কিড নিয়ে টুক টাক কিছু গবেষণাও করেছিলাম। তা তো আজ অর্কিড নিয়ে এই লেখা আমার ----





অর্কিডের গঠণ এবং প্রজাতি:







শত বর্ণে ও বৈচিত্র্যে বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক আর্কষণীয় একটি ফুলের নাম অর্কিড। এরা উদ্ভিদ জগতের তিনটি বড় পরিবারের অন্যতম অর্কিডেসি পরিবারের সদস্য। একবীজ পত্রী এ উদ্ভিদের আটশ’ গণ এবং ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। প্রজাতি ভেদে এদের ফুলের গঠন, আকার, আকৃতি এবং বর্ণে অনন্য বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। অনেকের মতে এ পরিবারে সর্বাপেক্ষা বেশি সংখ্যক উদ্ভিদ প্রজাতি বিদ্যমান। প্রাচীন চীনা গ্রন্থে তিন হাজার বছর আগে প্রথম অর্কিডকে ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।



উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক থিওফ্রাস্টাস এ উদ্ভিদের নামকরণ করেন। অধিকাংশ অর্কিড বহুবর্ষজীবী বিরুৎজাতীয় উদ্ভিদ। অঙ্গজ গঠনে ব্যাপক ভিন্নতা থাকলেও ফুলের গঠনের সামঞ্জস্য এসব উদ্ভিদকে একই পরিবারভুক্ত করেছে। অর্কিডের কিছু বিশেষায়িত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন-এরা টেরিস্ট্রিয়াল, ইপিফাইট, স্যাপ্রোফাইট বা ক্লাইমবার হয়ে থাকে। মূলে ভ্যালামেন টিস্যু থাকে। এ টিস্যুর সাহায্যে বাতাস থেকে এ উদ্ভিদ পানি শোষণ করে বেঁচে থাকে। ফুলের ওপরাংশ নিচের দিকে হয়ে থাকে। সাধারণত ফুলে তিনটি বৃতি ও তিনটি পাপড়ি থাকে, এর অধিকও থাকতে পারে। একটি পাপড়ি বড় ও বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে।





অর্কিডের ইতিহাস:



অর্কিড শব্দটি গ্রীক শব্দ ‘অর্কিস’ থেকে নেওয়া। যার অর্থ অণ্ডকোষ। ইউরোপীয় অনেক স্থলজ অর্কিডের গোড়ায় অণ্ডকোষ সদৃশ দু’টি গঠন দেখা যায় বলেই হয়তো এমন নামকরণ। বর্তমানে অর্কিডের ওই দু’টি বিশেষ গঠনকে টিউবার বলা হয়। তৎকালীন সমাজে অর্কিডের মূল অংশের টিউবার নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান ছিল। অনেকেই বিশ্বাস করতেন, পুরুষের অণ্ডকোষ সদৃশ হওয়ায় এগুলোতে পুরুষত্ব বর্ধক ও উদ্দীপক জাতীয় কিছু উপদান রয়েছে। তাই পুরুষত্ব বর্ধক হিসেবে ওই সমাজে অর্কিডের চাহিদাও ছিল খুব বেশি। আবার অনেকে বিশ্বাস করতেন, প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী ‘ভেনাস’ অর্কিডের ওই বিশেষ গঠনের প্রতি খুবই আসক্ত। এগুলো দেবীকে কামোদ্দীপ্ত করে। তাই যারা ওই টিউবারকে ভালবেসে ভক্ষণ করেন, দেবী তুষ্ট হয়ে তাদের পুত্র সন্তান দিয়ে থাকেন। তাই অনেকেই পুত্র সন্তান লাভের বাসনায় অর্কিডের টিউবার খেতেন।







মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুন পোস্ট । অর্কিড নিয়ে অনেক কিছু জানলাম ।


পোস্টে ভালোলাগা++

২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

হাসান মুহিব বলেছেন: B-) B-) B-) B-)

২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আরো সুন্দর কিছু ছবি বেশি করে দিলে ভালো হত....।!

গ্রীক ইতিহাসগুলো বরাবরই খুব বিরক্তিকর!! এবং আজীব!!!! X(( X(( B:-)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

হাসান মুহিব বলেছেন: আপনার মন্তব্য গ্রহন যোগ্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.